রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরো বেশি অভিযান পরিচালনা করা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরো বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।
(২ মার্চ) শনিবার সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
সামন্ত লাল বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৬ নভেম্বর রোববার বিকেলে ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্যাহ, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এই ফলাফল বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আপনার নেতৃত্ব এবং নিষ্ঠার কথাই বলে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার অভিনন্দন বার্তায় আরও বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের স্বল্প-আয়ের থেকে একটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের যাত্রা, যা জনগণের মঙ্গলের প্রতি আপনার অঙ্গীকারেরই প্রমাণ। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার উল্লেখ করেন, ‘আপনি যখন আপনার পরবর্তী মেয়াদ শুরু করবেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশ তার উন্নতি অব্যাহত রাখবে, নতুন মাইলফলক অর্জন করবে এবং সুশাসনের জন্য বৈশ্বিক মানদ- স্থাপন করবে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আপনাকে এবং আপনার প্রশাসনকে সমর্থন দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় আছি। ’
সবশেষে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘আবারও এই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আমি আপনার সার্বিক সাফল্য কামনা করি এবং আবারও আপনার সাথে দেখা করার জন্য আমি অপেক্ষায় আছি। ’
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
এদিকে বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ এটি।
এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে এমপি হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনাসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে
আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মে
দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য
পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। মা যেমন
একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে
নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের
কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে, সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।
মে
দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন
এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ।
শ্রমিকদের
মজুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০
টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা তাদের মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি
বৃদ্ধি করেছি কারণ শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে
গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী
আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-পুরুষ সমান মজুরি পায় না। আমরা সেটা সমান করে দিয়েছি।
নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের থাকার জন্য ডরমিটরি করে দিয়েছি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রার্থনা
করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একদিনের সফরে নিজের পৈত্রিক বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকালে গোপালগঞ্জে পৌঁছান তিনি।
এর আগে সকাল ৮টার পর সরকারি
বাসভবন গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে সকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর
সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্যান্য শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় এক প্রার্থনা
সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শেখ
হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ সেখানে
কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ
কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া
ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী ।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ বছরের জন্য টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিতে যাচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে টেলিফোন পেলেন যারা- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেনকে মন্ত্রী পদে শপথ নিতে কল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তারা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন যারা- সিমিন হোমেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
বুধবার (জানুয়ারি ১০) রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব নাম ঘোষণা করেন। শপথ নেওয়ার পর পরই তাদের দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে রেললাইন কাটা এবং ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করতে পারবে না।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে হত্যা করে সরকার উৎখাত করবে? মানুষ হত্যা করে আন্দোলন? আমি জানি না এই আন্দোলন করে কী পাবে তারা?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি যে এই জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মানে কি কয়েকখান বাস পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো? ’
তিনি বলেন, ‘চাল যাচ্ছে, চালের গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, ধান যাচ্ছে, ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে। মানে মানুষকে ক্ষুধার্ত মারা। এই ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না তাদের কোনোমতে কেউ থামাতে পারবে কি না। এই মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত তো করতে পারবে না।’
গাজীপুরে রেললাইন কাটা এবং ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু চিন্তা করে দেখুন, কী রকম ধ্বংসাত্মক কাজ, এরা আন্দোলন না, রেললাইন ফেলে দিয়ে, প্রায় আটটা বগি পড়ে যায়, একজন মানুষ মারা যায়, কয়েকজন আহত। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তার মানে হচ্ছে রেলের বগি ফেলে দিয়ে মানুষকে হত্যা করা। ’
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা রেললাইন কেটে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মারার কল্পনা করে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে এদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ বলে কিচ্ছু নেই। এটা জনগণকেই প্রতিহত করতে হবে। সেটাই আমার আহ্বান সারা দেশের মানুষের প্রতি। ’
তিনি বলেন, ‘যারা রেললাইন কেটে দিয়ে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে আর আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়; আর পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ সাংবাদিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষকে মারে, মিছিলে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করে এদের ক্ষমা নেই। এদের শাস্তি একদিন পেতেই হবে। জনগণকে বলবো এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য। ’
ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা আওয়ামী লীগের নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের কাছে যাবে, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার তো কোনো চেষ্টা আমাদের নেই। ’
দেশের অগ্রগতিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি দেশের উন্নতি করছি। দেশের যে উন্নতি হয়েছে এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে বাংলাদেশটা বদলে গেছে। ’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সব রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই - এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি-জামায়াত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। এরপরেই দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং ৫০০’র বেশি মানুষকে আহত করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তা হলো:
১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২.কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩.আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪.লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬.ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭.নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮.সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০.সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১.সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর
মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র
রয়েছে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারাসহ প্রমুখ।
বৈঠকের আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাগত জানান। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি,
পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্তবাণিজ্য
চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট সই হয়।
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসকল
তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ
পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি
বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান
জানান। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক
জোন করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ
আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে
বলে জানান ড. হাছান।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও
এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এ সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের
একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে
জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা
রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় চেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘চেক প্রজাতন্ত্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা আমি গভীরভাবে মূল্যায়ন করি এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা আমাদের উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে তা আরও গভীর ও জোরদার ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখব।’তিনি শেখ হাসিনাকে অভিন্ন স্বার্থে সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক স্তরে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে আরও উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের আশ্বাস দেন।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে আপনার দাবিকৃত কাজের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।’
সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন