

ফ্যাসিবাদ
ও আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শহীদ ওসমান হাদির পরিবারকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। হাদির এক বোনকে ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান দেওয়া
হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি সুরক্ষা থাকবে।
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, জুলাই যোদ্ধা, আন্দোলনের সমন্বয়ক,
সংসদ-সদস্য প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
নিশ্চিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারিতে থাকা কয়েকজনকে
ইতোমধ্যে গানম্যান দেওয়া হয়েছে এবং অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।
নিরাপত্তা পাওয়া
ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির
আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র
যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। এছাড়া জামায়াতের
আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান
পার্থ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে গানম্যান চেয়ে আবেদন করেছেন।
সূত্র জানায়,
আবেদনের ভিত্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বিএনপির মনোনীত সংসদ-সদস্য
প্রার্থী তানভির আহমেদ রবিন, জাফির তুহিন, জেপির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার
হোসেন মঞ্জু এবং এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমদসহ আরও কয়েকজনকে শিগগিরই গানম্যান ও
অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্বাভাবিক রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে নির্বাচন বানচালের
ষড়যন্ত্রের তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা গত বছরের ৫ আগস্টের
পর থেকেই ধারাবাহিক হুমকির মুখে রয়েছেন।
গোয়েন্দা তথ্য
অনুযায়ী, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পলাতক নেতাকর্মীরা দেশে ও বিদেশ থেকে
জুলাই যোদ্ধাদের হুমকি দিয়ে আসছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকেও হত্যার আগে
দীর্ঘদিন বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর তাকে গুলি করা হলে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, লিখিত আবেদন ছাড়া নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। গত রোববার পর্যন্ত
১২ জন লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত আইজিপি
খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, জুলাই যোদ্ধা ও সংসদ-সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে যারা নিরাপত্তা
ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের গানম্যান দেওয়া হচ্ছে। আর যারা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স
চেয়েছেন, তাদের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা
হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক পর্যালোচনা
সংক্রান্ত বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম
এম নাসির উদ্দিন।
আজ
রোববার (২১ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
সিইসির
সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব;
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনী প্রধান বা তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধি,
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি); এনএসআই,
ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার উপস্থিত রয়েছেন। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল
মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আর নির্বাচন
কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত রয়েছেন। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আগারগাঁওস্থ
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিন বাহিনীর
প্রধানরা।
বৈঠকে
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ
নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান উপস্থিত ছিলেন।
ভোটের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটি প্রথম সাক্ষাৎ।
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা; অবৈধ
অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম; প্রার্থী ও রাজনৈতিক
দলের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনী পরিবেশ
বজায় রাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হবে।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা শুধু বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত
মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।
‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’ উপলক্ষে
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি
থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান
মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন,
৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা
একটি অনন্য মাইলফলক। ৬ দফার মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির
রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন।
তিনি এই মহান দিনে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাঙালির
মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন আমি তাদের স্মৃতির প্রতি
জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা
বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত
হয়, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের
ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২
সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা
প্রস্তাব পেশ করেন। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব
ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠনসহ এই ৬ দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল
বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা
ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেফতার
করে। তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু ৬ দফার দাবি থেকে পিছপা হননি।
রাষ্ট্রপতি জানান, বঙ্গবন্ধু
রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন।
এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান
জানান।
মন্তব্য করুন


রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জানা যাবে আরবি ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শবে বরাতের তারিখ। পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার জন্য আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেলে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে গণনা শুরু হবে শাবান মাসের। সেক্ষেত্রে শবে বরাত পালিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে। চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে শাবান মাস। এক্ষেত্রে শবে বরাত পালিত হবে ২৬ মার্চ দিনগত রাতে।
মন্তব্য করুন


কিশোরগঞ্জে হেলিকপ্টারে চড়ে কর্মচারীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন সৌদি মালিক ও তার ছেলে।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় পৌঁছান সৌদি আরবের নাগরিক আহাম্মদ হলিবি (৬০) ও ছেলে আব্দুল লিল হলিবি (৪৫)। সৌদি আরবের দাম্মাম এর আল হাসার খালিদীয়া এলাকার অধিবাসী তারা।
জানাযায়, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবেরচর নয়াপাড়া এলাকার মৃত কৃষক চাঁন মিয়ার ৩ ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০), আব্দুল হামিদ (৩৫) ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ (৩১)। খাইরুল ২০ বছর আগে সৌদি আরবে যান। আর ছোট ২ ভাই হামিদ ও সারোয়ার ৭ বছর আগে সৌদি আরবে যান। সৌদি আরবের দাম্মাম এর আল হাসার খালিদীয়া এলাকার শামীম আহাম্মদ হলিবির পরিবারে কাজ করতো তারা। সেখানে কাজ করতে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে তাদের তিন ভাইয়ের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই ভালোবাসার টানে মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন সৌদি নাগরিক আহাম্মদ হলিবি ও তার ছেলে আব্দুল লিল হলিবি।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে হোসেনপুর সদরের ঢেকিয়া খেলার মাঠে আসেন। পরে সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তারা সাহেবেরচর নয়াপাড়া এলাকায় যান।
মন্তব্য করুন


আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান।
পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। লুত্ফুজ্জামান বাবরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মন্তব্য করুন


অনলাইনে ৩০০ ডলার থেকে ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলেই দিনপ্রতি আয় ৬ ডলার থেকে ২০০ ডলার। এছাড়াও এমএলএম পদ্ধতিতে রেফারেন্স বোনাস মিলবে ৩০ ডলার থেকে ১ হাজার ডলার পর্যন্ত।
উচ্চ মুনাফার প্রলোভেনের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকে। মিরপুর মডেল থানার এমন একটি মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নেমে চারজন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলো—আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬), মো. ইমরান শেখ (২৮), মো. মাহবুবুর রহমান সাদিক (৩২) ও শাহনেওয়াজ শরীফ শামীম (৩৪)।
গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি জানায়, উচ্চ রেফারেল কমিশন এবং ৩ মাসে জমা টাকা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই চক্রের ফাঁদে পা দেয়। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা প্রতারক চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছেন।
যেভাবে প্রতারণা করতো-
গ্রেপ্তাররা অনলাইনে uscommunitytrad.com সাইটের মাধ্যমে তাদের ইনভেস্টমেন্ট সংগ্রহের মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তারা সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ হারে মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্কিম প্যাকেজে ইনভেস্টমেন্ট করতে প্রলুব্ধ করেন।
তাছাড়াও একজন বিনিয়োগকারী যদি অন্য কাউকে বিনিয়োগ করাতে পারেন তাহলে প্যাকেজ ভেদে বিভিন্ন রকমের কমিশন দেওয়া হতো। সেখানে রয়েছে তাদের অসংখ্য বিনিয়োগ স্কিম প্যাকেজ।
ডিবি জানায়, প্রতারকরা প্রায় ৬ মাস ধরে সাধারণ মানুষকে অ্যাকাউন্ট তৈরি ও তাতে ক্রিপ্টোকারেন্সির সহায়তায় ডলার ডিপোজিট করতে সহায়তা করতেন। ডিপোজিট করা টাকা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেত। যার প্রভাব পড়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন অবৈধ।
যেসব স্কিমে নেওয়া হতো বিনিয়োগ
সিলভার প্যাকেজে ৩০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে বলা হতো প্রতিদিন রিটার্ন পাবে ৬ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ৩০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০০ দিন।
গোল্ড প্যাকেজে ৫০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ১০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ৫০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০১ দিন।
ডায়মন্ড প্যাকেজে ১০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ২০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ১০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০২ দিন।
প্লাটিনাম প্যাকেজে ২০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ৪০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ২০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০৩ দিন।
এক্সক্লুসিভ প্যাকেজে ৫০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ১০০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ১০০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০৪ দিন।
ভিআইপি প্যাকেজে ১০০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে বলা হতো প্রতিদিন রিটার্ন ২০০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ১০০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে। এই প্যাকেজের মেয়াদ ছিল ১০৫ দিন।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি আমেরিকান কোম্পানির নাম ধারণ করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে এমএলএম স্কিমে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা নির্ধারিত প্যাকেজের আওতায় ডলারের বিপরীতে টাকা বিনিয়োগ করতেন। আর সেই টাকা নিয়ে পলাতক হয়ে যান চক্রের সদস্যরা। এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি।
ডিবি সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতারণার নতুন কৌশল হিসেবে চক্রটি নতুন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হ্যাচারি প্রজেক্টের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে বিনিয়োগ গ্রহণ করছে। তারা এই টাকার বিপরীতে প্রতি মাসে আট হাজার করে পচিশ মাসে দ্বিগুণ মুনাফাসহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এটি ছিল তাদের প্রতারণার নতুন একটি ফাঁদ।
গ্রেপ্তারদের মোবাইলে হ্যাচারি প্রজেক্টের নামে অন্য একটি স্কিমের তথ্য পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে লাখ টাকা করে নেওয়া শুরু করেছিলেন তারা।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা গ্রেপ্তারদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তাদের বিষয়ে তথ্য নিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে। আর কত সংখ্যক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন


অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম মাত্র এক টাকা কমিয়ে ১৪৫৫ (এক হাজার চারশত পঞ্চান্ন) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টানা ৪ দফা দাম বাড়ার পর ভোক্তা পর্যায়ে অবশেষে কমলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করেছেন এক সংবাদ সম্মেলনে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৬ টাকা থেকে ১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।
তারও আগে রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগস্ট মাসের তুলনায় ৪৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে এলপিজির প্রতিটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ও ৩ টাকা। সেসময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হয়েছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেছেন, বহু বছরের জুলুম-নির্যাতনের পরও দেশনেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী ও আমাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি বলেন, “আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি—আমাদের এই সম্পদ, আমাদের দলের শক্তিকে যেন আল্লাহ সুস্থ করে দেন। যার আহ্বানে দেশের কোটি মানুষ সত্যের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত হয়ে যায়। আমাদের মাতা দেশের গণতন্ত্রের আইকন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জীবন্ত প্রতীক। তাঁর সুস্থতা ও আরোগ্য লাভ দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি।”
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লা নগরীর ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় দিনব্যাপী পবিত্র কোরআন খতম শেষে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করে হাজী ইয়াছিন বলেন, “২০০৮ সালে টাউন হলের এক বিশাল জনসভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমার হাতে ধানের ছড়া দিয়ে বলেছিলেন—‘ইয়াছিন আমার সন্তান সমতুল্য, তার হাতে আমি ধানের ছড়া তুলে দিলাম।’ আজ সেই স্মৃতি আরও গভীর হয়ে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো—আপনারা সবাই আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করুন ও দোয়া করুন। সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের নেত্রীকে সুস্থ করে তোলেন। ২০০৮ সালের মতোই যেন ২০২৫ সালেও আবার তিনি এই টাউন হলের মঞ্চে আসতে পারেন। এবং সেই একই স্নেহের ভাষায় যেন বলতে পারেন—‘আমার সন্তান হাজী ইয়াছিনের হাতে আবার ধান তুলে দিলাম।”
হাজী ইয়াছিন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমার আর কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা নেই। আমার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা—আমার নেত্রী যেন আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমি পুনরায় তার হাত থেকে ধানের ছড়া নিতে চাই। তিনি ফিরে এলে জনগণের হৃদয়ে আবার গণতন্ত্রের শক্তি ফিরিয়ে আনবেন।”
দোয়া মাহফিলের পুরো সময় জুড়েই টাউন হল মাঠে ছিল একটি প্রার্থনামুখর পরিবেশ। কোরআন তেলাওয়াত, দরূদ শরীফ পাঠ এবং বিশেষ মুনাজাতে অংশ নেন দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, উপজেলা, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাধারণ নাগরিক এবং নানা পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এ দোয়া অনুষ্ঠানে।
দোয়া মাহফিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আলী আক্কাস, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান নেতা এস এ বারী সেলিম, মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ রতন, মাহাবুবর রহমান দুলাল, আতাউর রহমান ছুটি, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মুজিবুর রহমান কামাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রোমান হাসান, যুবদলের ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ জহির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল পাসা সিদ্দিকী রাকিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু এবং যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন—জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এ কে এম শাহেদ পান্না, দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম, মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক কাজী শাহিনুর, কৃষকদলের সদস্য সচিব ইকরাম হোসেন তাজ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী নোমান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ধীমান।
এছাড়া মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, মশিউর রহমান সজিবসহ অগণিত নেতাকর্মী ও অংশগ্রহণকারী দোয়া মাহফিলের পরিবেশকে আরও আন্তরিক করে তুলেন।
অনুষ্ঠান শেষে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, “আমরা আজ আমাদের নেত্রী বেগম জিয়ার জন্য দোয়া করেছি। আমরা বিশ্বাস করি—আল্লাহর রহমতে ইনশাআল্লাহ তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আগামীতেও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গঠন ও রক্ষায় তাঁর ভূমিকা থাকবে।”
মন্তব্য করুন


গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার পরে রুট পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে। গাজীপুরের পরিবর্তে টঙ্গী থেকে কিশোরগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহে চলাচল করবে ট্রেন।
দুর্ঘটনার পরে এই রুট পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ ১৩ ডিসেম্বর সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
তিনি বলেছেন, ময়মনসিংহের রুটে আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ওই অঞ্চলের ট্রেনগুলো রুট পরিবর্তন করে চলাচল করছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ট্রেনগুলো ঢাকা-বিমানবন্দর-টঙ্গী-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করছে।
এর আগে আজ (১৩ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল লাইনে বনখড়িয়া ভাওয়াল রেল স্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যুত হয়।
গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা গ্যাসকাটার দিয়ে রেল লাইন কেটে ফেলায় ইঞ্জিন এবং ৭ বগিসহ লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি।
দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় আসলাম হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
নিহত আসলাম হোসেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রওহা গ্রামের বাসিন্দা।
রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইন সংস্কার এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন


প্রাথমিক শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ বা পরিমার্জিত ডিপিএড কোর্সের রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে কোর্সে অংশ নিতে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, প্রশিক্ষণ না নেওয়া শিক্ষকদের এ কোর্স করতে রেজিস্ট্রেশন শুরুর আগে ডেপুটেশন দেবেন স্ব স্ব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। ডেপুটেশন পাওয়া শিক্ষকরা অনলাইনে ৯-১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন