

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা চাঁদপুর সড়কের মহানন্দ নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মরদেহ গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ রোববার
(১৬ নভেম্বর) ২য় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ-২০২৫ এর অফিসিয়াল ট্রফি উন্মোচন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি
বাসভবন যমুনায় ট্রফিটি তিনি উন্মোচন করেন।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারী কাবাডি টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো।
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো নারী কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন
করছে। টুর্নামেন্টটি ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর
স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে কেবল টুর্নামেন্ট শুরুর
বার্তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারীদের ক্রীড়াচর্চার প্রচারে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান
নেতৃত্বকেও উদ্যাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. ইউনূস ঢাকায় বিশ্বকাপ আয়োজনের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অনুপ্রেরণামূলক এবং বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সব দলকে তিনি স্বাগত জানান
এবং আয়োজন সফল করার জন্য আয়োজক, ক্রীড়াবিদ এবং অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
এ বছরের নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বিশ্বব্যাপী ক্রীড়ানুরাগীরা
একত্রিত হচ্ছেন এবং শীর্ষ জাতীয় দলগুলো আট দিনের তীব্র প্রতিযোগিতা ছাড়াও সংস্কৃতি
বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন
যে, প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে, সরবরাহ, নিরাপত্তা, দলের থাকার ব্যবস্থা এবং দর্শকদের
অংশগ্রহণের জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন, প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। এছাড়া নিরাপত্তা, দলগুলোর থাকার ব্যবস্থা এবং দর্শকের অংশগ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
টুর্নামেন্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল উদ্বোধন করা
হবে এবং ২৪ নভেম্বর ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিদিন ম্যাচ আয়োজন করা হবে।
এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, চীনা তাইপে, জার্মানি, ইরান, ভারত, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জাঞ্জিবার।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সরকার সক্রিয়ভাবে নারী ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করেছে এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলায় তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ সম্প্রসারণ করেছে। নারী ক্রীড়াবিদদের সাফল্য দেশের জন্য গর্বের বিষয় এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শক্তিশালী অনুপ্রেরণা।
মন্তব্য করুন


খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ।
এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদীর পানি বিপৎসীমার দুই থেকে ছয় ফিট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), এ বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর আরো জানায়, দিনভর উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার খাগড়াছড়িবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনা খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বন্যা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা
সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ (২৬ আগস্ট ২০২৪) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জল, স্থল ও আকাশ পথে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
দ্রুততার সাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ ১৫টি হেলিকপ্টার সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১১ জন মুমূর্ষ রোগীকে উদ্ধারপূর্বক হাসপাতালে স্থানান্তর ও ২৪ জন ব্যক্তিকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হতে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়।
প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও ৪,৮৩৯ প্যাকেট ত্রান, ৫০,৪০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি, ৫০০ মোবাইল ফোন ও এক লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সিলেট, চট্টগ্রাম,ফেনী সদর, ফাজিলপুর, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, পরশুরাম ও মধুগ্রাম এলাকায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) জার্মান রাষ্ট্রদূত “ রুডিগার লোটজের “ সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় প্রধান উপদেষ্টা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, তিনি এখানে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সনদে সই করার জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে একটি চমৎকার কাজ করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত—যা ঐক্য এবং পরিবর্তনের জন্য একটি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছিল। এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতে সহায়তা করে।’
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানান এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন।
রুডিগার লটজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসে কথা বলতে দেখে ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও দেশের এসব সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত জার্মানিতে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কথাও উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন


শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন । শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে শপথ নেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে তিনি তার গাড়িবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এর আগে বিএনপির নেতারা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
তার আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এরপর বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারও ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকব না।
নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়করা) দেশকে রক্ষা করেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা দূরীকরণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আগামীকাল ৫ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। তাঁর অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য মিশে আছে। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যার প্রমাণ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার দেখা যায়।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। জাতি হিসেবে আমাদের সকল অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অবদান রয়েছে। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরো দৃঢ় ও অটুট হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমন্ডিত হবে-এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সেনাসদরে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে পৌঁছালে সেনাবাহিনী
প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক
প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং
বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো: তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী
প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং
গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এর মহাপরিচালকগণ
ও সেনাসদরের কর্মকর্তাগণ।
(খবর বাসসের)
মন্তব্য করুন


বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার খুব শিগগির একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর
পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। এর সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে। এই আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক
মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্তব্য করুন


সংস্কার গভীর না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার
আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, সংস্কার মানে শুধু কয়েকটা
কাগজের সংস্কার নয়, মনের গভীরতর জায়গার সংস্কার করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ
মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে
হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুধু ওপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়,
গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই গভীরতম পরিবর্তন যদি না করি, যেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে
আজ আমরা কথা বলছি, আবার ঘুরেফিরে সে চলে আসবে—যতই আমরা সামাল দিই, যতই সংস্কার করি।
আমাদের আরও গভীরের সংস্কার দরকার। এই সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে
করা হবে যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনো নীরবতা দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস
করা না যায়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায়
আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান
করা যে রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।
রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয়
ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ঐকমত্য এমন একটি
ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন
নিশ্চিত করে।
আমাদের লক্ষ্য একটাই, একটি বাংলাদেশ
গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে
রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সব সময়
বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা
(National Policy Competition) ২০২৫-এর দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা মতবিনিময় করেন এবং প্রতিযোগিতায়
নিজেদের অভিজ্ঞতা ও নীতি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
তরুণ প্রজন্মের বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা, নীতি উদ্ভাবন ও গঠনমূলক
সংলাপকে উৎসাহিত করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দেশব্যাপী ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে সফলভাবে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়,
এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি করে দল বিজয়ী নির্বাচিত হয়।
বিজয়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়,
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ULAB), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ
বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, শান্তি, কৃষি, প্রযুক্তি,
রাজনীতি, সংবিধান, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতি— এই দশটি জাতীয় অগ্রাধিকার খাতে বাস্তবসম্মত
ও উদ্ভাবনী নীতি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
মন্তব্য করুন