

কুমিল্লায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে ৪০ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
আজ (২৬ এপ্রিল) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বানাশুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ এমরান (৪৬) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে আজ দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বানাশুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে সাইফুল (৩০) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ এমরান (৪৬) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী থানার ফুলদি গ্রামের মোঃ সিরাজ এর ছেলে এবং ২। সাইফুল (৩০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বানাশুয়া গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মো মিজানুর রহমান মিনু :
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা কর্তৃক ৫২ কেজি গাঁজাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
গত (১০ ফেব্রুয়ারি) শনিবার জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা চান্দিনা থানাধীন কাশিপুর সাকিনস্থ পশ্চিম পাড়া মোঃ খলিল এর বসত ঘর হতে ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রনি(২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার কাশিমপুর পশ্চিম পাড়া খলিলের বাড়ী মাধাইয়া ইউপির মোঃ খলিল এর ছেলে।
উক্ত ঘটনায় চান্দিনা থানায় এজাহার দায়ের করলে চান্দিনা থানার মামলা নং-০৮, তারিখ- ১০/০২/২০২৪খ্রিঃ, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১৯(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি'র) কেন্দ্রীয় সদস্য সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভাগ সংখ্যা বৃদ্ধি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এই প্রেক্ষাপটে কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে কুমিল্লা একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগের মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ততা বহু আগে থেকেই অর্জন করেছে।
১. ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর আশপাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও লাকসাম-নাঙ্গলকোট অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই অঞ্চলগুলো মিলে একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বলয় তৈরি করে, যা একটি আলাদা বিভাগের প্রাকৃতিক কাঠামো উপস্থাপন করে।
২. জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয়তা:
কুমিল্লা জেলা নিজেই বাংলাদেশের অন্যতম জনবহুল জেলা। কুমিল্লা অঞ্চল ও আশেপাশের জেলা মিলে জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি। একটি বিভাগের মূল লক্ষ্য হলো প্রশাসনিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বড় বিভাগগুলোর তুলনায় এই অঞ্চলকে একটি আলাদা বিভাগে উন্নীত করলে জনগণের ওপর প্রশাসনিক চাপ কমবে এবং সেবা পৌঁছাবে আরও দ্রুত।
৩. অর্থনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা প্রাচীন কালে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। ময়নামতি, শালবন বিহার, এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। কুমিল্লা শিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়েও এগিয়ে রয়েছে। এখানকার ইপিজেড, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এবং কৃষিপণ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। একটি বিভাগীয় শহর হিসেবে কুমিল্লার অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।
৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা হলে এই অঞ্চলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে, উন্নয়ন প্রকল্প আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে।
৫. দূরত্ব ও প্রশাসনিক জটিলতা কমবে:
চট্টগ্রাম বিভাগের অংশ হিসেবে বর্তমানে কুমিল্লা অনেক প্রশাসনিক কাজে চট্টগ্রাম নির্ভরশীল। কিন্তু কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ফলে সাধারণ মানুষকে বিভাগীয় কাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিভাগ স্থাপন হলে এই জটিলতা দূর হবে।
৬. জনআকাঙ্ক্ষা ও দীর্ঘদিনের দাবি:
কুমিল্লাকে বিভাগ করার দাবি অনেক পুরনো এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। এই দাবি শুধু রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক নয়, বরং এটি স্থানীয় মানুষের আত্মপরিচয়, মর্যাদা ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের এমন যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করা অনুচিত।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লাতে যৌথ বাহিনী কর্তৃক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন এবং মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর কুমিল্লা জেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নিমিত্তে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে দাউদকান্দি উপজেলায় একটি লোকাল গান এবং তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে করা একাধিক হত্যা মামলার আসামি তিনি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামছুল আলম।আজ সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী।তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী সুমনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রিফাত ও বাবু হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আজ সকালে তাকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন সুমন। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন। সুমন কুমিল্লা-১ ( দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে।
মন্তব্য করুন


এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা:
শীত শেষ হলেও সমস্যা কাটেনি লাইন গ্যাসের, মাসিক টাকা নিয়েও গ্যাস দিতে পারছেনা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
গেলো এক যুগ ধরে শীত উঁকি দিলেই থাকেনি বাখরাবাদের গ্যাস, শীতের তীব্রতার সাথে বেড়েছে গ্যাস সঙ্কটও। এবছর এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি গ্যাস সরবরাহ। বাখরাবাদের দায়সারা এমন আচরণে ভূগান্তিতে পরেছেন গ্রাহকেরা। অস্থির বাজারমূল্যের সময় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা, বয়োবৃদ্ধ আছে এমন পরিবার, কর্মজীবী নারী, শ্রমিক ও অফিসগামী মানুষেরা বেশী ভূগান্তি পোহাচ্ছেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারেরও সুযোগ নেই প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের। অথচ মাস শেষে বাখরাবাদ ঠিকই তাদের বিল আদায় করছেন।
কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স, পশ্চিম বাগিচাগাঁও, ঝাউতলা, পুলিশ লাইন, শুভপুর, চকবাজার এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বাখরাবাদের এমন অবহেলায় ফুঁসে উঠেছে গ্রাহক জনসাধারণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ করছেন অনেকে। বাখরাবাদ সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা অতীতেও বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাদের অঢেল সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত করে ইনকাম ট্যাক্স ও দুদকের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনারও দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
এনজিও কর্মী তাহরিমা ইসলাম জানান, তাঁর বাসা কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুর। সেখানে প্রতিদিনই গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যায় তাদের প্রত্যাহিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। মো: আফতাব আমিন জানান, তাঁর শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লা নগরীর শুভপুর এলাকায় সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস থাকেনা। তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন।
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এম ফিরোজ মিয়া জানান, কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচটি মহল্লায় গ্যাস থাকেনা। সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রায় ১৭ থেকে ১৮টি গ্রামে গ্যাস থাকেনা। প্রতিদিনই তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সমাজকর্মী রাইসুল ইসলামে সোহাগ জানান, কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় সকালে গ্যাস থাকেনা। পুরো শীত মৌসুমে এমন সমস্যা পোহাতে হয়েছে তাদের। শীত চলে গেছে অথচ রয়ে গেছে বাখরাবাদের গ্যাস সমস্যা।
ব্যবসায়ী মামুন আহম্মেদ জানান, কুমিল্লা নগরীর স্টেশনরোড এলাকার নিলয় সোসাইটিতে তাঁর বাসা। সেখানেও গ্যাসের সমস্যা করছে। নবাব ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতা আজাদ সরকার লিটন জানান, কুমিল্লা নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের সংরাইশ পশ্চিমপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় গ্যাসের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। শীত মৌসুমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাস থাকতো না। বর্তমানে সকাল হলেই গ্যাসের দেখা মেলেনা, দুপুর দুইটা তিনটার পর গ্যাস পাওয়া যায়। বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ছুটি জানান, চকবাজারের আংশিক, সংরাইশ, জগন্নাথপুর এলাকায় গ্যাস সঙ্কট রয়েছে। রোটারেক্টর টিআই সাদেক জানান ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। সোহেল মিয়া নামের একজন জানান নগরীর পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকায় সকালে গ্যাস থাকেনা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শম্পা জানান, সদর উপজেলার বাজগড্ডা, জগন্নাথপুর এলাকাতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস থাকেনা। কলেজ শিক্ষিকা ফাহমিদা আক্তার জিনিয়া জানান, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রান্না করে সেই রান্না টিফিনে করে কলেজে নিয়ে যান এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য রেখে যান। রান্নার মাঝে-ই গ্যাস চলে যায়। আমার বাসায় সিলিন্ডার গ্যাস নেই। কয়েক বছর ধরে সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এটা কেমন কথা, দিনের পর দিন বিল নিচ্ছে কিন্তু গ্রাহক সেবা দিচ্ছেনা। দেশে কি এসব দেখার লোক নেই? নাগরিক অধিকার বলে কি কিছু নেই? আমাদের প্রত্যাহিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে। পারিবারিক অশান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানওে প্রভাব পড়ছে। যারা সম্পদশালী বা দুর্নীতিবাজ তাদের বাসায় সিলিন্ডার রাখতে পারে কিন্তু আমরাতো চাইলেই পারিনা। আমার দাবি দ্রুত গ্যাসের ব্যবস্থা করা হউক, না হয় গ্যাস বিল অর্ধেক নিতে হবে।
বাখরাবাদ গ্যাসের ইঞ্জনিয়ারিং সার্ভিস বিভাগের (কুমিল্লা রিজিওন) উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ছগীর আহমেদ এর কাছে গ্যাস সরবরাহ কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলএনজি আমদানি কম হওয়াতে এমনটি হচ্ছে। এটি জাতীয় সমস্যা। জাতীয় গ্রীড থেকেই আমরা চাহিদামত গ্যাস পাচ্ছিনা। কুমিল্লা, চাঁদপুর, লাকসাম, গৌরীপুর সহ আমার রিজওিনে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট অথচ আমরা পাচ্ছি ২২ থেকে ২৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিছু এলাকায় লাইন ক্যাপাসিটির কারনেও গ্যাস সমস্যা করে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন এলএনজি আমদানি কম হলে গ্যাসের চাপও কমে যায়, যার ফলে দূরবর্তী এলাকাগুলোতে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়।
জানতে চাইলে বাখরাবাদের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মর্তুজা রহমান খান জানান, আমরা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল) থেকে যে পরিমান গ্যাস পাই সেটাই বিতরণ করছি। সমস্যাটা আমাদের না জাতীয় সমস্যা। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারবোনা।
এ
বিষয়ে জানতে বাখরাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর মুঠোফোনে
একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবীদ্বারে দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন বসন্ত উৎসব ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় দেবীদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে বসন্ত উৎসব ও পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত খাঁন।
দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ি এর প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবীদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের ভারপ্রাপ্ত উপ-তত্ত্বাবধায় বরুন চক্রবর্তীদে, দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি প্রবীন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, কুমিল্লার সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান মজুমদার, দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, পৌর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম, ডাক্তার শাহজালাল শেখসহ আরো অনেকে।
সহকারী শিক্ষক আবুল হাসেম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম, ডা. মোঃ এনামুল হক, ফখরুল ইসলাম সাগর, জামাল উদ্দিন দুলাল, নেছার উদ্দিন, শাহিন আলম, ফারুক হোসেন জনি, সুমন সরকার, সোহাগ হোসেন সোহেল, ইসহাক হোসেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের প্রধান সহকারি মো. ওমর ফারুক, সঙ্গীত শিল্পী সঙ্গীতা দে, বিএনপি নেতা ইব্রাহিম কন্ট্রাক্টর, ডাঃ শেখ সহিদুল্লাহ, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন সরকার, প্রবাসী মো. সাফায়েতুল ইসলাম আজিজ, বীমাকর্মী নওশাদ চৌধুরী, ক্যামেরা পারসন সাইফুল ইসলাম সজিব, ব্যবসায়ী রাসেল আহম্মেদ, দলিল লেখক হাফিজুর রহমানসহ আরো অনেকে।
স্পন্সর প্রতিষ্ঠান দেবিদ্বার হাড়ভাঙা পঙ্গু এন্ড জেনারেল হাসপাতালের সহযোগিতায় সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুদের ৮ রকম পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন ও ডিনারে অংশ নেন অতিথিবৃন্দ।
বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, 'বাবা-মা হারানো এতিম শিশুদের নিয়ে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবে থাকতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। তাদের সাথে আনন্দ উপভোগ করা আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, অসহায় এই শিশুদের জন্য দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এটি সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। এই ছোট ছোট ছেলেরা এই বয়সে মায়ের হাতের পিঠা খাওয়ার কথা ছিল, মায়েল কোলে থাকার কথা ছিল কিন্তু তারা এমন স্বজন হারিয়ে এই সরকারি শিশু পরিবারে থাকছে। এতিম শিশুদের নিয়ে এ উৎসব করার জন্য দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী বলেন, বাবা-হারা মা হারা সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর মানসিক বিকাশে অবদান রাখবে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন। এই শিশু পরিবারে অসহায় ও এতিম শিশুরা পিঠাপুলির উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। তাদের কথা চিন্তা করে দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব আয়োজন করেছে। এছাড়াও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনে এই শিশুদের জন্য উন্নত মানের খাবার বিতরণ, ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করে, ফল উৎসবসহ নানান আয়োজন করে থাকে। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ৫১ কেজি গাঁজা ও ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার দিবাগত রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিরশ্বানী বাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-টু-চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের পূর্ব পাশের নালঘর রাস্তার মাথায় পাঁকা রাস্তার উপর হতে ৫১ কেজি গাঁজা ও ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ছুপুয়া মাদ্রাসার ০৭নং ওয়ার্ড এর ৩নং কালিকাপুর ইউপি নিবাসী মোঃ তাজুল ইসলাম (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত
ঘটনায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
গত বছরের ১৫ মার্চ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। তার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় অব্যহতি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ না মেলায় অন্যহতি দেওয়া হয় বলে জানা যায়। তবে সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকীকে (আম্মান) অভিযুক্ত করা হয়।রোববার (১০ আগস্ট) কুমিল্লার আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মিজানুর অভিযোগ পত্র জমা দেন।
প্রায় দেড় বছর পর কুমিল্লার আদালতে রোববার (১০ আগস্ট) অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, অবন্তিকার মা সহপাঠী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আসামি করে মামলাটি করেছিলেন। মামলাটি তদন্তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অবন্তিকার মোবাইল ফোনে থাকা বেশ কিছু ছবি, স্ক্রিন শট, মেসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপের কিছু ক্ষুদে বার্তা জব্দ করা হয়। তার ফেসবুকে দেওয়া ‘সুইসাইড নোট’ পর্যালোচনা করা হয়েছে। মোবাইলটি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে প্রতিবেদন আনা হয়। আম্মান বিভিন্নভাবে অবন্তিকাকে মানসিকভাবে হয়রানি করতেন। মোবাইলে এমন কিছু ক্ষুদে বার্তাও পাওয়া গেছে। এসব হয়রানির কারণে অবন্তিকা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। সেসব উল্লেখ করেই অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে।গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরীর একটি ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি পরদিন ১৬ মার্চ তার মা তাহমিনা শবনম দুজনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
অবন্তিকার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে জড়িতরা শাস্তি পাবে কিনা শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। যে জবি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি, সেই প্রশাসন কীভাবে দায় এড়াতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘অবন্তিকার মতো অসংখ্য মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়। কেউ নীরবে সহ্য করে, কেউ প্রতিবাদ করে মৃত্যুর মুখে পড়ে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় সৎমাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলে শাহিন মুন্সিকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শাহিন মুন্সি চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের এমদাদুল হক মুন্সির ছেলে। এর আগে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ বাড়িতে সৎমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন তিনি। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই নূরুল ইসলাম মুন্সি বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা পিবিআইয়ের পরিদর্শক বিপুল দেবনাথ জানান, ‘বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশের পর পুলিশ সুপার “সারোয়ার আলম” স্যার অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যবহার করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লায় চোরকে চিনে ফেলায় রাশেদা বেগম(৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে নিজ ঘরে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে এমন তথ্য জানিয়েছেন মোঃ নাদিম(১৯)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসামি নাদিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া নাদিমের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি দোকান থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত নাদিম দাউদকান্দি পৌরসভার নুরপুর গ্রামের নুর আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে দাউদকান্দি পৌরসভার নুরপুর গ্রামের মৃত আলী আশাদ মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম নিজ বাড়িতে খুন হন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে পাওয়া জুতার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ঘটনার চার ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী নাদিমকে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন নাদিম৷ তার দেওয়া তথ্য মতে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত রাশেদা বেগমের দুই ছেলে ও চার মেয়ে। বড় ছেলে প্রবাসে আর ছোট ছেলে দেশেই থাকেন। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন রাশেদা বেগম। নাদিমের ধারণা নিহত রাশেদা বেগমের বাড়িতে অনেক টাকা পয়সা থাকবে। তাই তিনি রাশেদা বেগমের বাড়িতে যান। পরে তার কানের দুল গলার চেইন ছিনিয়ে নেন। তখন নিহত রাশেদা বেগম তাকে চিনে ফেলেন। পরে নাদিম গলা টিপে বৃদ্ধা রাশেদাকে হত্যা করেন শরীরে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও গলার চেইনটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু যাওয়ার সময় পায়ের জুতা ফেলে যান নাদিম। সেই জুতার সূত্র ধরেই তাকে আটক করা হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এবং সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবির সোয়েব স্যারের দিকনির্দেশনায় ঘটনার ৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে সনাক্ত করে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে বৃদ্ধা রাশেদা বেগমের শরীর থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহত রাশেদা বেগমের ছোট ছেলে সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন