

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার গোমতী নদীতে ককশীট ও কলাগাছের সঙ্গে বেঁধে পাচারের জন্য ভাসিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোলাবাড়ি পোস্টের বিজিবি সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
কুমিল্লা ১০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়ত কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে মাদক পাচারের চেষ্টা করে। তার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভোরে আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় গোমতী নদীতে কলা গাছ ও ককশীটের সঙ্গে বেঁধে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় পানিতে ভেসে আসা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় মদ, ভদকা, বিয়ার স্কাফসহ ১০ লাখ টাকার মূল্যমানের মাদক। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মাদকদ্রব্যগুলো কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা লাকসাম থানার আলোচিত ও ক্লুলেস
মো. শাহজাহান প্রকাশ সাইমন (১৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের ভেতরে খাটের ওপর সাইমনের মৃতদেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো
অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশের গলা কাটা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহ থেকে পচা রক্ত
ও পানি বের হচ্ছিল।
পরে সাইমনের পিতা আবদুল হান্নান বাদী
হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে কুমিল্লা পুলিশের একটি
বিশেষ দল সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে প্রধান
আসামি আব্দুল ওয়াদুদ প্রকাশ মানিক (২৪) কে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে
মানিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইমনের অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং অপর আসামি
মো. সানাউল্লাহ (২৪) কে লাকসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক স্বীকার
করে, সানাউল্লাহর সাথে সাইমনের পূর্বের একটি মাদক সেবন নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল এবং সাইমন
সানাউল্লাহর মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তারা সাইমনকে হত্যার পরিকল্পনা
করে। হত্যাকাণ্ডের দিন তারা সাইমনকে লাকসাম হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে নিয়ে যায়,
সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মানিক কাঠের লাঠি দিয়ে সাইমনের মাথায় আঘাত করে এবং সানাউল্লাহ
ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে।
গ্রেফতার মানিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


গত ২৬ জুন কুমিল্লা মুরাদনগরের পঞ্চকিট্রি
ইউনিয়নের বাহারচর গ্রামে এক হিন্দু নারীর সাথে অশোভনীয়
ঘটনা ঘটে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ভাইরাল হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা
যায় যে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ সময়ে একই
গ্রামের এবং পূর্বপরিচিত মোঃ ফজর আলী (৩২) এর সাথে উক্ত নারী ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে
পড়েন। একই সাথে ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরান এর সাথেও তার (ভুক্তভোগী) সখ্যতা গড়ে উঠে।
ঘটনার দিন রাতে বড় ভাই ফজর আলী উক্ত
নারীর ঘরে অবস্থানকালে ছোট ভাই শাহপরান ও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাদেরকে
মারধর করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
উক্ত মারধরের ফলে ফজর আলী আহত হয়ে
প্রথমত কুমিল্লা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে
গত ২৭ জুন উক্ত নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের
অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে তিনি (ভুক্তভোগী)
ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে
এবং মোঃ ফজর আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
এছাড়া ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশোভন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে
ইতোমধ্যে সর্বমোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বিষয়টি
ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত এবং পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে।
এখানে
বল প্রয়োগ, দরজা ভাঙ্গা বা ধর্ষণের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত
হয়নি। তথাপি প্রকৃত ঘটনাটি তদন্তের পূর্বেই অশোভন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে
অনাকাঙ্খিত। তবে আইন প্রযোগকারী সংস্থা কর্তৃক দুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন
পূর্বক দোষীদের অচিরেই শাস্তির আওতায় আনা
হবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি-কুমিল্লার উদ্যোগে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযানে ১২ বোতল বিলাতীমদ
এবং মাদক বিক্রির ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩ শত টাকাসহ দুইজনকে আসামি করে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্বাবধানে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা এর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাঙ্গলকোট ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আবু শাদনান সৈকতসহ ১৮ জন সশস্ত্র সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ১ টায় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন বাঙ্গড্ডা উত্তর উত্তর পাড়া গ্রামস্থ আতর ইসলাম প্রকাশ আতিক(৫৩) এর বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১২ বোতল বিলাতীমদ এবং মাদক বিক্রির ১,১৮,৩০০ টাকাসহ মুর্শিদা বেগম (৪৯) কে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি মুর্শিদা বেগমের স্বামী টাস্কফোর্স টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আটককৃত আসামি মুর্শিদা বেগম কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের আতর আলী প্রকাশ আতিক এর স্ত্রী।
টাস্কফোর্স অভিযানে কুমিল্লা ডিএনসির অন্যান্য সদস্য এবং নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক তোকিক আহমেদ এর নেতৃত্বে ৪ পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
#একাই কে'ড়ে নিলেন ৭ জনের প্রা'ণ !
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৪০ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
৭ নভেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন তৈলকুপি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে
পিকআপ ভ্যানের বডির ভিতরে গোপন প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী
১। মোহসীন এবং ২। হৃদয় জীবন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো: ১। মোহসীন (৫৮) মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ি থানার ধীরপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর
ছেলে এবং ২। হৃদয় জীবন (১৯) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার মিরপুর গ্রামের জাকির হোসেন
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা
সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয়
করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল
অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের
অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের আয়োজনে ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় বুধবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি ) সকালে কুমিল্লা জিমনেসিয়ামে কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
কাবাডি প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের ৮টি সার্কের টিম অংশ গ্রহন করে। দুটি গ্রুপে নক আউট পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিন জেলার চৌদ্দগ্রাম সার্কেল, সদর দক্ষিন সার্কেল, লাকসাম সার্কেল, সদর সার্কেল, হোমনা সার্কেল, দাউদকান্দি সার্কেল, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর সার্কেল টিম অংশ নেয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ টায় আইজিপি কাপ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ কাবাডি ও কুমিল্লা জেলা সার্কেল টিমের বিজয়ী কাবাডি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন করা হবে।
কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মংনে খোয়াই মারমা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কামরান হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন জাকির।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
কয়েদি থেকে কারামুক্ত এক কর্মজীবী নারীতে পরিণত হয়েছেন মোসা: পারভীন আক্তার। হত্যা
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ
করেছিলেন কয়েদি নম্বর ৩৮০২/এ, পারভীন আক্তার। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে তার সাজা
কমে গিয়ে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর, প্রশিক্ষণ ও কঠোর পরিশ্রমে
অর্জিত ৫৭ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে আজ তিনি মুক্ত হলেন।
কারা
বিভাগ "রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ" এই শ্লোগানে বন্দিদের দক্ষতা উন্নয়নে
নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায়, কারাগারে অবস্থানকালে পারভীন আক্তার নেন
নকশীকাঁথা সেলাই ও সুঁই-সুতার কাজের প্রশিক্ষণ। তার হাতে তৈরি কারাপণ্য বিক্রি হয় বাণিজ্য
মেলা ও কারাগারের শো-রুমে। বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫০ শতাংশই পারিশ্রমিক হিসেবে বন্দিদের
হাতে তুলে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
সেই
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় থেকেই পারভীন আক্তার নিজের প্রিজনার ক্যাশ একাউন্টে জমা করেন ৫৭
হাজার টাকা। যা তিনি আজ মুক্তির দিন নিজের হাতে পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ ও সঞ্চয়ের এই ফল
পেয়ে আবেগাপ্লুত পারভীন জানান, "কারা কর্তৃপক্ষ শুধু শাস্তিই দেয়নি, জীবনের নতুন
আলো দেখিয়েছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ।"
বাংলাদেশ
জেলের এই মানবিক ও পুনর্বাসনমূলক দৃষ্টান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে।
পারভীন আক্তারের জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয়— সংশোধনের সুযোগ থাকলে, প্রত্যেক মানুষই
পরিবর্তনের পথে ফিরতে পারেন।
মন্তব্য করুন


সুজন মজুমদার, বরুড়া:
কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলায় ১০০ জন প্রান্তিক মাছ চাষীকে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে ১০০০ কেজি কার্প মিশ্র মাছের পোনা।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৭ ও ১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা মৎস্য দপ্তর আয়োজনে উপজেলার পরিষদ ও পয়ালগাছা স্থানে মোট ১০০০কেজি কার্প মিশ্র পোনা (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ) ১০০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মাছ চাষিদের মাঝে এ পোনা বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান নিতু নেতৃত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ হাছানের সভাপতিত্বে দুইদিন ব্যাপি প্রান্তিক মাছ চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পোনা মাছ বিতরণ করা হয়।
প্রান্তিক মাছ চাষীদেরকে পোনামাছ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪ সালের বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ মৎস্য চাষিকে প্রণোদনার অংশ হিসেবে ১০০০ কেজি পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রান্তিক মাছ চাষী হেলেনা আক্তার বলেন, পোনা পেয়ে অনেক খুশি। বন্যার কারনে পুকুরের সব মাছ চলে যায়। আজ মাছ নিয়ে পুকুরে মাছ পেলে চারপাশে বাঁধ তৈরি করি।
অন্য আরেকজন মাছ চাষী মিজানুর রহমান বলেন, লাখ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে, সেখানে কি আর ১০কেজি পোন মাছে পৌষবে?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক (জেলা মৎস্য অফিস) অশোক কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য অফিসার (রিজার্ভ) জনাব সুদীপ্ত মিশ্র, লালমাই উপজেলা মৎস্য অফিসার হাবিবুর রহমান ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের চক্রকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
গতকাল (২৮
মার্চ) বিকেলে সুমন (৩৪) নামক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়ে
জানান, তার
ভাই আলাউদ্দিন রং মিস্ত্রির কাজ করে। কাতার যাওয়ার জন্য (২৮
মার্চ) সকাল ১১ টায় তার নিজ বাসা থেকে রেইসকোর্সে
এলাকায় প্রবাসী জনশক্তি অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার জন্য বাহির হলে
কে বা কারা তাকে অপহরণ পূর্বক আটকে রেখে আটক ব্যক্তির নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন
প্রকার হুমকি ধমকী দিয়ে ১,০০,০০০ (এক
লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা না দিলে ভিকটিমের নামে
মিথ্যা মামলা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাইয়া দিবে বলে হুমকী দিচ্ছে।
সংবাদ
পেয়ে সম্মানিত পুলিশ সুপার,
কুমিল্লার নির্দেশনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ উক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজ
শুরু করে।
কোতয়ালী
মডেল থানার এস.আই জীবন রায় চৌধুরী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক রাখার স্থান
সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা
করে ভিকটিম আলাউদ্দিনকে রাতে উত্তর রেইসকোর্স,
ধানমন্ডি রোড(বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মজুমদার এর মাজেদা কুটির নামীয়
৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় ২ নং আসামীর ভাড়া বাসা থেকে ঘটনায় জড়িত
চক্রের দুই নারী এবং একজন পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো-
১।
পারভীন আক্তার @ হুমায়রা(২৮), পিতা-মৃত
শানু মিয়া, মাতা-মৃত
হাসেনা বেগম, সাং-চারিপাড়া(উত্তর পাড়া, হারুন মেম্বারের বাড়ী), থানা-ব্রাহ্মনপাড়া,
জেলা-কুমিল্লা, এ/পিসাং-নানুয়া
দিঘীর দক্ষিন পাড়(মনির হোসেন এর ৬ তলা ভবনের ৩য় তলার ভাড়াটিয়া), থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২।
শাহেনা বেগম(৩৮), স্বামী-কবির
আহমদ, সাং-ধান্যদৌল(কাজী
বাড়ী), ৫নং
ওয়ার্ড, থানা-ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা-কুমিল্লা, এ/পি সাং-উত্তর
রেইসকোর্স, ধানমন্ডি
রোড(বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মজুমদার এর মাজেদা কুটির নামীয় ৬ষ্ঠ তলা
বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া),
থানা-কোতয়ালী মডেল,
জেলা-কুমিল্লা।
৩।
মোঃ মশিউর রহমান টিপু(৪৫),
পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ,
মাতা-ফাতেমা বেগম,
সাং-কাপ্তান বাজার(বেপারী পুকুর পাড়,
বড় বাড়ী), থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
পুলিশ
জানান, উক্ত চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে
প্রলোভনের মাধ্যমে নিজেদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাদা আদায় করে
আসছিলো।
উক্ত
ঘটনায় কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানায় প্রতারণামূলক চাদাবাজির মামলা দায়ের
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে সমাজের দানশীল ও মানবীক মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে কুমিল্লার দেবীদ্বারে দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দেবীদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত খাঁন।
গ্লোবাল টেলিভিশন, কুমিল্লার সার্বিক সহযোগিতায় এবং দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ি এর প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায় বরুন চক্রবর্তী দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ রায়হানুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন ইলিয়াস, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি প্রবীন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, ডাক্তার শেখ মোঃ শাহজালাল, কামরুল হাসান।
সহকারী শিক্ষক আবুল হাসেম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ এনামুল হক,ফখরুল ইসলাম সাগর, শাহিন আলম, ফারুক হোসেন জনি, মোঃ মাহফুজ আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন, নাজমুল হাসান, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন সরকার, দলিল লেখক হাফিজুর রহমান, বীমাকর্মী নওশাদ চৌধুরী, ক্যামেরা পারসন সাইফুল ইসলাম সজিব, ব্যবসায়ী রাসেল আহম্মেদ ক্বারী সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী বলেন, সুবিধা বঞ্চিত এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে সমাজের দানশীল ও মানবীক মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে আজকের এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল। এই অনুষ্ঠান দেখে একজনও যদি তার আশে পাশের এতিমদের সহযোগিতায় এগিয়ে তবেই এই অনুষ্ঠান স্বার্থক। এছাড়াও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনে এই শিশুদের জন্য উন্নত মানের খাবার বিতরণ, ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, পিঠা, বসন্ত, ফল উৎসবসহ নানান আয়োজন করে থাকে। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহৎ পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে।
এই অভিযানে চার জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩.২৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই মোঃ শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ০৪নং শশীদল ইউনিয়নের বাল্লক রামচন্দ্রপুর সাকিনে ভারত সীমান্ত হতে রামচন্দ্রপুরগামী রাস্তায় চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এই সময় মাইক্রোবাসে যাত্রা করছিলেন চার জন মাদক ব্যবসায়ী, যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৯) ও মোঃ শাহপরান (২০)। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
এ সম্পর্কে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন