

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি বাতাবাড়িয়া এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় রোববার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৩০ জনকে এজহার নামীয় আসামি এবং ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মহাসড়কে ঝটিকা মিছিলের পরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ২টায় গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি বাতাবাড়িয়া এলাকায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু তরুণ ও মধ্য বয়সী লোকজন ব্যানার হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।
মিছিলের পরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশের একাধিক টিম। রাতভর অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম পল্লব, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের উত্তর রামপুরের শরিফ আহমেদ মজুমদার সোহাগ, লালবাগের হানিফ চৌধুরী, সাওড়াতলীর দেলোয়ার হোসেন, বেলতলীর মহিবুল্লাহ আপন, চাঙ্গিনীর জুয়েল, দিশাবন্দের দেলোয়ার, গাবতলীর জসিম উদ্দিন, মহেষপুরের ফরিদ, বৈষখলার সজিব, গোয়ালমথনের মোহাম্মদ আলী, সদর উপজেলার ধনপুরের জানে আলম লোটাস, আলেখাচরের নুরুল ইসলাম রানা, খিলতলীর মোবারক, বালুতুপার আব্দুল আজিজ সজিব, নাজমুল হক, বরুড়া উপজেলার ইলিয়াস, লালমাই উপজেলার সাদ্দাম হোসেন মজুমদার, চেঙ্গাহাটার নোমান ও বুড়িচং উপজেলার আব্দুল কাদের।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানায়, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ ও বিতরণ করা হয়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজস্ব
বাজেটের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ
প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের ৮৪ জনের মাঝে ৭৫৩ কেজি রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ ও বিতরণ
করা হয়। উক্ত পোনামাছ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা
মো: বেলাল হোসেন।
এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সদর
দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম,
চট্টগ্রাম বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (সংযুক্ত) শায়লা শারমিন, কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা হিজবুল বাহার ভূঁঞা সহ সুফলভোগীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা কর্তৃক হারিয়ে যাওয়া ২৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ২৬টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা।
সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা রাজেস রড়ুয়া পিপিএম প্রকৃত মালিকগণের কাছে মোবাইল গুলো হস্তান্তর করে।
মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিকটিমগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কুমিল্লা পুলিশ সুপার, কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
নাঙ্গলকোট উপজেলায় গরু ছুটে গিয়ে গাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে দুপক্ষের
সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা
ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা
হলেন- রোকন আলীর স্ত্রী শরিফা বেগম (৬০),বশির আহম্মেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫),
জাকির হোসেনের ছেলে ওসমান (১৬), জাকির হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০)।
তাদের
প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো
হয়েছে।
দায়িত্বরত
ডাক্তার শিমা মজুমদার জানান, দুপুর ১ টার পর তিন নারী ও এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে
চিকিৎসা নেন। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ
হোসনেয়ারা বেগম বলেন, বেলা ১১টার দিকে দোতলা মসজিদের সামনে শেখ ফরিদের লোকজন এসে আমাদের
গুলি করে। এতে আমিসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়।
এ
বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর
পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংটিয়ারা গ্রামে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ইয়ামিন হোসাইন (৭) উপজেলার গাংটিয়ারা গ্রামের প্রবাসী হেলাল উদ্দিন পাঠানের একমাত্র ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীরা জানান, বুধবার (১ অক্টেবর) দুপুর ১২টার দিকে মাদ্রাসার পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় ইয়ামিন। নিখোঁজের পর মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
বিকাল ৪টার দিকে পুকুরে জাল ফেলে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে উপজেলার মাধাইয়া বাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়ামিনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃতের মামা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের একমাত্র ভাগিনার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। ইয়ামিনের বাবাও একমাত্র ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন। রাতে ইয়ামিনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, পানিতে ডুবে কেউ মারা গেছে এমন তথ্য এখনো পাইনি। সংবাদ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় দিন দুপুরে এক প্রবাসীকে সিআইডি পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় লুট করা হয় প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, আইফোন। পরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। এ ঘটনার পর পৃথক অভিযানে চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার (১৪ জুলাই) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রবাসীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি চক্রের ৫ সদস্য আটক করা হয়। সেদিন রাতেই ৬ জনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং মুন্সিবাড়ি এলাকার মৃত আজিজ মুন্সির ছেলে সোহেল মুন্সি (৩৯)। তিনি চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদল যুগ্ম আহবায়ক ও ১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদল সভাপতি।
অন্যরা হলো- মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মালাপদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে সোহাগ আহমেদ (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার হাড়িয়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৯), নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বীর চরমধুয়া গ্রামের মো. লিয়াকত আলীর ছেলে মো. হানিফ (২৭) ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে মো. ফয়সাল (২৭)।
সংঘবদ্ধ এই আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের কাছ থেকে লুট হওয়া প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দক্ষিণ বটতলী গ্রামের মো. জব্বার সরকারের ছেলে। গত ১১ জুলাই রাতে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে সরাসরি শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার ছায়কোট গ্রামে আসেন।
তিনি জানায়, গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ৫-৬ জন লোক আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আমাকে খোঁজেন। এসময় তারা নিজেদের সিআইডি পরিচয় দেন। আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসতেই তারা আমাকে ঝাপটে ধরে এবং আমার কাছে অবৈধ মাল আছে বলে জানায়। পরে তারা আমার শ্বশুরের ঘর থেকে বিদেশ থেকে আনা প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি আইফোন ও একটি স্মার্ট ফোনসহ আমাকে বাড়ি থেকে তুলে আনে। তারা আমাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় এনে ২ লাখ টাকা দাবি করে এবং আমার স্ত্রীকে ফোন দেয়। আমার স্ত্রী চান্দিনা সেনা ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে এবং সঙ্গে সঙ্গে সোহেল মুন্সিসহ ২ জনকে আটক করে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুইজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। এরপর আমরা অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করি। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(সূত্র: ইত্তেফাক)
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডিআর সরকারী
উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য নকল সরবরাহ করতে যাওয়ায় ৩ যুবককে
আটক করে ২ বছরের কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুরাদনগর উপজেলার
ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা ভ্রাম্যমান
আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো: মুরাদনগর উপজেলার
মুরাদনগর সদরের মঙ্গল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, ফরিদ উদ্দিনের ছেলে কাউছার ও আবদুল মালেক
মিয়ার ছেলে রিমন মিয়া।
জানা যায়, আজ রোববার এসএসসির গনিত বিষয়ের
পরীক্ষা চলাকালে ডি.আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সমাধান
শেষে নকলের কপি পরীক্ষা কেন্দ্রে দিতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আটক হয় ওই ৩ যুবক। তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ও নকলের কপি উদ্ধার
করে পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনে প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদন্ড ও ১০০টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে কুমিল্লা
কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষা
নকলমুক্তভাবে গ্রহন করতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। নকলমুক্ত শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। নকলের
বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মুরাদনগরে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল ৪টায় মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় তিনি প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের মুরাদনগর থানার একটি চৌকস ইউনিট উপদেষ্টাকে নিজ উপজেলায় প্রবেশের পর গার্ড অফ অনারে বরণ করে নেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষাবিদরা।
আয়োজকরা জানান, কোরআন হিফজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং মেধাবীদের সম্মাননা জানানোর উদ্দেশ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "কুরআন হিফজকারীরা সমাজের গর্ব। তাদের মাধ্যমে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ সমুন্নত থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগকে সবসময় উৎসাহিত করা হবে।"অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আয়োজক কমিটির হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান জানায়, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলাধীন ডুমুরিয়া গ্রামের সন্তান অমিত কুমার সরকার। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় অমিত। ছোটভাই আশিক সরকার গেলো তিন বছর আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বাবা দিলীপ সরকার একজন প্রবাসী এবং মা রাধা রাণী সরকার গৃহিণী। তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন অমিত। তাকে আঁকড়ে ধরে ছোট ছেলের শোক প্রতিনিয়ত ভুলার চেষ্টা বাবা-মার।
এদিকে, একমাত্র ছেলে অমিতকে ধুমধাম করে বিয়ে করানোর স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছরের প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরেন বাবা দিলীপ। অবশেষে বিয়ে ঠিক হয় নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের ভিংরাব গ্রামে।
পঞ্জিকার তিথি অনুযায়ী ১৫ শ্রাবণ (৩১ জুলাই ২০২৫) বৃহস্পতিবার অমিতের বিয়ের দিন পাকা হয় গত তিন মাস আগে। সেই অনুযায়ী বুধবার গ্রামের বাড়িতে চলে অমিতের গাঁয়ে হলুদ। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ে বাড়িতে বাদ্যযন্ত্রের সাথে সানাইয়ের সুর। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অতিথিদের উপস্থিতিতে যেন ভরপুর ছোট্ট বাড়ি।
বিকেলে মঙ্গল ঘট স্থাপন করে সন্ধ্যায় ধুতি ও পাঞ্জাবির সাথে মাথায় মুকুট পড়ে চন্দনের ফোঁটায় বর সেঁজে মায়ের কোল ছেড়ে রওয়ানা হন অমিত। বরযাত্রী নিয়ে রূপগঞ্জের উদ্দেশে ছুটে অমিতের গাড়িবহর। নতুন বউ নিয়ে ছেলে বাড়ি ফিরবে এ স্বপ্ন নিয়ে বসে প্রহর গুণছেন মা রাধা রাণী।
রাত তখন ১০টা। বরযাত্রীর গাড়িবহর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার গৌরীপুর পৌঁছার পর বুকের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয় অমিতের। দ্রুত গৌরীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে কনে বাড়ি পৌঁছার আগেই পরপারে পাড়ি জমান অমিত।
অপরদিকে, কনে বাড়িতে চলছিল বিয়ের ব্যাপক আয়োজন। বরযাত্রী আসছে সেই অপেক্ষার প্রহর গুণছে কনেসহ সবাই। রাত গভীর হওয়ার সাথে বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু হয় সবার। মোবাইলফোনে কল আসতে থাকে কনের অভিভাবকদের কাছে।
ওপাশ থেকে কান্নার ভারী কণ্ঠ। নেই অমিত। নিস্তব্ধ গুটা পরিবার। গুটগুটে অন্ধকারে যেন মিশে গেছে শোকের কালো ছায়া। নিমিষেই গড়িয়ে পড়ে কনের দু’চোখ বেয়ে শত ফোটা আর্তনাদ।
সব কিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে সুসজ্জিত প্রাইভেটকারযোগে নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফিরতো অমিত। মা-বাবার দেখা হতো আদুরি বউয়ের মুখ। কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় শুক্রবার ভোরে সুসজ্জিত প্রাইভেটকারের জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিথর দেহে একাই বাড়ি ফেরেন অমিত! তখনও মুছেনি কপালে থাকা চন্দনের ফোঁটা। বরবেশে ছেলের সাদা কাপড়ে মোড়ানো দেহ দেখে বাকরূদ্ধ বাবা-মা। শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার।
দুপুরে অমিতকে শেষবারের মতো বিদায় দিতে করানো হয় গোসল। আবারো সাজানো হয় নতুন সাজে। ধর্মীয় রীতি অনুস্মরণ করে পারিবারিক সমাধিস্থলে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।
তিন বছরের মধ্যে দুই ছেলেকেই হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা রাধা রাণী। আর্তনাদের চিৎকারে বলছেন, ‘বাবা তোরা আমাকে কোথায় রেখে গেলি। আমরা এখন কারে নিয়ে বাঁচবো। কী অপরাধ ছিল আমাদের, কেন বুকের ধনকে কেড়ে নিল!
এদিকে, অমিতের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আবেগতায়িত হয়ে পড়েন স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। একই বাড়ির গুরুপদ সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘বরযাত্রীর গাড়ি বহরে আমিও ছিলাম। বরের গাড়ি অতিক্রম করে আমরা সামনে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বরের প্রাইভেটকারচালক আমাদের গাড়ি চালককে কল করে বলেন গাড়ি ঘুরিয়ে গৌরীপুর আসতে। বর অসুস্থ। রাজধানীর ল্যাবএইডে নেয়ার পর আর বিয়ে বাড়িতে যাওয়া হয়নি...!
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ছেলের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ট্রাকচাপায় মমতা রানী (৫২) নামের এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার এএসআই আব্দুর রহিম। নিহত মমতা রানী চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কালির বাজার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএসআই আব্দুর রহিম জানায়, মমতা রানী তার ছেলে শাওনের মোটরসাইকেল চড়ে চাঁদপুর থেকে কুমিল্লা আসছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলার নিমসার ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা এলাকায় একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে যায়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ওই নারী ছিটকে সড়কে পড়ে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এসআই আব্দুর রহিম জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল, ট্রাক ও মরদেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফেনীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার দাগনভূঞা উপজেলার পৌর এলাকার জগতপুর গফুর ভান্ডারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, আলমগীর হোসেন দুই বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ ঘরে তাদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মঙ্গলবার ভোরে সে দ্বিতীয় স্ত্রীর থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রথম স্ত্রীর ঘরে এলে শুরু হয় ইয়াসমিনের সাথে বাকবিতণ্ডা।
বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সকালে ইয়াসমিন ঘরে থাকা দা দিয়ে আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান। স্বামীকে হত্যার পর সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন ইয়াসমিন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তিনি তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভুঞা থানার ওসি ওয়াহিদ পারভেজ কালবেলাকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন