

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর এলাকায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, নলচর এলাকার দক্ষিণ পাশে পাথর ও বালুবোঝাই বোট থেকে চাঁদাবাজরা টাকা আদায় করছিল। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ অভিযান চালালে চাঁদাবাজরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আহতরা হলেন, এএসআই মাকসুদ (ডান হাতে ট্রেডার ঘাই ও বুকে লাঠির আঘাতপ্রাপ্ত), কনস্টেবল সাইদুল এবং কনস্টেবল সোহাগ। প্রাথমিকভাবে আহতদের মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজমগীর হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযান চালাতে গেলে চাঁদাবাজরা আমাদের পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযানকালে নলচর গ্রামের বারেকের ছেলে রানা এবং রুপ মিয়ার ছেলে সাজ্জাদকে আটক করেছে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইনচার্জ।
মন্তব্য করুন


ফেনীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার দাগনভূঞা উপজেলার পৌর এলাকার জগতপুর গফুর ভান্ডারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, আলমগীর হোসেন দুই বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ ঘরে তাদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মঙ্গলবার ভোরে সে দ্বিতীয় স্ত্রীর থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রথম স্ত্রীর ঘরে এলে শুরু হয় ইয়াসমিনের সাথে বাকবিতণ্ডা।
বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সকালে ইয়াসমিন ঘরে থাকা দা দিয়ে আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান। স্বামীকে হত্যার পর সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন ইয়াসমিন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তিনি তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভুঞা থানার ওসি ওয়াহিদ পারভেজ কালবেলাকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


অভিনব
কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ
আটক দুই নারী।
ডিএনসি
কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপ-পরিদর্শক মো:
মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কেজি গাঁজাসহ দুজন নারী
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারস্থ গাড়ীচালকদের
বিশ্রামাগারের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী Asia Aircon নামের
বাসে তল্লাশি করে ৭ কেজি গাঁজাসহ জাহানারা (৫০) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত
আসামি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত শরীফ আলীর মেয়ে। একই বাস তল্লাশি
করে ৬ কেজি গাঁজাসহ জুবেদা বেগম (৪৭) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। উক্ত আসামি গোপালগঞ্জ
জেলার মকসুদপুর থানাধীন গোবাহাড়া এলাকার মৃত ইয়াদ আলী মোল্লার মেয়ে।
আসামীদের
বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মোঃ মুরাদ হোসেন বাদী
হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে র্যাব পরিচয়ে প্রবাসীর কাছ
থেকে চাঁদা নিতে এসে দুজন আটক হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর পিপলস হাসপাতাল
থেকে তাদের আটক করা হয়।
কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.
সাইফুল ইসলাম রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলো— নগরীর চর্থা এলাকার জয় আহমেদ
রুবেল (৩৫) প্রকাশ চশমা রুবেল ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরব আহমেদ রুবেল (৩৫)।
তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ
কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী কাতারপ্রবাসী মো. ফারুক জেলার
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের অলীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, গত ৫
মার্চ সকাল ৯টার দিকে আমার ছেলের শরীরে গরম ডাল পড়ে ঝলসে যায়। পরে তাকে কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জেনে রাতেই তিনি কাতার থেকে বাংলাদেশে
আসেন। ৬ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুর ১২টার দিকে তার ছেলেকে কুমিল্লা নগরীর
টমছমব্রিজ পিপলস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ২টার দিকে তার স্ত্রী শিমুল
আক্তারের কাছে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে। আহত আরাফাতকে দেখতে এক অভিভাবক
আসবেন বলে জানানো হয় ফোনে রাত ৯টার দিকে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন দেখা করতে। এ
সময় তিনি জানান, তার এক ছেলে আরাফাতের সঙ্গে মাদরাসায় পড়ে। সেই জন্য তাকে দেখতে
এসেছেন। এরপর রাত ১১টার দিকে ওই ব্যক্তিসহ মোট চারজন হঠাৎ রুমে ঢুকে পড়ে।
একপর্যায়ে প্রবাসী ফারুককে পাশের একটি খালি রুমে নিয়ে র্যাব পরিচয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে
পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে তারা। দাবীকৃত টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে দেওয়ারও হুমকি
দেওয়া হয়।
জীবন বাঁচাতে তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে
তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা এবং বাড়িতে ফোন করে আরো ৫০ হাজার টাকা এনে তাদের দেন
ফারুক। শনিবার (৮ মার্চ) আবার হাসপাতালে ঢুকে বাকি চার লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করা
হয় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। পর দুজনকে আটক
করে ৯৯৯-এ ফোন করলে ইপিজেড ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টায় তাদের আটক করে
নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে দুজনকে আটক করা হয়। আটক জয় আহমেদ রুবেল
প্রকাশ চশমা রুবেলের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ চারটি মামলা এবং নিরব আহমেদ রুবেলের
বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে। চাঁদাবাজির ঘটনায় দুজনের
বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে ৪/৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা জেলার নিরীহ ছাত্র জনতার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ নভেম্বর ২০২৪ মাদক ব্যবসায়ী ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক মোল্লা কান্দি, দাউদকান্দি নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে মাদক সরবরাহকারী মোঃ বাদলকে গ্রেফতার করতে গেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা বেগম এবং মোছাঃ মুক্তা বেগম নামক ০২ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৭,৬০০/- পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ রোল ইয়াবা সেবন ফয়েল পেপার, ০৭ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১ টি সীম কার্ড ও নগদ ২,২৯,৩০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক করার এরূপ অভিযান যৌথ বাহিনী কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে প্রায় ৮৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার যশপুর বিওপি’র অধীনস্থ সুবর্ণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) একটি বিশেষ টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করে। সীমান্তের প্রায় ৩০০ গজ অভ্যন্তরে একটি পরিত্যক্ত অবস্থানে মোট ১,৭৩৩ পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ডিসপ্লে উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ছিয়াশি লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা।
বিজিবি সূত্র জানায়, আটককৃত মোবাইল ডিসপ্লেগুলো কোনো মালিকবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং এগুলো সীমান্তপথে বাংলাদেশে চোরাইভাবে আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জব্দকৃত মালামাল যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাস্টমস বিভাগে হস্তান্তর করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রাথমিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন কুমিল্লার সুপরিচিত ডায়াবেটিস, হরমোন ও মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার অজিত কুমার পাল।
তিনি কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিক হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
অধ্যাপক অজিত কুমার পাল ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বারডেম একাডেমি থেকে এন্ডোক্রিনোলজিতে এমডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০১৪ সালে এমআরসিপিএস (গ্লাসগো) এবং ২০২০ সালে এফআরসিপি (গ্লাসগো) এবং এফআরসিপি (এডিন) লাভ করেন।
তিনি আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস (এফএসিপি) এবং ২০১৫ সালে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি (এফএসিই) থেকে ফেলোশিপ অর্জন করেছিলেন। ২০২৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে অধ্যাপক ডাঃ আব্দুস সালেক মোল্লা এবং ড. মো. আব্দুল মালেকের তত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট বাংলাদেশ (এসিইডিবি) এর সহ-সভাপতি। তিনি ৮৪টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রিনোলজি সম্পর্কিত ৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক মৌখিক এবং পোস্টার উপস্থাপন করেছেন। রোগীদের আন্তরিক ও যাদুকরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক কুমিল্লা সহ বৃহত্তর কুমিল্লার নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ডা. অজিত কুমার পাল বলেন, সুগার স্বল্পতা ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণ একটি সমস্যা। ডায়াবেটিস নীল বা সুগার স্বপ্লতা হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। রোগীরা যদি সচেতন থাকেন এবং এ বিষয়ে আগে থেকে ধারনা রাখে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তিনি পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পাশাপাশি কুমিল্লাবাসী সহ অগনিত রোগীদের কাছে দোয়া প্রার্তনা করেছেন।
মন্তব্য করুন


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে হোমনাগামী একতা বাস তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি মো: হোসেন মিয়া (২৯) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার শুভপুর গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে। অপর আসামী শারমিন আক্তার(২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার আড়াইওড়া গ্রামের জনি মিয়ার স্ত্রী।
আটককৃত আসামীরা প্রথমে ভুল তথ্য দিয়ে ডিএনসি টীমকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করে। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মাদক পাচার করছিলো। একপর্যায়ে প্রকৃত স্বামীকে মুখোমুখি করলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। আটকৃত আসামি শারমিন তার স্বামীর অগোচরে মোবাইলের মাধ্যমে আসামি হোসেন মিয়ার সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তোলে। কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তার কৌশল হিসেবে লোকাল বাসে কুমিল্লা হতে গাঁজা নিয়ে প্রথমে দাউদকান্দি যাচ্ছিল। তারপর অন্যবাসে করে ঢাকা নিয়ে যেতো।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলায় ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে আবুল হাসেম ফুড প্রডাক্টকে এক লাখ টাকা জরিমানা
করা হয়েছে।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জানিয়েছে, মেয়াদবিহীন
খাদ্য বিক্রি, পোড়া
তেল ব্যবহার, এবং
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণের দায়ে “আবুল হাসেম
ফুড প্রডাক্টস” নামক
প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ১,০০,০০০ টাকা (এক
লাখ) জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে,
ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা
হয়েছে।
উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: কাউছার মিয়া, নিরাপদ খাদ্য
অফিসার মো: জুয়েল মিয়া,
অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন,
এবং নমুনা সংগ্রহকারী মো: সাকিব।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় চোর সন্দেহে এক যুবককে ধরে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর শাকতলা র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারর হওয়া তিনজন হলেন—মো. আসমান আলী (২৮), মো. আতিকুল ইসলাম (২৫) ও মো. সেলিম মোল্লা (২৩)।
এর আগে, গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টায় রাতে বুড়িচং থানাধীন দেবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বুড়িচং থানার দেবপুর সাহাপাড়া এলাকায় স্থানীয় সাকু মিয়ার একটি কারখানায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। চুরির অভিযোগে এক যুবককে আটক করে তার ওপর কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তিনজনকে শনাক্ত করে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বুড়িচং থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জেলার পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলানায়তনে কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ শামিম কুদ্দুস ভুঁইয়া , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) পংকজ বড়ুয়া ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ছিলেন।
কল্যাণ সভায় সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ পুলিশ সুপার এর নিকট নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত পুলিশ সদস্যদের সমস্যার কথা শোনেন। এসময় পুলিশ সুপার সমস্যা সমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার সবাইকে অত্যন্ত সতর্কতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের নৈতিক স্খলন রোধ, প্রশাসনিক বিষয়ে শৃঙ্খলা, দক্ষতা, কর্তৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ, বুদ্ধিমত্তা, সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সকলের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনসহ সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন