নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে
প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের
ধরে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ফেরদৌসী বেগমকে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে নিহতের
ঝা সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর
আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০) একই গ্রামের মোঃ সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার
(৩০), মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১), খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন
জিল্লু (২৭)।
ওসি জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ
গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও ঝা নুরজাহান
বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার
সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঝা নুরজাহান বেগম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার
মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সাথে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী
আনোয়ার হোসেন সাথে মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ
মাইনুদ্দিন জিল্লু এই দুজনকে যুক্ত করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন শুক্রবার সকালে
ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে
দেয়। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিসহ
থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ি
থেকে ২শ গজ দূরে একটি নির্জন বাগানের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পেয়ে
বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ
প্রথমে নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে হত্যার
ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার
করা হয়।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল, গলার চেইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে কুমিল্লা
আদালতে পাঠালে আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিদের
কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর
অধীনস্থ শাহপুর পোস্টের টহল দল নায়েক ছায়েদুজ্জামানের নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় মাদকদ্রব্য
উদ্ধার, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ বিশেষ টহল পরিচালিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) শাহপুর সীমান্ত
দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে মো: মিজান হোসেন ওরফে আনোয়ার হোসেন
(৪০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তি নোয়াখালী জেলার চাটখিল
উপজেলার রামগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ সাত্তারের ছেলে।
আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুমিল্লার
কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৪০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত
১০ মার্চ র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন মঠ পুষ্কুরুনী সাকিনস্থ কোটবাড়ী বিশ্বরোড
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) নামক একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত ১ টি ব্যাটারী চালিত অটোমিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার কলাহাটি দুলালপুর গ্রামের
মৃত আক্কাস মিয়া এর ছেলে। আসামী বর্তমানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
বামৈল, শিবের বাজার এলাকায় বসবাস করে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে আলাউদ্দিন (৫০) নামের সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
আজ
রবিবার দুপুর ১টায় নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগন্জ ইউনিয়নের শুভপুর এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত আলাউদ্দিন (৫০) বক্সগন্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুরুজ মিয়ার বড় সন্তান। নিহত আলাউদ্দিন বক্সগন্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ছিলেন।
নিহতের ভাই নূর মোহাম্মদ জানান- আলাউদ্দিন নিজগ্রাম আলীয়ারা এলাকায় আপন জেঠাতো ভাই মৃত আবুল বাশারকে জানাযা দিয়ে অন্য এলাকায় যাওয়ার জন্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সিএনজিতে যাওয়ার পথিমধ্যে শুভপুর এলাকায় সিএনজি পৌঁছা মাত্রই বক্সগন্জ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শেখ ফরিদের কর্মীরা আলীয়ারা গ্রামের সালেহ আহমেদ এর পুত্র নুরুউদ্দিন, দুলাল মিযার পুত্র রিয়াদ, জালাল আহমেদ এর পুত্র সজিব ও ইউনুসসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন (৫০) এর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এ.কে.এম ফজলুল হক জানান- কাতার প্রবাসী সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনের সাথে অভিযুক্ত কিছু ব্যক্তির পূর্ব শত্রুতা ছিল। জমি সংক্রান্ত জেরে ইউপি সদস্যকে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। আসামীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মালু মিয়া(৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি চালক সাগর মিয়া(২৭)কে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়কের টনকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত মালু মিয়া নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর গ্রামের মৃত চান্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিমসার বাজার থেকে নিয়ে আসা কাঁচামাল বোঝাই একটি সিএনজি নবীনগরের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আশা গরু বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় সিএনজির যাত্রী কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী মালু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত সিএনজি চালককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বাঙ্গরা বাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সিএনজি ও ট্রাক দুটি জব্দ করে এবং নিহতের লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কুমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মালু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের সড়ক ও পরিবহন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের পরিবারে গভীর শোক নেমে এসেছে। সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা দ্রুত সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
আজ রবিবার (১১ মে)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর সামারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) নামক দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বড় আলমপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) একই গ্রামের টিপু সুলতান এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
আব্দুল মোতালেব নিখিল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় আন্তঃজেলা কুখ্যাত ডাকাত শাহ আলম দুলাল
(৪৮) ও তার দলের ১৩ জন সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- মুরাদনগরের উড়িরচর এলাকার
মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০)। দেবিদ্বারের নবীয়াবাদ গ্রামের মৃত সোনা
মিয়ার ছেলে শাহ আলম দুলাল (৪৮)। ব্রাহ্মণপাড়ার সিধলাই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে মো.
মামুন মিয়া (২৪)। একই উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে মাহবুব আলম (৩৮)। সদর দক্ষিণ উপজেলার
বিজয়পুর গ্রামের ইলিয়াছের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০)। বুড়িচং উপজেলার জুরাইন মাইকপাড়া
গ্রামের মৃত নসু মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (৩২)। বরুড়ার মহেশপুর কাজী বাড়ির মৃত আব্দুর
রবের ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩২)। চান্দিনার কংগাই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মোশারফ
শরীফ (৩২)। একই উপজেলার চিলোড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. সুমন (৩৩)। বরুড়ার
বাশতলী নোয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. খোকন (৪০)। বরুড়ার দক্ষিণ হোসেনপুর
গ্রামের মুবিনের ছেলে আল আমিন (২৫)। চান্দিনার চিলোড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের আরেক
ছেলে মো. সোহেল (২৬)। বাঙ্গরাবাজারের হিরাকাশী গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল
আউয়াল (৫০)। এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সন্তোপুর গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে
নিহার বিশ্বাস (৪৮)।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ
সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ বড়ুয়া ও জেলা গোয়েন্দা
পুলিশের ইনচার্জ মু. আবদুল্লাহসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর
লালমাই থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে গোপন সূত্রে খবর
আসে, বাঙ্গরাবাজার এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। টহল জোরদার
থাকায় তারা ডাকাতি করতে না পেরে দেবিদ্বারের দিকে রওনা হয়। রাতের অভিযানে পুলিশের চেকপোস্টে
পৌঁছালে হাইচ গাড়িতে থাকা ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ১৩ জনকে আটক
করা হয়।
অভিযানে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি কালো রঙের হাইচ মাইক্রোবাস,
কুড়াল, রামদা, চাপাতি, কাটার প্লাস, চেইন, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
করা হয়। এছাড়া ডাকাতি হওয়া চার জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি, একটি রুপার
নুপুর, একটি ছোট লাল রঙের স্বর্ণ রাখার বক্স এবং নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা
ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। তারা সম্প্রতি লালমাই এলাকায় তিনটি, বরুড়ায়
একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। ডাকাত
সর্দার দুলালের পূর্বে ২৬ টি মামলা রয়েছে ও আরেক ডাকাত মনিরের নামে রয়েছে ২১ টি মামলা।
পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ আরও বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করছে। কিছুদিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নতির
দিকে দেখবেন আপনারা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দক্ষিণে বন্যাকবলিত এলাকার বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ফুরিয়ে আসছে ।
আর উঁচু জায়গার বাজারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শুকনো খাবারের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এতে টান পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ প্রায় সব পণ্যের। বন্যার কারণে সরবরাহ ঠিকমতো নেই। সে কারণে বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বললেই চলে।
এছাড়াও জরুরি ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। যার কারণে দূর-দূরান্তের বাজারগুলো থেকে চড়া দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ মানুষদের।
চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামের আবুল বাশার জানান, এ উপজেলা ফেনী লাগোয়া। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত এলাকা চৌদ্দগ্রাম। এখনো ৮০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফেনীর উত্তরাংশ লাগোয়া অনেক গ্রামে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জীবন কীভাবে চলছে বোঝা যাচ্ছে না। ওইসব এলাকার বাজারগুলোও পানির নিচে। টাকা থাকলেও তারা আজ অসহায়।
নাঙ্গলকোটের করপাতি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, কোনো বাজারেই খাবার নেই। অনেক দূরে লাকসাম বাজারে গিয়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করছি। সেখানেও চড়া দাম। নাঙ্গলকোটের অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। প্রবাসী ও স্থানীয় পেশাজীবীরা সহযোগিতা করছেন। এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি। বাজারেও পণ্য না থাকলে এভাবে আর চালিয়ে নেওয়া যাবে না।
এ উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ যথেষ্ট ত্রাণ পাচ্ছেন। আমাদের এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক অনেক ত্রাণ দরকার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো পানি কমেছে ওইসব এলাকায়। অপরদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুড়িচংয়ের পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতীর পানি ঢুকছে দেবিদ্বার উপজেলাতেও।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক
মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ বৌয়ারা বাজার বিওপি এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮৫/২-এস
হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সূর্যনগর নামক স্থান হতে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস
ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি
বিশ লক্ষ) টাকা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে র্যাবের পৃথক অভিযানে ১৬ হাজার ইয়াবা বড়ি ৬ লক্ষ টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোর রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার তালতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মোঃ সোহাগ মোল্লা (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৬ হাজার ইয়াবা বড়ি ও নগদ পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে মোঃ শাহাদাত হোসেন শান্ত (২৬), হৃদয় মিয়া (২৩) এবং মোঃ শাহিন মিয়া শাকিল (২৩) নামে তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০৪টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
৪৩ তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় মাগুরা জেলা ক্রিকেট দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দল। এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিমানের সাথে ফাইনালে রানার্সআপ হয় কুমিল্লা। আগামী ৪মে রোববার কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে কিশোরগঞ্জ জেলা দলের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিং পাওয়া কুমিল্লা জেলা দলের দুই স্পিনার ইয়াসির আরাফাত এবং আশরাফুল হাসান রোহান এর ঘূর্ণি যাদুতে মাগুরা জেলা ক্রিকেট দল মাত্র ৩৮.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। মাগুরা জেলা দলের আসলাম, মোহাইমিন এবং তালহা যথাক্রমে ১৯,১৮ এবং ১৭ রান করেন। ইয়াসির আরাফাত ৫০ রানে ৫ উইকেট এবং রোহান ৩৮ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন।অপর উইকেটটি নেন পেসার সবুজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা জেলা দল ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের ওপেনার ইরফান তাকরির অপরাজিত ৮০ রান করেন। অপর ব্যাটসম্যানের মধ্যে রুবেল মিয়া ২৮ আবুবকর, ১৪ রান করেন।
কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ফখরুল আলম উল্লাস এবং কোচ মানিক কুমার দাস ২২বছর পর ফাইনালে উঠার সুযোগ পাওয়ায় ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ফাইনালে ভাল করার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন