

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা চান্দিনা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ শে মে ) দূপর পৌনে ১২টার দিকে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড খান বাড়ীর মোঃ নজরুল ইসলাম খান এর তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বর ফ্লেটের দঃ পশ্চিম রুম হইতে অফিসার্স ইন্চার্জ চান্দিনা থানার নেতৃত্বে এসআই মো রায়হান হোসেন এর সর্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ ইমাম হোসেন সহ আরো কয়েক জনের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো–(১) মো হুমায়ন কবির প্রঃ জুয়েল (৪৫) পিতা ফজলুল হক ব্যাপারী মাতা হোসনেয়ারা বেগম সাং গোপালপুর ব্যাপারী বাড়ী থানা তিতাস।( ২) আব্দুল আজিজ পিতা আবুল হোসেন মোল্লা মাতা আমেনা বেগম সাং বুধাইরকান্দি পো উজানচর থানা বাঞ্ছারামপুর, (৩)মো খাইরুল ইসলাম প্রঃ পারভেজ পিতা শামীম প্রধাান মাতা খাদিজা বেগম সাং তালতলী থানা দাউদকান্দি , (৪)মাসুদ রানা পিতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মাতা পারভীন বেগম সাং রাগদৈল ভুঁইয়া বাড়ী ইউপি সাচার থানা কচুয়া(৫) মো হাসান খান পিতা কাশেম খান মাতা সেফালী বেগম সাং পশ্চিম শ্যামপুর( আটরশী দরবার ) থানা সদরপুর ,(৬) মোঃ মোহর আলী পিতা হরমুজ সাং ঘোলঘর সূরমা ইউপি থানা সুনামগন্জ( ৭) মো নজরুল ইসলাম খান পিতা আশ্রাফ খান মাতা হাসিনা বেগম সাং চান্দিনা খান বাড়ী চান্দিনা পৌরসভা থানা চান্দিনা, শুক্রবার (৩০ মে ) দুপুরে চান্দিনা থানার ওসি প্রেস এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপরে গোপন সংবাদে জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার মো নজরুল ইসলাম খান এর বাড়ীতে কিছু দুষ্কৃতকারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে থানা-পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানকালে পালানোর সময় সাত জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার কৃত সাত জনসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।’মামলা নং ২৪ তাং ৩০/৫/২০২৫ ইং ধরা ৩৯৯/ ৪০২ পেনাল কেড ১৮৬০ রজু করা হয়। এমামলার তদন্তবার এসআই ইমামের হাতে তদন্তবার দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানায়, গ্রেফতার কৃত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ দাউদকান্দি এলাকাসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের মধ্যে , আজিজ, মাসুদ, খাইরুল, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, মাদক, হত্যা চেষ্টা, মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল অভিযানে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে আদর্শ সদর উপজেলার কুমিল্লা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামের মৃত সাদেক সরদারের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি আওয়ামী লীগপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে পলাতক ছিলেন।
সেনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদে সেচ প্রকল্প সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা হাউজিং এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পলাতক আসামি মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়।তার বিরুদ্ধে কোটয়ালী মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মামলা নং ৬৯, তারিখ ২০২৫; ২৭মে ধারা ১৪৩/১১৪/১৪৭/১৪৯/৩২৩/৩০২/১০৯/৩৪ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এবং Explosive Substances Act 1908 (ধারা ৩/৪)।মামলা নং ৪৮, তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯; মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (ধারা ৩৬(১) সারণির ১০ (ক)/৪১)।
মামলা নং ৭৭, তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫; ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯ দণ্ডবিধি ১৮৬০।সেনা সদস্যরা জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরে তাকে কোটয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।সেনা সূত্র আরও জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার তিন উপজেলা থেকে একদিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে জেলার লাকসাম, লালমাই ও আদর্শ সদর উপজেলা থেকে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন যুবক ও ১ জন মাদরাসাছাত্র বলে জানা গেছে।
আদর্শ সদর উপজেলার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে উপজেলার দুতিয়ার দিঘিরপাড় থেকে সামিউল বাসির (১১) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সামিউল সদর দক্ষিণ উপজেলার আবু ইউসুফের ছেলে এবং দিঘিরপাড় এলাকার গাউছিয়া হাফেজিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় লেখাপড়া করতেন।
সামিউলের স্বজনরা জানান, ২৭ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে তারা সামিউলের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক “মো. মমিরুল হক” বলেন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সামিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, লাকসাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীমুড়া উত্তরপাড়ায় নিখোঁজের ৩ দিন পর সাব্বির হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে গাজীমুড়া বড় মসজিদের পাশের একটি পরিত্যক্ত আইসক্রিম কারখানার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। আশপাশের লোকজন গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানার ভেতরে সাব্বিরের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। নিহত সাব্বির ওই এলাকার সৈয়দ আহমেদের ছেলে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) “নাজনীন সুলতানা” বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের হরিশ্চর এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
লাকসাম রেলওয়ে থানার (ওসি) “মো. জসিম উদ্দিন” বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোররাতের পর কোনো একসময় চট্টগ্রামগামী ট্রেনের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শরীর ও মাথায় গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ শাড়ি ও শাল জব্দ করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে এসব চোরাচালানের পণ্য জব্দ করা হয়। কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, আন্তসীমান্ত চোরাচালান ও অবৈধ মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিবিরবাজার বিওপির কটকবাজার পোস্টের একটি বিশেষ টহল দল অভিযান শুরু করে।
অভিযান চলাকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালপাড়া এলাকায় একটি মিনি পিকআপ পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পান বিজিবির সদস্যরা। গাড়িটি তল্লাশি করে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শাড়ি ও শাল জব্দ করা হয়। জব্দ মালপত্রের আনুমানিক বাজারমূল্য ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
বিজিবি সূত্র জানায়, মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করা এসব পণ্য যে পথে আনা হয়েছে, সেটি ফেনসিডিল, গরু, সোনা, মাদক ও অন্যান্য চোরাচালানের জন্য ব্যবহৃত একটি সক্রিয় পয়েন্ট। চোরাচালান প্রতিরোধে ওই এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
জব্দ মালপত্র পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি শেখ ফরিদকে (৪৫) ঢাকার মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়েছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শেখ ফরিদ নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের বাসিন্দা।
আজ শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা শাকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম এ তথ্য জানান।
মেজর সাদমান বলেন, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ২৫ জন আহত হন।
এ ঘটনার রেশ ধরে ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ৫ আগস্ট নিহত আলাউদ্দিনের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেছেন, বহু বছরের জুলুম-নির্যাতনের পরও দেশনেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী ও আমাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি বলেন, “আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি—আমাদের এই সম্পদ, আমাদের দলের শক্তিকে যেন আল্লাহ সুস্থ করে দেন। যার আহ্বানে দেশের কোটি মানুষ সত্যের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত হয়ে যায়। আমাদের মাতা দেশের গণতন্ত্রের আইকন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জীবন্ত প্রতীক। তাঁর সুস্থতা ও আরোগ্য লাভ দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি।”
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লা নগরীর ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় দিনব্যাপী পবিত্র কোরআন খতম শেষে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করে হাজী ইয়াছিন বলেন, “২০০৮ সালে টাউন হলের এক বিশাল জনসভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমার হাতে ধানের ছড়া দিয়ে বলেছিলেন—‘ইয়াছিন আমার সন্তান সমতুল্য, তার হাতে আমি ধানের ছড়া তুলে দিলাম।’ আজ সেই স্মৃতি আরও গভীর হয়ে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো—আপনারা সবাই আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করুন ও দোয়া করুন। সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের নেত্রীকে সুস্থ করে তোলেন। ২০০৮ সালের মতোই যেন ২০২৫ সালেও আবার তিনি এই টাউন হলের মঞ্চে আসতে পারেন। এবং সেই একই স্নেহের ভাষায় যেন বলতে পারেন—‘আমার সন্তান হাজী ইয়াছিনের হাতে আবার ধান তুলে দিলাম।”
হাজী ইয়াছিন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমার আর কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা নেই। আমার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা—আমার নেত্রী যেন আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমি পুনরায় তার হাত থেকে ধানের ছড়া নিতে চাই। তিনি ফিরে এলে জনগণের হৃদয়ে আবার গণতন্ত্রের শক্তি ফিরিয়ে আনবেন।”
দোয়া মাহফিলের পুরো সময় জুড়েই টাউন হল মাঠে ছিল একটি প্রার্থনামুখর পরিবেশ। কোরআন তেলাওয়াত, দরূদ শরীফ পাঠ এবং বিশেষ মুনাজাতে অংশ নেন দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, উপজেলা, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাধারণ নাগরিক এবং নানা পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এ দোয়া অনুষ্ঠানে।
দোয়া মাহফিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আলী আক্কাস, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান নেতা এস এ বারী সেলিম, মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ রতন, মাহাবুবর রহমান দুলাল, আতাউর রহমান ছুটি, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মুজিবুর রহমান কামাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রোমান হাসান, যুবদলের ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ জহির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল পাসা সিদ্দিকী রাকিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু এবং যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন—জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এ কে এম শাহেদ পান্না, দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম, মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক কাজী শাহিনুর, কৃষকদলের সদস্য সচিব ইকরাম হোসেন তাজ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী নোমান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ধীমান।
এছাড়া মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, মশিউর রহমান সজিবসহ অগণিত নেতাকর্মী ও অংশগ্রহণকারী দোয়া মাহফিলের পরিবেশকে আরও আন্তরিক করে তুলেন।
অনুষ্ঠান শেষে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, “আমরা আজ আমাদের নেত্রী বেগম জিয়ার জন্য দোয়া করেছি। আমরা বিশ্বাস করি—আল্লাহর রহমতে ইনশাআল্লাহ তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আগামীতেও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গঠন ও রক্ষায় তাঁর ভূমিকা থাকবে।”
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে উজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ নাঈমুর রহমান মজুমদার মাছুমকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নগরীর দক্ষিণ চর্থার ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া মাছুম চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘাসি গ্রামের মৃত. মোখলেসুর রহমান মজুমদাের ছেলে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিহ্নিত আসামি এবং চৌদ্দগ্রামে সংঘটিত এইট মার্ডার হত্যাকাণ্ডের মামলার ৮৮ নং আসামি।
সূত্রে জানা যায়, নাঈমুর রহমানের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নাশকতা পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ঢাকা শহরের ৮/৯টি স্থানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল ৬ টা থেকে ৭টার মধ্যে ভয়াবহ নাশকতা চালানো হবে।
অভিযুক্ত নাঈমুর রহমান আরও জানায়, এবার শুধু মহাসড়ক অবরোধেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রাস্তাঘাট কেটে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।এর পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার কৌশলও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সেনা অভিযানে গ্রেফতারের পর নাঈমুর রহমানকে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা সিআইডিকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার যেকোনো পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন চান্দিনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মো. অহিদ উল্যাহ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সহকর্মীরা তাকে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়। মো. অহিদ উল্যাহকে থানা থেকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা থানায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মো. অহিদ উল্যাহ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক পদ লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে নিজের পার্শ্ববর্তী থানা চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে অহিদ উল্যাহ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই ইউনিফরম আমার পরিচয়, আর মানুষের সেবা ছিল আমার অঙ্গীকার। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
বিদায় অনুষ্ঠানে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানায়, মো. অহিদ উল্যাহ একজন সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পেশাদারি এবং সদাচরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক
মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে পৃথক পৃথক স্থানে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ১৫০
টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য এবং চোরাচালানী পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের
দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিজিবির বিশেষ টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে উল্লেখিত মূল্যমানের মাদকদ্রব্য, ভারতীয়
শাড়ি, থ্রি-পিস এবং কসমেটিক্স সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্য এবং পণ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস এবং বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স রয়েছে, যা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে আনার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বিজিবি এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার সাংবাদিকতা অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নাম মাসুক আলতাফ চৌধুরী। নিষ্ঠা, সততা ও দায়িত্ববোধকে মূল মূল্যবোধ হিসেবে ধারণ করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। পেশাগত দক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির এই সমন্বয় তাঁকে কুমিল্লা অঞ্চলের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে পরিণত করেছে।
নেতৃত্ব ও পেশাগত যাত্রা
দীর্ঘ কর্মজীবনে মাসুক আলতাফ চৌধুরী কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে প্রেস ক্লাব আরও ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা কুমিল্লার সাংবাদিক সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
এছাড়া তিনি দৈনিক কালবেলা পত্রিকার কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও তথ্যনির্ভর সংবাদ পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি সহকর্মী ও পাঠকদের আস্থা অর্জন করেছেন।
নতুন অধ্যায়ে পদার্পণ
সম্প্রতি তিনি আয়কর আইনজীবী নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন— যা তাঁর কর্মজীবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি আইনি জ্ঞান অর্জনের এই প্রয়াস তাঁর অধ্যবসায় ও আত্মউন্নয়নের প্রতিফলন।
জীবন দর্শন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
মাসুক আলতাফ চৌধুরীর জীবন দর্শনের মূলমন্ত্র—
“দায়িত্বের জায়গা থেকে সততার সঙ্গে কাজ করাই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।”
তিনি বিশ্বাস করেন, সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়; এটি সমাজ পরিবর্তনের এক শক্তিশালী মাধ্যম। তাই তিনি সবসময় ন্যায়, সত্য ও মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান নেন।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তিনি সমানভাবে সক্রিয়। মানবিক সহায়তা, সামাজিক উদ্যোগ ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তিনি তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।
সহকর্মীদের চোখে একজন অনুপ্রেরণার মানুষ
সহকর্মীরা তাঁকে একজন সহৃদয়, পরামর্শদাতা ও নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে দেখেন। তরুণ সাংবাদিকদের পাশে থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা তাঁর নিত্যদিনের অংশ।
মাসুক আলতাফ চৌধুরী শুধু একজন সাংবাদিক নন
তিনি কুমিল্লার গণমাধ্যম অঙ্গনের এক অনন্য প্রেরণা।
তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে ফুটে ওঠে দায়িত্ববোধ, সততা ও সমাজের প্রতি ভালোবাসা।
তিনি প্রমাণ করেছেন— পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধই একজন সত্যিকারের সফল মানুষের পরিচয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন
(৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে ডান হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি
ওলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মহিউদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বলেন,
আমার ছেলে মহিউদ্দিন দিনমজুর হিসেবে যখন যে কাজ পেতো, তাই করতো। আমার ছেলে রাজনৈতিক
কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তার কোনো শক্রও ছিল না। কিন্তু কে বা কারা দিনদুপুরে
বসতবাড়িসংলগ্ন মসজিদের কাছে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে
নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা: জান্নাতুল
নাঈম জানান, মহিউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাঁর
ডান হাত পাওয়া যায়নি। কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হাত বিচ্ছিন্ন করার
পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন
অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ
(পরিদর্শক) রোমেন বড়ুয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জেরে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তের পরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক
সাইদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যাকারীরা তার
ডান হাত নিয়ে গেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন