কুমিল্লায়
৪০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত
১০ মার্চ র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন মঠ পুষ্কুরুনী সাকিনস্থ কোটবাড়ী বিশ্বরোড
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) নামক একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত ১ টি ব্যাটারী চালিত অটোমিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার কলাহাটি দুলালপুর গ্রামের
মৃত আক্কাস মিয়া এর ছেলে। আসামী বর্তমানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
বামৈল, শিবের বাজার এলাকায় বসবাস করে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে ঘটনাস্থলে সেনোয়ারা বেগম (৬২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা-রামচন্দ্রপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা উপজেলার পূর্বহাটি গ্রামের আঃ রশিদ মিয়ার স্ত্রী।
এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন (৩৫) গুরুতর আহত হন। আহত আলাউদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি পাঁচকিত্তা থেকে রামচন্দ্রপুর যাওয়ার পথে দিঘলদী গ্রামের শ্মশানের পাশে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে পরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা অটোরিকশা চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় বৃদ্ধার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ছাদ বেয়ে নকল সরবরাহের দায়ে ইমরান হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে
ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭
এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পেরিয়া ইউনিয়নের ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ
কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
রাফিদ খান এ দণ্ডাদেশ দেন।
এ সময় উপজেলার আরও
চারটি কেন্দ্র থেকে নকলের অভিযোগে ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি দায়িত্বে
অবহেলার অভিযোগে মৌকারা মাদ্রাসার চারজন শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
যায়, ইংরেজি ২য় পত্র চলাকালে ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র
পরিদর্শনে যান ট্যাগ অফিসার শহীদুল ইসলাম।
এদিকে ইমরান হোসেন
ভবনের তৃতীয় তলা চাদ বেয়ে নকল দিতে যান আত্মীয়কে। যা নজরে আসে ট্যাগ অফিসার শহীদুল
ইসলামের। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আটক করা হয়। ইমরানকে উপজেলা নির্বাহী
অফিসে আনা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে নাঙ্গলকোট
দারুল আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা ৪ জন, ধাতিশ্বর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২ জন, জোড্ডা
আলিম মাদ্রাসা ৫ জন ও জোড্ডা উচ্চ বিদ্যালয় ৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
রাফিদ খান বলেন, নকল সরবরাহের সময় ইমরান হোসেনকে হাতে-নাতে ধরা হয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী
পরীক্ষা আইন ১৯৮০ (১১-ক) ধারায় ৬ মাসের মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরীক্ষা সুষ্ঠু রাখতে
প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা লাকসাম থানার আলোচিত ও ক্লুলেস
মো. শাহজাহান প্রকাশ সাইমন (১৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের ভেতরে খাটের ওপর সাইমনের মৃতদেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো
অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশের গলা কাটা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহ থেকে পচা রক্ত
ও পানি বের হচ্ছিল।
পরে সাইমনের পিতা আবদুল হান্নান বাদী
হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে কুমিল্লা পুলিশের একটি
বিশেষ দল সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে প্রধান
আসামি আব্দুল ওয়াদুদ প্রকাশ মানিক (২৪) কে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে
মানিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইমনের অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং অপর আসামি
মো. সানাউল্লাহ (২৪) কে লাকসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক স্বীকার
করে, সানাউল্লাহর সাথে সাইমনের পূর্বের একটি মাদক সেবন নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল এবং সাইমন
সানাউল্লাহর মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তারা সাইমনকে হত্যার পরিকল্পনা
করে। হত্যাকাণ্ডের দিন তারা সাইমনকে লাকসাম হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে নিয়ে যায়,
সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মানিক কাঠের লাঠি দিয়ে সাইমনের মাথায় আঘাত করে এবং সানাউল্লাহ
ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে।
গ্রেফতার মানিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
সারাদেশের মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধীনে ৬ জেলার কলেজগুলোতে আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়
৬ টি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী
৪৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৪ হাজার ৮১৯ জন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেদের
তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৪৮ জন বেশি।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪৩২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায়
অংশগ্রহন করেছেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বোর্ডে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর
সংখ্যা কুমিল্লা জেলায়। এখানে ১৬৩টি কলেজের ৩৯ হাজার ৪৯২ জন। নোয়াখালী জেলায় ৫৫টি কলেজের
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯হাজার ৭৮৯ জন, ফেনী জেলায় ৪২ কলেজের ১১ হাজার ৮০ জন, লক্ষ্মীপুর
জেলায় ৪০টি কলেজের ১১ হাজার ৩৪৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬৭টি কলেজের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলায় ৬৫টি কলেজের ১৫ হাজার ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় এই তিন বিভাগের মধ্যে মানবিকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
পরীক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছেন। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৪ জন,
বিজ্ঞান বিভাগে ২৮ হাজার ৯২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ হাজার ৭৪৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬ জেলায়
ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষক যারাই কোনো অনিয়মের সঙ্গে
জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, নানা সামাজিকও আর্থিক
কারণে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবং ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। বিশেষ করে এখন ছেলেরা
কম বয়সেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আবার অনেকে বিদেশ চলে
যাচ্ছে। আর এসব কারণেই মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ
(৩ মার্চ) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন আমানগন্ডা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
মোঃ আরমান (২০) এবং মোঃ রাজীব (১৯) নামক ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময়
আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ আরমান (২০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার আমানগন্ডা গ্রামের আশাদুল এর
ছেলে এবং মোঃ রাজীব (১৯) একই গ্রামের আব্দুল মমিন এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে ঢাকা, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
১০ম
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫-এর চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন
হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ফাইনালে টস জিতে
শিরোপা নিশ্চিত করে তারা।
বসুন্ধরা
ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের প্রতিপক্ষ ছিল
বগুড়া পুলিশ লাইন হাই স্কুল। তবে প্রবল বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ম অনুযায়ী, টস জয়ী দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয় — সে হিসেবে
চ্যাম্পিয়নের মুকুট যায় কুমিল্লার ঘরে।
পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল
বাশার সুমন, হাসিবুল হোসেন শান্ত, মেহরাব হোসেন অপি, দিপু রায় চৌধুরী, গেম ডেভেলপমেন্ট
ম্যানেজার আবু ইমাম কাওসার, গেম ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কামরুল হাসান এবং
জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ।
এই
আসরে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল দুর্দান্ত পারফর্ম করে জেলা পর্যায়ে ৪টি, বিভাগীয় রাউন্ডে
৩টি এবং ন্যাশনাল রাউন্ডে আরও ৩টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। সেমিফাইনালে তারা
পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে ১০২ রানে হারায়। ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে আফনান ইন্তেহাদ
১২০ বলে করেন দারুণ ১৪৪ রান। বল হাতে সেরা ছিলেন প্রান্ত দেবনাথ, যিনি ২৫ রান দিয়ে
শিকার করেন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
আসরের
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কারও গেছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের আফনান ইন্তেহাদের
হাতে।
চ্যাম্পিয়ন
দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন আইয়ুব হোসেন ইমন এবং ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মোঃ
নেওয়াজ খান। দলের সার্বিক সাফল্যের পেছনে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা ক্রিকেট
কোচ হাবীব মোহাম্মদ মোবাল্লেগ জেমসের অবদানও ছিল অনস্বীকার্য।
উল্লেখ্য,
এর আগেও ২০১৯ সালে জাতীয় স্কুল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা হাই স্কুল। সেই
ধারাবাহিকতায় আবারও দেশের সেরা হওয়ার কৃতিত্ব দেখাল কুমিল্লার স্কুল ক্রিকেট।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বর্ণাঢ্য
আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে
বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যালিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক ও ক্যাম্পাস
প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়,
পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার
আলী। কেক কাটার পর বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, মাননীয় ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মিশন নিয়ে এসেছি। আমার মিশন হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যা দরকার তা বাস্তবায়ন করা। আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি থাকবে না, গবেষণা হবে তাদের প্রধান মাপকাঠি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৩জনের মধ্যে ১০১জন শিক্ষকের প্রোফাইল ব্ল্যাঙ্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাজ শুধু পড়াশোনা করানো নয়। তাই আমরা সকলেই পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গিকার করি।'
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘আজকে এখানে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণ করছে, আমি স্মৃতিচারণের দিকে যাব না। আমি একজন প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনের পর এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন হয়েছে। আজকে এই দিনটি দেখার জন্য আমাদের আব্দুল কাইয়ুমের জীবন গেছে এবং আরো অনেকই আহত হয়েছেন। এখন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হচ্ছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'এবারের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের মনে বিশেষ এক অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। এই অনুভূতির জন্য আমাদেরকে ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকের এই দিনে আসতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের ত্যাগকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে আমি প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের একটাই অঙ্গীকার হোক, আমরা সকলেই একে অপরের সহিত মিলেমিশে, কোনো বিভাজন না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন আপনার সন্তান যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রথম চয়েস না রাখে তাহলে আমাদের পরিশ্রম বৃথা। তাই চলুন একসাথে কাজ করি, একসাথে এগিয়ে যাই।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'শুরুর দিক থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর তো আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম, সে ইতিহাস আর কী বলব। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমাদের পক্ষে মাত্র চারটি ভোট পড়তো। সবাই আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করতো, এমনকি পত্র-পত্রিকায়ও এটা নিয়ে লেখা হতো।'
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এক ঐতিহ্যের ইতিহাস। শুরুতে আমাদের কিছুই ছিল না, বিগত ১৯ বছরে আমাদের ইতিহাস হয়েছে, গৌরব হয়েছে। আমরা পনেরোজন শিক্ষক শুরু করেছিলাম, কারো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। এখন প্রতিমাসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করছে। বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি। আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একটা নতুন মাইলফলক গড়তে চাই।'
অনুষ্ঠানে
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন
হলের প্রভোস্টগণ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ও বিভিন্ন স্কিল সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে ‘জায়ান্ট মার্কেটার্স জব ফেয়ার-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জব ফেয়ার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরজিৎ সর্ববিদ্যা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জায়ান্ট মার্কেটার্সের ফাউন্ডার এন্ড সিইও মো: মাসুম বিল্লাহ ভূইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সিএসই বিভাগের লেকচারার মো: জাহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি
ছিলেন, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোজাম্মেল হক, সহকারী রেজিস্ট্রার শিহাব উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্ক্ষীরী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই জব ফেয়ারে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ। পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেশনে অংশ নিয়ে চাকরির জন্য কী কী বিষয় অত্যাবশ্যকীয় সে বিষয়ে রয়েছে জানার সুযোগ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
পৃথক দুইটি অভিযানে কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ সেপ্টেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন ফৌজদারী মোড় ও বাটপাড়া চৌমুহনী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে
জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার দুইজন যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আল আমিন এবং ২। রতন দত্ত কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আল আমিন (৪১) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়া
এর ছেলে এবং ২। রতন দত্ত (৩৮) একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানার কালিয়াজুরি গ্রামের হরিপদ
দত্ত এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গত ২৭/০১/২০১২ ইং তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাইয়া ভিকটিম মোঃ জাবেদ মিয়া (২৫) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় বর্ণিত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন