

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেভাবে বারবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, তা না হলে হয়তো তাকে এত অল্প সময়ের মধ্যেই হারাতে হতো না। তার মতে, এই মৃত্যুর পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের দায় রয়েছে।মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।ড. আসিফ নজরুল বলেন, একটি প্রহসনমূলক রায়ের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেখানে তাকে অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয়। তিনি দাবি করেন, যে মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, সেটি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সাজানো ছিল, তা সর্বোচ্চ আদালতের আপিল ও রিভিউ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়েও একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওই সাজা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে দেওয়া।তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যতটুকু করার সুযোগ ছিল, তা করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ব্যক্তিগতভাবে সব সময় খোঁজখবর রেখেছেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে আবার বিদেশে পাঠানোর মতো শারীরিক অবস্থা তৈরি হলে সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।আইন উপদেষ্টা আক্ষেপ করে বলেন, যদি সরকার আরও এক বা দুই বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পেত, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। তবে তিনি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেছেন, কিন্তু দেশের মানুষের ভালোবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধা নিয়ে তিনি বিদায় নিয়েছেন—এটাই সবচেয়ে বড় সান্ত্বনার বিষয়।এ সময় তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন যেন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান এবং বলেন, বর্তমান সরকারের কার্যক্রমে গণমাধ্যমের সহযোগিতার জন্য তারা কৃতজ্ঞ।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদের দেওয়া এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আব্দুল হাফিজ প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক দায়িত্ব পালনে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে থাকা অবস্থায় তিনি উপদেষ্টা পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য যে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন


কাজের ক্ষেত্রে কারো রক্তচক্ষু বা ধমক
আমলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ প্রশাসনকে
আইন অনুযায়ী দেশের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে
১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, কারও রক্তচক্ষুর কারণে, কারো ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নাই। আমি
নিজের মতো করে যেটাই আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার সেটা করবো। সে কাজেই আমি ব্যস্ত
থাকবো যাতে আমি করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিনা কারণে মানুষকে হয়রানি করা হয়। হয়রানি
করাটাই যেন আমাদের ধর্ম! সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি—এটার থেকে উল্টে দাও। সরকার ভিন্ন জিনিস,
আপনার অধিকার আপনার দরজায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। এটাই যেন আমরা স্মরণ রাখি।
দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ
অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেহেতু এমন পরিস্থিতিতে
এসেছি, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু হয়ে গেল। এটাতে আমরা কে কী পরিমাণে
অগ্রসর হলাম, কী করণীয়—এটা
এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। আইন-শৃঙ্খলায় আমরা যেন বিফল না হই, কারণ এটাতে আমাদের সমস্ত
অর্জন সফলভাবে অর্জিত হতে বা বিফলতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটাই নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা
হোক। ফিরে যাওয়ার পর যেন এটা বোঝার মধ্যে কোনো গলদ না থাকে।
মন্তব্য করুন


ঢাকায়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ মানুষের সমাগম
হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য সচিব
রুহুল কবির রিজভী।
আজ
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত অভ্যর্থনা মঞ্চ পরিদর্শন
শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী
বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান আসবেন। আজকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন জেলা
থেকে লোক আসা শুরু হয়েছে। সুতরাং ২৫ ডিসেম্বর এখানে মানুষের মহামিলন ও মহামেলায় পরিণত
হবে। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। যে জনসমাগম হবে তাদের সংবর্ধনা নেওয়ার পর তার মা দেশনেত্রী
খালেদা জিয়া যিনি দীর্ঘদিন নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করেছেন, আজকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,
তাকে দেখে তিনি বাসায় যাবেন। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার প্রথম দায়িত্ব সরকারের, এরপর
দলের।
এদিকে
দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিএনপির সর্বস্তরে
আনন্দের জোয়ার বইছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘনিয়ে আসায় তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত
নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্লোগান
ও প্ল্যাকার্ড হাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মঞ্চ পরিদর্শনে আসছেন। তারা জানান, নেতাকে
বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ সময় মঞ্চের সামনে পুলিশের পাশাপাশি
সেনাবাহিনীকেও টহল দিতে দেখা যায়। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় গাড়িতে
করে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন টিম মঞ্চ এলাকা পরিদর্শন করছে।
মন্তব্য করুন


আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ
ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ
রোববার ( ০৭ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশনারগণ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।
বৈঠকে
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত
ছিলেন।
জাতীয়
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন
মিয়াও বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব
ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ
সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন
কমিশনাররা।
নির্বাচনের
প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও
প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান।
তিনি
বলেন, ইতোমধ্যে নাগরিকরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী
আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ
সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সুষ্ঠু
ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে
সরকার।’
তিনি
বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদেরকে
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে
এগিয়ে চলছি।
মন্তব্য করুন


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র
নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ
ইসলাম।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয়
গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে কনটেন্ট ক্রিয়েশন, স্ক্রিন প্লে অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল প্রোডাকশন
টেকনিকস্ বিষয়ক প্রশিক্ষণ পাঠ্যধারার সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিডিও সংরক্ষণের
ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের
দায়িত্ব আামাদের সকলের। এ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করেই আমাদের সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ
করতে হবে। এই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসকের
যেমন বর্বরতার গল্প রয়েছে, তেমনি ছাত্র-জনতার সাহসিকতার গল্পও রয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার
সাহসিকতার গল্প জনসম্মুখে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তথ্য উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের
ওপর ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণের জন্য প্রশিক্ষণার্থী ও কোর্স প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণার্থীর প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক
সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সচিব মাহবুবা ফারজানা, কোর্স পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সার্চ কমিটির আহ্বায়ক মো. আল আমিন রাকিব তনয়।
অনুষ্ঠানের শেষে উপদেষ্টা প্রশিক্ষণার্থীদের
মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে লড়বেন বিএনপি মহাসচিব।
আজ সোমবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর” এই তালিকা ঘোষণা করেন।
প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব। ঘোষিত তালিকায় দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে।
স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে আছেন- কুমিল্লা-১ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী-২ আসনে আবদুল মঈন খান, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কক্সবাজার-১ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমদ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভোলা-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও দিনাজপুর-৬ আসনে এজেডএম জাহিদ হোসেন।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে পটুয়াখালী-১ আসনে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নোয়াখালী-৩ আসনে বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান, ফেনী-৩ আসনে আবদুল আউয়াল মিন্টু, মাগুরা-২ আসনে নিতাই রায় চৌধুরী, কুমিল্লা-৩ আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, টাঙ্গাইল-৮ আসনে আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে কুমিল্লা-৬ আসনে মনিরুর হক চৌধুরী, ঢাকা-২ আসনে আমান উল্লাহ আমান, নোয়াখালী-১ আসনে মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-৪ আসনে জয়নুল আবদিন ফারুক, বরিশাল-১ আসনে জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-৫ আসনে মজিবুর রহমান সারোয়ার, নেত্রকোনা-৪ আসনে লুৎফুজ্জামান বাবর, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাজভীর উল ইসলাম, পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৪ আসনে মুশফিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খান রিতা, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মঈনুল ইসলাম খান, সিলেট-১ আসনে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-২ আসনে তাহমিনা রশদীর লুনা, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিলেট-৬ আসনে এনামুল হক চৌধুরী, টাঙ্গাইল-২ আসনে আবদুস সালাম পিন্টু, ফেনী-২ আসনে জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার-৩ আসনে নাসের রহমান রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত
সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আইনটি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে এর অধীনে সাংবাদিকদের
বিরুদ্ধে হওয়া সব হয়রানিমূলক মামলাও বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন, আইন, বিচার ও সংসদ
বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা
ক্লাবে ‘ডিআরইউ-দেশ টিভি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে এই আইন
ব্যবহার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সাইবার
সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ আইনের অধীনে সব মামলা বাতিল হয়ে যাবে,
এ মামলার জন্য সাংবাদিকদের আবেদন করা লাগবে না। তবে এ আইনের আওতায় হওয়া পর্নোগ্রাফি
ও যৌন হয়রানির মামলাগুলোর বিচার চলবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শহীদ পরিবারে পক্ষ
থেকে কোনো মামলা হলে সেখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই। এক্ষেত্রেও সংবেদনশীলতার বিষয়টি
আমরা দেখতে বলেছি।
মন্তব্য করুন


জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী জনসংযোগ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালেহ উদ্দিন সিফাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, ৬ দিনব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় জনসংযোগ করবে। এসময় তারা জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে লিফলেট বিতরণ করবে, সমাবেশ করবে এবং বিভিন্ন মাত্রায় জনসংযোগ করবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছে। আমরা একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কথা তুলে আনতে চাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আজ অথবা কালকের মধ্যে সরকার জনগণের সামনে দৃশ্যমান উদ্যোগ প্রদর্শন করুক। এ বিষয়ে আমাদের মতামত চাওয়া হলে আমরাও দিতে প্রস্তুত আছি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ঘোষণাপত্র প্রদানের বিষয়ে সবার ঐক্যমত রয়েছে। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি বা তা কীভাবে তুলে আনা যায়, সে বিষয়ে হয়তো পার্থক্য রয়েছে। শব্দ চয়নে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে৷ সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু ঘোষণাপত্র নিয়ে কারও আপত্তি নেই।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের (৩০০ ফিট এলাকা) সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছেছেন বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় লাখ লাখ নেতাকর্মী তাকে অভিবাদন জানান। তিনিও
হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভিবাদনের জবাব দেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে সংবর্ধনাস্থলের মঞ্চে ওঠেন তিনি।
এর
আগে, কড়া নিরাপত্তায় বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিটের সংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক
রহমান। সবার আগে বাংলাদেশ' ব্রান্ডিংয়ে লাল-সবুজের একটি বাসে করে সেখানে পৌঁছান তিনি।
এ সময় রাস্তার দুই পাশে নেতাকর্মীরা তাকে অভিবাদন জানান।
এদিকে,
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার পূর্বে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং
হাতে এক মুঠো মাটি নেন।
এর
আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সপরিবারে দেশে পৌঁছান তারেক রহমান। এ সময় তার
সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
প্রসঙ্গত,
রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার পর মা খালেদা জিয়াকে দেখতে
এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক রহমান।
মন্তব্য করুন


সন্ত্রাসীদের গুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় এক বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকায় জোহানেসবার্গে লিটনের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন (৩২) দাগনভূঞা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী এবাদল হকের তিন ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে লিটন ছিলেন সবার বড়। মেজ ভাই সৌদি আরবে এবং ছোট ভাই মিঠু দক্ষিণ আফ্রিকা তার সঙ্গে ছিলেন।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন এর চাচাতো ভাই মোহাম্মদ সবুজ জানায়, শুক্রবার রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে লিটনের মৃত্যুর খবর পেয়ে। তার মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান।
মন্তব্য করুন