জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩৮তম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাষ্ট্রপতি ভিভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তাবলয় তৈরিতে সব সহযোগী
এজেন্সির সঙ্গে সুসম্পর্ক, নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখার পাশাপশি ভিভিআইপিদের
জনসংযোগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখার তাগিদ দেন।
অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর পেশাদার,
দক্ষ ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি চৌকস বাহিনী হিসেবে এসএসএফ
গড়ে তোলা হয়েছে। ১৯৮৬-এর ১৫ জুন, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, পরবর্তী
সময় দেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর একে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)
নামে নামকরণ করা হয়। এসএসএফ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু পরিবার
এবং রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী ভিভিআইপি ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান
করে এবং ভিভিআইপিদের ওপর সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধ এবং সক্রিয় হুমকি থেকে ভিভিআইপিদের
সুরক্ষায় বেসামরিক প্রশাসন এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভিভিআইপিদের অফিস ও বাসস্থানের নিরাপত্তার দায়িত্বও
পালন করে এসএসএফ।
অতি কঠোরতা ও বাড়াবাড়ির কারণে
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ও জনগণের মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব বা ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি না
হয় সেদিকটিও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করারও নির্দেশনা প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা আর জনসম্পৃক্ততা দুটিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি সদা পরিবর্তনশীল
নিরাপত্তা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় এসএসএফ সদস্যদের সর্বদা বলিষ্ঠ
মনোবল, প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও পেশাদারত্বের সর্বোত্তম প্রয়োগ ঘটানোর উপদেশ দিয়ে এসএসএফকে
বলেন, প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। আপনাদের কোনো আচরণে জনগণ যেন কষ্ট না পায়
সেদিকে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততা
স্বাভাবিক রেখেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স
(এসএসএফ)-এর ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা
সুলতানা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক
আহমেদ সিদ্দিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য
রাখেন এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ।
মন্তব্য করুন
দেশের ৯টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে বিপর্যস্ত। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে টিএসসিতে চলছে গণত্রাণ কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
ফেসবুক পেস্টে হাসনাত জানান, টিএসসিতে চলছে গণত্রাণ কর্মসূচি, চলবে সারা দিনব্যাপী।
যে জিনিসগুলোর প্রয়োজন:
১। শুকনা খাবার (চিড়া, মুড়ি, বিস্কিট, টোস্ট, গুড়, ছাতু, বাদাম ইত্যাদি)
২। স্যালাইন, জরুরি ঔষধ
৩। স্যানিটারি ন্যাপকিন
৪। শিশুখাদ্য (দুধ, সুজি ইত্যাদি)
৫। চাল, ডাল, লবন
৬। মোমবাতি, দিয়াশলাই
৭। পলিথিন ইত্যাদি।
এ ছাড়া আপনারা অর্থ সাহায্য করা যাবে ব্যাংক একাউন্টে বা সরাসরি টিএসসিতে।
হাসনাত আরো জানান, আমাদের টিম রেসকিউয়ের কাজ শুরু করেছে। আমরা আজ সারা দিনে দুইশো’র বেশি বোট পাঠানোর সিদ্ধান্তে আছি, যার মধ্যে প্রায় ২০-২৫টি এরইমধ্যে স্পটে চলে গেছে। আমরা একতা ধরে রাখি। এই বিপদে বাংলাদেশ লড়বে একসাথে।
ফান্ড রেইজিং একাউন্ট ডিটেইল:
Mohammad
Anisur Rahman
20503100200291004
Badda
Branch, Dhaka
Islami
Bank Bangladesh
উল্লেখ্য, পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের নয়টি জেলা। বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো– ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। এসব জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফর শেষে আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দেশে ফিরেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে গত সোমবার তিনি কুয়ালালামপুরে যান।
বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। এছাড়াও তিনি একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে
যাওয়া হবে।
আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, টিকিট
জটিলতায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান,
বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজীকরণ এবং উচ্চশিক্ষা, রোহিঙ্গা
সমস্যা নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম
বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের দুই দেশের অর্থনীতিতে অবদান গুরুত্বপূর্ণ। টিকিট জটিলতায়
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে। এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ
দেখতে আসিয়ানকে আরও কার্যকর করতে চায় মালয়েশিয়া।
এর আগে
দুপুর দুইটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত
জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে
গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
মন্তব্য করুন
প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে বাংলাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ একসঙ্গে উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানানো হয়,সরকার জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করছে। এ বছর বাঙালি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক নববর্ষ শোভাযাত্রার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দেশের
সকল মানুষ যেন উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে আগামী ২৩ মার্চ
রোববার দুপুর ১২টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সভাপতিত্বে
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সাথে আজ কায়রোতে মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী ড. জাম্বরি আব্দুল কাদির
বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে,
বৈঠকে তাঁরা মতবিনিময় করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায়
মিশরের রাজধানী কায়রো পৌঁছান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে,
মিশরের পাবলিক বিজনেস সেক্টরের মন্ত্রী মোহাম্মদ শিমি কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
তাঁকে স্বাগত জানান।
পরে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রীর
সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল
কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধান উপদেষ্টা
ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ
করে।
'তরুণদের বিনিয়োগ ও এসএমইকে সহায়তা
করা: আগামীর অর্থনীতিকে রূপদান’
এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন
বা ডেভেলপিং-৮ নামে পরিচিত ডি-৮ ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর
মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা উৎসাহিত করে।
এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রয়েছে-
বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মতো
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশ। এই দেশগুলো বিশ্ব জনসংখ্যার অনুমানিক প্রায় ১৪ শতাংশের
প্রতিনিধিত্ব করে।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের
তদন্তে জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক
আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তার্ক।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার
(৩০ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র
রাভিনা শামদাসানি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এই মুখপাত্র
জানান, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সত্য অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনুসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন ফলকার তার্ক। গত ১ জুলাই থেকে
১৫ আগস্টের ঘটনাগুলোর তদন্তে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য আগামী সপ্তাহের কোনো একসময় বাংলাদেশে জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল আসার কথা রয়েছে। দলটিকে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তারা।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল (৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাতীয়
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন।
বাংলাদেশ
টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে নিশ্চিত
করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির
বৈঠক হতে চলেছে।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের
মধ্যে আগামীকাল বৈঠক হবে। ব্যাংককে আজ বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ
হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন। নৈশভোজে উভয় নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে
কথা বলতে দেখা গেছে। বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ
সম্মেলন উপলক্ষে অধ্যাপক ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে ব্যাংককে অবস্থান করছেন। ২
থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিধি আরও বড় হচ্ছে।
নতুন করে ৫ উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। এরমধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, লে.ক. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন।
বঙ্গভবন সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, গত ৮ আগস্ট রাতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় গঠিত হলো দেশের বহুল আলোচিত অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় আরও ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১১ ও ১৩ আগস্ট আরও তিন জন উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা ঢাকার বাইরে থাকায় পরে শপথ নেন।
অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত
হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ,
ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন
রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানী সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজে (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছে মন্তব্য করে জাতির কল্যাণে আগামী দিনেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দেশ–বিদেশের কয়েকশ’প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন সম্মেলনে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো অন্যায়, অবিচার মোকাবিলা করা যায়। শুধু তাই নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। যেটা আমরা একশ’দিন জুলাই-আগস্ট মাসে দেখিয়েছি। তাই আগামী দিনেও সবাইকে দেশ-জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, কোনো অন্যায়, দোষ না করেও এ দেশের মানুষ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হওয়াতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যখন আমরা এক হয়ে কাজ করি, তখন আমাদের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে, যেমনটি আমরা ১০০ দিন আগে বাংলাদেশে করেছি।
তিনি বলেন, মাত্র ১০০ দিন আগে একটি অনন্য রাজনৈতিক উত্থানের সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ। গত ১৬ বছর ধরে চলা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছে ছাত্ররা। আমি এ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অতিথিদের কাছে একটি সদ্য উদীয়মান দেশে স্বাগত জানাই। নতুন বাংলাদেশ বলে অভিহিত করছি।
জুলাই বিপ্লবে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা তাদের সবাইকে শ্রদ্ধা জানাই যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা সারা জীবনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চোখ এবং অনেক শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশিদের জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড নিজের চোখে দেখার জন্য রাজধানীতে ঘুরে ঘুরে দেখার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, ঠিক ১০০ দিন আগে এ শহরে যা ঘটে গেছে তা আপনার নিজ চোখে দেখে যান। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে রঙিন চিত্রে আঁকা রাস্তার দেয়ালগুলো দেখুন। দেখতে পারবেন কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে তরুণ প্রজন্ম কী চায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। এ ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ বিপ্লবের কোনো ডিজাইনার ছিল না, কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না এবং কোনো সংস্থা এটিকে অর্থায়ন করেনি। তরুণরা তাদের নিজের শক্তিতে করেছে।
মন্তব্য করুন