

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
আজ বুধবার (অক্টোবর ২৩) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয় এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রধান পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাপ করেন।
হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন,
আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ছয়টি
প্রধান সংস্কার কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে
পরামর্শ করছেন।
মন্তব্য করুন


সোমালিয়ার জলদস্যুদের পক্ষ থেকে ছিনতাইয়ের শিকার এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) জলদস্যুরা তাদের প্রাথমিক আলাপ শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এখন থেকে জিম্মিদের মুক্তি ও জাহাজ উদ্ধারের বিষয়টি এগোবে। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কোনো আলাপ হয়নি। মাত্রই যোগাযোগ হয়েছে আর বিষয়টি খুব সেনসেটিভ।
এ বিষয়ে দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান বলেন, দু্দিন ধরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী। ফলে দস্যুরা অবস্থান বদলে উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজ নিয়ে গেছে। এরপর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল জলদস্যুরা এবার আলাপে আসবে। তবে এটি মাত্র শুরু।
এর আগে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৫৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। বাংলাদেশি জাহাজটি পরের তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে ছিল। পরে আবারও অবস্থান বদল করে এখন একই উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে।
মন্তব্য করুন


এশিয়া কাপের চলমান আসরে ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়ে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে এই দু’দল। তাই এ ম্যাচের জয়ী দল ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকবে। আর হেরে যাওয়া দলের ফাইনালে খেলার আশা কঠিন হয়ে যাবে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মাঠে নামবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সুপার ফোরে উঠেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হারে তারা। ভারতের কাছে দুঃস্মৃতি ভুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বলে জানান পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা।
তিনি বলেন, ‘ভারত ম্যাচ অতীত। এখন আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কা। এ ম্যাচে জিততেই হবে। ফাইনালে দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে জয় ছাড়া অন্যকোনো পথ খোলা নেই। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামব।’
২০২২ সালের এশিয়া কাপের পর আবারও টি-টোয়েন্টিতে দেখা হচ্ছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার। মাঝে টেস্ট ও ওয়ানডেতে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচ খেলে পাকিস্তান ১৩টিতে এবং শ্রীলঙ্কা ১০টিতে জিতেছে।
সুপার ফোরের ম্যাচে রাতে মাঠে নামছে পাকিস্তান, মোবাইলে দেখবেন যেভাবে
আজ হারলে বাংলাদেশের ওপর ‘নির্ভর’ করবে শ্রীলঙ্কার ফাইনাল খেলা!
২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে দু’বার দেখা হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার। দু’বারই জয় পেয়েছে লঙ্কানরা। সুপার ফোরে ৫ উইকেটে এবং ফাইনালে ২৩ রানে জিতেছিল তারা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের কাছে হারের স্মৃতি ভুলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা। ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না তারা। লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা বলেন, ‘বাংলাদেশের কাছে হার ভুলে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আমরা এখন সবচেয়ে বেশি মনোযোগী। এ ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই।’
সুপার ফোরের পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস। অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করবে টফি। দর্শকরা টফি অ্যাপ (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস) ব্যবহার করে মোবাইলে ম্যাচটি উপভোগ করতে হবে। এ ছাড়া টফি লাইভ ডট কম এবং স্মার্ট টিভি (অ্যান্ড্রয়েড টিভি, স্যামসাং টাইজন ও এলজি ওয়েবওএস)-এর মাধ্যমেও ম্যাচটি দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন
কমিশন (ইসি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ
করছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের করার বিধান রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ
সরকারি মুদ্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে গেজেট ছাপানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৪ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত করা
হয়েছে।
কর্মকর্তারা
জানান, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ শুরু হয়। এটি ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন
করা হবে।
ইসির
উপসচিব (নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখা) মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত ভোটকেন্দ্রের
গেজেট সকলের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করছে ইসি সচিবালয়। এতে ভোটকেন্দ্রের ক্রমিক নম্বর, ভোটকেন্দ্রের
নাম ও অবস্থান, ভোটকক্ষের সংখ্যা, ভোটার এলাকা, পুরুষ, নারী, হিজড়া ভোটার এবং মোট ভোটার
সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার
৭১৬টি। তারমধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত
মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র,
যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি
সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল
আবেদন জমা পড়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর শুনানি আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন
কমিশন।
ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা
প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার
৬৩৩ জন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন
কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
রোববার
(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত
এক আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের
বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতীতের ভঙ্গুর নির্বাচনী পরিস্থিতির কারণে জনগণের মধ্যে
ভোটবিমুখতা তৈরি হয়েছিল, তবে এখন তারা আবারও ভোটের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সানাউল্লাহ
আরও বলেন, এবারের ভোটার তালিকা হতে হবে স্বচ্ছ, যাতে কেউ ভুয়া বা অস্বচ্ছ তালিকার অভিযোগ
তুলতে না পারে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নারী ভোটাররা
যাতে বাদ না পড়ে, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন রাতের ভোট দেখতে চায়
না এবং কোনো পক্ষের কর্তৃত্বও মেনে নেবে না।
নির্বাচন
কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার স্বীকার করেন, অতীতের নির্বাচনগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং
এর দায় এড়াতে পারে না নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ভুলের দায় শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
নয়, একজন সাধারণ কর্মচারী পর্যন্ত এ দায় বহন করে।
তিনি
আরও বলেন, কমিশন কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
অন্যদিকে,
ইসি সদস্য আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, কেবল মুখের কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে নির্বাচন
কমিশন নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করবে।
ইসি
সদস্য তাহমিদা আহমদ বলেন, ভোট যেন আর আবদ্ধ কক্ষে না হয়, সেজন্য খোলা মাঠে ভোট আয়োজনের
কথা ভাবতে হবে।
মন্তব্য করুন


পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণার্থীদের
সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে
পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে
পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারতো, কিন্তু সবচেয়ে
পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে
আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দূরত্ব জয় করা যাবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যবৃন্দের জন্য আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ
দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে
আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত
খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সাথে আমি কথা
বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় ভেঙে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায়
আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক
হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয়
এনে দিয়েছে। তরুণরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা
বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’ জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য
অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের, তরুণদের
এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা
পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্রময় হোক। সরকারি নির্দেশ
তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ
উৎসবে অংশ নেয়।
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার
সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি
আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন।
শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম
অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায়
তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন


পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার
গণঅভ্যুত্থানের পর এখনো কাজে যোগদান না করা পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে রাখার কোনো সুযোগ
নেই।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের
নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক
(আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম এ কথা জানান।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তারা এখনও কাজে ফেরেননি। কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা দেশের
বাইরে পালিয়ে গেছেন, না দেশে আছে সেই তথ্য কেউ জানে না। তাদের ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান
সম্পর্কে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, যারা বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন, যাদের সম্পৃক্ততা
আমরা পেয়েছি, এরই মধ্যে আমরা সেসব সদস্যদের অনেককেই গ্রেফতার করেছি। ১৭ জন পুলিশ সদস্যকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে সিনিয়র কর্মকর্তারাও রয়েছেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও
রয়েছেন। যারা মামলার আসামি হয়েছেন, আবার অনেকেই যারা বিভিন্ন কারণে কর্মস্থলে থাকছেন
না। আমাদের দ্বিতীয় বিপ্লব যেটাকে আমরা বলছি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমাদের যে বিপ্লব
সংগঠিত হয়েছে তারপরে যারা আন্দোলনে অতিরিক্ত (দমন নিপিড়ন) করেছে তারা কিন্তু নেই। এ
সংখ্যাটা নিতান্তই অল্প। আমরা ইউনিট অনুযায়ী স্টপ করে রেখেছি। এ সংখ্যাটা মাত্র ১৮৭
জন। ২ লাখ ১৪-১৫ হাজার বাহিনীর সদস্য সেখানে ১৮৭ জন তারা বিভিন্ন কারণে গরহাজির (অনুপস্থিত)
হতে পারে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, যারা গরহাজির
(অনুপস্থিত) সদস্য তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। কেন
তারা গড়হাজির সেই কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে? তাদের কর্মস্থলে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া
হয়েছে। তারা যদি না আসে আমাদের ব্যবস্থা ক্লিয়ার। তাদের আর চাকরিতে রাখার কোনো সুযোগ
নেই।
মন্তব্য করুন


সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা
গর্বিত।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে
ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজকে আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে, বাংলাদেশের তিনবারের
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মেলনে
অংশগ্রহণের সুযোগ পান নাই। আজকে সুযোগ পেয়েছেন, আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত। আমরা
এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সঙ্গে
শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমরা তার আশু রোগ মুক্তি কামনা করছি। এবং এই
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।
দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন
তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস এবং খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়া কুশল
বিনিময় করেন। খালেদা জিয়াকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় এবং তাদের হাস্যোজ্জ্বল কথাবার্তা
বলতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জানা গেছে, এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ২৬ নেতাকে সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন


দেশের
সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
প্রধান
উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে
আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার
চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো
হলো-
১।
চাহিদা ও জোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে
হবে। এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির
উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ
থেকে স্বস্তি পেতে সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।
২।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা
লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
৩।
ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কারের
বিষয়টি চলে এসেছে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে
দ্রুত কার্যক্রম নেওয়া হবে।
৪।
আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কারের বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে, যা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন


রমজান মাসে লোডশেডিং না
দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির করা হচ্ছে
বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রবিবার (২ মার্চ) আসরের নামাজের পর রাজধানীর সার্কিট হাউজ জামে
মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, রমজানে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি
আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি রমজান মাসে ইনশাআল্লাহ কোনো লোডশেডিং হবে
না।
তিনি বলেন, আমাদের যে গ্যাস ছিল সেই গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছি। এবারের রোজা কিছুটা
গরমের মধ্যে পড়ছে। এ সময় আমাদের সেচের জন্য অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। বিদ্যুতের
চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ থেকে ১০ হাজার
মেগাওয়াট। সেচ ও গরমের কারণে এই বিদুতের চাহিদা গরমে ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট
হয়ে যায়। এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট লাগে আমাদের সেচ কাজে। কিন্তু সেচ বন্ধ
করা যাবে না। সেচ বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বিদ্যুৎ চুরির বিষয়ে উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু
যে বিদ্যুৎ চুরি হয় তা নয়, গ্যাসও চুরি হয়। সেজন্য আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করছি। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, শীততাপ
নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বার জন্য ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে।
এজন্য আমরা ইমাম সাহেব এবং মুসল্লিদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি এসির
তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখার জন্য। এই ২৫ ডিগ্রি বেশ ভালো তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রায়
মানুষ খুব আরামে ইবাদাত করতে পারবে। জুয়েলারি শপেও যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বা না করা হয়। এজন্য আমি
এবং আমার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সহকর্মীরা সবার কাছে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কার কার্যক্রম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশকে সমর্থনে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তুতির কথা জানান।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি প্রধান মাইকেল মিলার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভূক্ত ২৭টি রাষ্ট্রের সমর্থন নিশ্চিত করে পাম্পালোনি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিতে চাই।’
পাম্পালোনি বলেন, সংস্কারের জন্য অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না এবং বাংলাদেশ সরকারের এই কাজ সম্পাদনের জন্য তারা প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেবে।
এই সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করায় প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তারা সেসময় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভন ডার লেয়েন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
পাম্পালোনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে অনেক দেশের পাশে এভাবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া আপনার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে এখন বাংলাদেশে আমাদের কাজ করার মতো একজন আছেন। আপনাকে একা অনুভব করতে হবে না। আমরা সত্যিই আপনাকে সমর্থন দিতে আগ্রহী।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশে আরও ব্যবসায় সুযোগ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারিতে এই দেশ সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, এর ফলে আরও বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে শ্রম অধিকারের বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখব। এখানে কোনো লুকোচুরি হবে না। আমরা আর লুকোচরির খেলা খেলতে চাই না।’
ইইউ কর্মকর্তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ইউনুসের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
পাম্পালোনি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা দেখছি এমন কিছু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আপনি নির্ধারণ করেছেন, যা নিয়ে আগে আমরা কথা বলেছি। সুতরাং আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখছি।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নেপাল এবং ভারতের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নেপালে বিশাল জলবিদ্যুৎ রয়েছে যা অপচয় হচ্ছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সহায়তা পেলে নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত সবাই এতে লাভবান হতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং দক্ষিণ এশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের সাম্প্রতিক অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তারা খেলতে গেছে এবং জয় করেছে, একবার নয়, বরং দু'বার।’
তিনি আরও অনুরোধ করেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন একটি ইউরোপীয় ফুটবল দল পাঠায় যা বাংলাদেশের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য করুন