

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
আজ বুধবার (অক্টোবর ২৩) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয় এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রধান পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাপ করেন।
হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন,
আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ছয়টি
প্রধান সংস্কার কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে
পরামর্শ করছেন।
মন্তব্য করুন


আগামী রোববার
থেকে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক
কার্যক্রম শুরু
হতে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা মুহাম্মদ
ইউনূস আগামী
১৮ অগাস্ট
থেকে স্বাভাবিক
শিক্ষা কার্যক্রম
শুরু করার
নির্দেশ দিযেছেন বলে বৃহস্পতিবার
মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের
এক অফিস
আদেশে জানানো
হয়।
এর আগে
গত মঙ্গলবার
প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
বুধবার থেকে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
শ্রেণি কার্যক্রম
পুরোদমে চালুর
নির্দেশনা দিয়েছিল।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতা সম্পন্ন
বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত
সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও রেয়াতি ডিকার্বনাইজেশন
ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে ক্লাইমেট ক্লাবের সাথে কাজ
করতে ইচ্ছুক।
এখানে
প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে
জার্মানি ও চিলি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ক্লাব নেতাদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন আরো বেশি দ্রুত
ও টেকসই উপায়ে হ্রাস এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৩ শতাংশ
কমাতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্যে পৌঁছানোর জন্য উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
সীমাবদ্ধ করতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি
বিশেষ করে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রমাণিত কম নির্গমন প্রযুক্তি
প্রদর্শন ও স্থাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, অনেক ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তির জন্য উলে¬খযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন। অর্থায়নের
সীমিত সুযোগ রয়েছে এমন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে
এ ধরণের অধিক মূলধন বিনিয়োগ করা শিল্পের জন্য একটি বাধা হতে পারে।
প্রধান
উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের শিল্পের জন্য
রেয়াতি অর্থের সুযোগ লাভকে উৎসাহিত করে শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে অর্থায়নের
জন্য আর্থিক ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি
বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬.৮ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি
এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আমদানিতে
সুষম কার্বন খরচ আরোপ করে একটি সুষম ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা সীমা
সমন্বয় করের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর জোর দিয়ে, ২০০৬ সালের নোবেল পিস লরিয়েট বলেন,
স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার প্রেক্ষিতে
অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।
শিল্পের
ডিকার্বনাইজেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমন বিশ্বব্যাপী স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি
ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে, কারণ কিছু খাত টেকসই ব্যবস্থা অনুশীলনের
তুলনায় ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, ‘এসব ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে ডিকার্বনাইজেশন
প্রচেষ্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্বন সীমা সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো নীতিগুলি
অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, এসব নীতি বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতামূলকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অধিক নির্গমন নীতির কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তাদেরকে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি
আরো বলেন, ‘অতএব, স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার
কারণে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, খণ্ডিত উপায়ে উচ্চাভিলাষী প্রশমন নীতিগুলো শিল্প কর্মকা-কে এমন অঞ্চলে
নিয়ে যাচ্ছে যেখানে কার্বন মূল্যের কোনো নীতি নেই বা কম কঠোর, যা কার্বন নির্গমনের
দিকে ধাবিত করে এবং এইভাবে সামগ্রিক বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যকে
বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি
বলেন, ইইউ প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) রপ্তানিকৃত
পণ্যগুলোতে নির্গমনের মান পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে এবং কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ করে সংশ্লিষ্ট
দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু নীতি শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করতে পারে।
তিনি
আরও বলেন, একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনকে সমর্থন করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও উদীয়মান বাজারে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন


সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং
তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫
এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ রোববার (১১ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে
এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ
এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার
নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোন ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী
কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন
দ্বারা, ঐ ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে
তালিকাভুক্ত করতে পারে। তবে বর্তমান আইনে কোন সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে
কোন বিধান নেই।
এই বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাস বিরোধী
আইন, ২০০৯ কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।
বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম
নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের
বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের
জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি
ইলেকশনস (এএনএফআরইএল)-কে আশ্বস্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এএনএফআরইএল এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা
এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদলে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র
কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম
কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট
আফসানা আমেই।
প্রধান
উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
এএনএফআরইএল
হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার
উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার
এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে,
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন
স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদলটি
অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা জোরদার এবং নির্বাচনী
স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে
চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে পুলিশ
এবং নির্বাচন কমিশনসহ প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহায়তা
করবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন
তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়,
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সৌজন্য সাক্ষাতে
তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা
বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত বিষয়ে আলাপ করেন।
গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া
সংস্কার উদ্যোগে সহায়তায় আগ্রহের কথা জানান এবং বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে
অসাধারণ ভূমিকা নেওয়ায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এটা ছিল গোটা জাতির জন্য এক অনন্য আন্দোলন। তার সরকারের
প্রধান কাজ প্রত্যেকের জন্য একটা ভালো উদাহরণ স্থাপন করা। এটা দেশের অর্থনীতি এবং প্রায়
সকল প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য বিরাট সুযোগ।
গোয়েন লুইস পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তা
বাহিনীর সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার পুলিশের সংস্কারের
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সারা দেশে সমন্বিত
তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি দেশে হয়রানি এবং দুর্নীতি হ্রাস
করবে। নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারে সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। সুতরাং আগামীতে অবাধ ও
সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত
বিষয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড
এবং ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইএলও আহত এবং মানসিক ট্রমাতে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা
করছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বিষয়ে
গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশের পূর্ব এবং দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বন্যা
পরবর্তী পুর্নবাসনে সহায়তা হিসেবে ৪ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে।
তিনি বলেন, বন্যায় বাংলাদেশে প্রায়
১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা
ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করেছে জাতিসংঘ।
দক্ষিণ এশিয়ায় আগাম বন্যা সতর্কতার
জন্য একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাতিসংঘের সহায়তা চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতিসংঘের আবাসিক
সমন্বয়ক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে আলাপ করেন।
তিন পার্বত্য জেলায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো
যে সাহায্য কাজ করেছে, তার চিত্র তুলে ধরেন গোয়েন লুইস।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে ড. মুহাম্মদ
ইউনূস রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য অধিকতর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জাতিসংঘের সহায়তা চান।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুয়েতে বাংলাদেশের
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন ।
বুধবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে গুরত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে
নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন
করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে
কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির
বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
আজ বুধবার (অক্টোবর ২৩) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয় এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রধান পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাপ করেন।
হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন,
আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ছয়টি
প্রধান সংস্কার কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে
পরামর্শ করছেন।
মন্তব্য করুন


সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক
৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন । নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো
হবে।
গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু
করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
পরে দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ
করে। ঈদের আগেই জাহাজটির মালিকপক্ষ নানা পর্যায়ে দরকষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা
আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আভাস দিয়েছিল।
জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে উদ্ধারের তৎপরতা
চলছে। বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের সুস্থ অবস্থায়
দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে
পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করা যায়নি। তবে আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই
তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। জলদস্যুরা কিছু একটা পাওয়ার জন্য জিম্মি করেছে নাবিকদের।
কিন্তু তাদের কত টাকা দিতে হবে এটা বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা ধোয়া বাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ও নগদ টাকা ফেলে পালিয়েছে দুই ভাই। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে আদর্শ সদর আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী সদর ক্যাম্প।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর্থা মিয়া বাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নজির মিয়া ও তার ভাই কাসেম সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা স্থানীয় শফিক মিয়ার ছেলে। পালানোর সময় নজির তার কাছে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থ ছাদ থেকে ফেলে দেয়।
পরে সেনা সদস্যরা সেখান থেকে ১ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৩ হাজার ৩৯০ টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর ক্লা হয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছেন, aসেনাবাহিনার এ ধরনের অভিযান এলাকায় মাদক কারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা দ্রুত পলাতক পালিয়ে যায়। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের কারনে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন


১১তম
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাতে মিশর যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাত ১টায় তিনি কায়রোর
উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম-সাময়িক
ইস্যুতে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ব্রিফিংয়ে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী
প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
উপ-প্রেস
সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন,
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান এতে যোগ দেবেন। এর মধ্যে রয়েছে
ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান।
মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ও নাইজেরিয়ার একজন উচ্চপস্থ কর্মকর্তা প্রতিনিধিত্ব
করবেন। ইনভেস্টিং
ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরো'স ইকোনমি’ সম্মেলন
ভবিষ্যতের অর্থনীতির জন্য যুব ও এমএসএমই ইস্যুতে সংস্থাটির গুরুত্বকে তুলে ধরে।
এজন্য এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণদের নিয়ে বৈশ্বিক
সস্মেলনে কাজ করতে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। এসএমই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কীভাবে কাজে
লাগানো যায়, সেই
বিষয়গুলো এখানে আলোচনা হবে।
সম্মেলনে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান,
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং মিশরের
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি উপস্থিত থাকার কথা।
ডি-৮
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন,
যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। সংস্থাটি বাংলাদেশ, মিশর,
ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান
এবং তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত। কায়রোতে
অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম
এন্টারপ্রাইজ, শেপিং
টুমরোস ইকোনমি’।
মন্তব্য করুন