ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন ও আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এএফআইপি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম, সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করেন তিনি।
আইএসপিআর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারসহ জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) বিভাগের জন্য এ নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সাবেক নেতারা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আসছেন। এরা সবসময় আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তারা ইলেকশন করবেন, করতে চান। আমাদের কথা একটাই নির্বাচন ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে, আপনারা যেভাবে দল ভেঙে নতুন দল করেছেন, সেভাবেও আসুন বা আপনারা যেভাবে আসতে পারেন আসুন। আমাদের তরফ থেকে আপনাদের স্বাগত।
নির্বাচন কমিশন তো আহ্বান জানিয়েই দিয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছেন। আমরা তো একটা দল, আমরা তো তাদের আহ্বান করতে পারি না। তারা নিজেরা নির্বাচন কমিশনে যাবেন, তাদের যদি কিছু বলার থাকে বলবেন। আমি যদি এভাবে বলি বিএনপির সিদ্ধান্তটাই তাদের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। যার প্রমাণ আমি দেখালাম। তারা আরও দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতারাই ভাগ করেছেন। একটায় গেছেন তৈমূর আলম খন্দকার আর একটায় শমসের মবিন চৌধুরী। এরা সবাই বিএনপির প্রমিনেন্ট নেতা, তারাই ভাগ হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে
চায় বাংলাদেশ, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি
সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’
উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক, আমরা
সেটা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি
সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে যুদ্ধ করা হচ্ছে। সেজন্য দেশে
আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন ও
সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে
স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও
প্রশিক্ষিত হবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের
পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
নতুন
বছরের শুরুতেই নতুন বইয়ের ঘ্রাণ পাবে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী। প্রথম দিনে একযোগে সারাদেশের
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে বই উৎসব।
সোমবার
(১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসব শুরু হয়।
রাজধানীর
মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাথমিক পর্যায়ের বই উৎসবের কেন্দ্রীয়
অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা
নতুন বই উঁচিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের
সচিব ফরিদ আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এরআগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড জানিয়েছে, ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী পাবে বিনামূল্যে নতুন বই। বই উৎসবে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি বই বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
আজ সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৌদির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। সৌদি আরবে ইসলামে নারীবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরের সমন্বয়ে সৌদি আরব এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সৌদি আরব সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় তিনি মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। রাতে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে মদিনা থেকে জেদ্দায় যাবেন। জেদ্দা থেকে রাতেই তিনি মক্কা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন ও মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার হিলটনে তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইসলামে নারীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন।
জেদ্দার হিলটনে সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
রাতে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে দেওয়া নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরো বেশি অভিযান পরিচালনা করা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরো বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।
(২ মার্চ) শনিবার সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
সামন্ত লাল বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
ঐতিহাসিক
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার
(এপ্রিল ১৭) সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর
প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
প্রথমে
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর
স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি
হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে যান এবং সেখানে
বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন
ইউনিটসহ দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।
শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল লিখেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি আপনি পুন-নিয়োগ পাওয়ায় আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার উল্লেখ করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং অন্যান্য সব অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেন, আমাদের সহযোগিতাকে বিস্তৃত এবং আধুনিকীকরণের উদ্দেশে একটি অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা শিগগির শুরু হবে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল আরও বলেন, এ চুক্তি আগামী বছরগুলোতে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি শক্ত কাঠামো তৈরি করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের কাঠামোর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের অংশীদারত্বকে সমুন্নত রাখতে এবং অগ্রসর করতে এ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সাফল্য কামনা করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল চিঠিটি শেষ করেছেন এ বলে, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আমার সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস গ্রহণ করুন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী
মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ
সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার মহান মে দিবস ২০২৪
উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,আমি বাংলাদেশসহ
বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বের অন্যান্য
দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ
ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ২০৪১
সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে
শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ
শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত
করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি
ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং
শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ
২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল
এক অনন্য মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার
পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ
শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করা নিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন
বলেন, শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস
দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, টেকসই শিল্প
ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক
সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের
সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন
এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সকলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন
এ প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি মহান মে দিবস
২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
মেডিকেল ও লাইফ সাইন্সের অন্যান্য শাখার উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের জন্য একটি বিশ্বমানের জাতীয় বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বায়োব্যাংক আশাবাদের প্রতীক-যা আমাদের একটি উন্নত ও স্বাস্থ্যকর বিশ্বের দিকে পরিচালিত করবে। আসুন আমরা এই বায়োব্যাংককে বাস্তবে পরিণত করতে একসঙ্গে কাজ করি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বায়োব্যাংকিং: রোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে একটি যৌথ পদ্ধতি’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্লিনিক্যাল কেয়ার, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বেশ কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের সাংবিধানিক এবং বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, তারা গ্রামীণ পর্যায়ে প্রায় ১৮,৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছেন। আমরা চিকিৎসা খাতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা চালু করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, নির্ভরযোগ্য ক্লিনিক্যাল ডেটা অবকাঠামোসহ বায়ো ম্যাটেরিয়ালের অভাবে বিস্তৃত চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কম প্রতিনিধিত্বের একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ), ব্রাসেলসে বাংলাদেশের দূতাবাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের জাতীয় বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার একটি ভিত্তি তৈরি করা। একটি বায়োব্যাংককে সাধারণত মানব জৈবিক নমুনা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে একটি পদ্ধতিগত উপায়ে সংগঠিত সংশ্লিষ্ট তথ্যের সংগ্রহশালা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলটেবিলে অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটি সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতা এবং বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের কোটি কোটি নাগরিকের মঙ্গল ও কল্যাণ জোরদার করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ায় আমরা এখানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা করেন, এটি রোগ নির্ণয়, প্রতিরোধ এবং ব্যক্তিগতকৃত যত্নের ক্ষেত্রে সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এ ধরনের সুবিধাগুলোর ব্যবস্থা করার সক্ষমতা রয়েছে। এই বায়োব্যাংকের অবদান শুধুমাত্র একটি আর্থিক বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি মানবিক কাজ। এটি বিশ্বের একটি আশার প্রতীক। সেখানে প্রত্যেকের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ থাকবে।
মন্তব্য করুন
আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রামে আরও ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয় সহ এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
চট্টগ্রামে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী-
নগরের সিরাজউদ্দৌলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক (বাকলিয়া এক্সেস) নির্মাণ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বহিঃসীমানা দিয়ে সুপ রোজ নির্মাণ সহ ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লালখান বাজার হতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনীতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরী ভবন নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, জেলা সমাজসেবা কমপ্রেক্স নির্মাণ, মহেশখালী জিরো পয়েন্ট (কালাদিয়ার চর) - সিটিএম এস (ধলঘাটপাড়া) গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে আমান উল্লাহ ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (ওয়ার্ড নং-০১) নির্মাণ কাজ (টাইপ-বি), মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন প্রকল্প, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন, নির্বাচিত বেসরকারি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ প্রকল্প ও ইউরোপিয়ান সংস্থা, মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যেগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মুরালী খালের ওপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেলালাপাড়া সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন