দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ
করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো
শুভেচ্ছা বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোয় অস্ট্রেলিয়া ও
বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ। ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন,
অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা
করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে
চান বলেও উল্লেখ করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা (জনপ্রতিনিধি) জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা যদি আপনারা নিশ্চিত করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে আপনাদের ভোটের চিন্তা থাকবে না।
(এপ্রিল ০৪)বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এবং কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সরকার সুষম উন্নয়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে টানা চারবারের সরকার প্রধান বলেন, প্রত্যেকটা এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি, আমাদের উন্নয়নের সমস্ত লক্ষ্য গ্রামের মানুষ। সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের প্রত্যেক গ্রামের সমান উন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা যদি আপনারা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের ভোটের চিন্তা থাকবে না। মানুষই আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে।দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে সবাই যেন দূরে থাকে।
আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের আগে যেটা দরকার, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছে, তখন এ দেশের মানুষ অন্তত পক্ষে এটুকু পেয়েছে যে, সরকার জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে। যে কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের উন্নত সেবা প্রদান, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা হলো সরকারের লক্ষ্য। ইতোমধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি আমার গ্রাম আমার শহর। অর্থাৎ গ্রামের মানুষ নাগরিক সকল সুবিধা পাবে।
তিনি বলেন, আজকে গত ১৫ বছরে আমি অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকে যার বয়স ১৫ বছর, সে হয়তো ভাবতেও পারবে না যে, ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের আগের বাংলাদেশ কী অবস্থায় ছিল! আজকের বাংলাদেশে সেখান থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে; পাঁচ গুণ আমরা বৃদ্ধি করেছি। সব থেকে বড় কথা দারিদ্র্যের হার আমরা পেয়েছিলাম ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ। আমরা তা কমিয়ে ১৮ দশমিক সাত শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, অন্তত আমরা ১৬ বা ১৭ শতাংশে নামিয়ে আনব। যেটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থান।
অতি দরিদ্র প্রায় ২৫ ভাগের ওপরে ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেটা আমরা পাঁচ দশমিক ছয় ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এত দ্রুত অতি দরিদ্রের হার কমানো, আমার মনে হয়, পৃথিবীর কোনো দেশ এটা পারেনি। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে, এটা আওয়ামী লীগই পারে। তার কারণ হচ্ছে, আমরা খুব পরিকল্পিতভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি এবং আমরা লক্ষ্য স্থির করে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের এখন লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশে কেউ আর ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, অতি দরিদ্র বলে কেউ থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা সেটা করতে পারতাম, যদি কোভিড-১৯ এর মহামারি না দেখা দিত। আর এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হতো, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি; প্রত্যেকটা খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তেলের দাম বেড়ে গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে— এগুলো যদি না হতো, আমরা কিন্তু আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারতাম। আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও কমাতে পারতাম।শপথ নেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র একরামুল হক টিটু।
একই অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল মিয়া এবং হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তার।
পরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
একমাত্র
নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে সবাইকে
সকাল বেলা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার
(২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে নির্বাচনী
জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ,
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।
এই নির্বাচনে একেবারে সকাল বেলা উঠে
যারা ভোটার তাদের নিয়ে সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
এ নৌকা মার্কা আপনাদের
জীবনমান উন্নত করেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আপনাদের সেবা করার আরেকটিবার
সুযোগ আমাদের দেবেন, যাতে আপনাদের প্রত্যেকের
জীবন উন্নত-সমৃদ্ধ করে দিতে পারি।
নৌকা মার্কা নূহ নবীর নৌকা
মার্কা, সেই মহাপ্লাবনে মানুষকে
বাঁচিয়েছিল। নৌকা মার্কা, যে
নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা
স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কা,
যে নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আজকে উত্তরবঙ্গ মঙ্গামুক্ত
হয়েছে। এখন আর মঙ্গাপীড়িত
এলাকা নেই, মঙ্গা থেকে
মুক্ত হয়ে এখন উন্নয়নের
সুবাতাস বইছে। একটা কথা মনে
রাখবেন, বাবা-মা-ভাই
সব হারিয়েছি। রিক্ত-নিঃস্ব আমি, আমার তো
হারাবারও কিছু নেই; পাওয়ারও
কিছু নেই। কিন্তু আপনারা
ভালো থাকুন, আপনাদের জীবন সুন্দর হোক,
আপনাদের ছেলেমেয়েরা বংশ পরম্পরায় সুন্দর
জীবন পাক সেটাই আমার
লক্ষ্য। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়েছেন, আমরা আপনাদের সেবা
দিচ্ছি। এটা হচ্ছে জাতির
পিতার স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আমরা
পূরণ করে দিচ্ছি। জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
দেশে কোনো মানুষ অবহেলিত
থাকবে না। এটাই আমার
কথা আর সেভাবেই আমরা
কাজ করে যাচ্ছি। আমরা
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, আজকে
আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এই
বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ
হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায়
থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে।
সবশেষে বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
মন্তব্য করুন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু অ্যাপের শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবনে অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়। অ্যাপটি তৈরি করেছে দুর্বার টেকনোলজিস লিমিটেড।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই মানুষ জাতির পিতার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সম্পর্কে জানতে পারবে। সেই সঙ্গে আমাদের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাপটি তৈরির মহতী উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রেরণা ও দিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এস এম ফারুকী হাসান, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, লুৎফুর রহমান, রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, লে. কমান্ডার মসিউল, জামিলুর রহমান ও মো. সুমন মিয়া।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াত বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এরা পরাজিত শক্তির দালাল, এদের না বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেল লাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলে, এরা তো পরাজিত শক্তির দালাল, মনে রাখতে হবে এরা পরাজিত শক্তির দোসর। কাজেই এদের না বলুন।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশে রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নেই। কারণ খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ—এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই।
‘এরা ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। এরা মানুষ খুন করতে পারে, মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষকে উন্নতি দিতে পারে না। কাজেই তাদের থেকে সাবধান।’
আওয়ামী লীগের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে; তারা শান্তিতে বাস করবে উন্নত জীবন পাবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা এদেশকে আর কখনো এই পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেব না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে এবং এগিয়ে যাবে জাতির পিতার ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সারা দেশে তারা অগ্নি-সন্ত্রাস করে যাচ্ছে, তাদের আন্দোলন কী, অবরোধ-হরতাল। তাদের দেখা নেই; কয়েকটা গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রেল লাইন কেটে দেওয়া, বাস পোড়ানো; এটাই হচ্ছে তাদের হরতাল, এটাই হচ্ছে তাদের আন্দোলন।
তিনি বলেন, তারা নাকি জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের জন্য আন্দোলন করে। তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করবে। আরে গণতন্ত্র বানান করতে পারবে? আর গণতন্ত্র তারা শিখেছে? ওর (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান) বাপ কি গণতন্ত্র দিয়েছিল? ওটা তো কারফিউ গণতন্ত্র ছিল।
বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি মাঠে নামে এরা হালে পানি পাবে না। কাজেই আমি জনগণের কাছে আহ্বান করবো, সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এখন তাদের নানা রকম চক্রান্তও শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই চক্রান্ত হয়। কিন্তু এদেশের মানুষের শক্তি হচ্ছে বড় শক্তি, আমি যেটা বিশ্বাস করি। সেই শক্তি আছে বলেই আমরা পরপর এক টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ থাকলে এদেশের মানুষ সেবা পায়।
টানা তিন মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে হেয় চোখে দেখা হত। পাকিস্তানিরা বোঝা মনে করত, এটা চলে গেলেই ভালো। আজকে তারা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর
দিতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত
প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর
দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । দেশের উন্নয়ন
পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯
বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা
কমিশনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি
কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয়
নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয়
হয়েছে তা মেটাতে আরও
বেশি কাজ করতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য- স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু
করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ
বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড়
পাওয়া যায় সেদিকে নজর
দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের
দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।
দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে
হবে। জমি অনাবাদি রাখা
যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে
হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে
বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা
নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প
পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক
নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে
একটি গাইড লাইন করা
যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ
প্যানেল’ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
প্রণয়নে খুব বেশি আউট
সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা
যাবে না। পাট ও
পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে।
পানি ও নৌ-পরিবহন
খাতে নজর দিতে হবে।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈঠকে
কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী
আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর
রউফ তালুকদার। বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন
হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। কমিটি
২ মাস পর রিভিউ
করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের
প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে
টাকা ছাড় হচ্ছে কি
না, এসব বিষয় দেখভাল
করবে এ কমিটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় চেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘চেক প্রজাতন্ত্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা আমি গভীরভাবে মূল্যায়ন করি এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা আমাদের উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে তা আরও গভীর ও জোরদার ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখব।’তিনি শেখ হাসিনাকে অভিন্ন স্বার্থে সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক স্তরে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে আরও উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের আশ্বাস দেন।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে আপনার দাবিকৃত কাজের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।’
সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ।
সোমবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বিজিবিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে। নিশ্ছিদ্র নজরদারি এবং আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিলেন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তার সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বিওপি, নীলডুমুর, কাচিকাটা ভাসমান বিওপিতে রাডার স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে। অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে বিজিবির অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়ানোয় কাজ ও দক্ষতার প্রতি তাদের আগ্রহ বহুগুণ বাড়বে।
বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’পাস করেছি। একইসঙ্গে একটি আধুনিক, শক্তিশালী, দক্ষ ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আজ গড়ে উঠেছে। এখন তারা জল, স্থল ও আকাশপথের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ প্রণয়ন করেছি। যেভাবে আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ ‘উন্নত সমৃদ্ধ দেশ’ হিসেবে গড়তে চাই, আমাদের বিজিবিও তেমনি একটি স্মার্ট বাহিনী হবে। বিজিবি ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী এ বাহিনীতে আরও ১৫ হাজার জনবলের পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। কমব্যাট ড্রেস দেওয়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা যেন আরও উন্নত হয়, তার যথাযথ ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে এবং তাদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমুখী ব্যবস্থাও প্রবর্তন করা হয়েছে। বিজিবিকে আমরা বিশ্বমানের চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিজিবিতে সৈনিক পদে মোট ৩৫ হাজার ৫১৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। ৫৫ হাজার ১৮৭ সদস্যকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং আমরাই প্রথম বিজিবিতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এ পর্যন্ত বিজিবিতে ৯৯৬ জন নারী সৈনিক ভর্তি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা চাঁদপুর সড়কের মহানন্দ নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মরদেহ গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দ্রুত গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতে। এটা আমরা গত এক মাস যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করতেছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটা ভালো পরিস্থিতিতে আছি। এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও এটা ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন,ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের দিন দুপুরে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া আসনটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে ‘জাল ভোটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে একজনকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এসময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায় তাকে।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিনে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মন্তব্য করুন