অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রাজধানীর সচিবালয় এলাকায়
আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় সমন্বয়ক
হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন ।
রোববার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলে আসেন তারা।
ঢামেকের হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাইদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসেছেন।
তারা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে ওসেকে প্রবেশ করেছেন।
রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে
দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায়
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা
কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে।
তারও
আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার
বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত
৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে ৩টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের আস্থা ফেরাতে কাজ করবে নতুন সরকার।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আজকে আমার আবু সাঈদের (রংপুরে গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে।’
দেশের কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানিয়ে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, যদি আমাকে বিশ্বাস করেন তাহলে সারাদেশে চলমান হামলা বন্ধ না করেন। তা না করলে আমার এখানে প্রয়োজন নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। এই স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
এসময় তিনি তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যেন নিজেদের মতো করে দেশটা সাজাতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ বৃহস্পতিবার শপথ নিতে যাচ্ছে। এদিন রাত সাড়ে ৮টা শপথ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে ফ্রান্সের প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরপর দেশে ফিরলেন।
মন্তব্য করুন
ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেছেন, ‘ত্রাণ ও
পুনর্বাসন কর্মসূচি সমন্বয় কমিটি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে। সেটি আবার মানুষের
কাছে প্রকাশ্য তুলে ধরা হবে। তাই ১০ টাকার জিনিস এখন আর ১০০ টাকা দিয়ে কেনা যাবে
না।’
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য
সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ লন্ডনে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয়
চার্লসের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম
নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের
বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আজ সকাল ১১:২০ মিনিটে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়, যা
ছিল একেবারে ব্যক্তিগত।
বৈঠকে
বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রেস
সচিব শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম
সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করেন। প্রায় ৩০ মিনিটের এ বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ
ছিল। যেহেতু রাজা চার্লস বহুদিন ধরে প্রফেসর ড. ইউনূসকে চেনেন, সেহেতু নানা বিষয় নিয়ে
তাদের আলোচনা হয়েছে।
প্রেস
সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, এই পুরো সফরের মধ্যে আমি বলব, এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ঘটনা।
একান্ত
সাক্ষাতের পর, রাজা ও রাণীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি ছবি উপহার হিসেবে প্রফেসর ড. ইউনূসকে
প্রদান করা হয়, যা প্রধান উপদেষ্টার জন্য একটি বড় সম্মানের ছিল বলে জানান প্রেস সচিব।
বাকিংহাম
প্যালেসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসকে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের জন্য স্বাগত জানান
রাজা চার্লস।
নিয়মিত
কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজা চার্লস এমন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দেন, যারা
তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন- বিশেষ করে যারা রাজকীয় নিয়োগ
পেয়ে থাকেন বা তাদের নামে প্রদত্ত পুরস্কার গ্রহণ করছেন।
ব্যক্তিগতভাবে
সাক্ষাৎ করে বা ‘অডিয়েন্স’
প্রদান করে রাজা চার্লস নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের কাজের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন এবং
তাঁদের সম্পর্কে আরও জানার পাশাপাশি রাজকীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সুযোগ করে দেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ঢাকা এখন
ব্যবসার জন্য প্রস্তুত এবং উভয় দেশকে তাদের সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো
উচিত।
সোমবার (১৪ অক্টোবর)
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন অধ্যাপক
ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়দেশকে আররো জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব
আরোপ করেন।
বৈঠকে তারা মুসলিম
সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা
বাড়ানোর উপায়, রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং শিক্ষার্থী বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাাপক
ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় তুরস্কের মানবিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের
প্রতি অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্য তুরস্কের প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক
সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে তুরস্কের একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদলের সফরের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
ও ফার্স্ট লেডিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত
গত বছর তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দশ হাজার তাঁবু পাঠানোর
জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আসন্ন
ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট এবং ইস্তাম্বুলে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি সম্মেলনে যোগদানের জন্য
তুরস্ক বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান,
তুরস্কের একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে, যারা মূলত নতুন ব্যবসা
ও বাণিজ্যিক সুযোগ খুঁজে বের করতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা
করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন,‘আমরা অর্থনৈতিক
ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত বলেন,
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যার সময় তুরস্কের আরেকটি দল দেশটি সফর
করেছে। তারা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় বন্যার্তদের জন্য মানবিক সহায়তা
প্রদান করেছে।
তিনি জানান, দুই দেশের
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বর্তমানে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, তবে উভয় দেশ থেকে
রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ এখনো রয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন,
তুরস্কের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের একটি উচ্চ
পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল দেশটি সফর করার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি জানান, তুরস্কের
বাণিজ্যমন্ত্রী এই বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের
মধ্যে নির্বিঘ্ন নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের
নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ (৭ অক্টোবর) কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর উপর বিদ্যমান পুরাতন
সেতুর পাশে ১১,৫৬০.৭৭ কোটি টাকার নতুন রেল-কাম-সড়ক সেতু প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত
চলতি অর্থবছরের (অর্থবছর ২৫) তৃতীয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন
দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের
ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, দিনের বৈঠকে
মোট আনুমানিক ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া
হয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে ৭,৭৪৬.৬৬ কোটি টাকা, প্রকল্প
সহায়তা থেকে ১৬,০১২.৩৩ কোটি টাকা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৫৩.৯৫ কোটি
টাকা আসবে।
অনুমোদিত চারটি
প্রকল্পের মধ্যে দু’টি নতুন ও দু’টি সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া বৈঠকে ব্যয় না বাড়িয়ে সাতটি
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়
২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রেল-কাম-সড়ক সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ।
মোট ১১,৫৬০.৭৭
কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৪,৪৩৫.৬২ কোটি টাকা আসবে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে
এবং বাকি ৭,১২৫.১৫ কোটি টাকা আসবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক
ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটিজ (ইডিপিএফ), কোরিয়া থেকে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান,
কালুরঘাটে বিদ্যমান সেতুটি পুরনো ও জরাজীর্ণ হওয়ায় এ ব্যাপারে নতুন প্রকল্পের কথা বিবেচনা
করা হয়েছে।তিনি বলেন, সরকার কক্সবাজারকে আরও উন্নত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তর
করতে চায়। এছাড়াও মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংলগ্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের
জন্যও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার মনে করেছে, এ ক্ষেত্রে একটি নতুন
প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।
পরিকল্পনা কমিশনের
একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নির্বিঘ্ন
ও নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করা এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ
তৈরি করা। রেলপথ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে পুরানো ও জরাজীর্ণ কালুরঘাট
সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারে না। এছাড়া মাতারবাড়ী
গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে, এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনি এ রুটের
গুরুত্বও বাড়বে। ইতোমধ্যেই দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালুর মাধ্যমে ঢাকা ও কক্সবাজারের
মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ফলে পর্যটন নগরীর সঙ্গে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ
নিশ্চিত করতে বিদ্যমান পুরাতন সেতুর পাশে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন রেল-কাম-সড়ক
সেতু নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে
এবং এইভাবে কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে অনুমোদিত হয়েছে।
বর্তমানে দেশের
আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমের ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। প্রস্তাবিত
প্রকল্পটি চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে নির্বিঘ্ন
রেল যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নতুন সেতুটি নির্মিত হলে, এই অঞ্চলের বিভিন্ন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চলে অবস্থিত কল-কারখানার পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম
হবে। মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০০ মিটার রেল-কাম-রোড ব্রিজ নির্মাণ,
৬.২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ, ২.৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪.৫৪ কিলোমিটার বাঁধ,
১১.৪৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কাজ।
অতিরিক্ত ৬,৫৭৩.৯৬
কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় সংশোধিত মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়নের অনুমোদন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা
বলেন, এটি একটি বড় প্রকল্প। প্রকল্পটির ভূ-রাজনৈতিক দিকও রয়েছে। তিনি বলেন, এই বন্দরের
অর্থায়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন,
মাতারবাড়ী বন্দরে প্রয়োজনীয় কাজ এখনো শুরু হয়নি এবং বন্দরের উন্নয়নে রাস্তা নির্মাণ
করা হবে।
সভায় অনুমোদিত
অন্য দুটি প্রকল্প হল- সাজেক রোড কানেক্টিভিটি, প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর
মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, ৩৭৬.৯৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে দ্বিতীয় সংশোধিত ও ৫,৯০১.২২২
টাকা দিয়ে রেসিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইইউটিডিপি)।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
রোববার
(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত
এক আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের
বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতীতের ভঙ্গুর নির্বাচনী পরিস্থিতির কারণে জনগণের মধ্যে
ভোটবিমুখতা তৈরি হয়েছিল, তবে এখন তারা আবারও ভোটের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সানাউল্লাহ
আরও বলেন, এবারের ভোটার তালিকা হতে হবে স্বচ্ছ, যাতে কেউ ভুয়া বা অস্বচ্ছ তালিকার অভিযোগ
তুলতে না পারে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং নারী ভোটাররা
যাতে বাদ না পড়ে, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন রাতের ভোট দেখতে চায়
না এবং কোনো পক্ষের কর্তৃত্বও মেনে নেবে না।
নির্বাচন
কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার স্বীকার করেন, অতীতের নির্বাচনগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং
এর দায় এড়াতে পারে না নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ভুলের দায় শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
নয়, একজন সাধারণ কর্মচারী পর্যন্ত এ দায় বহন করে।
তিনি
আরও বলেন, কমিশন কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
অন্যদিকে,
ইসি সদস্য আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, কেবল মুখের কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে নির্বাচন
কমিশন নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করবে।
ইসি
সদস্য তাহমিদা আহমদ বলেন, ভোট যেন আর আবদ্ধ কক্ষে না হয়, সেজন্য খোলা মাঠে ভোট আয়োজনের
কথা ভাবতে হবে।
মন্তব্য করুন
শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন । শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে শপথ নেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে তিনি তার গাড়িবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এর আগে বিএনপির নেতারা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
তার আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এরপর বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারও ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকব না।
নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়করা) দেশকে রক্ষা করেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি
সই করেছে ।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই
হয়।
এর মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিন সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই করে উভয় দেশ।
‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।
এ দুটি হলো—বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক
নথি সই।
নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো—বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও
সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির
ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক; যৌথ ছোট
স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক এবং ডিফেন্স স্টাফ কলেজের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
নবায়নকৃত তিন সমঝোতা স্মারক হলো—মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা
স্মারক।
এর আগে সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোটর বহরকে পাহারা দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে ফোরকোর্টে নিয়ে যায়।
এরপর এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার
দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সশস্ত্র সালাম গ্রহণের
পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাইন অব
প্রেজেন্টেশনে দুদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের
পরিচয় করিয়ে দেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনের এ কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জাতির পিতা
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাট যান। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে যান। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১ মার্চ) দেয়া বাণীতে দেওয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান-
বাণীতে তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই।
রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটানো এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগ-বিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার করি এবং জীবনের সর্বস্তরের পরিমিতিবোধ, ধৈর্য্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি।
সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।
সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস মাহে রমজান আজ আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা লাভের অপ
সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।
মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ক্ষমা ও হেফাজত করুন, আমিন।
মন্তব্য করুন
আগামী বছর ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির
তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী
আদেশ মিলিয়ে মোট ২৬ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৯ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শুক্রবার
৫টি ও শনিবার ৪টি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে
পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আগামী বছর সাধারণ ছুটি ১২ দিন ও নির্বাহী
আদেশের ছুটি ১৪ দিন। ছুটি গত বছর থেকে মোট ৪ দিন বেড়েছে।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত বিষয়সমূহ হলো:
(১) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের
গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক
ছুটির দিন (৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(২) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ
ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এর মধ্যে ৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার
ও ২টি শনিবার)।
(৩) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের
কর্মচারীদের বছরে অনধিক ০৩ দিনের এচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
(৪) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর
বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব
বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ২ দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে
একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (০১টি শনিবার)।
(৫) ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১২ দিন
সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ
প্রস্তাবিত মোট ছুটি (০৯ দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ৫টি শুক্রবার ও ৪টি শনিবার ব্যতীত)
২৬ - ০৯ = ১৭ দিন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের অনুমোদিত
মোট ছুটি (২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ব্যতীত) ছিল ২২ - ০২ = ২০ দিন।
মন্তব্য করুন