

বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন । তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) নিয়ে আসা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সচিবালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ওসেকে তার চিকিৎসা চলছে। সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরি বিভাগের ওসেকে তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে।
তারও
আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার
বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত
৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন


চলতি মাসে দেশের রাজনীতিতে নতুন দল নিয়ে আসছে ছাত্র-তরুণরা। আর এ দলে শীর্ষ ছয় পদে কারা থাকবেন, তা-ও প্রায় চূড়ান্ত।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া এ দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠকের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নামে দুটি পদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নতুন
দলের আহ্বায়ক হিসেবে শুরু থেকেই আলোচনায় রয়েছেন গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ
ইসলাম। তার মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের
কারও কোনো আপত্তি নেই।
এ ছাড়া দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে দেখা যেতে পারে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে।
তবে
দলের সদস্যসচিব কে হবেন, তা নিয়ে ছিল মতবিরোধ। সমঝোতার ভিত্তিতে সেই মতবিরোধও বিদায়
নিয়েছে। এই পদে আখতার হোসেনের নাম এখন অনেকটাই চূড়ান্ত। তিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক
কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আলী আহসান জোনায়েদের (শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি) নাম বিবেচনায় রয়েছে। আর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে দেখা যেতে পারে।
শীর্ষ ছয় পদের বাইরে নতুন দলে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা, আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়, মাহবুব আলম ও অলিক মৃ গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।
গত বুধবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সেই প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরই মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের আয়োজনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতার সমন্বয়ে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি (সম্ভাব্য তারিখ) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বিভিন্ন দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য কয়েকটি উপকমিটিও করা হয় ওই সভায়।
তবে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত নতুন দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি।
এ নিয়ে নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেন, নাগরিক কমিটি সবাইকে নিয়েই পথ চলতে চায়। সেই জায়গা থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলো নিয়ে একধরনের বোঝাপড়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আলী আহসান জোনায়েদের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এদিকে নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে নাহিদ ইসলাম যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে।
এ
বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রাজনৈতিক দলে নাহিদ
ইসলামকে আমরা প্রত্যাশা করছি। তারও মৌন সম্মতি রয়েছে। তবে পদত্যাগ করা পর্যন্ত অপেক্ষা
করতে হবে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২০২৪ সালে আপনার বিজয়ের জন্য আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আনন্দিত।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক হলেন মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান।
সোমবার
(১২ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততে
এ তথ্যসহ আরো জানানো হয়েছে যে, মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক,
মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজকে কমান্ড্যান্ট এমআইএসটি এবং মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব
সাজ্জাদ মাহমুদকে আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আগামী নির্বাচন ও গণভোটে শতভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের নির্বাচন গতানুগতিক কোনো নির্বাচন নয়; বরং এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য পদায়নকৃত ৫০ জেলা প্রশাসকসহ ৬৪ জেলার প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামী নির্বাচনকে শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের একটি নির্বাচন নয়; বরং গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন। জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”
“এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন; এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানকে
পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য নির্ধারিত হবে
শতাব্দীর গতিপথ,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এই নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ
করে তিনি বলেন, কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি
নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের যা যা
জানা প্রয়োজন সব জেনে নেবেন। নির্বাচনকে একই সঙ্গে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ করতে
হবে।”
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে বিপুল সংখ্যক তরুণ ও নারী ভোটার রয়েছেন,
যারা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হলেও গত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনের
বিষয়ে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তাঁরা দেখতে চান কেমন নির্বাচন হচ্ছে—এটা নিয়ে
তাঁদের গভীর আগ্রহ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই নির্বাচনকে স্বার্থক করা গণঅভ্যুত্থানের
প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই নির্বাচন একটি বিরাট অভিযান, এ অভিযানে আমাদের
জিততেই হবে।”
তিনি বলেন, “স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এ লড়াইয়ে আমাদের
জিততেই হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও
উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা
প্রফেসর আসিফ নজরুল।
অনুষ্ঠানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকার বিভাগীয়
কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক এবং বগুড়ার
জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন


ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই
নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড গতকাল শনিবার রোমে
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন
দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক
অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তাঁরা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাজের প্রতি
গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের
বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে
তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন
করে নিতে পারতেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,তিনি একজন অসাধারণ
মানুষ ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস উল্লেখ করেন,
পোপ ফ্রান্সিসের দায়িত্ব পালনকালে বহুবার তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং কীভাবে ভ্যাটিকান
ব্যাংকের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁর লেখা একটি সমালোচনামূলক চিঠি ভ্যাটিকানের
সরকারি পত্রিকা এল ওসারভেটরি রোমানোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল, তা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমি লিখেছিলাম কিভাবে ভ্যাটিকান
তার ব্যাংককে দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে পারে। আমি ব্যাংকের কার্যকারিতা ও বিতর্ক নিয়ে
সমালোচনা করেছিলাম। তবুও, পোপ সম্পূর্ণ চিঠিটি প্রকাশ করেছিলেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও জানান, পোপ ফ্রান্সিস
তাঁকে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কার এবং চার্চের দরিদ্রবান্ধব উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে
বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন।
গত নভেম্বরে, রোমে পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস
থ্রি জিরো ক্লাব উদ্বোধন করা হয়, যার লক্ষ্য অধ্যাপক ইউনূসের ‘শূন্য বেকারত্ব, শূন্য
সম্পদ মজুদ এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমন’ ভিশন বাস্তবায়ন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, আমি
মুসলিম, তবুও পোপ ফ্রান্সিস কখনোই তাঁর নাম একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সাথে যুক্ত হওয়া
নিয়ে আপত্তি করেননি।
তিনি আরও জানান, তাঁকে ক্যাথলিক চার্চের
পক্ষ থেকে সেন্ট ফ্রান্সিস অব অ্যাসিসির টর্চ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল, ১৩ শতকের ইতালিয়ান
সাধক ও মিসটিকের চেতনা ধারণ করার জন্য।
পোপের সাথে তাঁর মধুর সম্পর্কের কথা
স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি কখনোই আমাকে বহিরাগত ভাবেননি।’
কার্ডিনাল তোমাসি এবং কার্ডিনাল কুভাকাড
জানান, তাঁরা উভয়েই ভ্যাটিকানের কার্ডিনাল কলেজের সদস্য এবং আগামী সপ্তাহে নতুন পোপ
নির্বাচনের জন্য বৈঠক করবেন। তাঁদের দুজনকেই চার্চের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্ভাব্য প্রার্থী
হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কার্ডিনাল
তোমাসির সাথে সাক্ষাৎ:
জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসের ভ্যাটিকানের
সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসি শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে
তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সাথে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়েই ইউক্রেন এবং
গাজায় সংঘাত বন্ধে পোপ ফ্রান্সিসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ভিয়েতনাম যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে
উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেখানে সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন,
‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।’
তিনি এ অঞ্চলে আরও শান্তি প্রতিষ্ঠার
উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন এবং উত্তেজনার সময় শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক ইউনূসও ভিয়েতনামের চমৎকার অর্থনৈতিক
অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ানোর
জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মডেল অনুসরণ করছে।
কার্ডিনাল তোমাসি আশা প্রকাশ করেন,
পোপ ফ্রান্সিসের মতোই পরবর্তী পোপ সরলতা বজায় রাখবেন এবং আন্তঃদেশীয় শান্তি সংলাপকে
এগিয়ে নেবেন।
কার্ডিনাল
জ্যাকব কুভাকাডের সাথে সাক্ষাৎ:
এর আগে বিকেলে, ভ্যাটিকানের আন্তঃধর্মীয়
সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান কার্ডিনাল কুভাকাড রোমে প্রধান উপদেষ্টার সাথে হোটেলে সাক্ষাৎ
করেন।
কেরালার বাসিন্দা কার্ডিনাল কুভাকাড
জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ক্যাথলিক চার্চের উদ্যোগে একটি আন্তঃধর্মীয়
সংলাপের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা অংশ নেবেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী
মানুষের মধ্যে অব্যাহত সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায়
দেশের অঙ্গীকার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন, যা জাতি, ধর্ম,
বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
তারেক আরিফুল ইসলাম এবং ইতালিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আজকের এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রকল্প উত্থাপন করা হবে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
একনেকের কার্যতালিকায় ছয়টি প্রকল্প থাকলেও অনুমোদনের জন্য পাঁচটি উত্থাপন করা হবে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩ হাজার ৪৫৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত থাকবেন। যদিও এর আগে শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হতো।
এগুলোর মধ্যে তিনটি সংশোধিত এবং দুটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনে সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে তা অবগত করবেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে তার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর সম্পর্কে অবহিত করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে গতকাল শুক্রবার দেশে ফিরেন। তিনি ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় যান।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লৎস এর সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি - এনসিপি’র সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। রাজধানীর প্রগতি সরণীতে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে এনসিপি’র এক প্রতিনিধি দল আতিথেয়তা গ্রহণ করে।
এনসিপি’র পক্ষ থেকে যুগ্ম আহবায়ক ও পররাষ্ট্র সেল প্রধান সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান। আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, তাহসিন রিয়াজ ও সাইফ মোস্তাফিজ, এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্।
রাষ্ট্রদূত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি, আগামী নির্বাচন এবং নতুন বাংলাদেশ নিয়ে এনসিপি’র পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান। এনসিপি নেতৃবৃন্দ তাদের নতুন বাংলাদেশের ২৪ দফা ইশতেহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। দুই পক্ষই জার্মানি-বাংলাদেশ এর দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার ব্যাপারে একমত হন। এছাড়াও জার্মানিতে পড়াশুনা করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার ব্যাপারে এনসিপি নেতৃবৃন্দ অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন


চলমান বন্যায় দেশে ১১ জেলায়িই হয়েছে। এ ছাড়াও ৫৬ লাখ ৩৭৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে
চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এ তথ্য জানান।
ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, এখন
পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টিই আছে। ১১ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা
৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। পানিবন্দি পরিবার ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি। এখন পর্যন্ত বন্যায়
মোট ২৭ জন মারা গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১০ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে
একজন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন
মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন