

মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী ব্যাপক গণসংযোগ ও একাধিক উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
বিকাল ৩টা থেকে তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের দিশাবন্দ লক্ষিনগর চৌমুহনী এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দিশাবন্দ এলাকায় আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা বিশ্বরোড অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান।
ওয়ার্ড সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও দিশাবন্দের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান, দিশাবন্দ কেন্দ্র পরিচালক আরিফুর রহমান, জামায়াত নেতা মাওলানা হারিস, ওমর ফারুক, মাস্টার এনায়েত উল্লাহ, সগির আহমদ, আব্দুর রহিম, জামাল হোসেন, রবিউলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন— “দেশের রাজনীতি থেকে অন্যায়, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে হলে ইসলামী মূল্যবোধের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অঙ্গীকারবদ্ধ।”
এরপর তিনি কুমিল্লা নগরীর ১২নং ওয়ার্ডে আয়োজিত আরেক উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১২নং ওয়ার্ড আমীর জাফর আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড সেক্রেটারি হাফেজ হুমায়ুন কবির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অঞ্চল সহকারী পরিচালক মো. নুরে আলম বাবু, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল নোমান, মনিরুজ্জামান, আকবর হোসেন, কাইয়ুম খন্দকার, মাহবুবুর রশিদ, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়া একই দিন সন্ধ্যায় সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩নং গলিয়ারা ইউনিয়নের বাটেরা গ্রামে অনুষ্ঠিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা আমীর মো. মিজানুর রহমান এবং ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান।
বৈঠকে ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু তাহের, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হালিম, ১নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি আবুল কালাম, শ্রমিক কল্যাণ ওয়ার্ড সভাপতি জিয়াউর রহমান, সমাজসেবক সফিকুল ইসলাম, আব্দুল মুমিন মাস্টার, মগবুল মিয়া, ফিরোজ মিয়া, মাওলানা আব্দুল মুমিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
মুরাদনগর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে হঠাৎ
হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত
হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আজ
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে এ হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা
ধাওয়া ঘটনা ঘটে।
এর
আগে আজ বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ
ও মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন। এ সময় সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী
জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট, পাটকেল ছোঁড়া হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে
ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এনসিপির ১০ থেকে
১২ জন সমর্থক আহত হন এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছে।
আহত
ইউপি সদস্য শেখর জানান, আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহ চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার
পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয়। এ সময় আমাকে ব্যাপক মারধর করে মাথা
ফাঠিয়ে দেয়া হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাত করে।
মিছিল
নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহবায়ক মিনাজুল হক জানান, তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির
লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর করে শত শত ইট পাটকেল ছুড়ে
আমাদেরকে ধাওয়া দিতে থাকে এ সময় প্রায় অর্ধ শতাধিক সমর্থক আহত হয়।
কুমিল্লার
মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান বলেন, আজকে মুরাদ নগরের সদরে এনসিপির
সমর্থনের একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল এ সময় পাশে অবস্থানকৃত কিছু লোক বিনা
উস্কানিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন, এরপরে বিপক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া
শুরু হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। তবে এনসিপির সমর্থকদের অর্ধ শতাধিক
আহতের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। এছাড়াও কারা এ হামলার সাথে ইন্ধনদাতা তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৬ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (১৯ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিয়াবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাহাদত হোসেন (২০) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহাদত হোসেন (২০) বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার হেরমা গ্রামের মৃত ইমরান হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি;
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।এর আগে সকালেই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর বশির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লার সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন রুবেল, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল মতিন, দৈনিক কুমিল্লার জমিন পত্রিকার সম্পাদক শাহজাদা এমরান, টাউনহলের সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল, এ্যাডভোকেট গোলাম ফারুকসহ জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের এই আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বক্তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো অত্যন্ত জরুরি। তাঁদের অবদান স্মরণ করে একটি মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুরে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মোঃ তুহিন (১৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে পৌর এলাকার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সে ছোটআলমপুর উত্তর পাড়ার “মোঃ ফারুক হোসেন”এর মেজো ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর উত্তর পাড়ার বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মোঃ ফারুক হোসেন এর মেজো ছেলে মোঃ তহিন পেশায় একজন দোকান কর্মচারী। প্রতিদিনের মত রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায় এবং বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলে। খোলা শেষ হলে বাড়িতে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। ওই সময় তার রুমের ফ্যানের লাইন নষ্ট দেখে তা মেরামত করতে গিয়ে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় তুহিন। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিদুৎপৃষ্ট তুহিনের বাবা“ মোঃ ফারুক হোসেন” বলেন, তুহিন রাতে ঘুমাতে গেলে দেখে তার রুমের ফ্যান চলে না। এক পর্যায়ে দেখে বৈদুতিক তার ছিড়ে সমস্থ ঘরে আর্থিং হয়ে আছে। এ সময় সে লাইন মেরামত করতে গিয়ে বিদুৎপৃষ্ট হয়। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে আমার ছেলে আর নেই।
এ ব্যপারে দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাঈনউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার অধিক মূল্যের ভারতীয় উন্নতমানের শাড়ি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সুলতানপুর ৬০ বিজিবি এসব শাড়ি জব্দ করে।
বিজিবির সূত্রে জানা যায়, অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করে। এসব শাড়ির আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকারও বেশি বলে জানায় বিজিবি।এ বিষয়ে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির অভিযান সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান দমনে বিজিবি শূন্য সহনশীল নীতি অনুসরণ করছে। জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া করিম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক মিলে করিম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার আমলী আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন চার ঘাতক।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের একমাস পাঁচদিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারদের জবানবন্দী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট রাতে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেন শ্যালক ইসরাফিল। সেখানে প্রথমে তিন ভাই মিলে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ সময় তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্ত্রী তাছলিমা সেই রক্ত মুছে ফেলেন। পরে বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রথমে মরদেহ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়। সকালে মরদেহ ভেসে উঠলে আবারও স্ত্রী এবং ভাইয়েরা মিলে খাল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে বড় ভাইয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, স্ত্রী তাছলিমার পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে ভালো ব্যবহার করে ডেকে নিয়ে তিন ভাইসহ চারজনে মিলে করিম ভূঁইয়াকে হত্যা করে। নিহতের ভাই আমির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। পরে সন্দেহভাজন আসামিদের ওপর নজরদারি ও গ্রেপ্তারের ভিত্তিতেই মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। নিহত করিম ভুইয়া প্রায় স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতেন। এতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি;
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে হাজীপুরা স্টুডেন্ট ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত হাজীপুরা প্রিমিয়ার লীগ (এইচপিএল-৯) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনাল খেলায় মৌলভী-বাড়ী চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে চেয়ারম্যানবাড়ী ভিক্টোরিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রিয় জাতীয়ত-াবাদী ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক আজকের জীবন পত্রিকার সম্পাদক সফিকুর রহমান সফিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্রীড়া যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রেখে সুস্থ ও মানবিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হলে তরুণরা খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। তিনি আরও বলেন, যুবসমাজ জাগ্রত হলেই সমাজ পরিবর্তন সম্ভব। আগামী দিনের মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সচেতন, দায়িত্বশীল ও জাগ্রত ছাত্র-যুবকদের বিকল্প নেই। একই সঙ্গে সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ছাত্র ও যুবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। হাজীপুরা স্টুডেন্ট ক্লাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির, মৈশাতুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদ-ে লর আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম সুমন, ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. শাহজাহান মজুমদার, ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য মঞ্জুর রহিম প্রমুখ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সেলিম হাসনাত বিজয়, দ্বীন ইসলাম মজুমদার, ইকবাল হোসেন মুজাহিদ, মাহমুদুল হাসান রাহিম, সাইমন মিয়া, দেওয়ান সাদ্দাম ও ফারুক হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে ট্রফি ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


১
কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড
ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা,
মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার
(৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে
সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত
বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী
দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ
সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং
স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬
সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল
পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি
আব্দুল আলীম।”
এই
কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা
পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির
সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান)
আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার
ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ
পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত
উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী
লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক
মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য
মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে।
সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং
সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায়
নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী
দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়।
এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল
সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলছিল।
অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়াটগঞ্জ দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা ইসলাম।
আহতরা হলেন: দাউদকান্দির সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন হোসেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এ সময় কয়েকজন এসে আমাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার একজন উপপরিদর্শক মহসীন হোসেন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলামসহ সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলামকে বাঁচাতে গিয়ে দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক মহসীন হোসেন ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন আহত হন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
১৯৬ বোতল ফেন্সিডিল’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন বলদাখাল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ আব্দুল সালাম (২৮) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৯৬ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল সালাম (২৮) খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার নাজিরহাট গ্রামের দুলাল হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন