

জুলাই
শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস
আলম বলেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য বিগত ১৬ বছরে মানুষ বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে
পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল
নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা
যাবে না। শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি আর এ অভ্যুত্থানও হয়নি।
আজ
শনিবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের
হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সমন্বয়ক
সারজিস আলম বলেন, আমরা বলছি না রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যান। আমরা এটাও
বলছি না আগামী ৫-৬ বছর সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটা যৌক্তিক সময়
লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে
সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। ১৬ বছর ধরে যে সিস্টেমগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করা হয়েছে,
সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। বিগত ১৬ বছর এমনকি ৫৩ বছর
ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য দেশের মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’উপহার দিতে পারেনি।
আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে পারেনি। সেই সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন। প্রত্যেক পাঁচ বছরের জন্য বড় বড় ইশতেহার দিয়ে
প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরপরই তারা ইশতেহার ভুলে যায়। তারা
ভুলে যায় তারা যে জনতার সরকার। শুধু একটা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে
না। এর পাশাপাশি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান জড়িত। এর মধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে।
ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এ নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেজন্য একটা
বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।
শহীদ
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চেক বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার
৬০০ জনের বেশি শহীদ পরিবারের তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। আপাতত যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের
পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়ে
শহীদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। বাকি যারা রয়েছেন
তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হবে।
চেক
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ
বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
আগামীকাল
(১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন,মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের
বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে
ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ঈদের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে,
সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এদিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের
আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের
বন্ধন। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির স্থান নেই। মানবিক
মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম
ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী
নানাবিধ সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ মন্দার
প্রভাব দৃশ্যমান। ফলে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনধারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
হচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর
আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
আজ বুধবার (অক্টোবর ২৩) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয় এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রধান পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাপ করেন।
হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন,
আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ছয়টি
প্রধান সংস্কার কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে
পরামর্শ করছেন।
মন্তব্য করুন


পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া তিন পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৪৭ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করে এই দিন ঠিক করেন বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম।
প্রথম মামলাটি করা হয় গত ১৪ জানুয়ারি। অভিযোগ অনুযায়ী, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল এলাকায় ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—পুরবী গোলদার, আনিছুর রহমান মিঞা, শফি উল হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, সাইফুল ইসলাম সরকার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
একই ধরনের অভিযোগে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। ১৪ জানুয়ারির ওই মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্ত শেষে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ মামলাতেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলাটি করা হয় ১২ জানুয়ারি। পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্ত শেষে আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ জনে। এখানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদও চার্জশিটভুক্ত।
গত ৩১ জুলাই বিশেষ জজ আদালত-৫ তিন মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল। এখন ২৭ নভেম্বর এসব মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য করুন


শনিবার (২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ধীরগতিতে ইন্টারনেট সেবা মিলবে।
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকবে। তবে কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো চালু থাকবে।
বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময় গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করবে কনসোর্টিয়াম। এ কাজের জন্য ২ মার্চ শনিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ফলে বিএসসিপিএলসির গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন


বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে বেশ কিছু
অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে ধানমন্ডি
৩২ নম্বরে। সেখানে শোক জানাতে যাওয়া
ব্যক্তিদের ফোন চেক ও
তাদের মারধর করার মতো অভিযোগও
রয়েছে। এছাড়াও এক ব্যক্তিকে প্রায়
নগ্ন করে নাচতে বাধ্য
করার একটি ভিডিও ভাইরাল
হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এসব
অপ্রীতিকর ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ জড়িত কি
না সে বিষয়ে তদন্ত
করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এর
সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শুক্রবার
(১৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর
একুশে হলে ১৫ আগস্টের
বিভিন্ন ঘটনা ও সমসাময়িক
ইস্যুতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সারজিস
বলেন, ১৫ আগস্ট রাজধানীর
ধানমন্ডি ৩২ সহ বিভিন্ন
জায়গায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা
ঘটেছে, যা আমাদের গণ
অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সাথে যায় না।
তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
বাসভবনে শোক প্রকাশে ঘটে
যাওয়া বিতর্কিত কাজ নিয়ে তদন্ত
করা হচ্ছে। ১৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে
মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। কেউ যদি ১৫
আগস্ট ধানমন্ডিতে ফুল দিতে চায়
তাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাধা দিতে পারে
না। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর গাড়িতে হামলার অধিকার কারও নেই। তাই
এসবের সঙ্গে সমন্বয়ক বা অন্য কেউ
জড়িত থাকলে বহিষ্কার এবং ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস বলেন, ২০১৩ সালে আওয়ামী
লীগ পুলিশের মাধ্যমে হেজাফতে ইসলামের সমাবেশের সময় কান ধরে
ওঠবস করানোর সংস্কৃতি শুরু করেছিল। তবে
গতকাল ১৫ আগস্ট কান
ধরে ওঠবস করানো ও
মোবাইল চেক করাসহ ঘটে
যাওয়া কিছু কাজ বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা ১৫
আগস্ট রাষ্ট্রীয় আয়োজনে শোক দিবস পালনের
পক্ষে না। তবে কেউ
ব্যক্তিগতভাবে শোক প্রকাশ করতে
চাইলে তাকে সম্মান জানাতে
হবে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন
কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের
পক্ষে এই সনদ গ্রহণ করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলটির জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীক
হচ্ছে ‘শাপলা কলি’।
আজ
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
(সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ
ইসলাম নির্বাচন সংক্রান্ত আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনীকে সাধুবাদ জানান। একইসঙ্গে,
তিনি এই সংস্কার বাতিলে চাপ সৃষ্টি এবং আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
নিবন্ধনের
শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বলে জানান এনসিপি নেতা
নাহিদ। নির্বাচন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার
হওয়ার পরে অবশেষে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। শাপলা কলি প্রতীকে এনসিপি এবারের নির্বাচনে
অংশ নেবে।
নাহিদ
উল্লেখ করেন, প্রত্যেক দলকে স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে এই প্রস্তাবনা থেকে
ইসিকে সরে না আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। একটি বিশেষ দল সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে
চাপ দিয়েছে এক মার্কায় নির্বাচনের জন্য এবং আদালতকে ব্যবহার করে এখন এই সংস্কার প্রস্তাবনা
বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এনসিপি এই বিষয়ে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার জন্য বলেছে।
গণভোটের
প্রশ্ন যেন সঠিক প্রচার হয়, সেই বিষয়েও ইসিকে সতর্ক করেছে এনসিপি। নাহিদ ইসলাম বলেন,
গণভোটের প্রশ্ন সঠিকভাবে প্রচার না হলে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাবে না। এছাড়া নির্বাচনে
অপতথ্য বা ভুল তথ্যের বিস্তার রোধে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান
জানানো হয়েছে।
নির্বাচনে
অর্থ ও ক্ষমতার প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এনসিপি। নাহিদ বলেন, হলফনামায়
প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য ইসিকে বলা হয়েছে। এছাড়া অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে ইসি
যেন কঠোর অবস্থান নেয়। যারা কালো টাকা ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া
হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী
বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের
প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের
সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, আমরা ইতিমধ্যেই
নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের
ঠিক আগে।
তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে
নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর-কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময়
পর-ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু,
স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।
তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত
করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার
রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের
মতো ভোট দেবে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য
এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে-জাতির জন্য
এক নতুন যাত্রা।
এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয়
আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক
রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময়
করেন।
আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা
ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয়
দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর
জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০০ দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
রোববার (১৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সচিব।
এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আগে তিনি একইসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন। পরে গত ১০ নভেম্বর তিনি শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী জানায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের সরকারি-বেসরকারি কর্মে নিয়োজিত করা এবং আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দুই লাখ ৬৪ হাজার ৮০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ১০০ দিনে ১৯ হাজার ৪৫২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ৫২ হাজার ১১৫ জন প্রশিক্ষণরত।
যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, বিগত ১০০ দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বিপিএসসি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় রাজস্ব ও প্রকল্প খাতে নতুন ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে রাজস্ব খাতে দুই হাজার ৪৬৮ জন এবং প্রকল্প খাতে (আত্মকর্মী ও উদ্যোক্তা) ৮৩ হাজার ৮০৯ জন। দুই বছরে সরকারিভাবে পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে মোট সাতটি ব্যাচে দুই হাজার ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক পুলিশ হিসেবে ২৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, থার্টি ফাস্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবং রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকায় অতিরিক্ত ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এ কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রত্যেক ফাঁড়ি থেকে রাতের বেলা কমপক্ষে দুটি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে ৪-৫টি টিম থাকে। এটা আমাদের রেগুলার ডিপ্লয়মেন্ট। আজকে শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এর বাইরে ৩ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা মনে করছি এটা যথেষ্ট।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, কিছু পয়েন্টকে টার্গেট করেছি৷ বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফিট, উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমাদের পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। ওনারা যেকোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে আমাদের ফোর্স তাদের সহযোগিতা করবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফুটিয়ে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করা হয়, বাংলাদেশে পরিবেশের এত সমস্যা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টি ফার্স্ট উদযাপিত হয়৷ বেশিরভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়।
দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহরজুড়ে আতশবাজি ফোটানো হয় না। আমরাও এ বছর ঢাকা মহানগরীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজী নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু এই বছর আমরা সেটি পারিনি। আশা করি আগামী বছর আমরা সেটি আয়োজন করবো।
পুলিশের মনোবল ফিরে এসেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশের মনোবলের যে ঘাটতি ছিল, এটি আমরা কাটিয়ে উঠেছি। আমাদের এখনো কোনো সমস্যা নেই।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কোনো থ্রেট নেই বলেও জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ।
এর আগে ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা না ফোটানো হয় সেজন্য গত ১ সপ্তাহ ডিএমপি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে ১৭২ কেজি আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা জব্দ করেছি। এ বিষয়ে ৫টি মামলা হয়েছে এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, শুধু পুলিশ বা পরিবেশ অধিদপ্তর দিয়ে শব্দ দূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে৷ আমরা সকলের সহযোগিতা চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস।
মন্তব্য করুন


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবারের ঈদ জামাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক
সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।
রবিবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ
ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন,
সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৫টি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সব
জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার
জন্য পার্কিং ও ডাইভারশন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত
সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা
নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের
পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে। আশা করি, ঈদের জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন,
বাংলাদেশের চামড়া প্রসেসিং এলাকা ঢাকা জেলার সাভারে। ঢাকা কেন্দ্রিক যে চামড়া সেগুলো
কালই সেখানে যাবে। আর ঢাকার বাইরেরগুলো ৭ দিনের মধ্যে সেখানে আসবে। এ কাজ যাতে সুন্দরভাবে
সম্পাদন করা হয় সেজন্য ডিএমপি সহায়তা করবে। আমরা ইতোমধ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
গ্রহণ করেছি, অনেককেই গ্রেফতার করেছি। পরে এ ধরনের কাজ যারা করবেন, তারা সতর্ক হবেন
এবং ভবিষ্যতে এসব থেকে তারা নিবৃত থাকবেন। আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা
ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সব সময় সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি।
এবারও সেটি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন