তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০
মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর তথ্য ভবনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল
ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময়
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের
মালিক, সম্পাদক এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাপকতা
তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সত্য প্রচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে গুজব
ও অপপ্রচার মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। গণমাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত
জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা
করে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মাহফুজ আলম আরও বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমে সরকারের ইতিবাচক
পদক্ষেপসমূহও প্রচার হওয়া উচিত।
তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের
ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
অপতথ্য মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা
গড়ে তোলা এবং গণমাধ্যমকে নৈতিক মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করতে জাতিসংঘের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ ও ইউনেস্কোর ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা মেহদি বেনচেলাহ প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)
এবং ইউনেস্কোর যৌথভাবে প্রস্তুত করা বাংলাদেশের গণমাধ্যম পরিমণ্ডলের মূল্যায়ন : স্বাধীন,
নিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের দিকে মনোনিবেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তারা
এ সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, আমরা এই প্রতিবেদনের জন্য সত্যিই অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো
অপতথ্য, ভুয়া সংবাদ। আর এসব অপতথ্যের কিছু ছড়ায় বিদেশে থাকা লোকজন, আবার কিছু ক্ষেত্রে
স্থানীয়রাও এতে জড়িত। ধারাবাহিকভাবে এ হামলা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টাড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
শুধু ডিজিটাল মাধ্যমে নয়, নিয়মিত প্রচারিত গণমাধ্যমও অনেক সময় ভুয়া তথ্যের উৎস হয়ে
ওঠে।’ এ প্রেক্ষিতে তিনি জাতিসংঘের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করে বলেন, ‘আপনারা শুধু সরকারের
সঙ্গেই কথা বলবেন না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলুন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা
তথ্য ছড়ায়, তাহলে তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত তারা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, আপনারা জাতিসংঘ, আপনাদের
কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ...আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।
ইউনেস্কো প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন,
আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনটিতে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও তুলে ধরা
হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি দেখাবে কী কার্যকর
হচ্ছে, আর কী হচ্ছে না এবং এতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ
থাকবে। সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের আন্তর্জাতিক
মানের সাথে তাদের কার্যক্রম সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে- সে বিষয়টিও
উল্লেখ থাকবে।’
ইউনেস্কোর জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা
মেহদি বেনচেলাহ বলেন, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ এবং নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা
সম্পর্কেও কিছু সুপারিশ থাকবে, যা একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ। সরকারি পদক্ষেপ এসব ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির প্রতিষ্ঠান,
নীতি ও সেবা শক্তিশালীকরণ (এসআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনেস্কোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ও গণমাধ্যম উন্নয়ন সংক্রান্ত ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে
জানান কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।
কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের ৩ ঘণ্টার অভিযানে ৫৩০ জন অভিবাসী আটক হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৯৪ জন বাংলাদেশি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই অভিযান চালানো হয় রাত থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের সেরিকেমবাঙ্গান পাইকারি বাজারে।
অভিযানে জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ), রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ, মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এপিএম), সেলাঙ্গর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন) এবং সুবাং সিটি কাউন্সিলও অংশ নেয়।
আটকদের কাছে মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। যে কারণে তাদের মধ্যে থেকে কতজনকে গ্রেফতার দেখানো হবে তা চূড়ান্ত করা হয়নি।
গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য দেন সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামার উদ্দিন।
বিবৃতিতে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামার উদ্দিন বলেন, ‘অভিযানে ৫০৪ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭৭ জন মিয়ানমারের, ৯৪ জন বাংলাদেশের, ৭২ জন ভারতের, ৩৯ জন ইন্দোনেশিয়ার, ১৫ জন নেপালের, ৯ জন শ্রীলঙ্কার, ৬ জন পাকিস্তানের ও ১ জন ভিয়েতনামের নাগরিক রয়েছেন। ’
সূত্র: দ্য স্টার
মন্তব্য করুন
আসন্ন ঈদুল আজহার আগামী ১২ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
রোববার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে অনলাইনে চাপ এড়াতে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে দুপুর ২টা থেকে।
প্রথম তিন ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের ১৪,১৫৭ টিকেটের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনাতে এখনও কিছু ট্রেনের টিকিট অবিক্রীত রয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রির শুরুতেই উত্তরবঙ্গের টিকিটের অনেক চাহিদা ছিল। এ এলাকার সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রথম তিন ঘণ্টায় অনলাইনে টিকিট কাটতে প্রায় ৭০ লাখ হিট পড়েছে।
রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১২ জুনের আসন বিক্রি হবে ২ জুন; ১৩ জুনের আসন ৩ জুন; ১৪ জুনের আসন ৪ জুন; ১৫ জুনের আসন ৫ জুন; ১৬ জুনের আসন ৬ জুন বিক্রি হবে। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে নন-এসি কোচের ২৫ শতাংশ আসন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস 'ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে' - উল্লেখ করে বলেছেন, নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় সর্বাত্মক সংস্কার করতে হবে।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয় সাক্ষাৎকারটি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা, সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। জানুয়ারির মধ্যে ওই কমিশনগুলোর সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বাস্তবায়ন করার কথা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা বলেন, 'এই সংস্কার বাস্তবায়নে সময় লাগবে, কেননা ‘নতুন বাংলাদেশ’গড়তে আমরা একদম শূন্য থেকে শুরু করেছি। '
নির্বাচন ঠিক কখন হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করে দেবে। ’
সাধারণ নির্বাচনে ড. ইউনূস প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি সব সময়ই রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি।’ রাষ্ট্রের যেসব ব্যক্তি নীতি-নৈতিকতা সমুন্নত রাখেন, নিয়মকানুন মেনে চলেন এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখেন তাদের নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনর্গঠনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার শাসনামলে গণতন্ত্রের রীতিনীতি একদম ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা। আর তাতে তিনি নিজেকে এবং তার দলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে এসব করেছেন হাসিনা।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, 'এ বছরের আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকশ শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপরই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন হাসিনার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালিয়ে যান। অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ’
বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় হলে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারতকে অবহিত করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বিচার শেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় এলে আমরা ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাব। এক্ষেত্রে উভয় দেশের স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত এ আইন মানে কাজ করতে বাধ্য হবে।’
কূটনীতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশের ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। এক্ষেত্রে ড. ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব করেছেন। ভারত ও পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের ফলে সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সার্কের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মতো নিজেদের মধ্যে চলাফেরার স্বাধীনতা, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য উৎসাহিত করা। সার্কের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
এদিকে হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। তাদের দাবি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে ‘হামলা’ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকাকে অবশ্যই হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জোর দিয়েছে দিল্লি। তবে ভারত সরকারের এসব ঢালাও বক্তব্য নাকচ করে দেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘সংখ্যালঘু ইস্যুতে যা বলা হচ্ছে তার বেশির ভাগই প্রোপাগান্ডা। ’ এগুলো সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে না বলে পাল্টা অভিযোগ করেন ড. ইউনূস। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে তদন্তসাপেক্ষে সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এসব অপ-তথ্যের বিরুদ্ধে ভারত সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কাজ করছি।
অন্য আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউনূস চীনকে 'আমাদের বন্ধু' বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, সড়ক ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত তারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা- আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জোর দেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশ আসিয়ানে যোগ দেয়াকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে চায়। কারণ বাংলাদেশ বিশেষ করে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে, এরপর বাংলাদেশ আর অগ্রাধিকারভিত্তিক শুল্ক সুবিধা পাবে না।
মালয়েশিয়া আগামী জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতি হতে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানে স্বাগত জানাতে তার সদিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু ধাপ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের আসিয়ানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপটি হবে আসিয়ানের সংজ্ঞা সংশোধনে একটি সর্বসম্মত রেজোল্যুশন নিশ্চিত করা। এর আগে আমরা আসিয়ানের একটি সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের আশা করছি। আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রবিহীন ও নাগরিকত্বের প্রাধিকার-বঞ্চিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এই দায় (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ কতদিন বহন করবে? রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের একটি সুস্পষ্ট গন্তব্য ও একটি অভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করা দরকার। '
বাংলাদেশ মিয়ানমারে জাতিসংঘ-শাসিত একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এতে করে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের দেশেই আশ্রয়-শিবিরে থাকতে পারবে। সেখানকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তাদের অন্য কোনো দেশে স্থানান্তর করার প্রয়োজন হবে না, তারা তাদের নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবে বলে উল্লেখ করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন
আগামী রোববার
থেকে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক
কার্যক্রম শুরু
হতে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা মুহাম্মদ
ইউনূস আগামী
১৮ অগাস্ট
থেকে স্বাভাবিক
শিক্ষা কার্যক্রম
শুরু করার
নির্দেশ দিযেছেন বলে বৃহস্পতিবার
মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের
এক অফিস
আদেশে জানানো
হয়।
এর আগে
গত মঙ্গলবার
প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
বুধবার থেকে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
শ্রেণি কার্যক্রম
পুরোদমে চালুর
নির্দেশনা দিয়েছিল।
মন্তব্য করুন
নতুন দল গঠন করে নেতৃত্বে আসা ও সরকার থেকে
পদত্যাগের বিষয়ে এ সপ্তাহের শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও
সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন ।
ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর রাত ১০টার দিকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জানান, আমি এ বিষয়ে আমার অবস্থান ব্যক্ত করেছি মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। তবে বিভিন্ন সংবাদপত্র বা মিডিয়ায় যেভাবে তথ্য আসছে আমি মনে করি যে এভাবে আসা উচিত না। কারণ আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটা প্রকাশের আগেই, কোনো ধরনের অনুমানের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের তথ্যগুলো ছড়ানো উচিত হচ্ছে না।
নাহিদ ইসলামের কাছে প্রশ্ন ছিল- ছাত্র জনতার
নেতৃত্বে একটি নতুন দল আসছে, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি নতুন দল আপনার নেতৃত্বকে
বেছে নিয়েছে, তারা চায় আপনি সেই দলের নেতৃত্ব দেন। সে ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান
কী? সেই দলে যদি আপনি যেতে চান তাহলে উপদেষ্টার পর থেকে সরে আসতে হবে- সে বিষয়ে
আপনি কী ভাবছেন?
প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাইরে যারা আছে, বৈষম্যবিরোধী নাগরিক কমিটি তারা একটা রাজনৈতিক দলের উদ্যোগের কথা বলেছে অনেক আগেই, ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আমি আমার জায়গাতে বলেছি যে, সেই দলে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা হয়তো আমার থাকতে পারে। তো সেটা হলে আমি সরকার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেই সেটি করবো। সে বিষয়ে আমি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। কিন্তু সেটা সম্ভাবনা আছে। হয়তো এ সপ্তাহের শেষে আমি এ বিষয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনাদের সবাইকে জানাতে পারব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের
পতনের পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন মো. নাহিদ ইসলাম।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) স্থানীয় সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন।
তার আগে ৯ দিনের সফরে গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধান উপদেষ্টা। এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন মধ্যে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। এ ছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন।
সফরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বক্তব্য দেওয়া ছাড়াও সাইডলাইনে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী
বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের
প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের
সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, আমরা ইতিমধ্যেই
নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের
ঠিক আগে।
তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে
নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর-কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময়
পর-ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু,
স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।
তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত
করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার
রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের
মতো ভোট দেবে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য
এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে-জাতির জন্য
এক নতুন যাত্রা।
এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয়
আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক
রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময়
করেন।
আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা
ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয়
দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর
জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
পতিত
ফ্যাসিবাদের আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব
পালনকারী ব্যক্তিদের কেউ আসন্ন নির্বাচনে যথাসম্ভব দায়িত্ব প্রদান করা থেকে বিরত রাখার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ
রোববার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা
সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী৷
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, আজকের সভায় মূলতঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ
ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন