

বাংলাদেশ
পুলিশ বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে । ইতোমধ্যে বন্যার্তদের
উদ্ধার এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য জেলাভিত্তিক পুলিশের জরুরি নম্বরও চালু করা
হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর
জানান, বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানানো
হয়েছে। এছাড়া জেলাভিত্তিক উদ্ধারে পুলিশ কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো
হলো-
জেলা
পুলিশ, নোয়াখালী
+8801320111898
জেলা পুলিশ, লক্ষ্মীপুর
+8801320112898
জেলা
পুলিশ, ফেনী
+8801320113898
জেলা
পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
+880
1320-115898
জেলা
পুলিশ, কুমিল্লা
+880
1320-114898
জেলা
পুলিশ, চাঁদপুর
+880
13 2011 6898
জেলা
পুলিশ, রাঙ্গামাটি
+8801320109898
জেলা
পুলিশ, বান্দরবান
+8801320110898
জেলা
পুলিশ, খাগড়াছড়ি
+8801320110398
জেলা
পুলিশ, চট্টগ্রাম
+8801320108398
জেলা
পুলিশ, কক্সবাজার
+8801320109398
জেলা
পুলিশ, মৌলভীবাজার
+880
1320-120698
জেলা
পুলিশ, হবিগঞ্জ
+880
1320-119698
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় রূপা হকের এক প্রশ্নের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি রয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৫ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গত তিন নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং ভুয়া স্পিকার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গোটা দেশ এখন তাদের কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে, তাদের কণ্ঠ জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচনের অস্থায়ী তারিখ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক বলেন, ‘বাংলাদেশ দেখে সত্যিই আমি উৎসাহিত।’ আগামী সাধারণ নির্বাচন দেখতে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস রূপা হককে ব্যাখ্যা করেছেন যে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জনগণের দমন কী কারণে হয়েছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকার ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন


সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা
গর্বিত।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে
ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজকে আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে, বাংলাদেশের তিনবারের
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মেলনে
অংশগ্রহণের সুযোগ পান নাই। আজকে সুযোগ পেয়েছেন, আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত। আমরা
এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সঙ্গে
শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমরা তার আশু রোগ মুক্তি কামনা করছি। এবং এই
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।
দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন
তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস এবং খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়া কুশল
বিনিময় করেন। খালেদা জিয়াকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় এবং তাদের হাস্যোজ্জ্বল কথাবার্তা
বলতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জানা গেছে, এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ২৬ নেতাকে সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন


জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার
আজ বুধবার (২৫ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশে তাঁর চার বছরের কূটনৈতিক
কর্মজীবনের শেষ কার্যক্রম।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত
ট্রস্টারকে তাঁর দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি
সম্পর্ক জোরদারে তাঁর অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, জার্মানি আমাদের উন্নয়ন যাত্রার নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার বাংলাদেশে তাঁর
সময়কাল সম্পর্কে আবেগভরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমার কর্মজীবনে অনেক আকর্ষণীয়
পোস্টিং ছিল, তবে বাংলাদেশ সত্যিই অনন্য। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা ছিল অভূতপূর্ব,
আমি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগ সম্মেলন ছিল
একটি ভালো উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া সফল হবে। পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে বলেও আমি আশাবাদী।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউরোপে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ
বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে জার্মানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশটি যে অব্যাহত
উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।
তিনি বিশেষভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য জার্মানির
মানবিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “সংকটময় মুহূর্তে
বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আপনার দেশের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আরও বলেন, আপনার বিদায়ের পরও আমরা আপনার মতামত শুনতে চাই ু তা ইতিবাচক হোক অথবা সমালোচনামূলক। কারণ আপনার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে বাংলাদেশের একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম
ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সামরিক
বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়ে বলেছেন, আগামী
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে আয়োজন
করতে হবে।
আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্সে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্স ২০২৫-এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন নির্বাচনের
সময়। আমরা প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামরিক
বাহিনী, পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন। এটি একটি বড় প্রয়াস। অভ্যুত্থান
থেকে নির্বাচনের পথে যাত্রা। এটি হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দ ও মিলনের সময়। মানুষ
তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারবে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় ১ জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪ বার অংশ নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১
অক্টোবর) অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সভাপতিত্বে
উপদেষ্টা পরিষদের
বৈঠকে এ
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কয়েকদিন আগে
১ জন প্রার্থী
৩ বার বিসিএস
দিতে পারবেন—এমন সিদ্ধান্ত
হয়েছিল। এ
সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
করা হয় উপদেষ্টা
পরিষদের বৈঠকে।
তেজগাঁওয়ে প্রধান
উপদেষ্টার কার্যালয়ে
উপদেষ্টা পরিষদের
বৈঠকে ৪
বার বিসিএস
পরীক্ষার সিদ্ধান্ত
হওয়ার পর
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ
থেকে বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ করা
হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়েছে—
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত,
আধাস্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ
সরকারি কর্তৃপক্ষ,
পাবলিক নন-ফিন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ
স্বশাসিত সংস্থাসমূহে
সরাসরি নিয়োগের
ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ
বয়সসীমা নির্ধারণ
অধ্যাদেশ, ২০২৪-
এর আলোকে
‘সরকারি চাকরি
আইন, ২০১৮’-এর
ধারা-৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
কর্তৃক ‘বাংলাদেশ
সিভিল সার্ভিস
(বয়স, যোগ্যতা
ও সরাসরি
নিয়োগের জন্য
পরীক্ষা) বিধিমালা,
২০১৪’পুনর্গঠনপূর্বক বাংলাদেশ
সিভিল সার্ভিস
পরীক্ষায় একজন
প্রার্থী সর্বোচ্চ
৪ বার অংশ
নিতে পারবে।
এতে আরও
বলা হয়,
এই বিধি
সংযোজনের বিষয়ে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে
উপদেষ্টা পরিষদ
নির্দেশনা দেওয়া
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দ্রুততার সাথে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আকাংখা থেকে এ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি আমরা।
প্রধান বিচারপতি আজ মঙ্গলবার সকাল দশটায় নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের জন্যে নব নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একজন বিচারপ্রার্থী যখন আদালতে আসেন তখন সবার প্রথমে একজন আইনজীবীর সাহায্য খোঁজেন। বিচারপ্রার্থীগণ আইনের জটিলতা বোঝেন না, সেটা বোঝা তাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। তারপরও তাঁরা পরম নির্ভরতায় আইজীবীর উপর সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুভার অর্পণ করেন। আইনপেশার শত বছরের সুনাম ও ঐতিহ্যই তাদের এ নির্ভরতার কারণ। এ নির্ভরতার সম্পর্ক আপনাদের জন্যে একটি আমানত। এ আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব প্রত্যেক আইনজীবীর। আমি বিশ্বাস করি, পেশাগত দায়িত্ব সুচারুরুপে সম্পাদনের মাধ্যমে আইনজীবীগন এ আমানত সর্বদাই রক্ষা করে চলবেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন আইনজীবীর সততা থাকতে হবে ন্যায়বিচারের প্রতি।
তাই ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণকর সমাজ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য
আইনজীবীগনকে আরও নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ন হতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন পেশা যে কোনও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যার উপর গড়ে ওঠে আধুনিক সমাজের সুবিন্যস্ত কাঠামো। আর এ সমাজের সদস্যদের জন্য সমতা ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশাস্থল হিসেবে নিয়োজিত থাকেন আইনজীবীগণ।
বার ও বেঞ্চের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, এটি থাকা খুবই জরুরী। বার ছাড়া আদালত চলে না, আবার আদালত ছাড়া বারেরও মূল্য নেই। বার যদি আদালতকে শ্রদ্ধা না করে বা আদালত যদি বারকে মূল্যায়ন না করে-তাহলে দুই পক্ষই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুস বলেন, জনগণকে সাংবিধানিকভাবে দেশের মালিকানা প্রদান করা হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আবু আহসান টগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু।
গণপূর্ত বিভাগ ৪৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।
৭২ ব্যক্তির আসন বিশিষ্ট এ বিশ্রামাগারে নারী ও পুরুষের পৃথক টয়লেট ছাড়াও ব্রেস্ট ফিডিং
সেন্টার রয়েছে।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে বাংলাদেশে উদ্ভুত বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তার লক্ষ্যে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল’ গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে আরো বলা হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. হারুন-অর-রশিদ সেলের দৈনন্দিন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন।
‘দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা
সহায়তা সমন্বয় সেল’-এ জরুরি যোগাযোগের জন্য ০২-৪৭১১৮৭০০, ০২- ৪৭১১৮৭০১, ০২-৪৭১১৮৭০২, ০২-৪৭১১৮৭০৩, ০২-৪৭১১৮৭০৪ ও ০২-৪৭১১৮৭০৫ এবং ০১৩১৭৭৪৯৯৮০ ও ০১৮২০১১৭৭৪৪ নম্বরে ফোন করা যাবে।
সমন্বয় সেল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সার্বক্ষণিক
যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রাপ্ত তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন এবং সার্বক্ষণিক ফলোআপ করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে
উল্লেখ করা হয় ।
মন্তব্য করুন


ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা আম্পায়ারদের একজন হ্যারল্ড ডেনিস বার্ড আর নেই। ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রথম তিন বিশ্বকাপের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করা এই ইংলিশ আম্পায়ার।
ইয়র্কশায়ার মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজ বাড়িতে এদিন মৃত্যুবরণ করেন ক্রিকেট বিশ্বে ডিকি বার্ড নামে পরিচিত এই আম্পায়ার।
১৯৫৬ সালে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়র্কশায়ারের হয়ে পেশাদার ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেন ডিকি বার্ড। পরে ২০১৪ সালে ক্লাবটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
আট বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে ৯৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২০.৭১ গড়ে তিন হাজার ৩১৪ রান করেন বার্ড। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেন ১৪টি। দুটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করতে পারেন কেবল ৯ রান।
এরপর আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন বার্ড। ১৯৭০ সালের মে মাসে পেশাদার আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় তার। তিন দশকের ক্যারিয়ারে ৬৬টি টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডেতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মেয়েদের সাতটি ওয়ানডেতেও ছিলেন আম্পায়ার।
৪৭টি প্রথম শ্রেণি ও মোট ১৯২টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন বার্ড।
বার্ডের অদ্ভুত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে বিখ্যাত ছিল সময়ানুবর্তীতা নিয়ে তার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে যেতে হয়েছিল লন্ডনে। ওভালে সারে ও ইয়র্কশায়ারের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হয়েছিল ১১টায়, কিন্তু বার্ড মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন সকাল ৬টায়। তালাবদ্ধ মাঠের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টায় পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের লর্ডস টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন বার্ড। দুই দলের ক্রিকেটারদের ‘গার্ড অব ওনারে’ চোখে জল নিয়ে মাঠে নেমে প্রথম ওভারেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক আথারটনকে এলবিডব্লিউ দেন তিনি। সেটি ছিল রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গাঙ্গুলির অভিষেক টেস্ট।
১৯৯৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটি ছিল আম্পায়ার হিসেবে বার্ডের শেষ ওয়ানডে। ২০০০ সালে সবশেষ একটি অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে এমবিই (মেম্বার অব দা অর্ডার অব দা ব্রিটিশ এম্পায়ার) ও ২০২১ সালে ওবিই (অফিসার অব দা অর্ডার অব দা ব্রিটিশ এম্পায়ার) স্বীকৃতি পান তিনি।
মন্তব্য করুন


ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই
নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড গতকাল শনিবার রোমে
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন
দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক
অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তাঁরা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাজের প্রতি
গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের
বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে
তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন
করে নিতে পারতেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,তিনি একজন অসাধারণ
মানুষ ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস উল্লেখ করেন,
পোপ ফ্রান্সিসের দায়িত্ব পালনকালে বহুবার তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং কীভাবে ভ্যাটিকান
ব্যাংকের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁর লেখা একটি সমালোচনামূলক চিঠি ভ্যাটিকানের
সরকারি পত্রিকা এল ওসারভেটরি রোমানোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল, তা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমি লিখেছিলাম কিভাবে ভ্যাটিকান
তার ব্যাংককে দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে পারে। আমি ব্যাংকের কার্যকারিতা ও বিতর্ক নিয়ে
সমালোচনা করেছিলাম। তবুও, পোপ সম্পূর্ণ চিঠিটি প্রকাশ করেছিলেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও জানান, পোপ ফ্রান্সিস
তাঁকে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কার এবং চার্চের দরিদ্রবান্ধব উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে
বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন।
গত নভেম্বরে, রোমে পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস
থ্রি জিরো ক্লাব উদ্বোধন করা হয়, যার লক্ষ্য অধ্যাপক ইউনূসের ‘শূন্য বেকারত্ব, শূন্য
সম্পদ মজুদ এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমন’ ভিশন বাস্তবায়ন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, আমি
মুসলিম, তবুও পোপ ফ্রান্সিস কখনোই তাঁর নাম একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সাথে যুক্ত হওয়া
নিয়ে আপত্তি করেননি।
তিনি আরও জানান, তাঁকে ক্যাথলিক চার্চের
পক্ষ থেকে সেন্ট ফ্রান্সিস অব অ্যাসিসির টর্চ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল, ১৩ শতকের ইতালিয়ান
সাধক ও মিসটিকের চেতনা ধারণ করার জন্য।
পোপের সাথে তাঁর মধুর সম্পর্কের কথা
স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি কখনোই আমাকে বহিরাগত ভাবেননি।’
কার্ডিনাল তোমাসি এবং কার্ডিনাল কুভাকাড
জানান, তাঁরা উভয়েই ভ্যাটিকানের কার্ডিনাল কলেজের সদস্য এবং আগামী সপ্তাহে নতুন পোপ
নির্বাচনের জন্য বৈঠক করবেন। তাঁদের দুজনকেই চার্চের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্ভাব্য প্রার্থী
হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কার্ডিনাল
তোমাসির সাথে সাক্ষাৎ:
জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসের ভ্যাটিকানের
সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসি শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে
তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সাথে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়েই ইউক্রেন এবং
গাজায় সংঘাত বন্ধে পোপ ফ্রান্সিসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ভিয়েতনাম যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে
উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেখানে সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন,
‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।’
তিনি এ অঞ্চলে আরও শান্তি প্রতিষ্ঠার
উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন এবং উত্তেজনার সময় শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক ইউনূসও ভিয়েতনামের চমৎকার অর্থনৈতিক
অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ানোর
জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মডেল অনুসরণ করছে।
কার্ডিনাল তোমাসি আশা প্রকাশ করেন,
পোপ ফ্রান্সিসের মতোই পরবর্তী পোপ সরলতা বজায় রাখবেন এবং আন্তঃদেশীয় শান্তি সংলাপকে
এগিয়ে নেবেন।
কার্ডিনাল
জ্যাকব কুভাকাডের সাথে সাক্ষাৎ:
এর আগে বিকেলে, ভ্যাটিকানের আন্তঃধর্মীয়
সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান কার্ডিনাল কুভাকাড রোমে প্রধান উপদেষ্টার সাথে হোটেলে সাক্ষাৎ
করেন।
কেরালার বাসিন্দা কার্ডিনাল কুভাকাড
জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ক্যাথলিক চার্চের উদ্যোগে একটি আন্তঃধর্মীয়
সংলাপের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা অংশ নেবেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী
মানুষের মধ্যে অব্যাহত সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায়
দেশের অঙ্গীকার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন, যা জাতি, ধর্ম,
বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
তারেক আরিফুল ইসলাম এবং ইতালিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক।
মন্তব্য করুন