বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের প্রসারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় বই দিই, সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষা ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। যেন কর্মক্ষেত্রে তারা সুযোগ পায়। কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যেটা আগে ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে যেটা আমরা করেছি, যাতে আরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আজকে আমাদের বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। যা প্রায় ২/৩ গুণ বেশি ছিল। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। যেকোনো যুবক সেখানে বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারে। ঋণ নিয়ে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। সেই সুযোগটা আমরা তৈরি করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানে বাধা দিলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। ভোট দিতে
কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার
(৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলটির তেজগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, হরতাল হলো একটা মরিচা ধরা হাতিয়ার, এ অস্ত্র বিএনপি আগেও ব্যবহার করেছে।
তাতে লাভ হয়নি। এবারও হবে না৷ ৭ জানুয়ারি সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয়ে ভোট
দেবে। ওইদিন যারাই বাধা দেবে তাদেরই প্রতিরোধ করা হবে। কত আসন পাবে তা এখনই বলতে চাই
না। তবে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আর ভোটের ফলই বলে দেবে কারা বিরোধী দলে যাবে।
মন্তব্য করুন
একমাত্র
নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে সবাইকে
সকাল বেলা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার
(২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে নির্বাচনী
জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ,
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।
এই নির্বাচনে একেবারে সকাল বেলা উঠে
যারা ভোটার তাদের নিয়ে সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
এ নৌকা মার্কা আপনাদের
জীবনমান উন্নত করেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আপনাদের সেবা করার আরেকটিবার
সুযোগ আমাদের দেবেন, যাতে আপনাদের প্রত্যেকের
জীবন উন্নত-সমৃদ্ধ করে দিতে পারি।
নৌকা মার্কা নূহ নবীর নৌকা
মার্কা, সেই মহাপ্লাবনে মানুষকে
বাঁচিয়েছিল। নৌকা মার্কা, যে
নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা
স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কা,
যে নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আজকে উত্তরবঙ্গ মঙ্গামুক্ত
হয়েছে। এখন আর মঙ্গাপীড়িত
এলাকা নেই, মঙ্গা থেকে
মুক্ত হয়ে এখন উন্নয়নের
সুবাতাস বইছে। একটা কথা মনে
রাখবেন, বাবা-মা-ভাই
সব হারিয়েছি। রিক্ত-নিঃস্ব আমি, আমার তো
হারাবারও কিছু নেই; পাওয়ারও
কিছু নেই। কিন্তু আপনারা
ভালো থাকুন, আপনাদের জীবন সুন্দর হোক,
আপনাদের ছেলেমেয়েরা বংশ পরম্পরায় সুন্দর
জীবন পাক সেটাই আমার
লক্ষ্য। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়েছেন, আমরা আপনাদের সেবা
দিচ্ছি। এটা হচ্ছে জাতির
পিতার স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আমরা
পূরণ করে দিচ্ছি। জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
দেশে কোনো মানুষ অবহেলিত
থাকবে না। এটাই আমার
কথা আর সেভাবেই আমরা
কাজ করে যাচ্ছি। আমরা
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, আজকে
আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এই
বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ
হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায়
থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে।
সবশেষে বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশন (ইসি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ
করছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের করার বিধান রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ
সরকারি মুদ্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে গেজেট ছাপানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৪ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত করা
হয়েছে।
কর্মকর্তারা
জানান, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ শুরু হয়। এটি ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন
করা হবে।
ইসির
উপসচিব (নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখা) মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত ভোটকেন্দ্রের
গেজেট সকলের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করছে ইসি সচিবালয়। এতে ভোটকেন্দ্রের ক্রমিক নম্বর, ভোটকেন্দ্রের
নাম ও অবস্থান, ভোটকক্ষের সংখ্যা, ভোটার এলাকা, পুরুষ, নারী, হিজড়া ভোটার এবং মোট ভোটার
সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার
৭১৬টি। তারমধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত
মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র,
যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি
সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল
আবেদন জমা পড়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর শুনানি আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন
কমিশন।
ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা
প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার
৬৩৩ জন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এই অবস্থা শুধু আমাদের
নয়, বিশ্বব্যাপী। তারপরেও আমাদের দেশে মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, এই রমজান মাসে আমরা
মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি, আমাদের
নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সবাইকে আহ্বান করেছি, ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের
মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন, তাদের পাশে দাঁড়ান।
সোমবার
(২৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ২০২৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ১০ জন
বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সকলকে
আহ্বান করেছি, ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন, তাদের পাশে
দাঁড়ান। খাওয়া তো বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা। খাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে
দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, মানুষের যেন কোনরকম কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।
এভাবে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, আমাদের লক্ষ্য এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব
হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি সব সময় জনগণের ম্যান্ডেটের পরিবর্তে ‘অন্য শক্তির’ সহায়তায় ক্ষমতায় যেতে চায়।’
রোববার (২৮ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশবিষয়ক এপিপিজি’র চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপির নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টি একটি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখনই নির্বাচনের সময় আসে, তখনই তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তির সন্ধান করে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে। বিএনপি সবসময় যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়।
গত ৭ জানুয়ারি এবং ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি তারা (বিএনপি) কোনো নিশ্চয়তা না পায় যে কেউ তাদের ক্ষমতায় আনবে, তাহলে তারা (বিএনপি) নির্বাচন বয়কট করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় নির্বাচনের দিনে নির্বাচন বয়কট করেছিল। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারা (বিএনপি) কখনও ক্ষমতায় আসেনি।
মন্তব্য করুন
আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা
নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে ।
আজ ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
এর আগে ১৪ নভেম্বর রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।
নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে বিজিবি,র্যাব, আনসার এবং পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।
ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
ভাষণে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পাশাপাশি তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতিও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনেও সম্মতি দিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও গণ্য করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ গঠিত হয়। বাকি ছিল প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেওয়ার পর যে কর্মকাণ্ডও সম্পন্ন হয়েছে। এখন বাকি নতুন মন্ত্রিসভার শপথ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হবে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
আজ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি।
আজ সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। তখন কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী নয়া মন্ত্রী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর
দিতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত
প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর
দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । দেশের উন্নয়ন
পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯
বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা
কমিশনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি
কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয়
নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয়
হয়েছে তা মেটাতে আরও
বেশি কাজ করতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য- স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু
করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ
বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড়
পাওয়া যায় সেদিকে নজর
দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের
দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।
দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে
হবে। জমি অনাবাদি রাখা
যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে
হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে
বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা
নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প
পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক
নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে
একটি গাইড লাইন করা
যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ
প্যানেল’ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
প্রণয়নে খুব বেশি আউট
সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা
যাবে না। পাট ও
পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে।
পানি ও নৌ-পরিবহন
খাতে নজর দিতে হবে।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈঠকে
কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী
আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর
রউফ তালুকদার। বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন
হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। কমিটি
২ মাস পর রিভিউ
করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের
প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে
টাকা ছাড় হচ্ছে কি
না, এসব বিষয় দেখভাল
করবে এ কমিটি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য
বেড়েছে, যার প্রভাব আছে, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের, তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে
যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন, তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে
সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবিতে
যে লোকবল আছে, তা দিয়েই আমরা এখন মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আর সাধারণ মানুষের যাতে
কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা, দ্রব্যমূল্য
যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে পণ্যের প্রয়োজন, আমরা দেশে যেমন উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি,
তেমনি আমদানিও করে যাচ্ছি, যত টাকা-ই লাগুক। আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি, যার জন্য
আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। রিজার্ভে চাপ পড়লেও মানুষের কল্যাণই হলো সবচেয়ে বড় কথা।
সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আমরা যে পারিবারিক কার্ড দিয়েছি, তাতে স্বল্পমূল্যে চালসহ
অন্যান্য পণ্য কেনারও সুযোগ করে দিয়েছি। আবার যারা আরও দরিদ্র, তাদের জন্য আরও কমমূল্যে
চাল বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। আবার যারা হতদরিদ্র, তাদের বিনামূল্যে চাল দিচ্ছি। টিসিবির
এখন যে জনশক্তি আছে, সেই জনশক্তি দিয়েই কিন্তু আমরা যথাযথভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে
সক্ষম হচ্ছি।
মন্তব্য করুন