বাংলাদেশের সাধারণ পাসপোর্টধারীদের জন্য চালু হলো থাইল্যান্ডের ই-ভিসা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) থেকে দেশটি ই-ভিসা সুবিধা চালু করেছে।
ঢাকার থাইল্যান্ড দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীরা অনলাইনে আবেদন করে থাইল্যান্ডের ভিসা নিতে পারবে। আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে ই- ভিসা ই-মেইলে পাঠানো হবে। এই ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা যাবে থাইল্যান্ডে।
অনলাইনে থাইল্যান্ডের ভিসা নেওয়ার জন্য প্রথমে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আবেদন ফর্মপূরণ করতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা ফি ও অনলাইনে দিতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পর ১০ দিনের মধ্যেই ই-মেইলে চলে আসবে ভিসা। থাইল্যান্ড ভিসা নেওয়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের ই-ভিসা চালু করেছে থাইল্যান্ড। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার থাইল্যান্ড ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে তাদের ৬৯টি দূতাবাসে ই-ভিসা সুবিধা চালু করেছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই
শুরু হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শনের
পর এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর
আলম বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হতে হবে। আর সেটা দ্রুতই হবে।’বি
জিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে
না। চোরাচালান যেন না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান নাম বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ
৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস
বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সেনাসদরে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে পৌঁছালে সেনাবাহিনী
প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক
প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং
বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো: তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী
প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং
গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এর মহাপরিচালকগণ
ও সেনাসদরের কর্মকর্তাগণ।
(খবর বাসসের)
মন্তব্য করুন
৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ইসির চিঠি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সারাদেশে ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আর এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উল্লিখিত সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন ১/২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
চিঠিতে ইসি আরো জানিয়েছে, ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংখ্যা হ্রাস করার প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে উপরের বর্ণনা মোতাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ধরনের বিষয়ে চিঠিতে ইসি জানায়, প্রতি উপজেলায় ১ জন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় ২ জন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় ১ জন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে ২ জন। আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০, খুলনা সিটিতে ৬, গাজীপুর সিটিতে ৪ এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৩ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। সবাইকে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে। বৈশ্বিক ও কৌশলগতভাবে এখন কঠিন সময় যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
সবাইকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জাতীয় বিপর্যয় থেকে শুরু করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে
দায়িত্ব পেয়েছেন মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যদিকে ডিজএফআই’র বর্তমান ডিজি মেজর
জেনারেল ফয়জুর রহমানকে লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল করা
হয়েছে।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) ডিজিএফআই’র প্রধান পদে পরিবর্তন আনা হয়।
২৪ ইনফ্রেন্টি ডিভিশনের জিওসি মেজর
জেনারেল মাইনুর রহমানকে লে. জেনারেল পদোন্নতি দিয়ে আর্টডক-এর জিওসির দায়িত্ব দেওয়া
হয়েছে। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি পদে রদবদল করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে নিশ্চিত
করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির
বৈঠক হতে চলেছে।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের
মধ্যে আগামীকাল বৈঠক হবে। ব্যাংককে আজ বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ
হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন। নৈশভোজে উভয় নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে
কথা বলতে দেখা গেছে। বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ
সম্মেলন উপলক্ষে অধ্যাপক ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে ব্যাংককে অবস্থান করছেন। ২
থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৪ এর জন্য পৃথক ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা মিরপুরে। আর মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে কুমিল্লায়। উৎসব শুরু হবে সকাল ১০টায়।
নিয়মানুযায়ী, এক দিন আগে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে নতুন এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর পরদিন পহেলা জানুয়ারি পৃথক পৃথক ভেন্যুতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ বলেন,প্রাথমিকের বই উৎসব এবার মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল-বিকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে। এটা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাশেই অবস্থিত।
আর মাধ্যমিকের বই উৎসব সম্পর্কে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো বছরের প্রথম দিন বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। মাধ্যমিকের বই উৎসব কুমিল্লার সোয়াগঞ্জ তোফাজ্জল আহমেদ চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হবে।
বই ছাপানোর অগ্রগতি বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকের সব বই গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এছাড়া নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অষ্টম শ্রেণির সব বই গত মঙ্গলবার প্রেসে দেওয়া হয়েছে। আর নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের একটি বই গত শনিবার প্রেসে দিয়েছি। সামাজিক বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের আরেকটি বই আজ সোমবার প্রেসে যাবে।
জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি পাঠ্যবই ও শিক্ষক সহায়িকা (টিজি) বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ৩০ লাখ ৮০ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮টি পাঠ্যবই। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৪ জনকে দেওয়া হবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৬৯৭টি পাঠ্যবই। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৫ হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১টি পাঠ্যবই। এছাড়া প্রাথমিক স্তরের ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৬টি পাঠ্যবই।
মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭টি পাঠ্যবই। দাখিল ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হবে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২টি পাঠ্যবই। ইংরেজি ভার্সনের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৭টি পাঠ্যবই। কারিগরি ট্রেডের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হবে ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭০২টি পাঠ্য বই। এসএসসি ভোকেশনালের ৬ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থীকে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৫টি পাঠ্য বই দেওয়া হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে ৭২৮টি বই। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি শিক্ষক সহায়িকা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাকে স্যার ভাবার দরকার নেই। আমাকে স্যার বলারও দরকার নেই। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আমার ছবি যত কম প্রচার করা যায় তো ভালো।
রবিবার (১৮ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে
তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ
বলেন, নিরপেক্ষ সংবাদ এবং স্বাধীন গণমাধ্যম নিয়ে আমাদের খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। কারণ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের অন্যতম একটি পিলার বলা যায়। কাজেই আমরা যদি গণতন্ত্র চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমে কী ধরনের বাধা রয়েছে কিংবা এর সমাধান নিয়ে গণমাধ্যমের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই মূলত আমরা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে আমরা সেন্সর বোর্ডকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যার প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করে তদন্তে সহায়তা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রহসন করা হয়েছে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী জনসংযোগ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালেহ উদ্দিন সিফাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, ৬ দিনব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় জনসংযোগ করবে। এসময় তারা জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে লিফলেট বিতরণ করবে, সমাবেশ করবে এবং বিভিন্ন মাত্রায় জনসংযোগ করবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছে। আমরা একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কথা তুলে আনতে চাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আজ অথবা কালকের মধ্যে সরকার জনগণের সামনে দৃশ্যমান উদ্যোগ প্রদর্শন করুক। এ বিষয়ে আমাদের মতামত চাওয়া হলে আমরাও দিতে প্রস্তুত আছি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ঘোষণাপত্র প্রদানের বিষয়ে সবার ঐক্যমত রয়েছে। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি বা তা কীভাবে তুলে আনা যায়, সে বিষয়ে হয়তো পার্থক্য রয়েছে। শব্দ চয়নে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে৷ সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু ঘোষণাপত্র নিয়ে কারও আপত্তি নেই।
মন্তব্য করুন
আগামী বছরই রাজনৈতিক সরকার আসতে পারে
বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ।
আজ শনিবার সকালে গুলশানের একটি হোটেলে
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক উন্নয়ন কনফারেন্সে তিনি
এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা খুব স্বল্পকালীন একটি
সরকার। আর আগামী বছরই রাজনৈতিক সরকার আসার বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত মতামত। জানি না আসলে
কি হবে। আগামী বছরই হয়তো আমরা রাজনৈতিক সরকার দেখতে পাবো। অর্থনৈতিক ও আয়বৈষম্য এই
মুহূর্তে বড় একটি দুশ্চিন্তার বিষয়। বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দরকার, যেখান
থেকে অনেক দূরে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে উন্নত দেশ থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার
ব্যাপারে আলোচনা চলমান। অনেক দেশই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
এ সময় মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাঁচতে
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্বব্যাংকের মুখ্য
অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল। আর এই কর্মযজ্ঞে যেন উদ্যোক্তা তৈরি হয় ও প্রযুক্তির
ব্যবহার বাড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
এ জন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো
দরকার বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। ইন্দরমিত বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্বিপক্ষীয়
ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশলী হওয়ার পাশাপাশি সেবা ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন
বাড়াতে বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে হবে।
উক্ত সেমিনারে আগামীতে নিরবচ্ছিন্ন
জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সাজানোর
পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক।
মন্তব্য করুন