সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে । বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে। নতুন এ দাম চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর ধরা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি আবাসিক, সিএনজিচালিত যানবাহন, সার ও চা শিল্পে ব্যবহার ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, যা ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হয়।
সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য গ্যাসের পূর্ব মূল্য ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা যা বাড়িয়ে বর্তমান মূল্য করা হয়েছে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্মল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ছিল প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা। এক্ষেত্রেও ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে সেটা ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভতুর্কি সমন্বয়ে বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে । গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় গ্রাহক পর্যায়ে হচ্ছে না। বিদ্যুতের পর্যায় হচ্ছে। গ্যাসের আবাসিক পর্যায়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম বাড়ছে না। শিল্পেও গ্যাসের দাম বাড়ছে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে গ্যাস দেওয়া হয় সেখানে আমরা কিছুটা সমন্বয় করছি।
তিনি বলেন যে গ্যাস বিদ্যুতে দেওয়া হয় সেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়বে, অর্থাৎ এটা ইন্টারনাল।
এ বছর বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো ভর্তুকি আসবে। এগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা সমন্বয়ে যাবো।
মন্তব্য করুন
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকে। তারা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করবেন।
এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এ ছাড়া গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার। বড়দিনের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলোতে। নগরের বিভিন্ন হোটেলের লবি ও অন্যান্য স্থান সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক প্রভু যিশু ঈশ্বরের পুত্র। পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করতে এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের লক্ষ্যে প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। দুই হাজার ২৩ বছর আগে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে ঐশী শক্তিতে মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন। মানবজাতির প্রতীক্ষিত মুক্তিদাতা প্রভু যিশু ৩০ বছর বয়সে প্রকাশ্যে প্রচার শুরু করেন।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র্যাব ফোর্সের ১৪৮টি দলসহ সারাদেশে ৪৩২টি টহল
দল মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার
(২২ নভেম্বর) সকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান
খান এ তথ্য জানান।
তিনি
জানান, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার
গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র্যাব টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যে
পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ
গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি
আজ (১ অক্টোবর ২০২৪) ইসিবি চত্ত্বরে ঢাকা জেলার জন্য স্থাপিত মেডিকেল ডিসপেনসারিতে
উপস্থিত হয়ে ভিডিও টেলি কনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন
করে স্থাপিত আরও ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির শুভ উদ্বোধন করেন।
এরপর তিনি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময়
করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের
কল্যাণার্থে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড কর্তৃক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী,
বিমান বাহিনী এবং সেনাকল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩১টি মেডিকেল
ডিসপেনসারি পরিচালিত হচ্ছে।
আজ আরও ৩০টি নতুন মেডিকেল ডিসপেনসারির কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে দেশের ৬১টি জেলায় অবসরপ্রাপ্ত ১,৫৫,২৬৪ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তদ্বীয় পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে।
উল্লেখ্য, অবশিষ্ট ৩টি জেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মেইন ড্রেসিং স্টেশন (এমডিএস) হতে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তদ্বীয় পরিবারবর্গ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল ডিসপেনসারি স্থাপনের ফলে তাদের অর্থ ও সময় উভয়ই বাঁচবে এবং দূর-দূরান্ত থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের ঔষধ সংগ্রহের সমস্যাও অনেকাংশে লাঘব হবে। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবায় সিএমএইচ সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক এ বিষয়ে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও পরিবারবর্গের জীবনযাত্রার মান বহুলাংশে উন্নত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন জেলার বেসামরিক প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ (ভিটিসির মাধ্যমে), সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
এম এ হান্নান, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে ৫৬ পিস ইয়াবাসহ মো: রনি নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড গজারিয়া বাংলালিংক টাওয়ার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত রনি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত হেজন আলীর ছেলে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমোহন থানার এসআই মো: ইউসুফ ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে গজারিয়া বাংলালিংক টাওয়ার এলাকা থেকে রনিকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৫৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম বলেন, আটককৃত রনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে ভোলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের
ছাত্রদের ভেতরে বহিরাগত প্রবেশ করছে এমন অভিযোগ আসছে। তাই কোনো ধরনের উসকানির ফাঁদে
না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন
সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। সকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের
বৈঠকে হওয়ার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যখন সাত
কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করল, তখন তাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের শিক্ষা উপদেষ্টা
এবং আমি সেই আলোচনায় ছিলাম। সেখানে যথেষ্ট ভাল আলোচনা হয়েছে এবং তারা সন্তুষ্ট ছিল।
সেখানেই বিষয়টি শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে সমাধানের পথটা দেখানো হয়েছিল। এ দ্রুত শিক্ষার
ব্যাপারে এমন দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেই জায়গা থেকে তাদের সঙ্গে একটা কনসালটেশন
হয়েছিল।
তিতুমীর কলেজের আন্দোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, তিতুমীর কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা বলছেন অনুপ্রবেশকারীরা,
আমরা দেখেছি কীভাবে ট্রেনের ভেতরে পাথর ছুড়ে একটা বাচ্চার পর্যন্ত মাথা ফেটে গেছে।
এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আজও ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখনও স্পষ্ট
না কি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ অঞ্চলটাতে প্রায়ই এমন ঘটনা দেখে থাকি।
এক্ষেত্রে ছাত্রদের প্রতি আহ্বান থাকবে কোনো ধরনের উসকানির ফাঁদে না পড়ার, যেন আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি বজায় থাকে। আহ্বান জানাচ্ছি, ছাত্ররা যেন নিজেদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করে।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছে ছাত্ররা। তাই তাদের মধ্যে
অনেক আশঙ্কা রয়েছে। তাদের দাবির প্রতি আমরা সহনশীল। তবে সেই দাবি দাওয়া নিয়ে আমাদের
সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানাই। চাইলে সমাধান করতে পারি। সরকার এ ব্যাপারে খুব পজিটিভ।
আসুক কথা বলব। সরকার কথা শুনছে চাইলে সমাধান করা যায়। যারা আন্দোলন করছেন তাদের কাছে
দাবি থাকবে আপনারা আসুন, আলোচনা করি। কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। সরকার আপনাদের শুনতে
ইচ্ছুক। যেহেতু ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থান সফল করেছে আমি মনে করি ছাত্ররা দায়িত্বশীলতার
পরিচয় দেবেন।
এ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
বলেন, রাতারাতি এক কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলার জন্য রাস্তা বন্ধ করে জনমানুষের
ভোগান্তি তৈরি করবেন, এটা কতটুকু সমীচীন, সেটা একটু বিবেচনা করে দেখতে ছাত্রদের প্রতি
আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন
তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট
সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান।
আজ
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতকালে
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, রাহাত ফাতেহ আলী খান একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি শুধু
পাকিস্তানের নন, তিনি উপমহাদেশ তথা সারাবিশ্বের সংগীত জগতের সম্পদ। বাংলাদেশে তার অনেক
ভক্ত রয়েছে।
শনিবার
ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টের জন্য রাহাত ফাতেহ আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এ ধরনের একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রয়োজন ছিল।
সাক্ষাতকালে
রাহাত ফাতেহ আলী খান বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে আমন্ত্রণের
জন্য তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব এবং অনন্য মানবিকতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করায় রোববার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪), সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, লেফটেন্যান্ট মো: বায়েজিদ বোস্তামী ও ল্যান্স কর্পোরাল (গানার) কাজী সুজনের সাথে সেনাসদরে সাক্ষাৎ পূর্বক ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান তাদের সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রাণিত করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নবীন অফিসার লেফটেন্যান্ট মোঃ বায়েজিদ বোস্তামী এক উদাহরণস্বরূপ অবদান রেখেছেন। গত ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত হয়ে নিজ হাতে তিনি প্রায় ৩৫০ জন এর অধিক বন্যার্তদের উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে ছিলেন শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা,বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি সহ অনেকেই।
এছাড়া ল্যান্স কর্পোরাল (গানার) কাজী সুজন ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ভুজপুর এলাকায় বন্যার্তদের উদ্ধারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গত ২৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত হয়ে নিজ হাটুকে সিঁড়ি বানিয়ে অসুস্থ,গর্ভবতী মহিলাদের ট্রাকে উঠতে সহায়তা এবং বন্যা কবলিত এলাকায় অসহায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চীফ অব জেনারেল স্টাফ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী; জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়া এবং উক্ত সেনা সদস্যদের অধিনায়কগণ।
তরুণ সেনা সদস্যগণের মতোই দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য কাজ করে যাচ্ছে দেশবাসীর সেবায়। তারুণ্যের এই সহমর্মিতা ও মানবতাবোধ হোক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস।
মন্তব্য করুন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী
মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। হিন্দু
ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশী অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন এবং অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীগণ সহযোগিতা ও
সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন সার্থক ও সুন্দর করে তুলবেন- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নির্দেশে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর মতলব উত্তর থানাধীন নাসিরাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ১০টি ড্রেজার ১টি বাল্কহেড, ২টি স্পিডবোটসহ ৪৩ জন আটক করেছে নৌ পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ বালু বিক্রয়লব্দ ১১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর উপজেলার হিল্লোল চাকমা সহকারী কমিশনার ভুমি, মতলব উত্তর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কোস্ট গার্ডের চীফ পেটি অফিসার।
চাঁদপুর নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রীয়াধীন আছে।
মন্তব্য করুন