

ইন্টারনেট অবকাঠামো সেবাদাতা সংস্থা ক্লাউডফ্লেয়ারে
বড় ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট কাজ করা
বন্ধ করে দিয়েছে। এই বিভ্রাটের ফলে ইন্টারনেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রভাবিত হয়েছে।এতে
করে ইন্টারনেট সেবাগ্রহীতারা বেশ সমস্যায় পড়েছেন।
বাংলাদেশেও বহু ওয়েবসাইট কাজ করছে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী,
ক্লাউডফ্লেয়ার বর্তমানে অনলাইন অভিজ্ঞতাকে সচল রাখা বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত
পরিষেবা দেয়। ওয়েবসাইটকে সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেওয়া এবং বিপুল পরিমাণ ট্র্যাফিকের
মাঝেও অনলাইন উপস্থিতি নিশ্চিত করার মতো অত্যাবশ্যকীয় টুলস এই সেবার অন্তর্ভুক্ত।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্লাউডফ্লেয়ার সমস্যাটি
সম্পর্কে অবগত এবং এটি তদন্ত করা হচ্ছে, যা সম্ভাব্যভাবে বহু গ্রাহককে প্রভাবিত করেছে।
আরও তথ্য পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানানো হবে।
এই প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক
টুইটার) এবং এআই-ভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা
সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিভ্রাট পর্যবেক্ষণকারী জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও
শুরুতে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। পরে সেটি লোড হওয়ার পর সমস্যায় পড়া
ওয়েবসাইটগুলোর সংখ্যায় ‘নাটকীয় বৃদ্ধি’ লক্ষ্য করা গেছে।
এই বিভ্রাটের দ্রুত সমাধানের জন্য ক্লাউডফ্লেয়ারের বিশেষজ্ঞরা
কাজ করছেন।
(সূত্র- ইনডিপেনডেন্ট)
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ
হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ
বুধবার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে
হাইকমিশনার কুক সম্মানজনক কিং চার্লস হারমনি পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসকে
অভিনন্দন জানান।
পুরস্কারের
কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি মহান সম্মানের বিষয়।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস ৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৩ জুন ফিরে আসবেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ঊর্ধ্বতন
ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয়, যেমন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল সংক্রান্ত সহযোগিতা, অভিবাসন এবং
অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও
অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক উদ্যোগ ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইকমিশনারকে জানান, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে গঠিত কমিশন এবং
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে এবং শিগগির তা শেষ
হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বাংলাদেশের সামুদ্রিক গবেষণা কার্যক্রম আরও উন্নত করতে যুক্তরাজ্যের কারিগরি
সহায়তা এবং ব্রিটিশ গবেষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া
মোরশেদ এবং ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন


চীনের আনহুই প্রদেশে ২০১৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তারপর তিনি কোমায় চলে যান। কিন্তু স্ত্রীর বিশ্বাস ছিল, তার জীবনসঙ্গী একদিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। আর সেই বিশ্বাস, মনের প্রবল জোর ও নিঃস্বার্থ সেবায় দীর্ঘ ১০ বছর পর কোমা থেকে স্বামীকে ফিরে পেলেন সান হংশিয়া নামের ওই নারী।
এই দম্পতির একটি আবেগঘন ভিডিও চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, জেগে ওঠা স্বামীর পাশে বিছানায় বসে আছেন সান হংশিয়া। গত কয়েক বছর কীভাবে কেটেছে, সেই বর্ণনা স্বামীকে দিচ্ছিলেন ওই নারী। এসব শুনে কোমা থেকে জেগে ওঠা ওই ব্যক্তির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
গণমাধ্যমকে সান বলেন, যদিও আমি অনেক ক্লান্ত। তারপরও একটি পরিবারের সবাই যদি আবার এক হয়, সেটার অনুভূতি অন্য রকম।
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে স্বামী কোমায় চলে যাওয়ার পর তিনি কী দুরবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন, সেগুলোর স্মৃতিচারণা করেন সান। তিনি বলেন, দুই সন্তানের চিন্তাই তাকে শক্তি জুগিয়েছে, ভেঙে পড়তে দেয়নি। পাশাপাশি তিনি সন্তানদের জন্য সুন্দর একটি উদাহরণও তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
সান আরও বলেন, তার কাছে অগ্রাধিকার ছিল স্বামী। অচেতন স্বামীর থাকাটা যেন আরামদায়ক হয়, সে জন্য তিনি সময় ও শক্তি দুটিই ব্যয় করেছেন। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার কারণে ওই ব্যক্তির (স্বামী) অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়েছিল। শ্বাসপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে তার জন্য ট্র্যাকিওস্টমি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। পুরুষাঙ্গে ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারপরও সান লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি।
সানের ৮৪ বছর বয়সী শ্বশুর বউমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সে আমার বউমা, কিন্তু আমার মেয়ের চেয়েও বেশি। ওর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
মন্তব্য করুন


জনপ্রিয় তুর্কি সিরিয়াল ‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজের অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট ঢাকায়
এসেছেন।
এর আগে বুরাক বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, তিনি ঢাকার ভক্ত-অনুরাগীদের
উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এ অভিনেতা ২৪ মে ঢাকায় এসে পৌঁছান বলে জানা গেছে।
তুর্কি সিরিয়ালের জনপ্রিয় এ অভিনেতা তিনি এখন হোটেল রেডিসন ব্লুতে অবস্থান করছেন।
একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে এসেছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
অ্যাজিভিট। আগামীকাল (২৬ মে) ঢাকার ভক্তদের সঙ্গে দেখা করবেন এ অভিনেতা।
এই মুহূর্তে হোটেল রেডিসন ব্লুতে অবস্থান করছেন তুর্কি সিরিয়ালের জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
জানা গেছে, বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠান তাদের রূপান্তর যাত্রার অংশ হিসেবে আমন্ত্রণ
জানিয়েছেন বুরাককে। আর সে আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে এসেছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
অ্যাজিভিট।
বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমে অংশ নিতেই সফরে আসেন তিনি। দেখা
করবেন তার ভক্তদের সঙ্গেও।
বহুজাতিক সেই কোম্পানি থেকে যারা পণ্য কিনেছেন তাদের মধ্য থেকেই ভাগ্যবান বিজয়ী
এই প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারবেন। আগামী ২৬
মে বিজয়ী ভক্তদের সঙ্গে দেখা করবেন বুরাক।
অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিটের তুরস্ক ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য ভক্ত রয়েছে।
তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের চরিত্রে রূপদান করে বিশ্বব্যাপী বিনোদনপ্রেমীদের
মন জয় করেছেন। তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বের প্রায় ১৬ মিলিয়ন মানুষ অনুসরণ করে।
বুরাক অ্যাজিভিটের ১৯৮৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তুরস্কের মারমারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়াশোনা করেছেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে আজারবাইজানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেইনলি আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় তারা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলন এবং জ্বালানি, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আশা করা হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩২ হাজার মানুষ জলবায়ু অর্থায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত হুসেইনলি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ উন্মোচন এবং আরও বেশি ব্যবসার উপায় খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, জুন মাসে বাকুতে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর পর্যায়ে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আজারবাইজানের জনগণ, দেশটির নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার বাংলাদেশের কর্মকর্তা, এনজিও এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে
বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে দেশের জলবায়ু সংকটের উদ্বেগ তুলে ধরতে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা চালাতে
বলেছেন।
জাতিসংঘের
বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে আজারবাইজানের রাজধানীতে
পৌঁছার পরপরই বাকুতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি
বাকুর একটি হোটেলে সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে বলেন, আমাদের প্রধান প্রচেষ্টা
হবে আমাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলি কপ২৯-এর চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা’।
বৈঠকে
পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ সম্মেলনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান
সম্পর্কে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশ শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতি ও প্রশমন এবং শুধু রূপান্তর ও
অভিযোজন প্রক্রিয়াসহ সকল প্রধান ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য নয়টি দল গঠন করেছে। বাংলাদেশের
অন্তত ২৯টি এনজিও এবং সুশীল সমাজ গোষ্ঠী কপ২৯-এ যোগ দিচ্ছে। গ্লোবাল নর্থের ধনী দেশগুলোর
আশ্বাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং ২৫০ মিলিয়ন
মার্কিন ডলার ঋণ জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে পেয়েছে।
এর
আগে বিকেল ৫.১৫ মিনিটে স্থানীয় সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বাকু পৌঁছান।
তিনি
আগামীকাল (মঙ্গলবার) কপ২৯-এর মূল শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের ২৪টি জাহাজ এখনো গাজার দিকে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে একটি জাহাজ মিকেনো গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লোটিলার ‘লাইভ ট্র্যাকারের’ মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। খবর আলজাজিরার
তবে সেটি ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্য ২৩টি জাহাজ গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার ১৩টি জাহাজ আটকে দেয় এবং সেখানকার ৩৭ দেশের দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক জানিয়েছেন, আটক হওয়া ১৩ জাহাজে ২০১ জনের বেশি কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন ও মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, আটক ব্যক্তিদের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে এবং তারা ‘নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।
৪০টির বেশি নৌযান নিয়ে গঠিত সুমুদ ফ্লোটিলা একটি বৈশ্বিক মানবিক প্রচেষ্টা, যার লক্ষ্য গাজার ওপর ইসরায়েলি নৌ-অবরোধ ভেঙে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। নৌবহরে রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা।
মন্তব্য করুন


ব্রাজিলের
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে বন্যায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৭৮ জন। আর নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত
১০৫ জন।
দেশটির
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয়
কর্তৃপক্ষ গতকাল রবিবার (৬ মে) জানিয়েছে, বন্যায় ১ লাখ
১৫ হাজারেরে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বারের বিপর্যয় ১৯৪১ সালের ভয়ঙ্কর
বন্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ছাড়াও দক্ষিণাংশের কয়েকটি শহরে
জলস্তর ১৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
দেশটির
প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা গতকাল রবিবার (৬ মে) সকালে রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে পৌঁছেছেন। রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট
বলেছেন, ‘এটি
একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’ স্বেচ্ছাসেবকরা
চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গতকাল
রবিবারেও ১০৫ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন


ঢাকায়
এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক একটি
প্রতিনিধি দল।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে।
মার্কিন
প্রতিনিধিদল আগামী
২২-২৫
নভেম্বর ঢাকা
সফর করবে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রম
বিষয়ক বিশেষ
প্রতিনিধি কেলি
এম ফে
রদ্রিগেজ। এছাড়া
রয়েছেন শ্রম
বিভাগের ডেপুটি
আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।
ঢাকা
সফরের প্রথম
দিনে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে
বৈঠক করেছেন
তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের পোশাক শ্রমিক এবং
শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দেখা
করবেন।
প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক
খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক
শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা
করা যায়
সে বিষয়ে
আলোচনা করবে।
এ সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
শ্রমের মান,
সে সঙ্গে
টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করা সমৃদ্ধির উন্নতি-অগ্রগতির জন্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর
দেয়।
মন্তব্য করুন


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক
ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে
পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার ইউএনজিএ সফরের সাফল্যগুলো তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ড. ইউনূস গত
সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ-র উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব
দেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনেতাদের
সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং গণতন্ত্র, মানবিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা
নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। ইউএনজিএ-র ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
করেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক
মহলকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের লালিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
রক্ষায় প্রস্তুত।
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে
তিন রাজনৈতিক দলের ৬ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ
প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা
বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কৌশলগত বৈঠক
প্রসঙ্গে আলম বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূস উচ্চপর্যায়ের একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও যৌথ অগ্রাধিকারের প্রসারে ভূমিকা রাখে।
তিনি জানান, ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান,
অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য,
জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পায়।
আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেস, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল,
জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা,
নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা এবং আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার
সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া অধ্যাপক ড. ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের
বিশেষ দূতের সঙ্গেও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক
কূটনীতিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভূমিকা উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আলম বলেন,
প্রধান উপদেষ্টার সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া
এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া
যায়। জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ, স্বেচ্ছায়
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংকট যেন বৈশ্বিক মনোযোগ থেকে
হারিয়ে না যায় সে আহ্বান জানান। প্রেস সচিব জানান, এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।
শফিকুল আলম বলেন, জবাবদিহি ও উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি
তুলে ধরতে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)
থেকে উত্তরণের অগ্রগতির একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনা করতে। এ অনুরোধ ঢাকার অর্থনৈতিক
যাত্রাপথে আস্থা ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক মূল্যায়নের প্রতি উন্মুক্ততা প্রকাশ করে।
প্রেস সচিব জানান, ইউএনজিএ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থান
ও শ্রমশক্তি রপ্তানির নতুন সুযোগও উন্মোচিত হয়। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের আরও কয়েকটি
দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার সম্প্রসারণের
বিষয়ে সম্ভাবনা খোঁজা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুযোগ প্রবাসী আয় বাড়াতে ও নতুন অংশীদার
দেশের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন


ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের
হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস টাইফুন ইয়াগি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হ্যানয়ের
বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েতনামে বসবাসরদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামে
বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের সদয় জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, শক্তিশালী টাইফুন
ইয়াগি ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং তার প্রভাবে আগামী ২ দিন উত্তর
ও মধ্য-ভিয়েতনামে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা সংঘঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে
সব-প্রকার দোকান-পাট বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় আপদকালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয়
খাবার ও ওষুধ সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। টাইফুন আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণ না করে এই সময়ে
নিরাপদে যার যার বাসস্থানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আপডেটের জন্য স্থানীয়
সংবাদ মনিটর করুন। ভিয়েতনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে বিধায় ভিয়েতনাম ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিককে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ভ্রমণ
করার জন্য অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ দূতাবাস, আগামী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) যথারীতি
খোলা থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্বাভাবিক সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এমতাবস্থায়
জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
দূতাবাসে যোগাযোগের নম্বর : +৮৪-৮৯৬৩২১৮৬৮ (দূতালয় প্রধান)
টাইফুন ইয়াগি কালীন জরুরি সাহায্যের
জন্য ভিয়েতনামের নিম্নের নম্বরে যোগাযোগ করুন-
১১২ (জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিলে)
১১৩ (পুলিশ সহায়তা)
১১৫ (এম্বুলেন্স সহায়তা)
মন্তব্য করুন