মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক মানবকল্যাণমূলক সংগঠন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল-এর নতুন বছরের শুভ সূচনা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) কুমিল্লা এরিয়ার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
র্যালিটির উদ্বোধন করেন রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ (ডি ৬৫ বাংলাদেশ) এর এসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ডা. তৃপ্তিশ চন্দ্র ঘোষ। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, "রোটারি ইন্টারন্যাশনালের মূল লক্ষ্যই হলো মানবসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। কুমিল্লা রেনেসাঁস ক্লাব সেই পথেই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।"
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অব রেনেসাঁস কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল ইসলাম রিপন, বর্তমান ক্লাব সভাপতি জীবন কুমার সাহা, আইপিপি আবু তানভীর, সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম, ক্লাব সদস্য ডা. সিমা আক্তার, ডা. আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম জুয়েল, মোশারফ হোসেন সহ কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন রোটারি ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখযোগ্য দিক হিসেবে, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে রোটারি ক্লাব অব রেনেসাঁস কুমিল্লার পক্ষ থেকে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে একটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়। এতে করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি ক্লাবের সহানুভূতি ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন ঘটে।
নতুন রোটারি বর্ষের এই আয়োজন কুমিল্লা শহরে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেয়—রোটারি কেবল একটি সংগঠন নয়, এটি একটি মানবতার আন্দোলন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত লার্নিং সেশনে উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিজেএ সাউদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।
লার্নিং সেশনের শুরুতে সভাপতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার বর্তমান ও অতীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে অবহিত করেন। সিজিএম মাদক মামলার জব্দ তালিকা প্রস্তুত, সাক্ষী গ্রহণ ও স্বাক্ষ্য প্রদান এবং বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক ও মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের আয়োজনে ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় বুধবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি ) সকালে কুমিল্লা জিমনেসিয়ামে কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
কাবাডি প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের ৮টি সার্কের টিম অংশ গ্রহন করে। দুটি গ্রুপে নক আউট পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিন জেলার চৌদ্দগ্রাম সার্কেল, সদর দক্ষিন সার্কেল, লাকসাম সার্কেল, সদর সার্কেল, হোমনা সার্কেল, দাউদকান্দি সার্কেল, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর সার্কেল টিম অংশ নেয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ টায় আইজিপি কাপ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ কাবাডি ও কুমিল্লা জেলা সার্কেল টিমের বিজয়ী কাবাডি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন করা হবে।
কুমিল্লায় সার্কেল কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মংনে খোয়াই মারমা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কামরান হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন জাকির।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৩ নভেম্বর দুপুরে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নূরপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী মোঃ সুজন নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০
কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ সুজন (২৯) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার মধ্য বাঁশদূতপুর গ্রামের মৃত হাকিম এর
ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার
বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪০ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
৭ নভেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন তৈলকুপি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে
পিকআপ ভ্যানের বডির ভিতরে গোপন প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী
১। মোহসীন এবং ২। হৃদয় জীবন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো: ১। মোহসীন (৫৮) মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ি থানার ধীরপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর
ছেলে এবং ২। হৃদয় জীবন (১৯) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার মিরপুর গ্রামের জাকির হোসেন
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা
সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয়
করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল
অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের
অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে র্যাব পরিচয়ে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে
সিএনজিসহ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গত ১৭ই জুন রাত ১১ টায় চৌদ্দগ্রাম থেকে
সিএনজি অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা হয়।
মিয়াবাজার
হাইওয়ে থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের সার্কেল এডিশনাল এএসপি খায়রুল
জানায়, গত ১৫ই জুন পদুয়ার বাজার থেকে বুচ্চি ভাঙ্গড্ডা সড়কে যাত্রী পরিচহন করা সিএনজি
অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠেন আল মাহফুজ হৃদয়। পথিমধ্যে চালকের সাথে আলাপকালে চালক মনির
হোসেনকে র্যাব ১১ কুমিল্লা শাকতলার গোয়েন্দা অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে সরকারী
বাহিনীর ডিউটি করেছেন কি না চালকের জানতে চান এবং তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে
নেন। ১৬ তারিখ কল করে চালককে ১৭ তারিখ জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। এবং চালকের
সাথে দুই হাজার টাকা ভাড়া চুক্তি হয়। ১৭ তারিখ বিকেলে চালক মনির হোসেন জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড
থেকে আল মাহফুজকে নিয়ে মিয়াবাজার যাওয়ার পথে শুয়াগাজি বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে আল
মাহফুজ মোবাইলে অন্যের সাথে কথা বলে অন্য জায়গায় আকস্মিক অভিযানের কথা বলে গাড়ি ঘুরিয়ে
রাজেশপুর ইকোপার্কে নিয়ে যায়। এরপর সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালককে
দুটি গামছা দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়।
সিএনজি
চালক মনির হোসেন বলেন, বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে গাছের সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় আধা ঘন্টা
চেষ্টার পর বাঁধন খুলতে সক্ষম হই। পাশ্ববর্তী এক বাড়িয়ে সাহায্য না পেয়ে দেড় কিলোমিটার
দূরে স্থানীয় একটি বাজারে গিয়ে গাড়ির মালিক আমার বড় ভাইকে কল করে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানাই।
আমার ভাই তৎক্ষণাৎ গাড়ির সেল সেন্টারে কল দিলে তারা গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে
গাড়ির অবস্থান নির্ণয় করে। সাথে সাথে হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিমকে জানালে চৌদ্দগ্রামে
মহাসড়কের ডলি রিসোর্টের সামনে থেকে গাড়িসহ কথিত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার অফিসার ছিনতাইকারী
আল মাহফুজকে আটক করে তারা।
মিয়াবাজার
হাইওয়ে থানার ওসি সাহাবুদ্দিন জানান, ছিনতাইকারী আল মাহফুজের বিরুদ্ধে রংপুর ও কুমিল্লায়
দুটি মামলা রয়েছে। তাকে প্রধান আসামী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
নগরীর বাদুরতলা এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর অভিযানে পিকআপ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে
আটক করা হয়েছে।
জানা
যায়, গত ১ মে ২০২৫ তারিখে দেবিদ্বার এলাকা থেকে চট্ট মেট্রো-ন ১২-০৫০১ নম্বরের একটি
পিকআপ ছিনতাই হয়। পরে ছিনতাইকারী মোঃ সম্রাট মালিকের কাছ থেকে গাড়ি ফেরত দেওয়ার
আশ্বাস দিয়ে ১ লাখ টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে মালিককে পুনরায় ৫০,০০০
টাকা নিয়ে কুমিল্লায় আসতে বলা হয়। পিকআপের মালিক আলাউদ্দিন চট্টগ্রামের পাহাড়তলী
এলাকার বাসিন্দা।
সেনাবাহিনীর
টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে বাদুরতলা এলাকা থেকে ছিনতাইকারী
মোঃ সম্রাটকে আটক করে।
আটককৃত
ছিনতাইকারী হলেন- কুমিল্লা চান্দিনার মহিচাইল গ্রামের মোখলেসুর রহমান এর ছেলে মোঃ সম্রাট
(২০)।
সম্রাটকে
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা ।
গতকাল (৯ জুন) রাতে জেলা গোয়েন্দা
শাখা, কুমিল্লার এসআই উক্যমং রাখাইন তার সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী
মডেল থানাধীন ১নং কালির বাজার বাইতুন সালাম ইসলামীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে
৩টি বস্তার ভিতরে মোট ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সুমনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শুভপুর এলাকার আব্দুল জলিল এর ছেলে
মোঃ সুমন(৩৫)।
উক্ত ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সৈয়দপুর এলাকায় হোটেল ব্যবসার অন্তরালে গাঁজার বাণিজ্য করছে একটি চক্র।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে হোটেল বা দোকানের বাহিরে ঝোপ ও মাটির স্তুপের মধ্যে ছোট ছোট পুটলি করে গাঁজার লুকিয়ে রাখে। মহাসড়কে চলাচলরত ট্রাক, কার্ভাডভ্যান, যাত্রীবাহী বাসের কিছু চালক ও হেলপারসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মাদকসেবীরা ওইসব হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন হোটেল বা চা দোকানের লোকজন লুকানো স্থান থেকে চাহিদা মাফিক গাঁজার পুটলি তাদের হাতে তুলে দেয়।
শনিবার বিকেল ৩ টা ২২ মিনিটে ঢাকাগামী সিডিএম পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় মহাসড়কের পাশের জোনাকি হোটেল সংলগ্ন (দক্ষিণ পাশে) একটি দোকানের সামনে দাঁড়ায়। পরে গাড়ির সুপারভাইজার থেকে ২০০ টাকা নিয়ে হেলপার সাইনবোর্ড বিহীন হোটেলে যায়। হেলপার যাওয়ার পরে ওই হোটেলের মালিক পাশের মাটির স্তুপ থেকে কয়েকটি গাঁজার পুটলি বের করে নিয়ে আসে।
এমন একটি সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ওসমান গণি সঙ্গীয় অফিসারসহ পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হোটেলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৮)কে আটক করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ও ডান হাতে থাকা নীল রংয়ের পলিথিনের ভিতর রক্ষিত পেপার দ্বারা মোড়ানো ৫০টি গাঁজার রোল উদ্ধার করা হয়। যাহা কাগজ সহ প্রতিটি রোলের ওজন ২০ গ্রাম করিয়া মোট ১০০০ গ্রাম বা ০১ কেজি।
আটককৃত জাহাঙ্গীর উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের উত্তর বাবুচির্র (বসুন্ডা বাড়ি) মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি ত্রিনাথ সাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
পাওনা টাকা নিয়ে সালিশি বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত
হয়েছে আরও ৩ জন। একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার
(১০ অক্টোবর) রাতে জেলার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর বাজারে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত
রাজিব হোসেন উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে।
আহতরা
হলেন, নবীপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আক্তার হোসেন (৩০)
ও জসিম উদ্দিন(৫৫)। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল
থেকে মারুফ (১৯) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক মারুফ উপজেলার
যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
আহত
আক্তার হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া জানান, তার ননদ নিলুফা বেগম উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের
শিড়িনা বেগমের থেকে ১০ হাজার টাকা ধার আনেন। ধারের টাকা দিতে না পারায় এই টাকার জন্য
বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। পাওনা টাকা জন্য গতকাল (বৃহস্পতিবার)
রাতে তার ননদ ও স্বামীকে তুলে নেয়ার জন্য শিড়িন ৮/১০ জনের একটি বখাটে দল নিয়ে আমার
শ্বশুর বাড়িতে আসে। এসময় আমাদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার
জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে নবীপুর বাজারে কামাল মাষ্টারের অফিসে সালিশ বৈঠক বসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সালিশ চলাকালে অফিসের বাইরে শিড়িনা বেগমের সাথে আসা মারুফ, মারফতসহ কয়েকজন রাবেয়া বেগমকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এসময় রাবেয়ার স্বামীর বন্ধু রাজিব রাবেয়াকে উঠাতে গেলে মারুফ, মারফত, কোমর থেকে ছুরি বের করে রাজিবের বুকে ও শরীরে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এসময় রাজিবকে বাঁচাতে আসলে তার বন্ধু আক্তার হোসেন ও তার বাবা মোজাফ্ফর এবং কাকা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা মারুফ নামের একজন হামলাকারী আটক করে এবং আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ
বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, হত্যার ঘটনায় একজনকে
আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অস্ত্রসহ একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১১ জানুয়ারী রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চান্দুল এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী শাহ নেওয়াজ নামের একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী শাহ নেওয়াজ (২৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার গাজীপাড়া গ্রামের আব্দুল আমিন এর ছেলে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপ-পরিচালক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, সে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন