নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আদর্শ সদর উপজেলার সদর হাসপাতাল রোড এলাকায় রবিবার (১ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটি অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে “পদ্মা মেডিকেল সার্ভিসেস” নামক একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মূল্য তালিকার চেয়ে অধিকমূল্যে রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন টেস্টের ফি আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে “তাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস”-এ সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রিএজেন্ট সংরক্ষণ না করা এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানসম্মত সেবা প্রদান না করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
সবমিলিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতে সেবার মান বজায় রাখতে ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি সহযোগী দল।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবীদ্বারে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে দেবীদ্বার সরকারী রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী।
পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান লিটন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজবিউল আহসান মুন্সী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাঠান ভুলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুলতান কবির আহম্মেদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সুফিয়া বেগম।
ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সামরিক বাহিনীর একজন মেজর হিসাবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিলে সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। আর না হয় দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য যে লড়াই করেছিল সে লড়াই বাস্তবায়ন হতো না।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভূয়া মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রেখেছিলো। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়েছে। অনেকেই হাতকড়া পড়ে বাবা-মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নানাভাবে স্বৈরাচার সরকার হয়রানি করেছে। কাউকে হত্যা করে, কাউকে আহত করে, আবার কারো ব্যবসার ক্ষতি করে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করেছে। এ সব কিছুর জবাব আমরা তাদের মত করে দিবোনা। আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এসবের জবাব দিবো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৮৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন মিরপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মিনারুল ইসলাম (৩১) এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৮৫ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি প্রাইভেটকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ মিনারুল
ইসলাম (৩১) জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এর
ছেলে এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট থানার হিচমী দক্ষিণপাড়া
গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় সৃষ্ট
বন্যার প্রেক্ষিতে শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ
আসায় গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) নগরীর রাজগঞ্জ বাজার এলাকায় বিশেষ তদারকি অভিযান পরিচালনা
করা হয়।
অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়ায় ৬ প্রতিষ্ঠানকে
২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম। উক্ত অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ এর বিশেষ অভিযানে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোশাইয়াম পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ৩৩৫ বোতল স্কাফসহ মো. আসিফ (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদক পরিবহণে ব্যবহৃত একটি সিএনজি-অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মো. আসিফ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার মাহাজনবাড়ি এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ স্বীকার করেছে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্কাফ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করতো।
র্যাব আরও জানায়, মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে তাদের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গত ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বার বাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর অভিযানে অদ্য ০৫ অক্টোবর ভোর রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসনাবাদ গ্রামের মোঃ রিপন মিয়ার ছেলে ধর্ষক মোঃ সাকিব আহম্মেদ (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা একজন ব্যবসায়ী। ভিকটিম দাউদকান্দি উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। ভিকটিম কলেজে যাওয়া আসার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী সাকিবের সাথে পরিচয় হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাকিব ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভিকটিম উক্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আসামী সাকিব তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি সহ অপহরণের ভয় দেখায় এবং ভিকটিমের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় ভিকটিম কিছু জিনিস কেনার জন্য কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামী সাকিব ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বারবাড়ীতে নিয়ে যায়।
সেখানে পূর্ব হতেই আসামী সাকিব একটি রুম ভাড়া করে রাখে এবং গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ হতে ২৭/০৯/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ঐ ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধ’ষর্’ণ করে। একপর্যায়ে আসামী সাকিব ঐ বাসা থেকে পলায়ন করে আত্নগোপনে চলে যায় এবং ভিকটিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাসায় যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কুমিল্লা সেক্টর এর উদ্যোগে কুমিল্লায় গোমতী নদী তীরবর্তী বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ।
২২ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীন এ বিবির বাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ গোমতী নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে বিজিবি।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আরাফাত হোসেন অনি এ ব্যাপারে জানানোর পাশাপাশি আরো বলেন, বিজিবির উদ্যোগে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া গোমতী নদীর তীরে ফাটল দেখা দিলে নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণ করছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর ভূঁইয়া ট্রাক হোটেল এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গাঁজা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত যুবক হলেন সাতক্ষীরা জেলার গোনা গ্রামের মো. তুহিন হোসেন (২৭)। তার পিতা মো. রওশন আলী (৫৫)। জানা গেছে, তুহিন হোসেনের নামে পূর্বে কোনো মামলা ছিল না।
সেনা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম আর্মি ক্যাম্পের জেসিও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মনজুরুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এতে ১.৫ কেজি গাঁজা, নগদ ১০ হাজার ৮৭০ টাকা এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রাক হোটেল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা রয়েছে। দূরপাল্লার ট্রাক চালক ও সহকারীরা এখানে খাবার খেতে এসে মাদক গ্রহণ করেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তারা গাড়ি চালানোয় সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এর আগেও এ এলাকায় একাধিকবার
অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযান শেষে গ্রেপ্তারকৃত তুহিন হোসেনকে জব্দকৃত মালামালসহ চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনা ও পুলিশ উভয়ই জানিয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে
সাতজন মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের
কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা ও ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট
উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত
আসামীরা হলো: ১। কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকার মোঃ জসিম উদ্দিন’র
ছেলে মোঃ মাসুদ রানা (২৪), ২। বুশতল এলাকার আবুল কাশেম’র ছেলে আব্দুল খালেক (১৯),৩।
২ নং বদরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম’র ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২৭), ৪। বরুড়া থানাধীন দেওড়া
এলাকার আব্দুছ ছাত্তার’র ছেলে শরীফ হোসেন (৩৯), ৫। চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার
ছায়েদ মিয়ার ছেলে মোঃ পারভেজ (৩৫),৬। কেছকী মোড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম‘র ছেলে মোঃ
নূর নবী (২৮),৭। বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন তেরকান্দা এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেন’র
ছেলে মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম (১৯)।
র্যাব জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন