বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছাপত্রে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, এই দায়িত্ব পালনের প্রতিটি সাফল্যের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শিপিং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বরত জাতিসংঘের সংস্থা হিসেবে আইএমও একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও পরিবেশগতভাবে নিরাপদ শিপিং সেক্টরের পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে সহায়তায় কাজ করছে। মহাসাগরগুলোকে রক্ষা করতে এবং বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য ও দক্ষতার সঙ্গে একটি টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তায় ব্যাপকভাবে নিয়োজিত রয়েছে আইএমও।
আইএমও মহাসচিব বাংলাদেশের সক্রিয় পদক্ষেপ, বিশেষ করে জাহাজের নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিংয়ের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশনে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র হতে এর সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও সামুদ্রিক সুরক্ষার কথা উল্লেখ করেন। তিনি পরিবেশগত তত্ত্বাবধানের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সবসময়ই আইএমওর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, আমি নিশ্চিত যে আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আইএমও মহাসচিব আরো বলেন, এই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ কেবল কনভেনশন কার্যকর করার ক্ষেত্রই সহজ করেনি, বরং আমাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কার্যক্রমের প্রভাবশালী ফলাফলের ওপরও জোর দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পদক্ষেপ অন্য দেশের জন্য আরও টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যত তৈরির লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
সংস্থাটির মহাসচিব আরো উল্লেখ করেন, আইএমওর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছি ।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারা দেশে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।
বুধবার
সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা
দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
মঙ্গলবার
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভোটগ্রহণের আগে,
ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ৩-১০
জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী।
আইএসপিআর
জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট
ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে
ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।
সেনাবাহিনী
৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব
পালন করবে।
এছাড়াও
সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় ০৪টি উপজেলায় কোস্ট
গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
উপকূলীয়
২টি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ
বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয়
সহায়তা করবে। জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনি সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়
সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে
যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে আগামী ২৪ থেকে ২৯
এপ্রিল ব্যাংকক সফর করবেন।
কূটনৈতিক
সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারপ্রধান পর্যায়ের এটি প্রথম
সফর।
বৃহস্পতিবার
এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একইসঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে
গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী
একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা,
সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন।
উক্ত
ব্যাংকক সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড রাজপ্রাসাদে রাজা ও রানীর সঙ্গে
সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও
যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের
সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২৫
ইউএনস্ক্যাপের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল
এবং ইউএনস্ক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ
সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের
মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কাভার করা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয় সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে এ সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস উইং আরো জানায়, শেখ হাসিনা সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে সবার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘের
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ।
বাংলাদেশে খাদ্য
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের
ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড.
চু ডংইউ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি
সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ,
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য
এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর
গুরুত্বারোপ করেন।
ইতালিতে নিযুক্ত
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও)
স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক অভিনন্দন
জানিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম এফএওর
স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের
অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরও
দক্ষ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের
গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। পঁয়তাল্লিশ
বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, কৃষি
পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এফএও-এর
প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম
কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর
বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৬ নভেম্বর সোমবার ভোরে পবিত্র মক্কায় তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের
নিয়ে কাবাঘর তাওয়াফ করেন।
পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ ও
ওমরাহর অন্যান্য কর্মসূচি সম্পাদনের পর মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
এসময় বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সঙ্গে ওমরাহ পালন করেন তার সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং মহিলা ও শিশু
বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মসজিদুল হারামে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেন।
এর আগে মদিনায় হযরত মুহাম্মদ
(সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে মসজিদে
নববিতে আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখান থেকে
উড়োজাহাজে জেদ্দায় পৌঁছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
দ্রুত গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতে। এটা আমরা গত এক মাস যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করতেছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটা ভালো পরিস্থিতিতে আছি। এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও এটা ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে কে আসবে না আসবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এমনও কিছু হতে পারে যা আপনি-আমি, কেউ ভাবছি না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ রংপুরের ৩৩টি, রাজশাহীর ৩৯টিসহ মোট ৭২টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ফল প্রকাশ করব না। একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশের ফল ঘোষণা করব। বর্তমান সংসদ সদস্য কয়েকজন বাদ পড়ছেন। এই মুহূর্তে আমি তাদের নাম বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়ছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর (শনিবার) প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আগে আমরা দেখি কারা বিদ্রোহী হয়, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াত বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এরা পরাজিত শক্তির দালাল, এদের না বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেল লাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলে, এরা তো পরাজিত শক্তির দালাল, মনে রাখতে হবে এরা পরাজিত শক্তির দোসর। কাজেই এদের না বলুন।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশে রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নেই। কারণ খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ—এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই।
‘এরা ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। এরা মানুষ খুন করতে পারে, মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষকে উন্নতি দিতে পারে না। কাজেই তাদের থেকে সাবধান।’
আওয়ামী লীগের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে; তারা শান্তিতে বাস করবে উন্নত জীবন পাবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা এদেশকে আর কখনো এই পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেব না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে এবং এগিয়ে যাবে জাতির পিতার ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সারা দেশে তারা অগ্নি-সন্ত্রাস করে যাচ্ছে, তাদের আন্দোলন কী, অবরোধ-হরতাল। তাদের দেখা নেই; কয়েকটা গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রেল লাইন কেটে দেওয়া, বাস পোড়ানো; এটাই হচ্ছে তাদের হরতাল, এটাই হচ্ছে তাদের আন্দোলন।
তিনি বলেন, তারা নাকি জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের জন্য আন্দোলন করে। তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করবে। আরে গণতন্ত্র বানান করতে পারবে? আর গণতন্ত্র তারা শিখেছে? ওর (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান) বাপ কি গণতন্ত্র দিয়েছিল? ওটা তো কারফিউ গণতন্ত্র ছিল।
বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি মাঠে নামে এরা হালে পানি পাবে না। কাজেই আমি জনগণের কাছে আহ্বান করবো, সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এখন তাদের নানা রকম চক্রান্তও শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই চক্রান্ত হয়। কিন্তু এদেশের মানুষের শক্তি হচ্ছে বড় শক্তি, আমি যেটা বিশ্বাস করি। সেই শক্তি আছে বলেই আমরা পরপর এক টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ থাকলে এদেশের মানুষ সেবা পায়।
টানা তিন মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে হেয় চোখে দেখা হত। পাকিস্তানিরা বোঝা মনে করত, এটা চলে গেলেই ভালো। আজকে তারা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর
দিতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত
প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর
দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । দেশের উন্নয়ন
পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯
বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা
কমিশনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি
কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয়
নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয়
হয়েছে তা মেটাতে আরও
বেশি কাজ করতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য- স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু
করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ
বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড়
পাওয়া যায় সেদিকে নজর
দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের
দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।
দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে
হবে। জমি অনাবাদি রাখা
যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে
হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে
বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা
নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প
পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক
নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে
একটি গাইড লাইন করা
যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ
প্যানেল’ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
প্রণয়নে খুব বেশি আউট
সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা
যাবে না। পাট ও
পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে।
পানি ও নৌ-পরিবহন
খাতে নজর দিতে হবে।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈঠকে
কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী
আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর
রউফ তালুকদার। বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন
হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। কমিটি
২ মাস পর রিভিউ
করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের
প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে
টাকা ছাড় হচ্ছে কি
না, এসব বিষয় দেখভাল
করবে এ কমিটি।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে
আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মে
দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য
পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। মা যেমন
একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে
নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের
কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে, সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।
মে
দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন
এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ।
শ্রমিকদের
মজুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০
টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা তাদের মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি
বৃদ্ধি করেছি কারণ শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে
গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী
আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-পুরুষ সমান মজুরি পায় না। আমরা সেটা সমান করে দিয়েছি।
নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের থাকার জন্য ডরমিটরি করে দিয়েছি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।
মন্তব্য করুন