

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু
পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সরকারি সেবা স্বচ্ছ ও জনমুখী করতে রাজধানী
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’র কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকায়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) কাউন্সিল ভবন অডিটোরিয়ামে ইউআরপি স্টুডেন্টস
অ্যাসোসিয়েশন অফ বুয়েট( ইউএসএবি)’র উদ্যোগে
‘প্লানিং উইক, ২০২৪’
উপলক্ষে আয়োজিত ‘ জাস্ট আরবান ট্রানজিশন এন্ড আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং’
শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ আহবান জানান।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হানান বলেন,
সাধারণ নাগরিকেরা যারা সেবা গ্রহণের জন্য রাজউকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যান, তাদের
জন্য আপনাদের সেবাটা দয়া করে স্বচ্ছ এবং জনমুখী করুন।
নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি সাধারণ
জনগণের যেন ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয় সেই পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সকলের
প্রতি আহ্বান জানান।
যত্রতত্র জলাশয় ভরাট বন্ধ করার নির্দেশ
দিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে জলাশয় আইন যথাযথভাবে
মেনে চলার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, এবার আমরা পুরোনো
ও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস রিপ্লেসমেন্ট বা পরিবর্তন করতে বাস মালিকদের ৬ মাসের সময় দিয়েছি
এবং তাদের বলে দিয়েছি দরকার হলে সহজ শর্তে আপনাদেরকে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। বিগত
৫৩ বছরে শহরগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আমরা ঠিক করতে পারিনি। যদি ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে
হর্ন ছাড়া গাড়ি চালাতে পারি, ক্যান্টনমেন্টের ভেতর যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে থাকতে
পারি তাহলে বাকী শহর কেন আমরা সাজাতে পারলাম না।
দেশের শহরগুলোকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজাতে
সংশ্লিষ্ট সকলকে তৎপর হওয়ার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এবিএম
বদরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর
ড. আবদুল হাসিব, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান,বুয়েটের ইউআরপি ডিপার্টমেন্টের
প্রধান এবং ইউএসএবি সভাপতি অধ্যাপক ড. আসিফ-উজ-
জামান খানসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা
এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে বুয়েটের তিনজন শিক্ষার্থী বিষয় ভিত্তিক সেমিনার
পেপার উপস্থাপন করেন।
মন্তব্য করুন


বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাড়িবাথান গ্রামের চরপাড়া মাঠ থেকে ১টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছে ঝিনাইদহ র্যাব-৬।
র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট (আরজে এসএম৩৬) গ্রেনেডটি ধ্বংস করে।
ঝিনাইদহ র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে সদরের চরপাড়া গ্রামের মাঠে পরিত্যক্ত জায়গায় বোমা সদৃশ কিছু একটা পড়ে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে ঘাসের ভেতরে থাকা একটি বোমা উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত বোমাটি আরজে এসএম৩৬ গ্রেনেড বলে র্যাব নিশ্চিত হয়। পরে র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট গ্রেনেডটি ওই মাঠের ভেতরে ধ্বংস করে। তবে গ্রেনেডটি কে বা কারা এখানে রেখে গেছে সেটি জানাতে পারেনি।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ও ঘানা এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সফররত ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি বিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও ঘানা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ ও ঘানা কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট, চামড়া ও গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে।” গণভবনে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি মন্ত্রী শার্লি আয়োরকার বোচওয়ের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আফ্রিকান দেশগুলির সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকান দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানি করতে পারে।
ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ও ঘানার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে তিনি দুই দেশের মধ্যে কৃষি, ওষুধ, আইসিটি এবং কৃষিভিত্তিক খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথের মহাসচিব হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে তার দেশের প্রার্থীতার পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। এবার আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কমনওয়েলথ মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।
কমনওয়েলথ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংস্থা এক সময় নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু কমনওয়েলথ এখন বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ (সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে) বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেন, কমনওয়েলথের মহাসচিব পদে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদের দেওয়া এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আব্দুল হাফিজ প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক দায়িত্ব পালনে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে থাকা অবস্থায় তিনি উপদেষ্টা পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য যে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সোমবার বলেছেন, অন্তর্বর্তী
সরকার দেশে আরও বিদেশী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যাপক শ্রম সংস্কারে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রম সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড়
শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদল তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে
সাক্ষাত করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
প্রফেসর
ইউনূস প্রতিনিধি দলকে বলেন,
“আমরা আমাদের শ্রম আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সম মানসমম্পন্ন করতে চাই। এটা আমার
অঙ্গীকার।” তিনি
বলেন, অন্তর্বর্তী
সরকার কেবলমাত্র দেশের শ্রম আইন সংস্কার করতে এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় ও
আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী,
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ নিরসনের জন্য একজন বিশেষ
দূত নিয়োগ করেছে।
প্রতিনিধিদলের
নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া মেই লি ও
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি ফে রড্রিগেজ।
দুই
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,
যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও জুতা
ক্রয়কারী শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো শ্রম আইন সংস্কার ও বাংলাদেশের কারখানায়
শ্রমিক-বান্ধব পরিস্থিতি তৈরিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদক্ষেপকে সমর্থন করে।
সরকার
ও স্থানীয় ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৮-দফা চুক্তিসহ পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করে
কেলি ফে রড্রিগেজ বলেন,
প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত সাড়ে তিন মাসে শ্রম খাতের
জন্য যা করেছেন, ‘সেগুলো সবই তার বিস্ময়কর
সাক্ষ্য।
মার্কিন
কর্মকর্তারা মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে লাখো গার্মেন্টস ও পাদুকা শ্রমিককে সুরক্ষা
দেওয়ার জন্য কারখানায় ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠা ও প্রতি বছর মজুরি পর্যালোচনার
আহ্বান জানান।
পোশাক
কারখানায় ন্যূনতম মজুরির সুবিধাদান প্রসঙ্গে থিয়া মে লি বলেন, ‘এটি ব্যবসার
জন্য ভালো ও অর্থনীতির জন্যও ভালো।’
তিনি বলেন, কর্মী
ইউনিয়ন হল ‘গণতন্ত্রের
প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।’
তিনটি
শীর্ষ মার্কিন ব্র্যান্ড পিভিএইচ,
ক্যালভিন ক্লেইন এবং গ্যাপ ইনকর্পোরেটেডের সিনিয়র কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত
ছিলেন।
পিভিএইচ
কর্পোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ব্রাইড বলেছেন, তারা
বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারকে সমর্থন করেছেন। তারা কম্বোডিয়ায় অনুরূপ প্রচেষ্টাকে
সমর্থন করেছেন।
প্রফেসর
ইউনূস ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতি জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণা করার
আহ্বান জানান, যাতে
বাংলাদেশের নির্মাতারা সেই অনুযায়ী শ্রমিকের মজুরি বাড়াতে পারে।
বৈঠকে
মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডেবও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র
প্রফেসর ইউনূসের ব্যাপক শ্রম সংস্কারকে পূর্ণ সমর্থন করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার
সাথে অংশীদার হতে চাই।’
মন্তব্য করুন


ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে একসঙ্গে দেখা মিলল ৯ জন বাংলাদেশি শিল্পীর মুখ। এর মধ্যে রয়েছেন ইমরান মাহমুদুল, ফাতেমা তুয যাহরা ঐশী, দিলশাদ নাহার কণা, মাশা ইসলাম, জাহিদ নিরব, মুজিব পরদেশি, ইনিমা রশ্নি ও কাজল দেওয়ান।
এছাড়া সবার ওপরে বড় করে যার ছবিটি স্থান পেয়েছে, তিনি সংগীত পরিচালক পাভেল আরিন।
জানা যায়, পাভেলের হাত ধরেই এই টাইমস স্কয়ার যাত্রা। মূলত তিনি একটি নতুন সংগীত সেশন চালু করেছেন। যেটার নাম দিয়েছেন ‘লিভিং রুম সেশন’। এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার জন্যই টাইমস স্কয়ারের একটি বিলবোর্ডে প্রদর্শন হয় প্রজেক্টটির নামসহ শিল্পীদের ছবি।
‘লিভিং রুম সেশন’ নিয়ে পাভেল আরিন বলেছেন, ইতোপূর্বে সিনেমা ও টেলিভিশনে অনেক কাজ করেছি। এবার ভাবলাম নতুন কিছু করি। তাই এই প্রজেক্ট। এটা কিছুটা জ্যামিংয়ের মতো হবে, তবে গানগুলো মিউজিক্যালি যাতে মানসম্পন্ন হয়, সেদিকটা নজরে রাখছি।
এই প্রজেক্টের পরিবেশনায় থাকছে মাশরুম এন্টারটেইনমেন্ট। অডিও প্রডাকশনে বাটার কমিউনিকেশন আর ভিডিওর দিকটি সামলাচ্ছেন মারুফ রায়হান। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে সেশনের প্রথম পরিবেশনাটি উন্মুক্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন


হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের
আশ্বাসে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চিকিৎসকরা
স্থগিত করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল নাজমুল।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ঢামেক পরিচালক জানান, কমপ্লিট শাটডাউন
থেকে সরে এসেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ ইনডোরের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু
থাকবে। এখন থেকে ঢামেক হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের
পর সবাই কাজে ফিরবেন।
এদিকে, চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক জানিয়ে সন্ধ্যায়
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগন বলেন, তাদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক ঘটনা
ঘটেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির উপচার্যের কাছে জানতে চাওয়া হবে, হামলায় কারা
ছিল।
চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেয়ার কথা জানিয়েছে
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।
তবে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে সময়
লাগবে বলেও জানিয়েছেন নুরজাহান বেগম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের
মারধরের প্রতিবাদে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়। চিকিৎসকদের
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায়
আনার দাবি তোলেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় রোববার বিকেলে দুই প্লাটুন
বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
মন্তব্য করুন


আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন। জামায়াতের এ প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছি। জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরা বলেছি- এখন প্রয়োজন এটাকে আইনি ভিত্তি দিয়ে বাস্তবায়ন করা। এই সনদে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে আগেই পাশ করিয়ে তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন না হলে- তাহলে তো আমাদের সব পরিশ্রম বৃথা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ উনি বলেছেন, ‘আমি এটা বাস্তবায়নের যথাযথ উদ্যোগ নেব।’
আমরা আরও বলেছি, একটা আদেশের মাধ্যমে এটাকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। ‘এটা কনস্টিটিউশন (সংবিধান) নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট; যেটা কোনো সরকার এরকম একটা পরিস্থিতিতে পড়লে দেয়ার এখতিয়ার রাখে। উনি আমাদের সাথে একমত হয়েছেন যে, একটা আদেশের মাধ্যমেই এটা হবে। সকলেই এ পরামর্শ দিয়েছেন যে, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে বৈধতা দিতে হবে। আর সেই আদেশের উপরই গণভোট হবে। আমরা এটা ক্লিয়ারলি বলেছি।
জুলাই সনদের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের বলেন, অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার মতো স্ট্রেংথ (ক্ষমতা) অধ্যাদেশে নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভেলেন্ট (সমান) টু সাংবিধানিক পরিবর্তন পাওয়ার (ক্ষমতা) এবং অথরিটির দিক থেকে। আমরা আমাদের এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে বসেছি। আমাদের এক্সপার্ট কমিটি আবার ঐকমত্য কমিশনের এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে বসেছে। সবাই এই পরামর্শ দিয়েছেন যে একটি আদেশের মাধ্যম এটাকে বৈধতা দিতে হবে। আর সেই আদেশের ওপরেই গণভোট হবে। আমরা এটা ক্লিয়ারলি (পরিষ্কার) বলে আসছি। উনি আমাদের কথায় রাজি হয়েছেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা আশা করি, তিনি সেদিকেই যাবেন।
দ্বিতীয় কথা হলো- গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনভাবেই প্রথমত রাজী হচ্ছিল না। আমরা এটার উপর জোর দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত বিএনপি গণভোটে রাজী হয়েছে। আমরা বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই। তারপরে বিএনপি একটা জটিলতা তৈরী করার চেষ্টা করছে। সেটা হলো গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন একদিনে হতে হবে। দু’টো একেবারে আলাদা জিনিস। একটা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দেশে কিভাবে সরকার চালাবে সেটার সিদ্ধান্ত। আর গণভোট হচ্ছে, আমাদের কতগুলো রিফর্মস; তাহলো কিভাবে সরকার পরিচালিত হবে, কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে এসব মৌলিক বিষয়। এর সাথে জাতীয় নির্বাচনের কোন রিলেশন নেই। সেজন্য আমরা বলেছি গণভোটের মাধ্যমে রিফর্মস গুলো পাশ করাতে হবে। জনগণ যদি হ্যাঁ বলে পাশ হয়ে গেলো। জনগণ যদি না বলে পাশ হবে না। আর যদি হ্যাঁ হয় এর ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে হবে। এটা যদি না হয় এটাকে মাইনাস করে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দু’টি গণভোট হয়েছে, একটি হয়েছে ১৭ দিনের ব্যবধানে, আরেকটি হয়েছে ২১ দিনের ব্যবধানে। আমরা বলেছি, নভেম্বরের শেষে দিকে গণভোট করার জন্য। তারপরে আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য। সুতরাং এখানে সময়ের কোন সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় জটিলতা হলো নোট অব ডিসেন্ট বা পয়েন্ট অব ডিসেন্ট। আমরা ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যার মধ্যে ২৯টি দল প্রায় একমত হয়েছে- সেটাই মূল সিদ্ধান্ত। এখন যদি দুইটি দল বলে যে তারা মানছে না, তাহলে সেটি সিদ্ধান্ত বাতিল নয়; বরং এটি সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত বা নোট অব ডিসেন্ট। এক-দুটি দলের অমতকে কেন্দ্র করে রেফারেন্ডাম ডাকা বা নতুন সিদ্ধান্তের দাবি করা ঠিক নয়। এসবই অপ্রয়োজনীয় জটিলতা তৈরির প্রক্রিয়া, যেটি এড়িয়ে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং জনগণের অংশাগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের জন্য জরুরি। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা জটিলতা তৈরি করছে। এজন্য কোন ধরনের জটিলতা তৈরী না করে আমরা সবাই মিলে যেন ফেব্রুয়ারিত একটি আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচনে যেতে পারি, সেইভাবে আচরণ করার জন্য আমি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সরকার সব পাসপোর্ট ইলেকট্রনিক পাসপোর্টে রূপান্তর করার চেষ্টা করছে। চলতি বছরই ই-পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ কাজ আমার দায়িত্বকালেই শেষ করে যেতে চাই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সেবার মান বাড়ানো হবে। পাসপোর্ট পেতে এখনো বেশি সময় লাগে। কাজ দ্রুত করার কথা বলেছি। তবে রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করার সুযোগ পাবে না।
এ সময় পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সবার সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন উঠায় দিলে কি লাভবান হবো কি সমস্যায় পড়ব সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভিসা ছাড়া যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, তারা ভিসা সংগ্রহ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মন্তব্য করুন


ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের পর গত চার দিন থেকে দেশে অনুভূত হচ্ছে শীতের প্রভাব। ক্রমেই তা তীব্র আকার ধারণ করছে। বুধবার(১৩ডিসেম্বর) থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু আকারে শৈত্যপ্রবাহ শুরুর আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বজায় থাকবে। ঢাকায়ও কমবে আরও তাপমাত্রা। যার ফলে ইতোমধ্যেই মানুষের জীবনযাত্রায় ছন্দপতন শুরু হয়েছে। আরও তাপমাত্রা কমার কারণে শীতকেন্দ্রিক রোগবালাই এবং ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, বুধবার(১৩ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কমবে। বৃহস্পতিবার রাতে আরও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। তাপমাত্রা কমার এই ধারাবাহিকতা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা এবং যশোরসহ বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যেতে পারে। ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় তাপমাত্রা কমতে পারে। এসব এলাকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকবে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তীব্র এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোনো কোনো এলাকার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসতে পারে। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অবস্থা বজায় থাকতে পারে। এ সময়ে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও রাজধানী ঢাকায় তীব্র শীত অনুভূত হবে।
মন্তব্য করুন