প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর
শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আজ বৃহস্পতিবার (২১
নভেম্বর) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে
এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এসময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি
চৌকস দল প্রধান উপদেষ্টাকে সালাম জানান। এসময়
বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
প্রধান উপদেষ্টা সেখানে রাখা দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেখানে
তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধ্যাপক ইউনূসকে
স্বাগত জানান।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সেনা,
নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং তারা পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক হামলা চালায়।
স্বাধীনতার পর থেকে এই ঐতিহাসিক দিনটিকে
প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, রাষ্ট্রপতিও এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে। এই সরকারের একটি প্রাথমিক তালিকা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নিলেও এই সরকারে অন্য কারও নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। যেখানে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই তালিকাটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি তাদের প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের
২৫ জুন প্রমত্তা পদ্মা নদীর উপর দেশের বৃহত্তম সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু উদ্বোধন
করেছিলেন। নিজস্ব অর্থায়নে ৩২ হাজার ৬০৫.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতু নির্মাণে নেওয়া ঋণ পরিশোধের ৭ম ও ৮ম কিস্তি হিসেবে ৩১৪,৬৪,৮৬,৯৬৩ টাকার
বেশি গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি প্রধানমন্ত্রীর
কাছে পদ্মা সেতুর ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি হিসেবে ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকার
চেক হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব
মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম. নাঈমুল ইসলাম খান, অর্থ বিভাগের
সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণভবনে উপস্থিত
ছিলেন।
অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু
কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া
হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতু থেকে মোট ১৬৫৩,৭১,৬৫,৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
৫ এপ্রিল, সেতু বিভাগ প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসাবে সেতু থেকে টোল আদায় হিসাবে অর্জিত
রাজস্ব থেকে ৩১৬,৯০,৯৭,০৫০ টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ শুরু করে।
সর্বশেষ কিস্তিসহ সেতু বিভাগ এই পর্যন্ত সরকারকে মোট
১২৬২,৬৬,০৬,৫৪৮ টাকা পরিশোধ করেছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় রূপা হকের এক প্রশ্নের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি রয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৫ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গত তিন নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে ছিল একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং ভুয়া স্পিকার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গোটা দেশ এখন তাদের কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে, তাদের কণ্ঠ জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচনের অস্থায়ী তারিখ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
যুক্তরাজ্যের এমপি রূপা হক বলেন, ‘বাংলাদেশ দেখে সত্যিই আমি উৎসাহিত।’ আগামী সাধারণ নির্বাচন দেখতে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস রূপা হককে ব্যাখ্যা করেছেন যে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জনগণের দমন কী কারণে হয়েছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকার ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রাজধানীর সচিবালয় এলাকায়
আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় সমন্বয়ক
হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন ।
রোববার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলে আসেন তারা।
ঢামেকের হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাইদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসেছেন।
তারা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে ওসেকে প্রবেশ করেছেন।
রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে
দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায়
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা
কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে।
তারও
আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার
বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত
৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৃতীয় দিনের মতো সোমবার(২০ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছে। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৩৫টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এতে দলের আয় হয়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।
এই সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রামে ৮২টি, ময়মনসিংহে ২৯টি, সিলেটে ১৫টি, খুলনায় ৪৫টি, বরিশালে ৪০টি, রাজশাহীতে ২৯টি এবং রংপুর বিভাগে ৪০টি ফরম বিক্রি হয়।
এছাড়া বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে মোট ৫৮টি ফরম বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে বিক্রি হয় মোট ২৯ লাখ টাকার ফরম।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রি শেষ হওয়ার পর দলের মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই শেষে ৩০০ আসনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।
গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রথমদিনেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে এক হাজার ৭৪টি । এতে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় হয় ।
মনোনয়ন ফরম বিক্রি এবং জমা নেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২১ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
ফিফা
প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব উৎসবে যোগ
দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ফাঁকে প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা ও সংস্থার প্রধান কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়।
অধ্যাপক
ইউনূস ফিফা প্রধানকে উৎসব সম্পর্কে অবহিত করেন এবং স্বনামধন্য মহিলা ফুটবল দলকে বাংলাদেশে
আনতে তার সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা এখন বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে বাকুতে চার দিনের এক সরকারি সফরে রয়েছেন।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা বাকুতে পৌঁছান।
তিনি
কপ২৯-এর বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং বিভিন্ন সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আন্তর্জাতিক
মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে
রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ
করেন।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের
অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট
রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়
বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা,
জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি
করা হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
অংশীদার।
গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি গম
আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি
কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ
অনুসন্ধান করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ
চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের
মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চার দিনব্যাপী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চারদিনের সম্মেলনে দুই দেশ সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অপর দিকে বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশসহ হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বান জানান। এ ছাড়া আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সীমান্তে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সম্মেলনে যেসব বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ একমত হয়েছে, সেগুলো হলো—
১. সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা, আহত বা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে, এমন তাৎক্ষণিক এবং আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের আর্থসামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সীমান্তে যেকোনো হত্যা সংঘটিত হলে তার যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২. আলোচনায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয়, এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিলের ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে যথোপযুক্ত পর্যায়ে জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের (যৌথ যাচাই) মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে।
৩. বিভিন্ন ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন, বিশেষ করে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধ এবং এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
৪. আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিক ও বাহিনীর সদস্যদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের ফলে সৃষ্ট ভুল–বোঝাবুঝি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে উভয় বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
৫. মানব পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশেষ করে মানব পাচারের মতো অমানবিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত উভয় দেশের অপরাধী বা দালালচক্রের কার্যক্রম প্রতিরোধে পরস্পরকে সহায়তা এবং মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত দেশের আইন অনুযায়ী উদ্ধার ও পুনর্বাসন করা হবে।
৬. উভয় পক্ষ ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার’ আওতায় পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধুলা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
৭. এ ছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন, জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান এবং তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাকে স্যার ভাবার দরকার নেই। আমাকে স্যার বলারও দরকার নেই। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আমার ছবি যত কম প্রচার করা যায় তো ভালো।
রবিবার (১৮ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে
তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ
বলেন, নিরপেক্ষ সংবাদ এবং স্বাধীন গণমাধ্যম নিয়ে আমাদের খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। কারণ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের অন্যতম একটি পিলার বলা যায়। কাজেই আমরা যদি গণতন্ত্র চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমে কী ধরনের বাধা রয়েছে কিংবা এর সমাধান নিয়ে গণমাধ্যমের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই মূলত আমরা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে আমরা সেন্সর বোর্ডকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যার প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করে তদন্তে সহায়তা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রহসন করা হয়েছে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন