আগামীকাল
বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকেল ৫টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে বৈঠকের পরেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এরআগে গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া তফসিল ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন সিইসি।
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় ব্যক্তিগত সফর শেষে শুক্রবার ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সফরকালে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
মন্তব্য করুন
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিজয় আমার একার নয়, এ বিজয় জনগণের বিজয়।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটকে বিজয়ী করেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবনের অধিকারী হয়। আমরা সরকারে এসে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আর আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বেঁচে যাই। আমরা ছয় বছর রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন পার করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যারা নারী ধর্ষণ-লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করেছিল, যেখানে আমার মা-বাবার খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, ওই অবস্থায় দেশে ফিরে আসি আমি। আমার আসার একটাই লক্ষ্য ছিল- বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্থসমাজিক উন্নতি করা।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২৩ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। এ জয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ দফা সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬১টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৩টি আসন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নদী বাঁচাতেই হবে। বাংলাদেশ বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
সোমবার
(৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা
রক্ষার লক্ষ্যে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে সম্পাদিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অবলোকন এবং
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তবিষয়ক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নদী আমাদের বাংলাদেশের জন্য তেমন, ঠিক আমাদের দেহে যেমন রক্ত চলাচলের
জন্য শিরা-উপশিরা আছে। আমাদের বাংলাদেশের টিকে থাকাটাও এ নদীর ওপরে নির্ভর করে। বাংলাদেশকে
টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন সেই প্রবহমান নদী। শিরা-উপশিরার মধ্য দিয়ে রক্তধারা আমাদের
শরীরকে বাঁচায়, বাংলাদেশকেও কিন্তু বাঁচায় এ পানি ও নদী। কথাটা আমাদের সবসময় মনে
রাখতে হবে। আমরা সরকারে আসার পর আমাদের সবসময় একটা প্রচেষ্টা ছিল, নদীগুলোকে কীভাবে
সুরক্ষিত করা যায়, কীভাবে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা যায়। একসময় বাংলাদেশের নৌপথই ছিল
পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন, একমাত্র জায়গা। নৌপথগুলো কমতে কমতে অনেক জায়গায় এখন
নদীপথ নেই, এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে। নদী শাসনের নামে শুধু বাঁধ নির্মাণে ছিল সবার
নজর। আর বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে ফসলের জমি নষ্ট হয়। নদী রক্ষা করা, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে
আনা বা দূষণ থেকে নদীকে রক্ষা করার দিকে নজর ছিল না। শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশে
স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে কতগুলো ব্রিজ করা হলো, সে সময় ব্রিজগুলো মানুষের খুব উপকারে
এলো, কিন্তু ব্রিজগুলো করার সময় এটা মাথায় রাখা হয়নি যে, এগুলোতে নৌ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত
হবে। যার জন্য এখন সমস্যা হয়ে গেছে... ব্রিজগুলো প্রতিবন্ধকতা। বেঁটে বেঁটে (নিচু)
ব্রিজগুলো একটু উঁচু করে দেওয়া আর নদীর ড্রেজিং করে দেওয়া যায়। ঢাকার বাইরে অন্য
শহরগুলোর ক্ষেত্রেও এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
দ্রুত গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতে। এটা আমরা গত এক মাস যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করতেছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটা ভালো পরিস্থিতিতে আছি। এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও এটা ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে
চায় বাংলাদেশ, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি
সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’
উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক, আমরা
সেটা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি
সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে যুদ্ধ করা হচ্ছে। সেজন্য দেশে
আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন ও
সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে
স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও
প্রশিক্ষিত হবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের
পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের
সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের মূল বিষয়গুলো নিয়ে তিনি
জানান, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি
হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ । বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ
এলাকাগুলোতে তাই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় এবং এসব
ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশএকসঙ্গে কাজ করতে চায় ।
রিমোট সেন্সিং নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রণয়
কুমার ভার্মা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ
এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা
যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ
প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে,
ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা
ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
মন্তব্য করুন
আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশটির মিউনিখ শহরে সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ত্রোস্তার ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিউনিখ সম্মেলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে কাজ করছিআমরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মিউনিখের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে
আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মে
দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য
পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। মা যেমন
একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে
নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের
কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে, সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।
মে
দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন
এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ।
শ্রমিকদের
মজুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০
টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা তাদের মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি
বৃদ্ধি করেছি কারণ শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে
গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী
আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-পুরুষ সমান মজুরি পায় না। আমরা সেটা সমান করে দিয়েছি।
নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের থাকার জন্য ডরমিটরি করে দিয়েছি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশন (ইসি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ
করছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের করার বিধান রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ
সরকারি মুদ্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে গেজেট ছাপানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৪ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত করা
হয়েছে।
কর্মকর্তারা
জানান, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ শুরু হয়। এটি ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন
করা হবে।
ইসির
উপসচিব (নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখা) মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত ভোটকেন্দ্রের
গেজেট সকলের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করছে ইসি সচিবালয়। এতে ভোটকেন্দ্রের ক্রমিক নম্বর, ভোটকেন্দ্রের
নাম ও অবস্থান, ভোটকক্ষের সংখ্যা, ভোটার এলাকা, পুরুষ, নারী, হিজড়া ভোটার এবং মোট ভোটার
সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার
৭১৬টি। তারমধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত
মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র,
যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি
সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল
আবেদন জমা পড়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর শুনানি আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন
কমিশন।
ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা
প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার
৬৩৩ জন।
মন্তব্য করুন
মেডিকেল ও লাইফ সাইন্সের অন্যান্য শাখার উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের জন্য একটি বিশ্বমানের জাতীয় বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বায়োব্যাংক আশাবাদের প্রতীক-যা আমাদের একটি উন্নত ও স্বাস্থ্যকর বিশ্বের দিকে পরিচালিত করবে। আসুন আমরা এই বায়োব্যাংককে বাস্তবে পরিণত করতে একসঙ্গে কাজ করি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বায়োব্যাংকিং: রোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে একটি যৌথ পদ্ধতি’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্লিনিক্যাল কেয়ার, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বেশ কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের সাংবিধানিক এবং বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, তারা গ্রামীণ পর্যায়ে প্রায় ১৮,৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছেন। আমরা চিকিৎসা খাতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা চালু করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, নির্ভরযোগ্য ক্লিনিক্যাল ডেটা অবকাঠামোসহ বায়ো ম্যাটেরিয়ালের অভাবে বিস্তৃত চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কম প্রতিনিধিত্বের একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ), ব্রাসেলসে বাংলাদেশের দূতাবাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের জাতীয় বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার একটি ভিত্তি তৈরি করা। একটি বায়োব্যাংককে সাধারণত মানব জৈবিক নমুনা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে একটি পদ্ধতিগত উপায়ে সংগঠিত সংশ্লিষ্ট তথ্যের সংগ্রহশালা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলটেবিলে অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটি সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতা এবং বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের কোটি কোটি নাগরিকের মঙ্গল ও কল্যাণ জোরদার করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ায় আমরা এখানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা করেন, এটি রোগ নির্ণয়, প্রতিরোধ এবং ব্যক্তিগতকৃত যত্নের ক্ষেত্রে সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এ ধরনের সুবিধাগুলোর ব্যবস্থা করার সক্ষমতা রয়েছে। এই বায়োব্যাংকের অবদান শুধুমাত্র একটি আর্থিক বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি মানবিক কাজ। এটি বিশ্বের একটি আশার প্রতীক। সেখানে প্রত্যেকের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ থাকবে।
মন্তব্য করুন