মো. মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া বটতলা এলাকায় মাস ব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার কচুয়া পৌরসভার আয়োজনে এ মেলায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।
কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে এসময় উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আহসান হাবিব জুয়েল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তুষ পোদ্দার, সাবেক সভাপতি মানিক ভৌমিক, কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম রাজু, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
শিক্ষকতা শেষে গাড়িতে চড়ে অবসরে গেলেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নরেশ চন্দ্র সাহা। প্রিয় শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দিয়েছেন রাজকীয় সংবর্ধনা। বৃহস্পতিবার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিদায় ও সংবর্ধনা শেষে বিকেলে গাড়িতে চড়ে শাহরাস্তি উপজেলার উপলতা গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছান এ শিক্ষক। এসময় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গাড়ির পিছনে মোটরসাইকেল নিয়ে শিক্ষককে বাড়িতে পৌঁছে দেন। একই দিনে ওই বিদ্যালয়ের কর্মচারী শোভা রানীকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। পরে বিদায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীকে উপহারস্বরূপ পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দান করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর পর সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করেন। অবসরজনিত কারণে চলতি বছরের ১৮ জুন শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্ত ঘটে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, তিনি অনেক ভালো ও উদার মনের মানুষ। শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ প্রিয় ছিলেন। কখনো রাগ বা ক্ষোভ দেখিনি। পিতার মতো শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছেন। আমাদের কর্ম জীবনে এমন শিক্ষক পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তিনি এতো উদার মনের মানুষ, কোনো শিক্ষকের বিপদ হলে সঙ্গে সঙ্গে যেতেন এবং খোঁজ খবর নিতেন। স্যার অবসর জনিত কারণে বিদায় নিয়েছেন। এটি সবাইকে মানতেই হবে। আমরা স্যারের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছি।
ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমান ও সেলিম হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার, বিদায়ী শিক্ষক নরেশ চন্দ্র সাহা,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম,সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম,সাধারন সম্পাদক এমদাদ উল্যাহ,বিশিষ্ট সমাজসেবক রুহুল আমিন চৌধুরী,আব্দুল্লাহ আল মামুন,সহকারী শিক্ষক মানিক সরকার,আব্দুল মবিন মজুমদার,মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এসময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও বিদায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রফুল্ল রাখতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের নৃত্য পরিবেশ করেন। পরে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
প্রানী নির্যাতন রোধে সচেতনতা বাড়াতে ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি ও বিড়াল সমাচার, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লায় বিড়াল প্রেমীদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অসুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুডেন্টে ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভেট শেখ ইসমাইল আহমেদ, ভেট হাসিবুর রহমান সাফা, ক্যাটস হোম বিড়ালের বাড়ি এর যুগ্মআহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, মোঃ আনোয়ার হোসাইন, শিহাব মাহমুদ, সদস্য সচিব লাকী রহমান, সদস্য এমদাদুল হক আখন্দ, বিড়াল সমাচার, কুমিল্লা গ্রুপের এডমিন জাবেদ কাউছার রাজন, শায়লা শিলা, ফারহান তানিন হীরা, সাংবাদিক আরিফুর রহমান মজুমদার, জহিরুল হক বাবু, মাইনুল হক স্বপন, প্রানী প্রেমী মির্জা আশরাফ, মেহেক তাইহান, পিয়াস খান, লুবাইনা তাহিয়াত, জান্নাতুল প্রীতি, তানিয়া তানহা বৃষ্টি, ইমন হোসেন, জাহানারা আক্তার নিশি, ইমরান হোসেন, লামিয়া বীথি, আতিক রহমান আশিকসহ আরো অনেকে।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পানিতে ডুবে নিহত ৭ জনের দাফন
সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচরের ভদ্রাসন ইউনিয়ন ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে রাত তিনটার দিকে মরদেহ বাড়িতে
পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শনিবার রাত তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে পৌঁছায় দুর্ঘটনায় নিহত
৭ জনের মরদেহ। এ সময় জড়ো হন প্রতিবেশীরাও। পরে রোববার সকালে ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহা
পাড়া, ওমেদপুর ও ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ক্রোকচর গ্রামে জানাজা শেষে নিজ নিজ গ্রামের
পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় শিবচর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফন কার্য সম্পন্ন করতে ১০
হাজার করে মোট ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
জানা যায়, বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের
গ্রামের বাড়িতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে
তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারায় তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী ও দুই মেয়ে তাহিয়া
ও তাসদিয়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবী, দুই ভাগ্নেসহ
একই পরিবারের ৭ জনকে।
নিহতরা হলেন - শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের আবুল কালাম আজাদ-এর স্ত্রী শাহানাজ
আক্তার মুন্নী (৪০) ও তার দুই মেয়ে তাহিয়া (০৭) এবং তাসদিয়া (১১)। একই এলাকার মৃত ফকরুল
আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), বাবুল মাদবরের
স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) এবং রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , আমতলীর কাউনিয়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে হুমায়ারার সঙ্গে
একই এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে সোহাগের বিয়ে শুক্রবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে
কনেপক্ষ আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় বহনকারী মাইক্রোবাসটি লোহার সেতু ভেঙে পানিতে ডুবে
যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুরের শিবচরের।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে গিয়ে একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। শোকবহ পরিবারের পাশে থাকবে
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিকেও বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইলের
ভূঞাপুরে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে খারাপ হওয়ায় স্বর্ণা আক্তার (১৭) নামে এক
এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে
আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার
(১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভূঞাপুর পৌর
এলাকার বেতুয়া পলিশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পরীক্ষার্থী একই এলাকার সোনা
মিয়ার মেয়ে ও সে
টেপিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী।
পরিবার
ও স্থানীয়রা জানান, স্বর্ণা এ বছর টেপিবাড়ি
উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা
দিচ্ছিলো। গত বৃহস্পতিবার (১৫
ফেব্রুয়ারি) তার প্রথম পরীক্ষা
বাংলা ছিল। পরীক্ষা দিয়ে
আসার পর থেকে সবার
কাছে সে বলেছে তার
পরীক্ষা ভালো হয়নি। তাই
সে পাস করতে পারবে
না। এ নিয়ে দুইদিন
ধরে চিন্তিত ছিল। পরে শনিবার
রাতে তার নিজের শোয়ার
কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে
ঝুলে আত্মহত্যা করে। ভোরে তার
মা ফজরের নামাজের জন্য ডাকতে গেলে
স্বর্ণাকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে
ভূঞাপুর থানা পুলিশ তার
মরদেহ উদ্ধার করে।
এ
বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান
উল্লাহ্ জানান,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে
ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল
হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে
মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা
হবে।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বরগুনা জেলায় অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক মীর রিজন মাহমুদ নিলয় ও ফৌজিয়া তাসনীন আনিকার অংশগ্রহণ করেছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই দুজনের সাথে দুজনের পরিচয় হাতে হাত রেখে একসাথে মিছিলে তারা অংশগ্রহণ করেছিল। আন্দোলন থেকে শুরু হয়েছে প্রেম, তারা গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) একে অপরের সঙ্গী হিসেবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে যেতেই ভালো লাগা থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। এরপর প্রায় ৫ মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসে প্রেমকে পূর্ণতা দিলেন তারা।
আনিকা ও নিলয় জানান,
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সবার সঙ্গে একত্রে থাকলেও গত ৫ আগস্ট
থেকে দু’জনার ভালো লাগা শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ভালোবাসা
প্রকাশের পর ২৫ আগস্ট
দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানান। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রণয়ে রূপ নেয় তাদের প্রেম।একদিকে আন্দোলনের ফলে অনেকেই তাদের স্বজন হারিয়েছেন, অপরদিকে নতুন একটি পরিবারও গঠন হয়েছে।
মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বরগুনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আমতলারপাড় এলাকার মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন নিপুর ছেলে। নিলয় বর্তমানে আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার মনোয়ারুল ইসলাম শামীমের মেয়ে ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা। সে বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতো। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই।
এ বিষয়ে মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনও কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হতো। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এই কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে সেই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
এসএসসি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র ছয় দিন আর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী দুটি উপজেলার ৪৬৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। তারা নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারবে কি না, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা জানে না।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের ১৫৯ জন, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ের ২৩৩ জন ও বালুখালী কাসেমিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৭১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। দুশ্চিন্তায় রয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তিনটি বিদ্যালয়ের ৪৬৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের ১৫৯ জন, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ের ২৩৩ জন ও বালুখালী কাসেমিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৭১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে এসব পরীক্ষার। তাদের পরীক্ষার কেন্দ্র ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়। ঘুমধুমের মণ্ডলপাড়া সীমান্ত থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে বিদ্যালয়টির অবস্থান।
এদিকে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত এলাকায় গতকাল দু-একটি ছাড়া আর কোনো গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি স্থানীয় লোকজন। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনও ফিরেছেন বাড়ি।
তবে এরই মধ্যে গতকাল রাত আটটা থেকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, নয়াপাড়া, লম্বারবিল এলাকায় থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় মৎস্যচাষি মাহফুজুর রহমান রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তের নাফ নদীর সংলগ্ন এলাকায় তাঁর মাছের খামার রয়েছে। কিন্তু রাত আটটার পর থেকে গোলাগুলির শব্দ বেড়ে গেছে, যার কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার একটি জলাশয়ে একটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধারণা করছে, এটি অবিস্ফোরিত। স্থানীয় শিশুরা লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে এটি খুঁজে পায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি লোকালয় থেকে দূরে রাখা হয়েছে। বোমাবিশেষজ্ঞ দল এসে পরবর্তী কাজ করবে। অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
গতকাল আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে নতুন করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) দুজন সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এই নিয়ে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তাসহ মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩০। তাঁরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের উড়োজাহাজে নাকি নৌপথে মিয়ানমার নেওয়া হবে, সে আলোচনা চলছে। প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু থেকে ১০১ জনকে গতকাল বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টেকনাফের হ্নীলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাত তিনটা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।
ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর গতকাল বলেন, এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি, তাতে পরীক্ষা এই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিকল্প হিসেবে অন্য কেন্দ্রের কথাও ভাবা হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ সোহেল মিয়া গতকাল বলেন, পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা বিকল্প হিসেবে চারটি বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করার প্রস্তাব জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করি, কেন্দ্রের বিষয়টি শিগগিরই নির্ধারিত হয়ে যাবে।
তবে উখিয়া সীমান্ত এলাকার ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল উপস্থিতি ছিল অনেক কম। সীমান্ত থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ উল্লাহ বলেন, গোলাগুলির শব্দ বৃহস্পতিবার শোনা যায়নি। তারপরও শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে না।
তবে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তঘেঁষা সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার রূপসা নদীতে রেল সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে সারবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। মোংলা বন্দর থেকে সার বোঝাই কার্গোটি নওয়াপাড়া যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে জাহাজের দুইজন কর্মচারি নিখোঁজ রয়েছেন।
রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. নুরুল ইসলাম শেখ জানান, সার বোঝাই এম ভি থ্রি লাইট-১ কার্গোটি রূপসা নদীর উপর নির্মিত রেলসেতু পিলারেড় সঙ্গে ধাক্কায় ডুবে যায়।
তিনি আরো জানান, কার্গোতে থাকা ১৩ নাবিকের মধ্যে ১১ জন সাঁতরিয়ে কূলে উঠতে সক্ষম হয়। বাকি দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে হাফসা আক্তার কাকলী (২৭) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা পলাতক। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাঈল মিয়া মামুন বাদী হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা, শ্বশুর আব্দুল গণি মোল্লাসহ ৫ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের বাবা ইসমাঈল মিয়া মামুন জানান, ৬ বছর আগে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো এলাকার আব্দুস ছালাম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। গত ১ বছর ধরে সাইফুল ইসলাম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কাকলী ও তার স্বামী সাইফুল ইসলামের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কাকলী ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ি চলে আসার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম ও কাকলীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা কাকলীকে পিটিয়ে জখম করে। কাকলীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতাল ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে দেন। পরে রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কাকলীর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
তাদের সংসারে সাইফা আক্তার (৫) নামে একটি মেয়ে সন্তান ও আবদুল্লাহ (২) নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক সাহা জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন