নিজ কৃষি খামারে কাজ করতে গিয়ে পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক মো. সুমন (৩৫) কে সাপে কাটে।
খামারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওঝার কাছে সেই সাপে কাটা রোগী।
চমেকে রোগীতে যথারীতি ভর্তি করালেও মায়ের আকুতি মিনতি আর নানা হুমকিতে গ্রামের উদ্দেশ্যে আবারো হাসপাতাল ছাড়ে সাপে কাটা সুমন। জানা যায়, ওঝার কাছে চিকিৎসা করতেই মূলত রোগীকে চমেক ছাড়তে বাধ্য করেন তাঁর মা শাহিদা বেগম (৫০)। শাহিদার একমাত্র ছেলে মো. সুমন।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার খামারবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দপুরের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সুমনের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর হলেও সুমন বসবাস করতেন মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। মেঘনা নদীর করাল ভাঙ্গনে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এখন বিলিন প্রায়। সব দিকে চর এলাকা।
ঘটনার দিন গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে সুমন নতুন চর এলাকায় নিজ খামারে কাজ করছিলেন। খামারটিতে গরু লালন পালন ও ডাল চাষ করতেন। এলাকাটি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ভরপুর ছিল। রাতে সুমন জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ পায়ে কামড় দেয় বিষধর চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ। কয়েক ঘন্টার মধ্যে গলা দিয়ে রক্ত পড়ে সুমনের। দ্রুতই আত্মীয় স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতাল হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পরে সাপে কাটা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ওঝার কাছে নিতে সিট কেটে দেন। এ ঘটনা শোনে চমেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগিরাও হতভম্ব হয়ে পড়েন। কেননা, চট্টগ্রাম বিভাগে সাপে কাটা রোগীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে চমেক হাসপাতাল। এখানেই দেওয়া হয় সাপে কাটা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা। রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম টিকা ও আইসিইউ ব্যবস্থা।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ সাপে কাটা মো. সুমনকে চমেকে ভর্তি করেন তাঁর খালু মোহাম্মদ খলিল। ভর্তি করানোর পর ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন সুমনকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দিয়েছেন। কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। ফলে, দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর ১২ ঘন্টা না যেতেই রোগীর সিট কেটে গ্রামের উদ্দেশ্যে দৌঁড় দিলেন খলিল।
পরে রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রোগী হাসপাতাল ছেড়ে মূলত ওঝার কাছে গেছেন। সাপে কাটা রোগী সুমনের মা শাহিদা বেগমকে নাকি পাশের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন ছেলেকে ওঝার কাছে চিকিৎসা করাতে। এই ধারণায় পেয়ে বসে শাহিদা বেগমকে। ছেলেকে যেকোন মূল্যে হাসপাতাল থেকে ওঝার কাছে পৌঁছাতেই চাপ দেন রোগীর এ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আসা খালু মোহাম্মদ খলিলকে। এতেই ঘটে বিপত্তি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সুমন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ফজলে করিম হাওলাদারের ছেলে। সুমনের এক ছেলে, এক মেয়ে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সবাই অসুস্থ। সুমনকে সাপে কামড় দিয়েছে এ খবরে তাঁর স্ত্রী রিক্তা বেগমও পাগলপ্রায়।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আসলাম রোগীর এ্যাটেনডেন্ট খলিলের বরাত দিয়ে বলেন, 'সুমনের মা সরাসরি খলিলকে হুমকি দিয়েছেন। সুমন মারা গেলে তাঁকে আসামি করে মামলা করবে। সুমনকে যেন তাড়াতাড়ি ওর মায়ের কাছে পৌঁছায় দেন। এ কথা শোনে মূলত খলিল সাপে কাটা রোগীকে চমেকে ভর্তি করলেও পরে কোন মতে রোগী নিয়ে পালিয়ে যান।'
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা বলেন, 'ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খবর নিচ্ছি। বর্তমান যুগে যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে সেখানে এখনও ওঝার ঝাঁড় ফুক বিশ্বাস করা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার।'
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, 'আমরা যতটুকু জেনেছি রোগীকে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপে কেটেছে। অলরেডি চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি রোগীকে হাসপাতালে রাখতে। কিন্তু রোগীর মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না। রোগীকে নিয়ে গেলেন। বিষয়টি রোগীর এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কোন ওঝা যদি মাকে প্রলুব্ধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বণ্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ বলেন, 'সাপে কামড়ানোর পর যারা আগে ওঝার কাছে যান, তাদের মধ্যে মারা যাওয়ার হার বেশি। সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাপে কামড়ানোর পর ৬১ শতাংশ মানুষ যান ওঝার কাছে। আর ৩৫ শতাংশ মানুষ যান হাসপাতালে।সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দ্রুত হাসপাতালের বিকল্প নেই।'
মানুষের শরীরের ওপর সাপের বিষের প্রভাব নিয়ে পিএইচডি করা গবেষক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম এ ফয়েজ জানান, 'সাপের দংশনের শিকার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর পথে অন্যতম অন্তরায় অপচিকিৎসা। কেননা, অধিকাংশ সময় রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে, যাওয়া হয় ওঝা বা বৈদ্যের কাছে। এতে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অপচিকিৎসা রোধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে থাকা লক ভেঙ্গে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লাইনচ্যুত বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-জামালপুর রোডে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট রেল স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন। তিনি জানান, গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়ে ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে প্রবেশের সময় আউটারে ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। হঠাৎ গরমের কারণে এটি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছেন কি না, তা জানতে পারিনি। ট্রেনটি উদ্ধারে লাকসাম থেকে আরেকটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আজ দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাসের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান বলেন, হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আহতদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ জেলা মানিকগঞ্জে
দাফন করা হয়েছে ।
দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয় সদর কবরস্থানে বাদ জুমা তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা সেনানিবাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার
প্যারেড গ্রাউন্ডে আসিম জাওয়াদের ফিউনারেল প্যারেড এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত
হয়। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান
(পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং নৌবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে ঢাকা
নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের পরিবারের সদস্য, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যরা
উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের প্যারেড
গ্রাউণ্ডে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিউনারেল প্যারেড শেষে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মরদেহ নেওয়া
হয় তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত
প্রশিক্ষণের অংশ নেওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এসময় দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন। স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া
হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর ১ মাস ২০ দিন।
তিনি স্ত্রী, এক কন্যা,
এক পুত্র, বাবা-মা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ।
এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদীর পানি বিপৎসীমার দুই থেকে ছয় ফিট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), এ বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর আরো জানায়, দিনভর উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার খাগড়াছড়িবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনা খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বন্যা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা
সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কক্সবাজারের উখিয়া থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) উখিয়ার ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ২টি চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটেও পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর নৌবাহিনী জেটি থেকে এমভি বারো আউলিয়া ও কর্ণফুলী নামের ২টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
বারো আউলিয়ার পরিচালক মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন, পর্যটক চাহিদার কারণে এক মাস ইনানী-সেন্টমার্টিন রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করেছিল। রমজানে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। এ কারণে সোমবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার(১০ মার্চ) সবশেষ জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিনে গেছে। আগের দিন এবং এর আগে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ দুটি ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে ফিরে এসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেছেন, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ হয়তো ব্যবসায়িক কারণে লোকসান এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সদরঘাট নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে ১টি দেশি অস্ত্র, ৪টি ছুরি, ২টি তালা কাটার যন্ত্র ও ২টি রেঞ্চসহ ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরিফ হাসান মেহেদী নামে ডাকাত দলের ১ সদস্য স্বীকার করেছে- কয়েকদিন আগে মেহেদীবাগস্থ আমিরবাগ আবাসিকের এক বাসা থেকে চুরি করা স্বর্ণ তার কাছে রয়েছে।
পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন বারেক বিল্ডিং এলাকার সানাই সিনেমা হলের খালি জায়গার ঝোপের ভিতরে মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় ৫১ ভরি ১২ আনা ৩ রত্তি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের ইছানগরে আগুনে পুড়তে থাকা চিনির গুদাম দেখতে এসে শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলছেন, আগুন নেভার পর দুই দিনের মধ্যে চিনি পরিশোধনে ফিরতে চান তারা।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তীরে এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ২৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকালেও সেই আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।
এস আলমের ওই চিনিকলের দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা ২২০০ টন। কারখানার পাশের পাঁচটি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত এবং একটি গুদামে পরিশোধিত চিনি রাখা হয়। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে চিনিকলটির ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে, যাতে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার যখন গুদামে আগুন লাগে, তখন চিনিকলটি চালু ছিল। আগুন লাগার পর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ওই দিনই এস আলমের কল থেকে বাজারে চিনি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আগুনে ১ নম্বর গুদাম ভস্মীভূত হলেও অন্য গুদাম বা কারখানায় আগুন ছড়ায়নি। তবে ১ নম্বর গুদামের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে আগুনে পুড়তে থাকা গুদাম দেখতে এলে সাংবাদিকরা সাইফুল আলম মাসুদের কাছে জানতে চান, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব রোজায় চিনির বাজারে পড়বে কি না।
উত্তরে সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, আপনারা জানেন কিছু ব্যবসায়ী আছে, দুয়েকদিনের জন্য করে এরা; এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো দুয়েকদিন হবে আরকি। দুয়েকদিন পর তো আমার ডেলিভারি ঠিক হয়ে যাবে।
এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ আরো বলেন, আমার প্রোডাকশন চালু করব। আমার বানানো মাল আছে। ওইটা দিয়ে এক সপ্তাহ মিনিমাম চলবে। প্রোডাকশনে যাইতে লাগবে দুই দিন। মালেরও সমস্যা নেই। মেইনলি আগুনটা নিভে গেলে হয়ে যাবে আমার।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসদগঞ্জ এলাকা থেকে জুয়া খেলার অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার
দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার
করা হয়।
আটককৃত
ব্যক্তিরা হলো, ১। মো. হারুন (৪৭), ২।মো. আবদুর রফিক (৬০), ৩।মো. মহিউদ্দিন (৩০),
৪।মো. রুবেল (২৮), ৫।জাকির হোসেন (৪০), ৬।আবুল হোসেন (৬০), ৭।মো. সোলেমান (৪২), ৮।মো.
নরুল ইসলাম (২৪), ৯।মো. মানিক (২৫), ১০।মো. বেলার হোসেন (২৫), ১১।মো. ইউসুফ (৩৪), ১২।মো.
জাফর (৩৯), ১৩।মো. জসিম (৪৪), ১৪।নুরনবী (৩৭), ১৫।জুয়েল (৩৩), ১৬।মো. এবাদুল (৩৫),
১৭।মো. খালেদ মোর্শেদ (৪৫)।
কোতোয়ালি
থানার ওসি এম ওবায়দুল হক বলেন, রাতে জুয়া খেলার সময় আসদগঞ্জ এলাকা থেকে ১৭ জনকে হাতেনাতে
আটক করা হয়।
তাদের
নন-এফআইআর প্রসিকিউশন মূলে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।
বুধবার (২০ মার্চ ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি ভাসানচর থেকে হেলিকপ্টার যোগে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমে তিনি, ক্যাম্প চার এক্সটেনশনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ও ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাবার বিতরণের ই ভাউচার আউটলেটে যান এবং সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প চারে ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টি পারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এরপর ক্যাম্প পাঁচে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টারও পরিদর্শন করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্যে নির্মিত কক্সবাজারের খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুইডিশ রাজকন্যা।
মন্তব্য করুন