বিশ্বজুড়ে মেটার আওতাধীন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে
পড়ে। বাংলাদেশের
ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে
আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে
থাকেন ব্যবহারকারীরা। তবে তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম
ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।
ফেসবুকের
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে
এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।
ভিডিও
বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ
বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান
হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক
অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও
সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে
রাত ১০টার দিকে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরে দেখা যায়, রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫
লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি স্যামসাংয়ের আনপ্যাকড ইভেন্টে গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজের ফোনের সঙ্গে এসেছে বেশ অবাক করার মতো ছোট এক গ্যাজেটের ঘোষণা, যার নাম - গ্যালাক্সি রিং।
একেবারেই নতুন এই গ্যাজেট প্রসঙ্গে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ডিজিটাল হেলথ বিভাগের প্রধান ডা. মান পাক-এর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট যদিও এ গ্যাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ এখনও জানা যায়নি। তবে, স্যামসাং যে ফিচারগুলো নিয়ে কাজ করছে তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ।
ডা. পাক বলেন , স্যামসাং হেলথ-এ আমাদের ভূমিকা হল স্বাস্থ্যসেবাকে সহজ করা। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষ কোথায় রয়েছে, তাদেরকে সে পথটি বুঝতে সাহায্য করা । পরিবর্তনশীল খরচের ফলে স্বাস্থ্যসেবা আজকাল বাড়িতেই চলে আসছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্রুত হচ্ছে। তবে, আমি মনে করি এটা অন্যান্য জায়গায়ও ঘটে। আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটি মূলত খরচের কারণে, কর্মশক্তির ঘাটতিও একটি কারণ। আমরা মনে করি আমাদের ডিভাইসের পোর্টফোলিও নিয়ে অনন্য একটি জায়গায় রয়েছি আমরা। এমনসব স্বাস্থ্য ফিচার যেগুলো মানুষ ঘরে বসেই ব্যবহার করতে পারবে সেগুলো বাজারে আনার এটিই উপযুক্ত সময় হিসেবে স্যামসাং বিশ্বাস করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক ডিভাইসের কিছু ঘাটতিও রয়েছে। এটা ঠিক যে একটি স্মার্টওয়াচ সকালে নিশ্চিত করে বলতে পারে যে, গতরাতে ঘুম ভাল হয়েছে কি হয়নি। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য এটি যথেষ্ট তথ্য নাও হতে পারে বলে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
ডা. পাক আরো বলেন,লোকজন বলছেন তারা কীভাবে ঘুমাচ্ছেন বা ব্যায়াম করছেন সেটির ধারণা পাওয়ার বিষয়টি দারুণ। ঘুমের বিষয়টি আমরা বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কোরিয়ান এফডিএ আমাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া (নিদ্রাহীনতা) স্ক্রিনিং সনাক্তকরণ অনুমোদন করেছে। আমাদের চারটি নতুন সূচক রয়েছে যা আমরা ঘুমের সময় ট্র্যাক করছি, হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, রাতের চলাচল ও ঘুমের বিলম্ব। আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা হল, ঘুমের সময় যখন আমরা মাপি যে কীভাবে হৃদস্পন্দন বা রক্তচাপ কমে যায়, সেগুলো কেবল আপনার ঘুমের গুণমান নয় আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও ইঙ্গিত দেয়। আমরা মনে করি, এগুলো অসুখের সম্ভাব্য প্রাথমিক হস্তক্ষেপের সূচক, আর ডাক্তারদের কাছে এসব তথ্য নেই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন ডা. পাক। এটি অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে এমন ধারণা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি মনে করি না ডাক্তাররা কখনই পুরোপুরি চলে যাবেন। তবে, আমি মনে করি ডাক্তাররা এআই ব্যবহার করছেন না এমন দিন সম্ভবত সময়ের সঙ্গে চলে যাবে। কারণ, এআই এখন যথেষ্ট পরিপক্ক। আপনি যদি এটির সুবিধা না নেন তবে আপনি সঠিক দক্ষতা পাবেন না।
ইন্ডিপেনডেন্ট এর প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচনার এক পর্যায়ে ড. পাক গ্যালাক্সি রিং-এর বেশকিছু প্রোটোটাইপ সংস্করণ দেখান। এগুলো প্রোটোটাইপ হওয়ায় রং, উপাদান থেকে শুরু করে নকশাও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান তিনি। প্রোটোটাইপগুলো এক ডজন ভিন্ন আকারে ও সোনালী আর কালোসহ চারটি ভিন্ন রঙের ছিল। রিংগুলোর বাইরের প্রান্ত কিছুটা অবতল, স্পর্শে যেটি দারুণ আকর্ষণীয় লাগে বলে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট। এটি হালকা ও আরামদায়কও, ফলে রাতে পরার জন্য এটি স্মার্টওয়াচের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
রিং বা আংটি জাতীয় কোনোকিছুর মূল সুবিধা হল, এটি মনোযোগ ভাঙার মতো কোনো স্ক্রিন বা তেমন ওজন ছাড়াই সবসময়ে শরীরের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে। কেউ এ আংটি পরে থাকলে এটি নিঃশব্দে ক্রমাগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বলে উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। ড. পাক বলেন, এসব পরার মতো গ্যাজেট আমাদের এমনভাবে তথ্য বা প্রসঙ্গ দিতে পারে যা আমরা আগে কখনোই ভাবিনি। আমরা ডাক্তারের চেম্বারে যাই, রক্তচাপ পরীক্ষা করি। আবার ছয় মাস বা এক বছর পর ফিরে এসে আরেকটি পরীক্ষা করি।
বাস্তবে, এখানে অনেক প্রসঙ্গ বা তথ্য রয়েছে যা ডাক্তাররা বা ব্যক্তি নিজে জানলেই বদলাবে। আর মৌলিকভাবে এটি আমাদের কিছু ব্যবস্থাপনা ও জীবনধারার পছন্দ বা বিকল্পকে পরিবর্তন করবে। প্রথমবারের মতো এটি আমাদের পরিবর্তনের উপায় ও সুযোগ দিচ্ছে যা আগে সম্ভব ছিল না। এই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়টি বুঝতে সাহায্য করছে।
মন্তব্য করুন
বদলে যাচ্ছে এবার হোয়াটসঅ্যাপের ধরন । আর কোনো মোবাইল নাম্বারের প্রয়োজন হবে না হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাকাউন্ট খুলতে। একটি ইমেল যাচাই করেই ব্যবহার করা যাবে এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি।
জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপ একটি নতুন ফিচার পরীক্ষা করছে। এটি কার্যকর হলে, ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন নাম্বার ছাড়া ইমেল দিয়েও অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পারবেন।
সাধারণত ফোন বদল করলে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে এসএমএসর মাধ্যমে ওটিপি যাচাইকরণ করেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে ফেলা যায়। তবে কোনো নাম্বার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে বা ফোন চুরি হলে আরও বিপদ।
সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণের জন্য এসএমএস এ ওটিপি আসে। এই পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারে না। এটি সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
কারও যদি মোবাইল নাম্বারটিই বদলে যায় বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তাহলে তিনি আর এসএমএস পাবেন না। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ এ লগইনও করতে পারবেন না।
ওয়াবেটাইনফ’র দাবি, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি একটি ইমেল যাচাইকরণ ফিচার পরীক্ষা করছে। এটি ব্যবহারকারীদের মোবাইল নাম্বার ছাড়াও ইমেল ব্যবহার করে তাদের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে দেবে।
নতুন ফিচারটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার একটি সংযোজন হতে চলেছে। এসএমএস যাচাইকরণের পাশাপাশি এটিও থাকবে। এই ফিচার এন্ড্রোয়েড ও আইওএস-এর বিটা ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যবহারকারীরা ‘অ্যাকাউন্ট সেটিং’এই অপশন পাবেন। সেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ই-মেইল অ্যাড্রেস লিখতে পারেন। যা কোনোভাবেই অন্যকোনো পক্ষ জানতে পারবে না।
অনেক দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ এই নতুন ই-মেইল যাচাইকরণ ফিচারটি পরীক্ষা করছে। সর্বশেষ বিটা সংস্করণ ২.২৩.২৪.১০ আপডেট অনেকেই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারছেন। শিগরিগরই এই সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো প্রার্থীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল
আইডি (এনআইডি) কার্ডে থাকা তথ্য অনুযায়ী সরাবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
এদিকে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকাংশ সময়ই জাতীয় পরিচয়পত্র করার সুযোগ
থাকে না। এ জন্য এই দুই শ্রেণির নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তাদের আবেদন নিরীক্ষার
মাপকাঠি হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এবার তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া
ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেয়া যাক।
কাদের জন্য কোন নথি
প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের বয়স
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে:
১৮ বছরের নিচে: অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC,
ইংরেজি ভার্সন)।
১৮-২০ বছর: এনআইডি কার্ড বা
অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC, ইংরেজি ভার্সন)
২০ বছরের বেশি: শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড। তবে বিদেশি
মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারবেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে: পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
ঠিকানার প্রমাণ: সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ
বা পানি)।
বিশেষ পরিস্থিতি: দত্তক বা অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অনুমোদন।
পেশাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নথি
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার: সংশ্লিষ্ট কারিগরি
সনদপত্র।
শিক্ষার্থী: সর্বশেষ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/স্টুডেন্ট আইডি
বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।
সরকারি চাকরিজীবী: সরকারি আদেশ (জিও), অনাপত্তি পত্র (এনওসি),
প্রত্যয়নপত্র, পিআরএল অর্ডার বা পেনশন বই।
কৃষক: জমির পর্চা।
ব্যবসায়ী: ট্রেড লাইসেন্স।
আবেদনের সময় জমা দিতে হবে
বায়োমেট্রিকের জন্য
নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (প্রিন্ট কপি)।
অনলাইনে নিবন্ধিত পূর্ণ
আবেদনপত্র (প্রিন্ট কপি)।
পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ।
৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য
ল্যাব-প্রিন্টেড সদ্য তোলা ছবি (গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
ধারাবাহিকভাবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম :
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ : প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজার
ওপেন করে সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর
‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবা আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
করতে হবে। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম নির্বাচন
করতে হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিভুক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নাম নির্ধারিত হবে।
এছাড়া
আলাদাভাবে নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয় চেনার জন্য প্রবেশ করতে পারেন এই লিঙ্কে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট
অফিস নির্ধারণের পর ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ জন্য
প্রয়োজন একটি ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে
একটি ব্যতিক্রম পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে ই-মেইল
বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আবেদন
ফর্মের প্রতিটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ন্যূনতম তারকা
চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই সফলভাবে প্রদানের পর পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন আসবে। ফি তাৎক্ষণিকভাবে
অনলাইনে পরিশোধ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ নম্বর সংযুক্ত হবে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ
তারিখগুলো থেকে পছন্দসই একটি তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন প্রার্থী। এরপরই চূড়ান্ত পর্যায়,
যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েনমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি প্রদর্শিত
হবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যসব কাগজপত্রের
সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
এসব হচ্ছে- ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে,
ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এবং এমবিএল রেইন্বো। আর অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া,
ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ
ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ: পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের
মেয়াদ ও বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মূলত রেগুলার, এক্সপ্রেস
এবং সুপার এক্সপ্রেস, এই তিন ক্যাটাগরিতে সরবরাহ করা হয় ই-পাসপোর্ট।
অধিকতর
দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস মাধ্যম। এতে বায়োমেট্রিক
সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবসের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া
যায়। আর রেগুলার ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক সময়সীমা লাগে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের দিন
থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আবেদনপত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া: উল্লেখিত সব কাগজপত্র
নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। এদিন আবেদনকারীর ছবি তোলা,
হাতের আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ছবি উঠাতে প্রার্থীকে অবশ্যই
রঙিন পোশাক পরে আসতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। সব কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য
তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেয়া হবে। স্লিপটি আবেদনকারীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র,
এ জন্য এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের উপায়: বায়ো নিবন্ধনের দিন
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা অনলাইনের মাধ্যমে
যাচাই করা যায়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তা দেখা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট
প্রিন্ট এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত কিনা, সেটিও দেখা যায়। এ জন্য প্রবেশ করতে
হবে এই লিঙ্কে- https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট
অফিস থেকে দেয়া বিতরণ স্লিপে ১৩ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি রয়েছে। আবেদনের বর্তমান
অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি বা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি)
ব্যবহার করতে হবে।
আগে
বায়োমেট্রিক দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদনকারীকে ফোন করা হতো। কিন্তু
এখন থেকে এই কার্যক্রম থাকছে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একদম প্রস্তুত হলে যথারীতি
আবেদনপত্রে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও ই-মেইলে নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে।
আর সেই তারিখে বিতরণ স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে
হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে
মেটার আওতাধীন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
লগইন সমস্যায় পড়েছেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ রিপোর্ট পাওয়া
গেছে ডাউন ডিটেক্টরে। এক্সের ট্রেন্ডিং ফিডেও ফেসবুক সার্ভার ডাউনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার
( ৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা
জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তি
ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবহারকারীরা
জানান, হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ আউট হয়ে যায়। পরে তারা লগ ইন করতে গিয়ে
সমস্যায় পড়েন।
ফেসবুকের
একটি সূত্র ডেইলি মেইলকে জানিয়েছে, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সিস্টেমও ডাউন হয়ে গিয়েছিল।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথ পরিসেবা রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আজ রাতে ৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের SEA-ME-WE-5 (SMW5) কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার দিনগত রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৪ ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবল লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখিত সময় SMW5 সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন হতে SEA-ME-WE-4 (SMW4) সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। ওই রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন ইন্টারনেট গ্রাহকেরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।
দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।
চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।
এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।
প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
৬৫
কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। সেই তরঙ্গের
মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে।
সেই
সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।মহাকাশে এক
মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল পড়ে
গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
তবে
অনেক সময় তারাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিস্ফোরণের। বিজ্ঞানীদের ভাষায়
এই বিস্ফোরণকে সুপারনোভা বলে। সেই বিস্ফোরণের ফলেও মৃত্যু হয় তারাদের।
তারাদের
মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও
জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর
থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই মৃত্যু হয় তারাদের।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।তারাদের মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও
মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের
জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই
মৃত্যু হয় তারাদের
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
তেমনই এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের। তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
এক নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের। কী ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে, মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মৃত্যুর
আগে শেষ বার্তা পাঠাল দূরের নক্ষত্র, রহস্যময় সঙ্কেত চমকে দিল বিজ্ঞানীদের
মহাকাশে
এক মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল
পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। সেই তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে
পৃথিবীতে। সেই সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
এক
নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের।
৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে।
কী
ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে,
মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই
নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর
গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
তেমনই
এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের।
তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের
পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান। বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
নাসার টেলিস্কোপে মিলল পৃথিবীর মতো দেখতে আরো এক গ্রহের হদিস । ওই গ্রহের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে পৃথিবী থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে । গ্রহটির নাম হল এলটিটি ১৪৪৫এসি। গ্রহটি অবিকল পৃথিবীর আকারের মত। তার মাধ্যাকর্ষণ টানও নাকি পৃথিবীরই মতো! যা বিজ্ঞানীদের অবাক করেছে।
এরিডেনাস নক্ষত্রমণ্ডলে পৃথিবী থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে নতুন ‘পৃথিবী’। বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২২ সালে নাসার অন্য একটি উপগ্রহে এলটিটি ১৪৪৫এসি-র উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। তবে সেই ক্যামেরায় ছবি কিছুটা অস্পষ্ট ছিল। তাই গ্রহটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি, নাসার হাব্ল টেলিস্কোপে ওই গ্রহটির ছবি দেখা গেছে স্পষ্টভাবে। গ্রহটির আকার এবং অন্য বৈশিষ্ট্যও বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই গ্রহটির কাছাকাছি রয়েছে তিনটি নক্ষত্র। বিরল অবস্থানে সে ঘুরে চলেছে। হাব্ল-এর ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা ভালো করে গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণে সক্ষম হয়েছেন। দেখা যায়, গ্রহের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে মাত্র ১.০৭ গুণ বেশি। পৃথিবীর মতো মাধ্যাকর্ষণ টান রয়েছে গ্রহটির। গ্রহের জমি পাথুরে।
তবে পৃথিবীর মতো হলেও এই নতুন গ্রহের উষ্ণতা অনেক বেশি। গ্রহটির তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।গ্রহটি একটি ছোট লাল নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে। তার নাম এলটিটি ১৪৪৫এ। নক্ষত্রটিকে অপেক্ষাকৃত বড় আকারের আরো দু’টি গ্রহ সার্বক্ষণিক প্রদক্ষিণ করে।
সূত্র: নিউ অ্যাটলাস, গিজমোডো
মন্তব্য করুন
আশা রহমান :
সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উভয় দেশ যৌথভাবে সাইবার ড্রিল এবং সক্ষমতা উন্নয়নের কর্মশালার অয়োজন করবে।
২১ আগস্ট সোমবার ভারতের নয়া দিল্লিতে সার্ট ইন্ডিয়ার প্রধান কার্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (সার্ট ইন্ডিয়া) মহাপরিচালক ড. সঞ্জয় বাহলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
একই দিনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিংসহ নানা ডিজিটাল সেবা প্রধানকারী আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল এর নয়া দীল্লির গীতা নগরিতে অবস্থিত কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (ইউডিএআই) এর প্রধান নির্বাহী কর্নেল নিখিল সিনাহার সঙ্গে বৈঠক করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আধার সিস্টেমের কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকরা, নাগরিক সেবা গ্রহণের পাশাপাশি কীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের এনআইডি সিস্টেমকে আরো ভবিষ্যতমুখী এবং অধিকতর ভাল্যু অ্যাডেড সল্যুশন অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়েও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক মতামত ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন