

কুমিল্লায় এক দিনে ০১ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল আটক করে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কয়েকটি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযান সমূহে বিজিবি টহলদল কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৃথক পৃথক স্থান হতে গত এক দিনে সর্বমোট ১,১০,১৯,৭৯৪/- (এক কোটি দশ লক্ষ উনিশ হাজার সাতশত চুরানব্বই) টাকা মূল্যের মোবাইল, মোবাইল ডিসপ্লে, বাজি এবং মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানী পণ্য সামগ্রী আটক করা হয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের
রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) প্রধান উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত প্লানাকে তার নিয়োগের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং তাকে বাংলাদেশে উষ্ণ
অভ্যর্থনা জানান।
বাংলাদেশের ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর চেতনার
প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি কসোভোর জনগণের স্বাধীনতা, শান্তি ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের
প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
জবাবে রাষ্ট্রদূত প্লানা কসোভোকে একটি
স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে
সশস্ত্র সংঘাতের পর কসোভোর জনগণের জীবন পুনর্গঠনে গ্রামীণ কসোভোর অবদানকে স্মরণ করেন
।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মূল্যবান
অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি এবং আমি আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গীকারের জন্যও শ্রদ্ধা জানাতে
চাই।
আপনার গ্রামীণ ট্রাস্টের উদ্যোগ আমাদের
জাতির জন্য এক বিশাল সহায়তা ছিল। স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ
অংশীদার। যুদ্ধোত্তর সময়ে কসোভোতে বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের অবদান ও সহায়তার
জন্যও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কসোভো
বর্তমানে কসোভোর শীর্ষস্থানীয় ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, যা দেশের ২০টি পৌরসভা ও ২১৯টি গ্রামে
কাজ করছে, যেখানে ৯৭ শতাংশ ঋণগ্রহীতা নারী।
বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট এই ক্ষুদ্রঋণ
প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান।
কঠিন সেই সময়ের কথা স্মরণ করে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। যখন আমরা
সেখানে পৌঁছায়, তখন সবকিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল। পুরুষরা তখনো ফিরে আসেনি। কোনো মুদ্রা
ছিল না, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল না। তখন আমরা শূন্য থেকে সেখানে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ
শুরু করি।’
আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর
করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের
ওপর।
প্রধান উপদেষ্টা সহযোগিতার সম্ভাবনাময়
কয়েকটি খাত তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং হালকা প্রকৌশল খাত।
তিনি কসোভোর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত প্লানা উভয় দেশের ব্যবসায়ী
সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বাণিজ্য ও
বিনিয়োগে গতিশীলতা আনার জন্য ব্যবসা ও শিল্প চেম্বারগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান
জানান।
দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির
প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা কসোভোর বিভিন্ন খাতে আরও বেশি সংখ্যক
বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কসোভোর
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হার বাড়ানোর প্রস্তাব দেন, যার মধ্যে রয়েছে বৃত্তি, ফেলোশিপ
ও একাডেমিক অনুদান।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকা হতে ১৩২ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৩ নভেম্বর রাতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১৩২ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: ১। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার খাড়েরা গ্রামের মোঃ শামসু মিয়া এর ছেলে মোঃ রাসেল (২৪) এবং ২। কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দারাবাদ গ্রামের মোঃ আব্দুল হান্নান এর ছেলে মোঃ শরীফ (২০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান তাকে স্বাগত জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধান উপদেষ্টা শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তার মন্তব্যসহ স্বাক্ষর করেন।
শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধান উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার নিজ কার্যালয়ে প্রথম কর্মদিবস পালন করেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং মহাপরিচালকরা প্রধান উপদেষ্টাকে কার্যালয়ে স্বাগত জানান। এরপর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীপ্রধান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এর ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোশুয়া এম. রুড এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেনাসদরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোশুয়া এম, রুড, ডেপুটি কমান্ডার, ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড'কে ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন


আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুই সংস্কার কমিশনের প্রধান।
কমিশনগুলো হলো: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে।
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো। আর বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।
মন্তব্য করুন


জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে ৮ দলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২:০০ টা থেকে ৪:০০ টা পর্যন্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ৮ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আগামীর সংসদ হবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত সংসদ। চাঁদাবাজদের প্রতিহত করবো ইনশাআল্লাহ। অতীতে যারা চাঁদাবাজি করেছে, তাদের আর খাওয়া নাই। আগামীর সংসদ হবে কুরআনের সংসদ। আগামীতে সচিবালয়, সংসদ ও বিচারালয় চলবে কুরআন দিয়ে- সবই চলবে কুরআনের বিধান অনুযায়ী।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৮ দলের জোট নতুন জাগরণ তৈরি হয়েছে। অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। সরকার একইদিনে গণভোটের সিদ্ধান্ত কারো কুপরামর্শে করেছে।
তিনি বলেন, মানুষের মনে আশা সঞ্চার হয়েছে নতুন বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে। এবারের সংগ্রাম চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। আমাদের ৮ দলের বার্তা জাগরণের বার্তা নিয়ে এসেছি। পরিবর্তনের বার্তা গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের এই ৮ দল আর ৮ দল থাকছে না, আমাদের সাথে আরও অনেক দল আসার আবেদন করছে। সবার প্রত্যাশা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। এখনো সুযোগ আছে, গেজেট পরিবর্তন করুন। জনগণ আগেই গণভোট চায়। এখনো সুযোগ আছে, তারিখ পরিবর্তন করুন। সরকারকে সংকটে ফেলতে চাই না। তা-না হলে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। জনগণ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে গিয়ে ‘না’ তে ভোট দিয়ে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, একটি দল এখনো ষড়যন্ত্র করছে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে ভোট হবে। ‘হ্যাঁ’ ভোট মানে হলো ফ্যাসিবাদ বিরোধী নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সুশাসনের পক্ষে। জনগণের ম্যান্ডেট নষ্ট করা যাবে না। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নারীকর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান গোলাম পরওয়ার।
এ সময় সমাবেশের সভাপতি সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলাই বিপ্লব কোনো একক দলের নেতৃত্বে হয়নি। কিন্তু এই সরকার একটি দলের পকেটে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা বলব, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। গণভোট আগে হতে হবে। ষড়যন্ত্র চলছে। যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে। গণভোট আগে দিতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। এই দেশ কারও বাবার দেশ নয়, কোনো পরিবারের দেশ নয়। এই দেশ ১৮ কোটি জনগণের দেশ। আমরা ৮ দল অনেকে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। নির্বাচনে ৮ দলের একজন প্রার্থী থাকবে। তাকেই আমরা ভোট দেব।
একটি দলকে ‘চান্দা পার্টি’ উল্লেখ করে আগামী নির্বাচনে জনগণ বুলেটের জবাব ব্যালটে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। তিনি বলেন, আল্লাহ ছাড় দেয়, ছেড়ে দেয় না, রাকসু নির্বাচন তার প্রমাণ। তিনবার গণভোট হয়েছে, একবারও নির্বাচনের দিন হয়নি। নির্বাচনের দিন গণভোটের নজির ইতিহাসে নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, একইদিনে গণভোট ও নির্বাচন চ্যালেঞ্জের বিষয়। যারা আয়োজন করবেন তারা বুঝে গেছেন, কিন্তু বিএনপি বুঝে নি। জনগণ বুঝে গেছে কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার বুঝে নাই।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে চিনেছে, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু তার গণহত্যার বৈধতা দেওয়া জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। অবিলম্বে ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করুন।
রাশেদ প্রধান আরও বলেন, ‘চান্দা পার্টি’ পোস্টার ছিঁড়ছে। তারা ৮ দলের নেতাদের পোস্টার ছিড়তে পারে, কিন্তু মানুষের মন থেকে মুছতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় বুলেট ছুড়ে মারা হচ্ছে। জনগণ বুলেটের জবাব ব্যালটে দেবে। গণভোটে হ্যা ভোটের পক্ষ নিন, ৮ দলের প্রতীকে সিল মারুন।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। একইদিনে নির্বাচন ও গণভোট হতে পারে না। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। খুনিদের বিচার করতে হবে। উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।
সমাবেশে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান বলেন, গণভোটে একটি দল ‘না’ এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জনগণ ‘হ্যাঁ’ পক্ষে ভোট দিয়ে তাদেরকে না করে দেবে। সিদ্ধান্ত নিন জুলাই সনদের পক্ষ নিয়ে ‘হ্যাঁ’ কে জয়যুক্ত করুন। ইসলামের ব্যালট বাক্সে সকল ভোট পড়বে ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চায়। মানুষ জেগে উঠেছে। চাঁদাবাজদের দেখতে চায় না। কার্যকর পার্লামেন্টে পরিণত করব। ঐক্য টিকিয়ে রাখতে হবে। এতে কেউ যাতে ফাটল ধরাতে না পারে। ইসলামী দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায়। সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ব। দেশের পরিস্থিতি নাজুক। এখনো মিছিলে আন্দোলনে গুলি করে আহত করে, এটা আমরা বরদাস্ত করব না। জনগণের কাছে আমাদের যেতে হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতহারি বলেন, রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরও দেব তবু আগে গণভোট ও জুলাই সনদ কার্যকর করবো। তাছাড়া দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে, জুলাই সনদ কার্যকর করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। লড়াই করেছি একদিনের জন্য নয়, ৪৭ সাল থেকে। আবারও লড়াই করে আল্লাহর আইন কুরআনের শাসন অবশ্যই অবশ্যই কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ।
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহব্বায়ক ইমাজ উদ্দিন মন্ডল ও মুফতি ইমরানের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মো. নুরুন্নবী, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি শেখ মো. সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান রোকন, জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাকসুর ভিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন


চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৩১ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদের মধ্যে ১৯ জেলেকে ১২ দিন এবং ১২ জেলেকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ৩ জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ জন জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অভিযানে অংশগ্রহণকারী সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেল থেকে সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর হরিনা, বহরিয়া, গাজীর টেক ও আনন্দ বাজার এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে এসব জেলেদের আটক করে। এ সময় জেলেদের হেফাজতে থাকা মাছ ধরার ইঞ্জিন চালিত দুটি নৌকা, ২৫ কেজি ইলিশ এবং ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
জেল ও জরিমানা প্রাপ্ত ৩৪ জেলে হলেন- মিলন শেখ (২৮), রফিক গাজী (৩৫), আল-আমিন মোল্লা (৩৬), সত্তর খাঁ (৪২), আবু তাহের পাটওয়ারী (৫৫), জাকির গাজী (২১), সুমন উকিল (২৮), আল-আমিন পাটওয়ারী (২২), রাসেল খালাসি (২৬), নুর মোহাম্মদ (৩২), সেলিম উদ্দিন (৩৩), দুলাল ঢালী (৪৯), জসিম পাটওয়ারী (২০), শাহজাহান শেখ (৫৫), মাসুদ বেপারী (২৩), শাহজাহান (৪৫), নাহিদ তালুকদার (১৮), মোহাম্মদ আলী শেখ (৩৯), সোহেল মিজি (২৭), মজিদ বেপারী (৪২), বজলুল হক হাওলাদার (২৭), সুজন গাজী (৩০), মো. ফারুক শেখ (৪০), মো. নাদিম (২১), আব্দুল কাদির (২৭), মো. জসিম খান (৩৫), সুমন গাজী (৩৩), মো. জাকির (২৫), মো. হান্নান গাজী (২৪), রফিক রাঢ়ী (৩০), আরিফ ঢালী (২২), হারুন দর্জি (৪০), মহসীন রাজন (১৯), মো. মো. রাব্বি সামি (২২)।
একটি অভিযান পরিচালনা করেন কোস্টগার্ড। বাকি জেলা টাস্কফোর্সের ৩টি অভিযানে মৎস্য অধিদপ্তর চাঁদপুরের ৩টি হাই স্পিডবোটসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন, মৎস্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের টেকনোলজিস্ট মো. হাসিব রানা, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ প্রকল্প) এসএম মুশফিকুর রহমান, উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন


আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ
ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ
রোববার ( ০৭ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশনারগণ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।
বৈঠকে
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত
ছিলেন।
জাতীয়
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন
মিয়াও বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব
ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ
সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন
কমিশনাররা।
নির্বাচনের
প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও
প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান।
তিনি
বলেন, ইতোমধ্যে নাগরিকরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী
আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ
সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সুষ্ঠু
ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে
সরকার।’
তিনি
বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদেরকে
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে
এগিয়ে চলছি।
মন্তব্য করুন


ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী মোট ৪টি বিভাগে হচ্ছে বৃষ্টিপাত। এ কারণে আরও কমে যেতে পারে সারা দেশে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, বৃষ্টি হচ্ছে দেশের ৪ বিভাগে। বিশেষ করে দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় ১৯ ও যশোরে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান আরও জানান, বৃষ্টির কারণে কুয়াশা কমবে। এতে হয়ত সূর্য দেখা যেতে পারে। তবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশেই তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার দেশে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের সব জেলায়, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ এবং রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে। চলতি মাস পুরোটাই দেশে বেশ শীত অনুভূত হবে।
আগামী রোববার থেকে দেশে আবহাওয়া পরিস্থিতি সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশি
পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চিঠিতে
উল্লেখ করা হয়, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা বাংলাদেশি পণ্যের ওপর
এই শুল্ক কার্যকর হবে। তবে চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয়
শুল্ক আলোচনার পথও খোলা রেখেছেন।
এই
প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তার ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের
নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে।
তারা ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রশাসনের বাণিজ্য ও শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক
করেছেন। বুধবার (৯ জুলাই) আরেক দফা নির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
মার্কিন
প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দ্বিপক্ষীয় আলোচনা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে
বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শুল্ক চুক্তির
প্রত্যাশা করছে, যা আমাদের বিশ্বাস, উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে।’
বাংলাদেশ
প্রতিনিধিদলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও রয়েছেন।
এদিকে
অধ্যাপক ড. ইউনূসকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ
দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) গোলাম মোর্তোজা তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, ৩৫ শতাংশ
শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়, আলোচনা চলছে। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো
কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।
প্রধান
উপদেষ্টাকে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, আপনার বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আমরা আগামী
বছরগুলোতে আপনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনি যদি এখন পর্যন্ত বন্ধ রাখা আপনার
বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত করতে চান এবং শুল্ক, অশুল্ক নীতি ও বাণিজ্যিক
প্রতিবন্ধকতা দূর করেন, তবে এই চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারি।
উল্লেখ্য,
বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার
নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এসব চিঠি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ
সোশ্যালে প্রকাশিত হয়েছে।
হোয়াইট
হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, সামনে আরো কিছু দেশকে শুল্কবিষয়ক চিঠি
পাঠানো হতে পারে। যার মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক
অংশীদাররাও রয়েছেন।
চিঠিতে
ট্রাম্প বলেছেন, গত এপ্রিলে স্থগিত করা পাল্টা শুল্ক তিন সপ্তাহের মধ্যে এবং আগের চেয়েও
বেশি হারে ফিরে আসবে।
আরো জানানো হয়, টোকিও ও সিউলের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়াসহ ১৪ দেশের ওপর ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগস্টের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছানোর যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি নমনীয় হতে পারে।
গত
৩ এপ্রিল ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সে সময় বাংলাদেশি
পণ্যের ওপর গড়ে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে সেটি ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা
হয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতো।
(সূত্র-
বাসস)
মন্তব্য করুন