শ্রদ্ধা, ভালোবাসা
ও শোকের মধ্য দিয়ে আজ
বুধবার (১৬ জুলাই) শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণ করেছে বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু
সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়াম এবং শহীদ
আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভ’র
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে
শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বেলা ১১টায় শহীদ আবু সাঈদ তোরণ, মিউজিয়াম স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি স্থাপন করেন।
উদ্বোধন শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
পরে শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতিচারণে আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন,
অন্তর্বর্তী
সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল এবং
পরিবেশ, বন
ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
(ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
সদস্য প্রফেসর ড. তানজীম উদ্দীন খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শওকাত আলী। বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম ও
ডিআইজি আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী
সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল বলেন, দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে। তাঁর বাবা
এ বিচার দেখে যেতে পারবেন। এ সরকারের আমলেই জুলাই হত্যার বিচার হবে।
পরিবেশ, বন
ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রংপুর অঞ্চলের মানুষ আর বৈষম্যের শিকার থাকবে
না। ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এ বছরেই হবে। এছাড়া
কুড়িগ্রামে ইপিজেড হবে। রংপুর অঞ্চলে হবে চীনের অত্যাধুনিক হাসপাতাল।
আজকের এই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া আবু
সাঈদকে স্মরণ করে কাঁদছেন তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, আবু সাঈদ যেন এক আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের
মানুষের মুক্তির দিশারী।
শহীদ আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
মন্তব্য করুন
আগামী
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) যে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।
আজ
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষা উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. সি আর আবরার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ ঘোষণা দেন।
মন্তব্য করুন
শাহানাজ পারভিন চৌধুরী
পরিচালক, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ
আজ ২১ মার্চ। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস।পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও ভালোবাসার একটি শব্দ হচ্ছে মা। মায়ের কাছে একটি সন্তান যেমন তার জগৎ তেমনি সন্তানের কাছে তার মা-ই সব। আর এজন্য মা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটি সবচেয়ে মধুর ও মমতাময়। একটি সন্তান যখন ঠিক মতো খেতে পারে না কথা বলতে পারে না এমন কি নিজের কাজ নিজেও করতে পারে না তখন তাকে আগলে রাখেন মা। তার পরম মমতার চাদরের উষ্ণতায় তাকে বড় করে তোলে। সন্তানের সব আবদার মা হাসি মুখে মেনে নেয়। সেই ভালোবাসা মাখা মা ডাক মায়ের কাছে যেন মধুর থেকেও মধুর হয়ে যায়। এই ভাবেই মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক সুন্দর আর ভালোবাসা পূর্ণ হয়ে ওঠে। ডাউন সিনড্রোম শিশুরা সময়ের সাথে সাথে বয়সে বড় হলেও তাদের হৃদয় থাকে শিশুদের মতো কোমল। ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা মা-বাবা,আত্মীয়-স্বজন,প্রতিবেশী সকলের কাছ থেকে সব সময় শুধু একটা জিনিস ই চায় আর তা হলো - ভালোবাসা ।
প্রতি বছরের মতো ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ- দেশব্যাপী ডাউন সিনড্রোম কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে যথাযথ মর্যাদায় এ বিশেষ দিবসটি উদযাপন করছে। এ বছর জাতীয়ভাবে ১১তম ও আন্তর্জাতিকভাবে ১৯তম বারের মতো বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসটি পালিত হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘ সারাবিশ্বে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসটি উদযাপন করে আসছে। এরই মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা সমাজে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে একীভূত সমাজ গঠনে কার্যকরী অবদান রাখবে বলে আশা রাখি।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাকে প্রায়শই মায়েদের কাছ থেকে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তা হলো- ‘আপা, আমি আমার ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর যত্ন কিভাবে করবো? এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমার আজকে এই প্রবন্ধটি লেখা। যাতে করে মায়েরা তাদের শিশুকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেন।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর যত্নে পিতামাতার ভূমিকা মুখ্য। কারণ শিশু স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় বাবা-মার সাথেই বেশি সময় অতিবাহিত করে থাকে।
আমি আমার সন্তান রাফানকে যেভাবে গড়ে তুলেছি তাই আজকে আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো। নিম্নে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুকে বাবা-মা কিভাবে লালনপালন করবে তার একটি বয়সভিত্তিক সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করা হলো। উপস্থাপনাটি কোন গবেষণা বা প্রমিত মানদন্ডের ভিত্তিতে প্রণীত হয়নি। তাই এটি স্থান, কাল, পাত্রভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।
৬-১২ সপ্তাহ
কিছুর প্রয়োজন হলে কান্না করা, শিশুর মাথা স্থির রাখা ও কোন জিনিসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা এই বয়সে শিশুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের বিকাশ অন্যদের থেকে তুলনামূলক দেরিতে হওয়ায় মা-বাবাকে অল্প বয়স থেকেই ঘাড়, মেরুদণ্ড, শরীরের পেশীসমূহে দিনে দুইবার করে ম্যাসাজ করতে হবে। শিশুর সামনে ঝুনঝুনি বা হালকা রকমারি আলোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যাতে করে তার দৃষ্টির স্থিরতা আসে।
৩ মাস
বিভিন্ন ধরণের কু-ধ্বনি উচ্চারণ করা, মাকে চিনতে পারা, তার গলার আওয়াজ শুনে খোঁজা ও কিছুক্ষণ মাথা সোজা রাখা এই বয়সে সাধারণ শিশুদের বৈশিষ্ট্য। সেক্ষেত্রে মা শিশুকে কোলে নিয়ে আধবোলে কথা বলা, তালি বা শব্দের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা ও নিয়মিত পেশীর ম্যাসাজ- এই বয়সে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়মিত করতে হবে।
৬ মাস
আধবুলি (বা…বা, দাদা….দা, মা…মা, মা…ম) করা, আশেপাশের শব্দে মাথা ঘোরানো, ঠেকা দিয়ে অল্প সময়ের জন্য বসা, চিত ও উপুড় হতে পারা এই সময়ের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এই সময়ে বাবা-মা শিশুকে নরম বালিশে শোয়ানো ও নরম কিছু দিয়ে ঠেকা দেওয়ার মাধ্যমে বসানোর চেষ্টা করতে পারে।
৯ মাস
কিছু না ধরে বসা ও হামাগুড়ি দেওয়া এই বয়সে শিশুর মধ্যে না দেখলে বাবা-মা শিশুর চারপাশে বালিশ দিয়ে বসানোর চেষ্টা করবে এবং নিয়মিত পেশীর ম্যাসাজ করাবে।
১২ মাস
সব শেষ/আরো দাও বলতে পারে, দাঁড়ানোর চেষ্টা করা এবং আসবাবপত্র ধরে হাঁটা এই বয়স থেকেই একজন সাধারণ শিশু শুরু করে। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্যগুলো একজন ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর মধ্যে না দেখা দিলে শিশুকে একটি ওয়াকার কিনে দিতে হবে এবং সাথে সাথে পেশীর ব্যায়ামগুলো চলমান রাখতে হবে।
১৮ মাস
কুকুরকে কুকুল, দুই শব্দে কথা বলা, গ্লাস ধরে পানি পান করা এবং হাঁটা এ বয়সের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর বিকাশ ধীরে হয়। তাই বাবা-মা শিশু কিছু না ধরতে পারলে শিশুর আঙ্গুল ও কব্জির সংযোগস্থলে নিয়মিত দুইবেলা ম্যাসাজ করবে এবং ওয়াকারের মাধ্যমে হাঁটানোর চেষ্টা করাতে হবে। এই বয়সেও সে এক শব্দের কথা না বললে, মা শিশুকে নিয়ে আয়নার সামনে বসে ধীর লয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করবে।
২ বছর
সীমিত বহুবচনের ব্যবহার, কি/কোথায় জাতীয় প্রশ্ন ও এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, দৌঁড়াতে পারা, কিছু চাওয়া, পায়জামা ধরণের জামাকাপড় খুলে ফেলা এই বৈশিষ্ট্যগুলো দুই বছর বয়সে স্বাভাবিক। অন্যথায় বাবা-মা শিশুকে কোন কিছুতে দড়ি বেঁধে দিয়ে বা আসবাবপত্র ধরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করাতে হবে এবং ধীরেধীরে হাঁটানোর চেষ্টা করাতে হবে।
৩ বছর
প্রায় ৮০০০ শব্দ বলতে পারে, স্মৃতি হতে ৫ পর্যন্ত সংখ্যা, মৌলিক রংয়ের নাম, ক্রিয়ার অতীতকালের রূপ, তিন শব্দ বিশিষ্ট বাক্য যেমন, আমি ভাত খাই, বাবা কই যাও?, হাত তুলে কাঁধের উপর থেকে কিছু ছোঁড়া, কিছু সরিয়ে রাখা এই বয়সের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হলেও ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে তিন বছর বয়সে এই বৈশিষ্ট্যগুলো নাও পরিলক্ষিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাবা-মা পরিচিত জিনিসপত্রের নাম বলা, শিশু যে শব্দগুলো বলে তা পুনরাবৃত্তি করা, বিভিন্ন রংয়ের সাথে পরিচয় করানোর চেষ্টা করতে হবে।
৪ বছর
নিজের নাম ও বয়স বলা, বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে জানা, সাইকেলে প্যাডেলিং করা, বই বা ম্যাগাজিন দেখে ছবির নাম বলা এই বয়সে শিশুদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। সেক্ষেত্রে বাবা-মা উক্ত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু যদি এগুলো না করতে পারে তাহলে তাকে নিয়মিত বিভিন্ন রঙিন বই বা ছবিযুক্ত ম্যাগাজিন নিয়ে নিয়ম করে সকাল ও সন্ধ্যা দুইবেলা পড়ার টেবিলে বসাতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুর যেমন বসার অভ্যাস তৈরি হবে তেমনি সে পড়ালেখার প্রতিও আগ্রহী হবে। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালা শিশুকে লিখানোর চেষ্টা করাতে হবে এবং ধীরে ধীরে তাকে প্রি-স্কুলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
৫ বছর
১৫০০-২০০০ শব্দ বলতে পারা, শব্দের অনিয়মিত বহুবচনের ব্যবহার, বিভিন্ন জটিল বাক্য যেমন, আমরা নানা বাড়িতে এত সুন্দর ঘুরেছি যে খুব মজা হয়েছিলো, জামাকাপড়ের বোতাম লাগানো, কয়েকটি রংয়ের নাম বলা, সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারা, পা ফাঁকা করে লাফানো পাঁচ বছর বয়সী শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের ধাপ।
মন্তব্য করুন
বন্যার্তদের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সহ ক্যাম্পাসের কয়েকটি স্থানে ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। যে যা পারছেন অর্থ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সহায়তা করছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, সকাল থেকেই, নানা শ্রেণিপেশার মানুষ নগদ অর্থ, ওষুধ, পোশাক ও ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছেন। আর এই কার্যক্রম চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। বন্যার্ত ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় নগরীর সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায়
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ৫ম দিন সন্ধ্যা ৬টা অব্দি সংগৃহীত
অর্থের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে জানানো
হয়, আজ মোট সংগ্রহ হয়েছে ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার আগ্রহ জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট তাদিচ বলেন, ‘আমি এই দেশকে ভালোবাসি।
আমি আপনাকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি কি না, জানান। ’
বৈঠকে দুই নেতা ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা, অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ এবং সার্বিয়ার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
আবহাওয়া অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে ।
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সেই কারণে সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাসহ খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পাশাপাশি আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এছাড়া, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। পরদিন রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া আগামী কয়েক দিন শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আর পরবর্তী বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষি কাজে প্রাণী হিসাবে মহিষকে
বিবেচনা করা হতো আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ
করে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার
(২৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের বিসিডিএমে ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
প্রফেসর ওমর ফারুকি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের
মহাপরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও
বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব,
ড.হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ
ও বৈচিত্র্যময়। মহিষ পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে
মহিষ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চড়ে
হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে
বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা
বলেছেন, ইতিপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে
কিভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন
পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের
প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, উন্নত
বিশ্ব মহিষের উৎপাদন বাড়িয়ে দুধ সরবরাহ বৃদ্ধি ও পুষ্টির যোগান দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি
খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতালির মহিষ ফার্মিং মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ইটভাটা জনিত
বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া হবে না। পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩,৪৯১
টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। অবৈধভাবে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর
করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং
ওনার্স এসোসিয়েশন (বিবিএমওএ)-এর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব
কথা বলেন।
সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার
আধুনিকায়ন, এবং কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার
পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বায়ুদূষণের কারণে মানুষের
গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা
যাবে না। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার
কথাও জানান।
বিবিএমওএ-এর নেতৃবৃন্দ ইটভাটা শিল্পের
চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির
ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান
করেন।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত
সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স এসোসিয়েশনের
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান-সহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত
নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয়
পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে
তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কতটা কমানো যায় সে বিষয়ে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
প্রেস সচিব বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় ডিমের দাম কমেছে এবং অন্যান্য
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও নিম্নগামী। আজকে কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে আলুর দাম
৪০০ টাকায় উঠে গেছে। এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কে অনেক
সচেতন। সরকার গত দুর্গাপূজার সময় সংখ্যালঘুদের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি
বলেন, গত বছরের তুলনায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশে অপরাধের ঘটনা কম ঘটেছে এবং আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের চলমান সংকটের কথা বলতে গিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয় না। সরকার এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট
সবার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার আশা করছে দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস
সচিব বলেন, একটি ব্যাপক-ভিত্তিক প্যানেল থেকে কমিশনের সদস্যদের নির্বাচন করা হয়েছে।
আমরা আশা করি যে তারা সবাই মিলে একটি ভাল প্রতিবেদন জমা দিতে সক্ষম হবেন। প্রবীণ সাংবাদিক
কামাল আহমেদকে প্রধান করে ১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। রোববার
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ
মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা কর্তৃক কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বাতিশা বাজার ও মিয়াবাজার এলাকা হতে ২৯৯ বোতল স্কাফ, ১২.৮ কেজি গাঁজা ও ১০৯ বোতল ফেন্সিডিল’সহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার রাতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বাতিশা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২৯৯ বোতল স্কাফ, ৬০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২.৮ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলো: কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের মৃত সাচ্চু মিয়া এর ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন (২৯) এবং একই গ্রামের মোঃ আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ ইসলাম (২৮)।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৮ নভেম্বর শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিয়াবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল ও ১০ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলো: নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার দৌলতপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক এর ছেলে মোঃ রনি (৩০) এবং একই থানার ধরপদ (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের গিয়াস উদ্দিন এর ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন (৫০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কাফ, ফেন্সিডিল, গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেছেন, আমরা এখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত। আমি এরই
মধ্যে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো. তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রবাসীদের
উদ্দেশে বলেন, আপনারা অর্থনীতিতে মস্ত বড় অবদান রাখছেন। আপনাদের এই অবদানের স্বীকৃতি
আমাদের দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমরা
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেছি প্রবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করতে, তাদের কথাগুলো
শুনতে। আপনাদের অনেক অভিযোগ রয়েছে, যা ন্যায্য। আমরা এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ধারাবাহিকভাবে
চেষ্টা করে যাচ্ছি। জটিলতা কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সরকার খুব
দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সরকারি সব সেবা প্রবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতে নাগরিক সেবা
বাংলাদেশ নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রবাসীদের জন্য একটি
বিশেষ অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে, যাতে করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সব প্রবাসী বাংলাদেশি
এক প্ল্যাটফর্মে কানেক্টেড থাকতে পারেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে
ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের
পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বস্তির জায়গায় ফিরেছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আপনারা
বড় অবদান রেখেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা
এখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত। আমি এরইমধ্যে নির্বাচনের
সময় ঘোষণা করেছি। এই নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। আশা
করছি, এবার আপনাদের নতুন অভিজ্ঞতা হবে। আপনারা সবাই ভোটার হবেন, ভোট দেবেন। নির্বাচন
কমিশনারের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সভায় মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের কয়েকটি
সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দূতাবাসে জনবল বাড়ানো, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের
গ্র্যাজুয়েট প্লাস ভিসা, যারা অনিয়মিত হয়ে গেছেন তাদের নিয়মিতকরণ করা, বাণিজ্য-শিল্প
ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা
অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বিভিন্ন পেশা, শ্রেণি,
সংস্থা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন