চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার কার্যালয় থেকেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যেন এ বিষয়ে একটু নজর দেয়। প্রতিটি মন্ত্রণালয় যেসব প্রকল্পগুলো অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলা। প্রকল্প সম্পন্ন করে ফেললে আমরা নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। দ্রুত শেষ না করলে খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণও হয়। সেটা যেন না হয়।
প্রকল্প নেওয়ার সময় গুরুত্ব বিবেচনা করে বাছাই করার নির্দেশ দিয়ে টানা চারবারের সরকারপ্রধান বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য যে প্রকল্পগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সেটা আমাদের দেখা দরকার।যার ফলে আমাদের যে লক্ষ্যটা আছে সেটা আমরা অর্জন করতে পারি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই রমজানে তারা একজন গরিব মানুষকেও সাহায্য করেনি। তারা মানুষকে কোনো প্রকার সাহায্য না করে বড় বড় হোটেলে গিয়ে ইফতার পার্টি করেছে। অথচ তারাই আবার বলেন, ঢাকা শহরে এত ভিক্ষুক কেন? তাদের কি লজ্জা করে না?
(৩ এপ্রিল) বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঢাকা ১০ আসনের জনগণের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে গরিব মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হলো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, ঈদের সময় দান-খয়রাত ও জাকাত পাওয়ার আশায় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ না খেয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গেছেন এমন একটা দৃষ্টান্তও শেখ হাসিনার আমলে নাই। বিশ্বে সংকট, বাংলাদেশে সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করে কমিয়েছি। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে তারা (বিএনপি) বড় বড় কথা বলেন, গরিবের নামে মায়াকান্না করেন। তারা কি ভুলে যান জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের রংপুর কোর্টে গিয়ে নারীরা অভাবের তাড়নায় পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস কি তারা ভুলে যায়?
তিনি আরও বলেন, তারাবির নামাজের পর সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনও কারো নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তাদের কথায় কান দেবেন না।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
শুক্রবার (১৭ মে) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। আর এগুলোকে জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। জনগণকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন এবং এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ খাতের সুষ্ঠু বিকাশে প্রণয়ন করা হয়েছে আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন ও তথ্য অধিকার আইন । আমরা টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছি। ইন্টারনেট ডেনসিটি ও সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে নতুন সাবমেরিন ক্যাবল। আমরা ফোর-জি প্রযুক্তি চালু করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। জনগণ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, উপজেলা ই-সেন্টার এবং জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সেবাগ্রহণ করছে। আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি স্থাপন করেছি। এর ফলে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারসমূহে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু ও টেলিমেডিসিন সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। করোনার ভয়াবহতম সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং চালু থাকার ফলে খুব অল্প সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং সরকারি দিক-নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের ফলে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা ঘরে তুলতে এবং জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আসুন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা উন্নততর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ পরিণত করি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক
সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের
সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে
বিশ্ব দরবারে চলতে পারে।
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল
হাইয়ের মৃত্যুতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের
ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে
আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী
জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ
সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল, যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারত না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পারেন। একসময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসাব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বারবার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন। এটাই সবচেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। তাকে একসময় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করল, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বারবার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরে তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।
নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী
নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।
সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক
সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান,
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের
পদকপ্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস
সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ
ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
একমাত্র
নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে সবাইকে
সকাল বেলা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার
(২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে নির্বাচনী
জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ,
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।
এই নির্বাচনে একেবারে সকাল বেলা উঠে
যারা ভোটার তাদের নিয়ে সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
এ নৌকা মার্কা আপনাদের
জীবনমান উন্নত করেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আপনাদের সেবা করার আরেকটিবার
সুযোগ আমাদের দেবেন, যাতে আপনাদের প্রত্যেকের
জীবন উন্নত-সমৃদ্ধ করে দিতে পারি।
নৌকা মার্কা নূহ নবীর নৌকা
মার্কা, সেই মহাপ্লাবনে মানুষকে
বাঁচিয়েছিল। নৌকা মার্কা, যে
নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা
স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কা,
যে নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়ে আজকে উত্তরবঙ্গ মঙ্গামুক্ত
হয়েছে। এখন আর মঙ্গাপীড়িত
এলাকা নেই, মঙ্গা থেকে
মুক্ত হয়ে এখন উন্নয়নের
সুবাতাস বইছে। একটা কথা মনে
রাখবেন, বাবা-মা-ভাই
সব হারিয়েছি। রিক্ত-নিঃস্ব আমি, আমার তো
হারাবারও কিছু নেই; পাওয়ারও
কিছু নেই। কিন্তু আপনারা
ভালো থাকুন, আপনাদের জীবন সুন্দর হোক,
আপনাদের ছেলেমেয়েরা বংশ পরম্পরায় সুন্দর
জীবন পাক সেটাই আমার
লক্ষ্য। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট
দিয়েছেন, আমরা আপনাদের সেবা
দিচ্ছি। এটা হচ্ছে জাতির
পিতার স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আমরা
পূরণ করে দিচ্ছি। জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
দেশে কোনো মানুষ অবহেলিত
থাকবে না। এটাই আমার
কথা আর সেভাবেই আমরা
কাজ করে যাচ্ছি। আমরা
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, আজকে
আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এই
বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ
হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায়
থাকলেই এদেশের উন্নতি হবে।
সবশেষে বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে আগামী ২৪ থেকে ২৯
এপ্রিল ব্যাংকক সফর করবেন।
কূটনৈতিক
সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারপ্রধান পর্যায়ের এটি প্রথম
সফর।
বৃহস্পতিবার
এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একইসঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে
গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী
একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা,
সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন।
উক্ত
ব্যাংকক সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড রাজপ্রাসাদে রাজা ও রানীর সঙ্গে
সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও
যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের
সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২৫
ইউএনস্ক্যাপের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল
এবং ইউএনস্ক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ
সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের
মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে ৫০ নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের জোটগতভাবে মনোনয়নপত্র পেয়েছি ৪৮টি। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি দুটি। আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাছাই হয়েছে এবং তাদের তালিকা অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এতে সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বৈধতার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
ইসির এই যুগ্ম সচিব বলেন, মনোনয়নপত্র যারা জমা দিয়েছেন, তাদের রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত তা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। যেহেতু আজকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, সেহেতু আমাদের নির্বাচনী যে আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করার বিধান রয়েছে। আমরা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারব।
এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশের পর তা কমিশন গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠাবেন আর পরবর্তীতে গ্যাজেটের কপি সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল। দেশের গণতন্ত্র সুসংহত করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন ছাড়া বা অন্য কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসেনি। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করেনি। বারবার জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার(১৪নভেম্বর)
সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের
১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন
তিনি।
প্রধানমন্ত্রী
বলেছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশে এত উন্নতি হয়েছে। ২০৪১ মধ্যে দেশকে স্মাট
বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি
আরও বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। বিএনপির সময় সাক্ষরতার হার ছিল
৪৭ শতাংশ। আর আওয়ামী লীগ সেটি নিয়ে এসেছে ৭৬ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য-জার্মানি এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডের বাজারকে ছাড়িয়ে যেতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
(১৯ নভেম্বর আজ রোববার) ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ইনভেস্টমেন্ট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে এ দেশ। সে সময় যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলো এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে যাতে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যা আছে। সেটাকে আমরা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাবো। তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে আমরা গড়ে তুলছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ করে দিয়েছে। সে কারণে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা না হলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।
তিনি বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দেশের এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে রয়েছে আমাদের বেসরকারি খাত। আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। গত ১৫ বছরে আমরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৪১ সালে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে নিয়ে আর কেউ যেন কোনো ষড়যন্ত্র করতে
না পারে।
শুক্রবার
(১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে
তিনি প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন আর ব্যাহত না হয়। বাংলাদেশের মানুষের
ভাগ্য নিয়ে আর যেন কেউ কোনো রকম ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আজকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই অগ্রযাত্রা
যেন অব্যাহত থাকে। আমি শুধু সেইটুকু চাই, কেউ যেন আবার এই দেশকে কখনো পেছনে না নিতে
পারে। আবার যেন রাজাকার খুনিদের দেশ যেন না বানায়। আমরা যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
দিয়েছি, সেই অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের
উন্নত সমৃদ্ধি স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা
গঠন করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৬ নভেম্বর রোববার বিকেলে ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্যাহ, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন