মো: মাসুদ রানা, চাঁদপুর
প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়ায় ধর্মীয় আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সনাতন বৈদিক গীতা বিদ্যাপীঠ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সনাতন বৈদিক গীতা বিদ্যাপীঠ কচুয়া উপজেলা কাউন্সিলের আয়োজনে পালাখাল দূর্গামন্দির প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন সনাতন বৈদিক গীতা বিদ্যাপীঠ কচুয়া উপজেলা কাউন্সিলর সাংবাদিক মানিক সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রীপাদ শ্রীবাস চন্দ্র দাস,জীবন কৃষ্ণ চৌধুরী, সনাতন বৈদিক গীতা বিদ্যাপীঠ পালাখাল শাখার শিক্ষক পপি রানী সাহা, প্রিয়ন্তী চৌধুরী,বিউটি রানী সাহা,মমতা রানী সাহা সহ আরো অনেকে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে
(কুবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’
ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর
১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে ১টায় শেষ হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রে
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র গুলো হল : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস,
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, শিক্ষাবোর্ড
মডেল কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল,
বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুল এবং বার্ড স্কুল। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ হাজার ১৩৪ জন।
পরীক্ষা শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আজকে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হল ঘুরে দেখেছি। কেন্দ্রগুলোতেও
পরীক্ষার পরিবেশ অত্যন্ত ভাল ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল। ম্যাজিস্ট্রেট
ও পুলিশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস
সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী প্রত্যেকেই
নিজ নিজ দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক ছিল বলেই ‘এ’-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন
হয়েছে। সামনের পরীক্ষাতেও সুন্দর পরিবেশ বজায়
থাকবে। পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রক্টরিয়াল বডি, কর্মকর্তা-কর্মচারী,
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট,
সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
পৌষ
মাসের শেষ দিন পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের সাকরাইন উৎসবে মেতে ওঠার দিন। এ উৎসবের মূল
আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো।
রবিবার
(১৪ জানুয়ারি) পৌষের শেষ দিন। ঐতিহ্যের আলোয় পৌষের শেষদিনকে রঙিন করতে মাতোয়ারা পুরান
ঢাকাবাসী। তাই উৎসব ঘিরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার উৎসব। শিশু, তরুণ,
বৃদ্ধরা কিনছেন ঘুড়ি, নাটাই, সুতা। চলছে সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। পুরান ঢাকায় চলছে
ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম। দোকানে দোকানে হরেক রকমের ঘুড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রঙ-বেরঙের ঘুড়ি
আর নাটাই-সুতা সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। বাজারে বিভিন্ন নামের ঘুড়ি পাওয়া
যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- চোখদার, চশমাদার, কাউটাদার, লাভবার্ড, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি,
চক্ষুদার, ঈগল, সাদাঘুড়ি, চার বোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভঘুড়ি, তিন টেক্কা, মালাদার,
দাবা ঘুড়ি, বাদুড়, চিল, অ্যাংগ্রি বার্ডস হরেক রঙের ঘুড়ি। এসব নাটাই মিলবে ৫০০ থেকে
তিন হাজার টাকার মধ্যে। সেসব সুতার মধ্যে রক সুতা, ডাবল ড্রাগন, কিংকোবরা, ক্লাক ডেবিল,
ব্লাক গান, ডাবল গান, সম্রাট, ডাবল ব্লেট, মানজা, বর্ধমান, লালগান ও টাইগার অন্যতম।
জানা
যায়, রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন শুরু হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলবে পিঠাপুলির উৎসব।
মন্তব্য করুন
৫ ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষক গণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন পূূর্বক এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলাতেও খুব অনাড়ম্বর ভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়েছে।
'শিক্ষকের কণ্ঠস্বর : শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার' - এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে শনিবার ৫ই অক্টোবর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিশ্বশিক্ষক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কুমিল্লা শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিস্বরূপ শিক্ষকগণ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় শিক্ষকগণ শিক্ষকতা পেশার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং তাঁদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি শিক্ষকগণের তুলে ধরা বিভিন্ন মতামত এর উপর আলোকপাত করে তার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যতের দিনগুলোতে শিক্ষকতা পেশার চলমান বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
মন্তব্য করুন
আজ দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপ্রধানের
সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক
ড. দীন মোহাম্মদ নুরুল হকের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
রোগীরা যাতে বিদেশমুখী না হয়ে বিএসএমএমইউ’র মতো সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে উৎসাহী হয় সে লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিএসএমএমইউ’র সার্বিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশমুখীতা কমাতে দেশের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসায়
উৎসাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।’
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে উপাচার্য
চিকিৎসাসহ বিএসএমএমইউ’র সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এখানে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ও সেবার বিষয়ে
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
প্রেস সচিব আরো জানান, পরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুর
রশীদ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপাচার্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা
তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে পারে; কারিকুলাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে সে বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে তথ্য প্রযুক্তিসহ ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর
জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানা (একই উপজেলা/থানার ভেতর) অনলাইন বদলি শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করবেন। ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ এবং ৩ ও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ হবে।
৫-৭ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ, ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সহকারী শিক্ষকের যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের। যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ; ১৫-১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় উপপরিচালক কর্তৃক যাচাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করবেন।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র ১ বা ২টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারিকৃত সর্বশেষ 'সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।
যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্রাদি যাচাই করবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয় বিধায় কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
যারা উদ্যমী এবং প্ররিশ্রমী কোন বাধা বিপত্তিই তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। তার এক উজ্জল দৃস্টান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী সজীব। লেখাপড়া শেষ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সেবা করতে চায় সে। কিন্তু তার এই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দরিদ্রতা। আদেও কি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
সজীব মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের স্নাতক বর্ষের ছাত্র। ২০২০ সালে মহম্মদপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২২ সালে বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে এ বছর স্নাতক পাশ কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে সে শিক্ষক হয়েই শিক্ষার মানোউন্নয়ন এবং সমাজ গঠনে অবদান রাখতে চায়। এখনো প্রর্যন্তু পঙ্গুত্ব এবং অভাব তার শিক্ষার অগ্রযাত্রা কে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি। তবে আদৌকি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার পরিবারের।
সজীব মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খাদুনা গ্রামের হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রী সুনীল মন্ডলের ছেলে। বাবা-মাসহ ৫ সদস্যের সংসারে দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে মেজো। বড় বোন চন্দ্রিকা মন্ডলের বিয়ে হয়েছে গেছে। ছোট বোন অনিন্দিতা এ বছর এইসএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। টাকার অভাবে এখনো সে ভর্তি হতে পারেনি। বাবা সুনীল মন্ডল মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়ে। মা স্বপ্না রাণী মন্ডল গৃহীণি।
তিনি বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলে এবং মেয়ের লেখাপড়ার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। অনেকেই সহযোগিতা করেছে। আমি আমার ছেলে এবং মেয়ের লেখা পড়ার জন্য মানুষের বাড়িতেও কাজ করেছি। এতদিন অনেক কষ্টো করে তাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে এসেছি কিন্তু এখন আর পারছি না। আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য সমাজের সকলের সহযোগিতা চাই। কারন, কারন, সজীবের বাবারও আগের মত কাজ করার শক্তি এখন আর নাই।
বাবা সুনিল মন্ডল বলেন, ছেলের লেখাপড়ার করার ইচ্ছা আমাকে সাহস যোগায় কিন্তু সামর্থের কাছে বারবার হেরে যায় আমি। তবু তার তার ইচ্ছে পূরণে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারি সহায়তা পেলে আমার ছেলেটা তার শিক্ষা জীবন শেষ করে হয়ত কিছু একটা করতে পারতো। তারপর আবার মেয়েটা বড় হয়ে হয়ে গেছে তাকেও সময় মত বিয়ে দিতে হবে। নানান চিন্তায় মাঝেমধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ি আমি।
প্রতিবন্ধী সজীব মন্ডল বলেন, ছোট বেলায় মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে গিয়েছি। বড় হয়ে ভ্যানে। কলেজে উঠলে ভগ্নিপতির সহযোগিতায় একটি ব্যাটারি চালিত হুইল চেয়ার কিনে আসাযাওয়া করতাম। এখনো হুইল চেয়ার চালিয়েই কলেজে আসা যাওয়া করি। নিজের নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা আছে তা দিয়ে এবং বাবার সহযোগিতায় ডিগ্রীতে ভর্তি হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে লেখাপড়া শেষ করে একজন আদর্শবার শিক্ষক হওয়ার। তার ইচ্ছে পূরণে সে সমাজের মানবিক বিত্তবান এবং সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
এ বিষয়ে আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারি তরুণ কুমার গুহ পিকিং বলেন, উদ্যমি সজীবের আগ্রহের কথা জেনে আমরা সীমিত খরচে তাকে ডিগ্রীতে ভর্তি করে নিয়েছি। অধ্যক্ষ শওকত বিপ্লব রেজা বিকো বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ইউএনও পলাশ মন্ডল বলেন, আমি তার খবর পেয়ে অফিসে আসতে বলেছে। তার লেখা পড়া চালিয়ে যেতে সর্বচ্চো সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ।
আগামীকাল দ্বিতীয় ধাপের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০-২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে টিকিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন তারা।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন-জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুস্তম আলী, মো. ইশান ইমতিয়াজ, গোকুল, বগুড়া সদর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রোকনুজ্জামান। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত লিখিত পরীক্ষার প্রাক্কালে জালিয়াতিচক্রের এ ধরনের প্রলোভনে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। জালিয়াতি চক্রের কোনো তৎপরতার সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্বের পরীক্ষার সময়ও এ ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সজাগ ও সতর্ক ভূমিকার কারণে তাদের অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
সারা
দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার
(১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু
হওয়া পরীক্ষা শেষ হয়েছে দুপুর
১টায়।
এসএসসি,
দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল)
পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০
লাখ ২৪ হাজার ১৯২
জন। দেশজুড়ে ২৯ হাজার ৭৩৫টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি
কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়
জানিয়েছে, এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬
হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে
২ লাখ ৯০ হাজার
৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল)
পরীক্ষা দিচ্ছে ১ লাখ ২৬
হাজার ৩৭৩ জন। আর
বিদেশের ৮ কেন্দ্রেও অনুষ্ঠিত
হচ্ছে পরীক্ষা।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
সঙ্গে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে
সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল
আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা
যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর তাগিদ দেন আচার্য।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উচ্চশিক্ষার
মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়ানোরও আহ্বান জানান। এ সময়
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।-বাসস
মন্তব্য করুন