দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা অনির্দিষ্টকালের
জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যালয় ও
কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা) এবং
পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ
থাকবে।
তবে এখনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে
কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের সকল বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। স্থগিত
পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। ২১ জুলাই থেকে পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলবে।
মন্তব্য করুন
উৎপাদক,
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে
সরকার।
রবিবার
(১৫ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল
হকের সই করা চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এ দাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে
বলা হয়েছে, ডিম উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি পিস ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি ১১ টাকা ০১ পয়সা
ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সোনালি মুরগি উৎপাদক
পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে
২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে কেজিপ্রতি
১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা
নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ
বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ছাড়া বাংলাদেশ পোলট্রি
ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ব্রিডার্স
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি
ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, অ্যানিমেল
হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েটস ইমপোর্টার্স
অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি/সাধারণকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪৭ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সময় সংবাদকে জানান, চল্লিশের বেশি পঞ্চাশের কম সংখ্যক ইউএনওকে আজ বদলি করা হতে পারে।যারা এক বছরের বেশি ইউএনও হিসেবে কর্মস্থলে ছিলেন তাদেরই বদল করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সব ইউএনওকে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।সে নির্দেশনার আলোকেই ৪৭ ইউএনওর বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করে। এরপর নির্বাচন কমিশন বদলির অনুমোদন দেয়।
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্বাচন কমিশন আমাদের যা করতে বলবেন, আমরা তা-ই করব বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০০ জনের মতো ইউএনও বদলি হতে পারেন। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলির বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।
গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যে সব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থল এক বছরের বেশি চাকরিস্থল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বরের) মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।
গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়েছে, বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এবং আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই ধারা অনুযায়ী সরকারকে মেট্রোপলিটনের বাইরে যে কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ক্ষেত্রে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা না গেলেও অন্যদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আইনে শর্ত আরোপ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭(১) ধারা অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা (সেনা কর্মকর্তা) সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
গ্রেফতার, তল্লাশি ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের ক্ষমতা: প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কাউকে আটক বা গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ, তল্লাশির আদেশ ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের জন্য আদেশ দিতে পারবেন।
গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪ ও ৬৫ ধারায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে ও এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোনো অপরাধ করলে তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারবেন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন। এছাড়া ৮৩ ও ৮৪ ধারা অনুযায়ী অধিক্ষেত্রের বাহিরে কার্যকরের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। আইনের ৮৬ ধারার বিধান মতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিতে পারবেন অথবা অপরাধ জামিনযোগ্য না হলে তাকে আদালতে পাঠাবেন।
তল্লশি সংক্রান্ত আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৯৫(২) ধারার বিধানমতে তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে ডাক বা টেলিগ্রাম বিভাগের দ্বারা তল্লাশি পরিচালনা করবার ও উক্ত দলিল, পার্সেল বা ব্যক্তি আটক করার ব্যবস্থা করতে পারবেন। ১০০ ধারার বিধানমতে কোনো ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে আটক করার বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পেলে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। ১০৫ ধারার বিধানমতে নিজ উপস্থিতিতেও ম্যাজিস্ট্রেট তল্লাশির আদেশ দিতে পারবেন।
শান্তিরক্ষায় মুচলেকা গ্রহণ: শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুযায়ী শান্তি শান্তিরক্ষায় সদাচরণের মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন। ১০৯ ধারার বিধানমতে অধিক্ষেত্রের মধ্যে ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নিতে পারবেন। ১১০ ও ১২৬ ধারা অনুযায়ী অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়াও শান্তিরক্ষায় মুচলেকা নিতে এবং প্রয়োজনে মুচলেকা বাতিল করতে পারবেন।
বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দান: ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারা অনুযায়ী সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে এই ধরনের পাঁচ বা তারবেশি ব্যক্তির সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দিতে পারেন। আদেশ অমান্য করলে ১২৮ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ভঙ্গে বল প্রয়োগের আদেশ দিতে পারেন। ১৩০ ধারার বিধান অনুযায়ী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারবেন।
এছাড়াও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট পথ, নদী, খাল বা প্রকাশ্য স্থানে বেআইনি বাঁধা অপসারণ, ব্যবসা বা সংরক্ষিত এলাকায় মানুষের আরাম আয়েশের বিঘ্ন ঘটানো, গৃহ বা তাবু হতে ক্ষতিকর বস্তু বা বৃক্ষ অপসারণ, জলাশয় ঘেরাও, বিপজ্জনক প্রাণী ধ্বংস বা আটক ইত্যাদি আদেশ দিতে পারেন। কোনো ব্যক্তি ১৪২ ধারার বিধান মতে ক্ষতি এড়াতে কোনো ব্যক্তির উপর নির্দিষ্ট স্থানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্হা ।
তীব্র তাপদাহে ইতোমধ্যে সারা দেশে বেশ কয়েকজনের হিট অ্যাটাকে মৃত্যুও হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন নগরবাসীকে ব্যাগে পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তীব্র তাপপ্রবাহের এই পরিস্হিতিতে সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বের করার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটার চেষ্টা সম্পর্কে বুশরা জানান, তার মতে, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো পড়ে আছে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে।
হিট অফিসার আরো বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে নানা রকম সমস্যার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রাও। দিন দিন বাড়তে থাকা জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে সংকটে পড়া ঢাকার তাপমাত্রা গ্রামাঞ্চলের চেয়ে বেশি হচ্ছে।
নগরের তাপমাত্রা কমাতে ঢাকায় বনাঞ্চল তৈরির পরিকল্পনার বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ঢাকায় তাপমাত্রা কমানোর জন্য আমরা ‘টু অ্যাবেল ফরেস্ট’ অর্থাৎ দুটি বন করার চেষ্টা করছি। একটা হচ্ছে মিরপুর কল্যাণপুরের দিকে; অন্যটি বনানীর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে।
তিনি বলেন, এই বন দুটি যে শুধু নগরের হিট কমাবে তা নয় পাশাপাশি দূষণ প্রতিরোধেও সহায়তা করবে। একই সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে শহরের ফাঁকা জায়গাগুলোতে গাছ লাগনো হবেও বলে জানান তিনি।
বুশরা বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি- আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে একটা পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি তাহলে কিন্তু অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
মন্তব্য করুন
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও বরিশাল এরিয়া পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান ৭ পদাতিক ডিভিশন ও বরিশাল এরিয়ায় কর্মরত সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে 'দরবার' এবং সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সাথে পালন করায় অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তিনি সকল সেনাসদস্যকে দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ধৈর্য্য ও পেশাদারিত্বের সাথে অসামরিক প্রশাসন এবং দেশের জনসাধারণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্র প্রদত্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বিচক্ষণতার সাথে প্রয়োগ করে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিটি সেনা সদস্য অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলেন। এছাড়াও, নবনির্মিত সেনানিবাসের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান ৭ পদাতিক ডিভিশনে চলমান বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন ।
পরিদর্শনকালে সেনাসদর ও বরিশাল এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ ছাড়াও জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সৈনিকবৃন্দ, অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্তে আনন্দ প্রকাশ
করেছে বিএনপি।
আজ রবিবার (১১ মে) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক
বিবৃতিতে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎকালে
তার হাতে দেওয়া পত্রে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল
হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও
তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা পতিত ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত
ছিল, তাদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।
আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে
নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার
বার উত্থাপন করেছি।
উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের
বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে
নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে
হলেও গত রাতে (১০ মে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী
দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায়
গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী ফ্যাসিবাদী দলের বিচার
করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো
না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে
রাখবেন বলে আমরা আশা করি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার
তথা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গুম, খুন, জেল, জুলুম
সহ্য করেও অব্যহত লড়াই করেছে। তাদের সেই দাবি এখনও অর্জিত হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার
সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণঅর দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভোর সৃষ্টি
হচ্ছে, সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে । অনলাইনে ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের
চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে নিহত শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩)
এর পিতা-মাতা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল
ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ
সময় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর পিতা-মাতা সন্তান হারানোর বেদনায় আবেগ
আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
দাবি জানান।
সেনাবাহিনী
প্রধান শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের
আইন অনুযায়ী বিচার নিশ্চিতে সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গিকার করেন।
উল্লেখ্য,
এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৭ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে চকরিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর
করে এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে
শপথ নিয়েছেন আরও চারজন। তাঁরা হলেন ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, ড. মুহাম্মদ
ফাওজুল কবির খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টার
দিকে বঙ্গভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় আরও
উপস্থিত ছিলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, তিন বাহিনীর প্রধান,
বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আকার প্রধান উপদেষ্টাসহ ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন