

শনিবার
(২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির
সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন,প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মূল তিনটি বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন।
এর
আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার
বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন
খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাউদ্দিন আহমেদ।
দলের
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা বলেছি, এই তিনটি বিষয়ের একটার
সঙ্গে আরেকটার কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা সংস্কার চলমান বিষয়। এটা চলতে থাকবে। আমরা আশা
করেছি এই সরকার একটা ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা সংস্কার প্রস্তাব দেবে। সেটা চলমান থাকবে।
ভবিষ্যতে যদি জনগণ আমাদের ক্ষমতায় বসায়, আমরা সেই সংস্কার চলমান রাখব এবং বাস্তবায়নের
প্রচেষ্টা নেব।
বিএনপির
নেতাদের মামলার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা বলেছি, দেশনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে আমরা এবং তৃণমূলের
নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি বিক্ষুব্ধ। আমরা সেই স্বৈরাচারী সরকারের কর্তাব্যক্তিদের,
যারা দায়ী, তাদের বিচার চাই।
বিচারব্যবস্থা
নিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা চাই, যারা এই বিচার সম্পন্ন করবে।
আমরা বলেছি, যেসব বিচার সম্পন্ন না হবে, যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায়, তাহলে তাদের বিচারের
আওতায় এনে স্বাধীন বিচারব্যস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
বিএনপি
নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে শেষ করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বলেও জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি
বলেন, আমাদের আলোচনা বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমরা যা অনুমান করেছিলাম তার
ওপর ভিত্তি করে একটা লিখিত বক্তব্য নিয়ে এসেছিলাম। সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে দিয়েছি।
সেই ভিত্তিতে আলোচনা করেছি।
মন্তব্য করুন


সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও
তদুর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত
সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও সাড়ে চার মাস
বাড়ানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন
জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১২ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
তারা সারা দেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত আর্চ বিশপের হাউজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সকলকে শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দেশের গর্ব। সকল সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ যেন নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করতে পারে, সে বিষয়ে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের জনগণ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপনে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করবে এবং সকলেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখী, সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশ গঠনে এগিয়ে আসবে।
মন্তব্য করুন


এম এ হান্নান, ভোলা:
ভোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে টুলু নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড ভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুলু ওই ইউনিয়নের মো. রহমান চৌকিদারের ছেলে।
অভিযুক্ত ফারুক একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। টুলু এবং অভিযুক্ত ফারুক রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেদুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন।
পুলিশ রক্তমাখা ছুরি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় শুধু ফারুকই জড়িত নাকি অন্য কেউ আছে। ময়না তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
ব্যালটপেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম থাকবে বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে। আর
সেই অনুযায়ী নামে পাশে থাকবে দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক।
৫ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের
পরের দিন এভাবেই প্রার্থীদের নামের তালিকা করে প্রতীক বরাদ্দের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের
নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ১৬ এর দফা (৫) ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭ অনুসারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরের দিন বিধিমালায় বর্ণিত ‘ফরম-৫’ এ নির্ধারিত তালিকার ২ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে সাজিয়ে লিপিবদ্ধ করবেন এবং প্রত্যেকের নামের বিপরীতে ৩ নম্বর কলামে মনোনয়ন প্রদানকারী রাজনৈতিক দলের নাম বা স্বতন্ত্র উল্লেখপূর্বক ৪ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পিতা/স্বামীর নাম, ৫ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঠিকানা এবং ৬ নম্বর কলামে বরাদ্দকৃত প্রতীক উল্লেখ করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকার নির্দিষ্ট স্থানে ভোটগ্রহণের দিন এবং সময় উল্লেখ করতে হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের কাজ চলবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকার ভিত্তিতে বিধি ১০ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ব্যালট পেপার মুদ্রণ করতে হবে এবং ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম, প্রতীক ও ক্রম প্রদর্শনের উপযোগীকরণ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। তাছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়নের পর তার এক কপি রিটার্নিং অফিসারের অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণীয় স্থানে টানিয়ে দিতে এবং প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্টকে এক কপি প্রদান করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, প্রতীক
বরাদ্দের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালিকার দুই কপি প্রস্তুত
করে বিশেষ বার্তাবাহক মারফত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে
হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা পাঠাতে যাতে কোনো বিলম্ব না হয়
বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা
নির্ভুল হতে হবে। কারণ তালিকায় ভুল তথ্য পরিবেশিত হলে মুদ্রিত ব্যালট পেপারে তার প্রতিফলন
ঘটবে, যার পরিণতি মারাত্মক হবে। সুতরাং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়নের
সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ব্যালট পেপার মুদ্রণের সুবিধার্থে প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থীদের তালিকার উপরিভাগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রকৃত ভোটার সংখ্যা লিপিবদ্ধ
করতে হবে।
দলীয় প্রার্থীরা দলের প্রতীক পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিধিমালায় সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকা থেকে পছন্দমতো প্রতীক পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক পছন্দ করলে আলোচনার মাধ্যমে না হলে
লটারি করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার
দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের
সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক
৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের
৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর
আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা
প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
মন্তব্য করুন


মো মিজানুর রহমান মিনু, চৌদ্দগ্রাম:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ১৪ জুলাই রাত ২ টার সময় চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এস আই সুজন কুমার চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ইউনিয়নের ঘোষতল রাস্তার উপর থেকে ০১টি সিএনজি গাড়ী তল্লাশী করে ১টি স্কুল ব্যাগ ও ১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে থেকে মোট ২৫ কেজি গাঁজা ও ০১টি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
এ সময় সি এন জি তে থাকা দুইজন আসামী ইউসুফ (৪৫) ও কাজী মোঃ লিটন (৩২)কে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর একজন আসামী মোঃ ইউনুছ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন


ভোলায় ৪টি অস্ত্র ও ২ রাউন্ড তাজা গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ বেলায়েত বাহিনীর প্রধান বেলায়েতসহ ৪ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে সদরের বাপ্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটক বাকি ৩ জন হলো বেলায়েত বাহিনীর সদস্য মো. কামাল (৫২), শেখ ফরিদ (৩৭) এবং মো. আল আমিন (২১)।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, বেলায়েত বাহিনী চাঁদাবাজি, জমি দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলা কর্তৃক কোস্টগার্ড ও পুলিশ ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন বাপ্তা ইউনিয়নে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি গুলি ও ৪টি দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
আটককৃত মো. বেলায়েত হোসেনের নামে হত্যা এবং চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জব্দকৃত অস্ত্র ও গুলিসহ আটককৃত ৪ জনকে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


এম এ হান্নান, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে ৫৬ পিস ইয়াবাসহ মো: রনি নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড গজারিয়া বাংলালিংক টাওয়ার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত রনি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত হেজন আলীর ছেলে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমোহন থানার এসআই মো: ইউসুফ ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে গজারিয়া বাংলালিংক টাওয়ার এলাকা থেকে রনিকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৫৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম বলেন, আটককৃত রনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে ভোলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল মিশরের রাজধানী কায়রোতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিবেন। তিনি বর্তমানে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে সেখানে অবস্থান করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আজ বাসস’কে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল ১৯ ডিসেম্বর, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আল-আজহার আল শরীফ মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম আহমেদ এলতায়েবের আমন্ত্রণে মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিবেন।
গ্র্যান্ড ইমাম গত ১২ নভেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে রিটজ কালর্টন হোটেলে সাক্ষাতকালে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনে যোগ দিবেন, যা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন নামে পরিচিত। এই সম্মেলন মিশরের রাজধানীতে ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ কয়েকটি ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি
আজ (১ অক্টোবর ২০২৪) ইসিবি চত্ত্বরে ঢাকা জেলার জন্য স্থাপিত মেডিকেল ডিসপেনসারিতে
উপস্থিত হয়ে ভিডিও টেলি কনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন
করে স্থাপিত আরও ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির শুভ উদ্বোধন করেন।
এরপর তিনি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময়
করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের
কল্যাণার্থে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড কর্তৃক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী,
বিমান বাহিনী এবং সেনাকল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩১টি মেডিকেল
ডিসপেনসারি পরিচালিত হচ্ছে।
আজ আরও ৩০টি নতুন মেডিকেল ডিসপেনসারির কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে দেশের ৬১টি জেলায় অবসরপ্রাপ্ত ১,৫৫,২৬৪ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তদ্বীয় পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে।
উল্লেখ্য, অবশিষ্ট ৩টি জেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মেইন ড্রেসিং স্টেশন (এমডিএস) হতে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তদ্বীয় পরিবারবর্গ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল ডিসপেনসারি স্থাপনের ফলে তাদের অর্থ ও সময় উভয়ই বাঁচবে এবং দূর-দূরান্ত থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের ঔষধ সংগ্রহের সমস্যাও অনেকাংশে লাঘব হবে। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবায় সিএমএইচ সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক এ বিষয়ে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও পরিবারবর্গের জীবনযাত্রার মান বহুলাংশে উন্নত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন জেলার বেসামরিক প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ (ভিটিসির মাধ্যমে), সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন