নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপাকে (মাহিয়া মাহি) নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে তলব করেছে ।
শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যার (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ তাকে তলব করেন।
মাহিয়া মাহিকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাচ্ছেন মাহি শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
এছাড়া নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি আরো জানতে পারে ওই দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান।
চিঠিতে আরো বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(ঘ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন শারমিন আক্তার নিপা (মাহি)। যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মোজাম্বিক কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর ৫১তমপ্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী উপলক্ষে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আফ্রিকার মোজাম্বিক কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ ও আলোচনা সভা করা হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) মোজাম্বিক শহরের শিমুই মানিকা রায়হান ক্লাবে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোজাম্বিক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
মোজাম্বিক আওয়ামী যুবলীগ নেতা আব্দুল গফুর মানিক এর সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সাইদ জুয়েলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোজাম্বিক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ আহমেদ নুর, সাবেক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহমুদুল্লাহ, মানিকা প্রভেন্সিয়া আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুস্তাফা কামাল পুতু, সহ সভাপতি সরোয়ার আলম লিটন, সহ-সভাপতি শাহজাহান, যুবলীগ নেতা কবির, আরাফাত, কায়সার, হাসান মুরাদ, মোহাম্মদ হেফাজ উদ্দীন সাগর, ইমরানুল হক আমজাদসহ আরও অনেকে।
সভায় বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনি সহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ করেন। মুজিব বাহিনীর সেনাপতি হিসেবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গুরুত্বপুর্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন। সরকারের বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রান্তের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে সবাইকে একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কাকে জয়ী করতে হবে।
মন্তব্য করুন
অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে গণধোলাই দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে অভাব হলে শোনা যেতো পেটে ভাত নেই। পনের বছর আগে কি ছিল, ভাতের জন্য হাহাকার ছিলো, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো এগুলো নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন করোনাভাইরাসের অতিমারি দেখা দিলো, সারা বিশ্বব্যাপি স্যাংশন এলো, পণ্য পরিবহনে যখন বাধাগ্রস্ত হলো তখন থেকেই আমি বলে আসছি- আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে, অনাবাদী না থাকে। এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার কি মনে হয় আপনি নিজেই তো বলেছেন ডিম লুকিয়ে রেখেছে। না যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদের এখানে কারসাজি আছে? এর আগেও এ রকম পেঁয়াজের খুব অভাব, বস্তাকে বস্তা পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না। জিনিস লুকিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে!
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে কোনো কিছুর অভাব হবে না। ইতোমধ্যেই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না। ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং, এটি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমরা অনেক আগেই এর জন্য ব্যবস্থা করেছি।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জন্য দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ৩শ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে ৩৩, রাজশাহীতে ৩৯টি, মোট ৭২টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ার পর্যন্ত ফল প্রকাশ করবো না। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আমার একসঙ্গে আমাদের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। আগামী ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত সভা মুলতবি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালামের ২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব অনিয়মের তদন্ত করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রতি জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করল ইসি।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধানপূর্বক তৎমর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠাবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে পাঠাবেন। এর পর তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে ০১(এক) জন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন।
এদিকে জেলা প্রশাসককে ইসি নির্দেশ দিয়েছে , কমিটির কর্মকর্তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিকভাবে জিপগাড়ি বা মাইক্রোবাস বা স্পিডবোট এবং ক্ষেত্রমতো প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের ব্যাবস্থা রাখার।
একইসঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তার স্বার্থে অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর ০২(দুই) জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকেও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ।
বঙ্গভবন প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা সদরের ভোটার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন।
ভোট দেওয়া শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
ভোট দেওয়ার সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারা দেশে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।
বুধবার
সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা
দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
মঙ্গলবার
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভোটগ্রহণের আগে,
ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ৩-১০
জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী।
আইএসপিআর
জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট
ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে
ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।
সেনাবাহিনী
৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব
পালন করবে।
এছাড়াও
সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় ০৪টি উপজেলায় কোস্ট
গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
উপকূলীয়
২টি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ
বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয়
সহায়তা করবে। জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনি সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়
সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে
যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আছে সেটি জানান দিতেই লিফলেট
বিতরণ কর্মসূচি।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাচন বিরোধী বিএনপির
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান
থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
এদিকে বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ এটি।
এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে এমপি হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনাসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই রমজানে তারা একজন গরিব মানুষকেও সাহায্য করেনি। তারা মানুষকে কোনো প্রকার সাহায্য না করে বড় বড় হোটেলে গিয়ে ইফতার পার্টি করেছে। অথচ তারাই আবার বলেন, ঢাকা শহরে এত ভিক্ষুক কেন? তাদের কি লজ্জা করে না?
(৩ এপ্রিল) বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঢাকা ১০ আসনের জনগণের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে গরিব মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হলো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, ঈদের সময় দান-খয়রাত ও জাকাত পাওয়ার আশায় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ না খেয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গেছেন এমন একটা দৃষ্টান্তও শেখ হাসিনার আমলে নাই। বিশ্বে সংকট, বাংলাদেশে সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করে কমিয়েছি। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে তারা (বিএনপি) বড় বড় কথা বলেন, গরিবের নামে মায়াকান্না করেন। তারা কি ভুলে যান জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের রংপুর কোর্টে গিয়ে নারীরা অভাবের তাড়নায় পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস কি তারা ভুলে যায়?
তিনি আরও বলেন, তারাবির নামাজের পর সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনও কারো নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তাদের কথায় কান দেবেন না।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার
(৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি
এ মন্তব্য করেছেন।
রেওয়াজ
অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশন এবং প্রতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি
ভাষণ দিয়ে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ভাষণ দেন।
এ
সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অধিবেশনে অন্যান্যের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী,
বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ সংসদ সদস্যরা।
রাষ্ট্রপতি
মো: সাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন অত্যন্ত যুগান্তকারী ঘটনা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় হয়েছে
দেশের জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনার
মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই, জনগণের
রায় মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের
স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব পদক্ষেপ সার্থক
হয়েছে। নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন
করেছে।
মন্তব্য করুন