প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নদী বাঁচাতেই হবে। বাংলাদেশ বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
সোমবার
(৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা
রক্ষার লক্ষ্যে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে সম্পাদিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অবলোকন এবং
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তবিষয়ক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নদী আমাদের বাংলাদেশের জন্য তেমন, ঠিক আমাদের দেহে যেমন রক্ত চলাচলের
জন্য শিরা-উপশিরা আছে। আমাদের বাংলাদেশের টিকে থাকাটাও এ নদীর ওপরে নির্ভর করে। বাংলাদেশকে
টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন সেই প্রবহমান নদী। শিরা-উপশিরার মধ্য দিয়ে রক্তধারা আমাদের
শরীরকে বাঁচায়, বাংলাদেশকেও কিন্তু বাঁচায় এ পানি ও নদী। কথাটা আমাদের সবসময় মনে
রাখতে হবে। আমরা সরকারে আসার পর আমাদের সবসময় একটা প্রচেষ্টা ছিল, নদীগুলোকে কীভাবে
সুরক্ষিত করা যায়, কীভাবে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা যায়। একসময় বাংলাদেশের নৌপথই ছিল
পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন, একমাত্র জায়গা। নৌপথগুলো কমতে কমতে অনেক জায়গায় এখন
নদীপথ নেই, এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে। নদী শাসনের নামে শুধু বাঁধ নির্মাণে ছিল সবার
নজর। আর বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে ফসলের জমি নষ্ট হয়। নদী রক্ষা করা, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে
আনা বা দূষণ থেকে নদীকে রক্ষা করার দিকে নজর ছিল না। শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশে
স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে কতগুলো ব্রিজ করা হলো, সে সময় ব্রিজগুলো মানুষের খুব উপকারে
এলো, কিন্তু ব্রিজগুলো করার সময় এটা মাথায় রাখা হয়নি যে, এগুলোতে নৌ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত
হবে। যার জন্য এখন সমস্যা হয়ে গেছে... ব্রিজগুলো প্রতিবন্ধকতা। বেঁটে বেঁটে (নিচু)
ব্রিজগুলো একটু উঁচু করে দেওয়া আর নদীর ড্রেজিং করে দেওয়া যায়। ঢাকার বাইরে অন্য
শহরগুলোর ক্ষেত্রেও এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে রোববার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর এ উপলক্ষে শিশু সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ টুঙ্গিপাড়ায় সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধন এবং বই মেলার আয়োজনসহ ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
তাদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলায় নেওয়া হয়েছে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জানা গেছে, রোববার সকালে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরে দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করবেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করবেন। রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছু সময় বঙ্গবন্ধু ভবনে অবস্থান করার পরে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।
পরে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
আর সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী অসচ্ছল, মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনে অংশ নেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধন এবং শিশু সমাবেশের মঞ্চ এবং সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ পুরো জেলায় বইছে সাজ সাজ রব। জেলার বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন ও নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। দলীয় নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রীয় এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অতিথিদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
ওবায়দুল কাদের এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২৫ জানুয়ারি ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
শান্তি ফর্মুলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইড লাইনে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতা চান।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার অব-এ অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা শান্তি ফর্মুলার ওপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গি, সেইসঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশকে ফর্মুলা বাস্তবায়ন এবং গ্লোবাল পিস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের এক সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যেখানে মানুষ ভাতের ফেন খেত, নুন ভাতের কথা বলত, সেখানে আজ আওয়ামী লীগের
আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট তো মানুষের নেই,
এটা তো আমরা বলতে
পারি।
জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু
দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা
জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার
আয়োজন করে।
শেখ
হাসিনা বলেন, সারাদেশে দেখছি একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছে। আওয়ামী লীগ দেয়, দিতে জানে, আর সাধারণ মানুষের
পাশে দাঁড়ায়। যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, উৎখাত করবে, নির্বাচন হতে দেবে না বলে, যারা
মানুষ খুন করে, অগ্নি সন্ত্রাস করে, তারা ইফতার দেয় না, ইফতার পার্টিতে খায়।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের মানুষ
যদি কিছু পেয়ে থাকে, তা আওয়ামী লীগের
হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যেখানে মানুষ ভাতের ফ্যান খেত, নুন ভাতের কথা বলত, বিএনপি যেখানে ডাল ভাতের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, এরপর কেউ একজন আলু খেতে বলল, ভাতের পরিবর্তে আলু খাওয়া, সে আলুও তো
উৎপাদন করতে হয়, সেটাও তো সফলভাবে করতে
পারেনি, সেখানে আজ আওয়ামী লীগের
আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট তো মানুষের নেই,
এটা তো আমরা বলতে
পারি। এখন
জিনিসের দাম নিয়ে মানুষ বলছে। মুরগির
দাম বাড়ল কেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেন, চিনির দাম, তেলের দাম বাড়ল কেন? একসময় দেশে নুন-ভাতের কথাই মানুষ চিন্তা করত, সেটুকুই জোগাড় করতে পারত না। অন্তত সে অবস্থার পরিবর্তন
এখন আওয়ামী লীগ তো করতে পেরেছে।
ভাত নয়, ডাল-ভাতও নয়, মাছ, গরুর মাংস, মুরগি, পেঁয়াজ- এই জায়গায় তো
চলে আসছে, অন্তত এটুকু তো দাবি করতে
পারি। খাদ্যশস্য
উৎপাদন আমরা চারগুণ বাড়িয়েছি। মাছ-মাংস প্রত্যেকটা জিনিসের উৎপাদন আমরা বাড়িয়েছি। এমনকি মাংসের উৎপাদন আটগুণ বেড়েছে। আমরা নিজেরাই উৎপাদন করি। আটগুণ বেড়েছে উৎপাদন।
আলোচনা
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছাপত্রে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, এই দায়িত্ব পালনের প্রতিটি সাফল্যের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শিপিং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বরত জাতিসংঘের সংস্থা হিসেবে আইএমও একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও পরিবেশগতভাবে নিরাপদ শিপিং সেক্টরের পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে সহায়তায় কাজ করছে। মহাসাগরগুলোকে রক্ষা করতে এবং বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য ও দক্ষতার সঙ্গে একটি টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তায় ব্যাপকভাবে নিয়োজিত রয়েছে আইএমও।
আইএমও মহাসচিব বাংলাদেশের সক্রিয় পদক্ষেপ, বিশেষ করে জাহাজের নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিংয়ের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশনে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র হতে এর সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও সামুদ্রিক সুরক্ষার কথা উল্লেখ করেন। তিনি পরিবেশগত তত্ত্বাবধানের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সবসময়ই আইএমওর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, আমি নিশ্চিত যে আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আইএমও মহাসচিব আরো বলেন, এই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ কেবল কনভেনশন কার্যকর করার ক্ষেত্রই সহজ করেনি, বরং আমাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কার্যক্রমের প্রভাবশালী ফলাফলের ওপরও জোর দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পদক্ষেপ অন্য দেশের জন্য আরও টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যত তৈরির লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
সংস্থাটির মহাসচিব আরো উল্লেখ করেন, আইএমওর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছি ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় শি জিনপিং উল্লেখ করেন, চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রতিবেশী।
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিগত ৪৯ বছরে দুই দেশ সর্বদা একে অপরকে সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সমান আচরণ করেছে, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে উইন উইন ফলাফল অর্জন করেছে।
চীন ও বাংলাদেশ একে অপরের মূল স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং যৌথভাবে প্রতিটি দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের কাজ করে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে আসে।
মন্তব্য করুন
আজ দেশের ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি ভার্চুয়ালি এ জনসভায় অংশ নেবেন।
বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা-থানা-পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।
এছাড়া আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন বিকেল ৩টায় জেলা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সফর করবেন। গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
মন্তব্য করুন
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে হতদরিদ্র থাকবে না।
১০ নভেম্বর শুক্রবার সকালে গণভবনে আসন্ন শীত-মৌসুমে শীতার্ত মানুষকে সহায়তায় কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডারে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনীতিটা যেন সঠিকভাবে চলে সেভাবে আপনারা একটু সহযোগিতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এখন যেমন একটা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়ছে, সেখানে আপনাদেরও একটু নজর দিতে হবে। আপনারা সহযোগিতা করবেন যেন আমাদের অর্থনীতি কোনো মতেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের দেশে টাকা পয়সা থাকলে সেটা দেশের জন্যও লাভ, আর নিজেদেরও একটা নিশ্চয়তা থাকে। সেই জিনিসটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। নিজের দেশটার দিকে আগে তাকাতে হবে। অনুরোধ করবো সেই বিষয়টার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ দশমিক ১ ভাগ ছিল সেটা আমরা ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আগামীতে সেইটুকুও থাকবে না। দেশে হতদরিদ্র থাকবে না। একেবারে হতদরিদ্রদের বিনা পয়সায় খাবার, ওষুধ, চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি।
মন্তব্য করুন
মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ।
মন্তব্য করুন