ঠাকুরগাঁওয়ে
একটি হাস্কিং মিলের বয়লার বিস্ফোরণে ২ শিশুসহ একই পরিবারের ৩জন নিহত হয়েছেন। আজ (৪
ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার রহিমানপুর পল্লী বিদ্যুৎ দাসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা
ঘটেছে। এ ঘটনায় সাগরের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতরা
হলেন, দীপ্তি দাস (৪০), তার মেয়ে পূজা দাস (১০) ও ভাতিজা পলক দাস (১২)। আহত হয়েছেন
দীপ্তি দাসের স্বামী সাগর দাস।তাদের ঠাকুরগাঁও ২৫০ শষ্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।
নিহতের
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়ির পাশে রোদ পোহাচ্ছিলেন সাগরের পরিবারের
সদস্যরা। এ সময় বাড়ির পাশে সাইদুল ইসলামের রাইসমিলের বয়লার বিস্ফোরণ হলে সাগরের স্ত্রী,
মেয়ে ও ভাতিজা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঠাকারগাঁও
জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগর দাস বলেন, বিস্ফোরণে বয়লারের ড্রামটি ছিটকে এসে
তাদের ওপর পড়ে। তারপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
ঘটনার
পর জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি
নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা কর্তৃক ৫২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি পিকআপ উদ্ধার।
গত সোমবার রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/ নাসিম উল হক ইমরান সঙ্গীয় এএসআই/সজীব বড়ুয়া, এএসআই/জনি দেবদাস ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানাধীন পূর্ব নগরপাড় সাকিনস্থ গকুলনগর গামী রাস্তার পশ্চিম পাশ্বে জনৈক দুলাল মিয়ার মাঠে পৌঁছালে একটি রেজিঃ নম্বরবিহীন নীল রংয়ের পিকআপ গাড়ী পার্কিং করা অবস্থায় দেখে।
উক্ত গাড়ীর নিকট থাকা চালকসহ ০২/০৩ জন লোক ডিবি পুলিশ হিসেবে চিনতে পেরে তারা এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আশপাশ হতে আগত উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় পলাতক আসামীদের পার্কিং করা রেজিঃ নম্বরবিহীন নীল রংয়ের পিকআপ গাড়ীটি তল্লাশী করে গাড়ীর পিছনের বডিতে বিশেষ কায়দায় তৈরী সেটিং বক্সের ভিতরে লুকানো অবস্থায় খাকী স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ছোট-বড় মোট ১৭টি পোটলায় সর্বমোট ৫২ কেজি গাঁজা সহ ০১টি পিকআপ গাড়ী উদ্ধার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় মুরাদনগর থানায় এজাহার দায়ের করলে মুরাদনগর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৩/১১/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১৯(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুরে সোনামুখী
কাঠের আসবাবপত্রের মেলায় যাদু প্রদর্শনীর আড়ালে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করার দায়ে ১০
জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাতে
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত
এ দণ্ডাদেশ দেন।
এর আগে রাত ১২টার দিকে সেনাবাহিনী ও
এনএসআই সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক অশ্লীল নৃত্য শিল্পী, যাদু প্রদর্শনীর
প্যান্ডেল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও দর্শকদের আটক করে।
আটকদের মধ্যে থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে
১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকিদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শারদীয় দুর্গাপূজা
উপলক্ষে সোনামুখীতে প্রায় ৩০০ বছর ধরে কাঠের আসবাবপত্রের মেলা বসে। এই মেলা মাসব্যাপী
স্থায়ী হয়। এ বছরও যথারীতি মেলাটি শুরু হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বাইরে যাদু প্রদর্শনীর
সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে টিকিট বিক্রির করে ভেতরে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এলাকার
কিছু স্থানীয় নেতার সহযোগিতায় মেলায় ৪টি প্যান্ডেল স্থাপন করে অশ্লীলতা চালানো হয়।
এ বিষয়টি জানতে পেরে এনএসআই ও সেনাবাহিনীর
সদস্যরা সেখানে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলগুলো ভেঙে
ফেলা হয়।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তার জানান, আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি সোনামুখী মেলায় অশ্লীল
নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছে, পরে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা
হয়। এদের মধ্যে অশ্লীলতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় ১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া
হয়েছে।
উক্ত অভিযানে এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক
আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
মেহেরপুরের চকশ্যামনগর এলাকা থেকে ১৩২ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে
মেহেরপুরের গাংনী র্যাব ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন- সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শামসুল হুদার স্ত্রী সুজান বেগম (৫৫) ও মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে লিজন মিয়া (১৯)। সম্পর্কে তারা দুজন নানি-নাতি।
র্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মনিরুজ্জামান জানান, চকশ্যামনগরের শামসুল হুদার বাড়িতে মাদক কেনা-বেচা হচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় ১৩২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেলে সুজান বেগম ও লিজন মিয়া নামের দুজনকে আটক করা হয়। আটকরা দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারবার করছিলেন।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যানের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে আসা লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালক নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন।
নিহত কাভার্ডভ্যানের চালকের নাম মো. আব্দুর রহিম (৩০)। তিনি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত ২ জন হলেন, কাভার্ডভ্যান চালকের সহকারী শাকিল (২৫) ও নোমান (২৪)। তারা ওই একই উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর পূর্বে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এলেঙ্গা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের জোকার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কনটেইনারবাহী লরি ও উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা কাভার্ডভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে দুই গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। এতে দুইজন আহত হন।
তিনি আরও জানান, পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী একতারপুর গ্রামের মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে রাজন বিশ্বাস (২৮)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রামের এক নারী রাজনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। তার নামে থানায় নাশকতা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
পাবনা আমিনপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।ধর্ষণের এ জঘন্য এঘটনাটি ঘটেছে আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের ঢালারচর গ্রামে।ঘটনার ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পুর্বেই ধর্ষক কে গ্রেফতার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, ২২শে মার্চ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বাচ্চু সরদার। এসময় শিশুর চিৎকারে পরিবারের সদস্য গণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করলেও কৌশলে পালিয়ে যায় ধর্ষক। মুমূর্ষু অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় শিশুটির ছোট চাচা বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের কিছু সময়ের মধ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত নুরুজ্জামান।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলিতে নিহত কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ১১জন শহীদের বাড়ি বাড়ি যান কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় তিনি প্রথমে উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের নিহত কাদির হোসেন সোহাগের বাড়িতে যান। ওখানে সোহাগের মা ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পরে গত ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের চিটাগং রোডে পুলিশের গুলিতে নিহত ১০ বছরের শিশু মোঃ হোসাইন গ্রামের বাড়ি উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে এক এক করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে দেবিদ্বার উপজেলার ১১ নিহতদের বাড়িতে যান হাসনাত আবদুল্লাহ এবং তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেন।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহদুপুরে যান দেবিদ্বার সদরে গুলিতে নিহত সেচ্ছাসেবকদল নেতা রুবেল মিয়ার বাড়িতে। সেখানে নিহত রুবেলের নবজাতক সন্তানকে কোলে তুলে নেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দেবিদ্বারে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী নাজমুল হাসান নাহিদ, মুক্তাদির জারিফ সিক্ত, শরীফ আল বান্না, সাজেদুল রাসেদ রাফসান, সিয়াম ইসলাম ও ডাঃ আল আমিন সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন