হাইকোর্ট এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে ৬ মাসের মধ্যে অবসর ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে ।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে আর এই অবসরভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না। যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়েই শিক্ষকদের অবসর ভাতা কিভাবে দ্রুত দেওয়া যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল হতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের বিধানগুলো সংশোধন করে তা ৪ ভাগ এবং ৬ ভাগ করে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের পরিবর্তে ৪ ভাগ এবং ৬ ভাগ কর্তনের বিধান করা হলেও উক্ত অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোন বাড়তি আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিধান করা হয়নি।
এই অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের বিপরীতে কোন আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এই অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের আদেশ বাতিলের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে শিক্ষকরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করে। এতেও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকেন। এরপর শিক্ষক ও কর্মচারীগণ ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ১৫ এপ্রিল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। পরে আরেকটি সম্পুরুক আবেদনে ২০১৭ সালে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। এসব রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে দেয় হাইকোর্ট।
এদিকে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ ভাগ কর্তনের বিপরীতে আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, দশ ভাগ কর্তন করলে সে পরিমাণ সুবিধা শিক্ষকদের দিতে হবে। একেক সময় একেক ধরনের সিদ্ধান্ত কাম্য নয়। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার লেখা বই ‘বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ব: অনুপ্রেরণার মহাকাব্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় গ্রন্থকার বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রকাশক কবি তারিক সুজাতসহ মন্ত্রপরিষদের সদস্যবর্গ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গিত গ্রন্থটিতে দশটি প্রবন্ধ, যা- বাঙালির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার মহাকাব্য, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর অনন্য সংগ্রাম, মহান পিতার সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরদ্ধারের দিন ৭ মে ২০০৭, ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬: ভুলে যাওয়া এক অভিশপ্ত দিন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নিয়ে বিএনপি'র রাজনীতি, পদ্মা সেতুবিরোধী ষড়যন্ত্র ও ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি, ১৫ ফেব্রুয়ারির বিএনপি'র নির্বাচন এবং ইতিহাসের কালো অধ্যায়, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন: অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ শিরোনামে সংকলিত হয়েছে। লেখাগুলোতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপান্তের আলোকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্মোহ সত্যাসত্য উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রন্থকারের জীবনাভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দুটি রাজনৈতিক স্মৃতিগদ্যও রয়েছে।
শেষ অধ্যায়ে বিপ্লব বড়ুয়া প্রদত্ত একটি ইংরেজিসহ মোট চারটি সাক্ষাৎকার গ্রন্থভুক্ত হয়েছে, যথা-সরকার ভারত বা চীনমুখী নয়, সম্পূর্ণভাবে দেশের জনগণমুখী, মুক্তির প্রশ্নে ভরসা কেবল শেখ হাসিনা, তরুণরা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ, আমি বিশ্বাস করি না, এবং ‘‘Seventy-five is A Very Sensitive Term For Us’’ যেখানে গ্রন্থকারের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরবৃষ্টি পাঠকের সামনে প্রতিভাত হয়ে উঠে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর অনেক রাজনীতিবিদের রচনাই ইতিহাসের অসামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। জাতির পিতার বইগুলো তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিপ্লবের লেখাগুলো গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে, এটি আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। লেখাগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু চিত্র তুলে ধরেছে বিপ্লব যা পাঠকের কাছে রাজনৈতিক প্রবন্ধ-পাঠের নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য হবে।
বিপ্লবের মতো সকল রাজনৈতিক কর্মীরা সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত লিখবে, এ আমার প্রত্যাশা।’- বইটির মুখবন্ধ লেখা ও মোড়ক উন্মোচন করায় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা'র প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব বড়ুয়া।
পাশাপাশি বইটির প্রকাশক ও উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও হজের কোটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে হজ নিবন্ধন। সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ নির্ধারণ ছিল। হজ এজেন্সিগুলো হজের কোটা পূরণ করতে না পাড়ায় শঙ্কা দেখা দেয় হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে।
আর এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সৌদি সরকারের নিকট অনুরোধ করে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর জন্য। সৌদি সরকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা অর্ধেক করে ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলেই সরাসরি হজে পাঠাতে পারবে হজ এজেন্সিগুলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র প্রেরণ করে। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী প্রেরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
এ বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের আট দিন সময় ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
রবিবার(১০ মার্চ) সকালে কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে । সেই সঙ্গে দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট গার্ডের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেছেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেছেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্ট গার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
তার আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে শেরেবাংলা নগরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে ভি-স্যাটনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও নবনির্মিত পাঁচটি স্টেশন ও একটি আউটপোস্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারও আগে সকাল ১০টার দিকে কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাহিনীটির সদর দপ্তরে পৌঁছান সরকারপ্রধান। পরে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের হাতে পদক তুলে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ড,কুয়েত, সুইজারল্যান্ড, ও পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার রাতে এসব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের অবসর উত্তর ছুটি এবং এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিত করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৭ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য তাকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাইকে তার অবসর উত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২৯ ডিসেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস মেয়াদে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে ১ ডিসেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য জেনেভায় জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা হোসেনের অবসর উত্তর ছুটি এবং এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিতের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২৫ ডিসেম্বর বা যোগদানের তারিখ থেকে ছয় মাসের জন্য পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ
সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে
পরিণত হয়েছে এবং এর অগ্রযাত্রা সামনেও অব্যাহত থাকবে।
আজ সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি
বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য প্রদানকালে
বৈঠকের সূচনা ভাষণে এ কথা বলেন।
মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস,
চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো খাত নেই যা পিছিয়ে
আছে।শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগিয়েছে।
সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ
নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের নেয়া সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯
অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ
তার অর্থনৈতিক শক্তি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং ২০২৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে স্বল্পোন্নত দেশ
থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর অবশ্যই ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সবচেয়ে
বেশি গুরত্ব দিয়ে বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনে
জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।এ জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
থাকলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর অবশ্যই ঘটবে। এই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ
এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।
গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের
আজকের এ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও
কাজী জাফরউল্লাহ এবং সিনিয়র সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্যান্যরা ।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী
লীগ।
বুধবার
(ফেব্রুয়ারি ১৪) বিকেলে গণভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের আওয়ামী লীগের ৪৮ প্রার্থীর নাম
ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার আগে দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে
নারী আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন ১ হাজার ৫৪৯ জন।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী
লীগের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন:
১.
রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়)
২.
দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও)
৩.
আশিকা সুলতানা (নীলফামারী)
৪.
রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) - আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক
৫.
কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর)
৬.
জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ)
৭.
রুনু রেজা (খুলনা)
৮.
ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট)
৯.
ফারজানা সুমি (বরগুনা)
১০.
খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা)
১১.
ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী)
১২.
উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ)
১৩.
নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা)
১৪.
মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট)
১৫.
পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ)
১৬.
আরমা দত্ত (কুমিল্লা)
১৭.
লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা)
১৮.
মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা)
১৯.
বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ)
২০.
শবনম জাহান (ঢাকা)
২১.
পারুল আক্তার (ঢাকা)
২২.
সাবেরা বেগম (ঢাকা)
২৩.
শাম্মী আহমেদ (বরিশাল)
২৪.
নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা)
২৫.
ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর)
২৬.
ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ)
২৭.
সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা)
২৮.
অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা)
২৯.
শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা)
৩০.
মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী)
৩১.
তারানা হালিম (টাঙ্গাইল)
৩২.
শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল)
৩৩.
মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)
৩৪.
অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল)
৩৫.
হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা)
৩৬.নাজমা
আক্তার (গোপালগঞ্জ)
৩৭.
ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর)
৩৮.
আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর)
৩৯.
কানন আরা বেগম (নোয়াখালী)
৪০.
শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম)
৪১.
ফরিদা খানম (নোয়াখালী)
৪২.
দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম)
৪৩.
ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি)
৪৪.
সানজিদা খানম (ঢাকা)
৪৫.
নাছিমা জামান ববি (রংপুর)
৪৬.
নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী)
৪৭.
ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম)
৪৮.
রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কাভার করা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয় সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে এ সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস উইং আরো জানায়, শেখ হাসিনা সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে সবার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।
মন্তব্য করুন
গত
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে
টানা ৪র্থবারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি
ফলাফল পাওয়া গেছে। তারমধ্যে নৌকা প্রতীকে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার
(১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো.
সাহাবুদ্দিন।
শপথ
নেওয়ার পর মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
পেলেন যে মন্ত্রীরা:
১.
আ ক ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২.
ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
৩.
আবুল হাসান মাহমুদ আলী- অর্থ মন্ত্রণালয়।
৪.
আনিসুল হক- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৫.
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন- শিল্প মন্ত্রণালয়। ।
৬.
আসাদুজ্জামান খান (কামাল)- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৭.
মো. তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
৮.
মুহাম্মদ ফারুক খান- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৯.
মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১০.
ডা. দীপু মনি- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
১১.
সাধন চন্দ্র মজুমদার- খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২.
আব্দুস সালাম- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
১৩.
মো. ফরিদুল হক খান- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১৪.
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
১৫.
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ- ভূমি মন্ত্রণালয়।
১৬.
জাহাঙ্গীর কবির নানক- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
১৭.
মো. আব্দুর রহমান- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
১৮.
মো. আব্দুস শহীদ- কৃষি মন্ত্রণালয়।
১৯.
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
২০.
ডা. সামন্ত লাল সেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
২১.
মো. জিল্লুল হাকিম- রেলপথ মন্ত্রণালয়।
২২.
মো. ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৩.
নাজমুল হাসান (পাপন)- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
২৪.
সাবের হোসেন চৌধুরী- পরিবে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২৫.
মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী :
১.
নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ।
২.
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
৩.
জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
৪.
জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
৫.
সিমিন হোমেন রিমি- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৬.
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৭.
মো. মহিববুর রহমান- দযোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
৮.
মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
৯.
শফিকুর রহমান চৌধুরী- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
১০.
রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১.
আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার
(১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ
সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী, ২৫ জনকে মন্ত্রী ও ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগে
সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। আগামীকাল বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর
আশকোনায় হজক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) হজ অফিসের
পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আশকোনা হজ ক্যাম্পে চলতি বছরের
হজ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী,
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্যরা থাকবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
হজ কার্যক্রম শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন এবং হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
করবেন।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর
বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী
১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী
হজ পালন করবেন।
এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়
থেকে জানা গেছে, হজ ক্যাম্পের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ ও হজ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম
চলছে।
মন্তব্য করুন
খাগড়াছড়ির গুইমারার দুর্গম এলাকায় প্রায় ৩ একর গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গুইমারার দুর্গম চৌধুরীপাড়ায় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষকৃত গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসন অভিযানে যায়। এ সময় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেত কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব চৌধুরী, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন ও মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
ওসি মুহাম্মদ আরিফুল আমিন বলেন, একটি চক্র দুর্গম এলাকায় গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মন্তব্য করুন