আজ বেলা ১১ টায় টঙ্গীর কামারপাড়া রোড়ে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিং করেছেন র্যাব মহাপরিচালক (জিডি) এম খুরশীদ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা-২০২৪ উপলক্ষে ইজতেমা মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাবপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের ৫টি ব্যাটালিয়নের (১, ২, ৩, ৪ ও ১০) এর সমন্বয়ে আকাশপথে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল, ডক স্কোয়াড টিম, ফুট পেট্রোলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, সাইবার মনিটরিংসহ ৭ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবার বিশ্ব ইজতেমায়।
এই বছরও দুই ধাপে ৩ দিন করে মোট ৬ দিন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে মাঠে থাকবেন জুবায়ের পন্থী ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপে সাদ পন্থী ৯-১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে তুরাগ নদীর তীরে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লিসহ সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করে থাকেন।
তিনি বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিদেশি খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ার এর সামনে এবং আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইজতেমা এলাকায় র্যাবের চিকিৎসা কেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ সার্বক্ষণিকভাবে আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, মাঠে আগত মুসল্লিদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিনে আগত ও ঘরমুখী মুসুল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য র্যাবের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা চলমান থাকবে। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্ম বিরোধী অপপ্রচার-গুজব রোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখছে। আসন্ন ইজমেতাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কোন ব্যক্তি, স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা-অপপ্রচার কঠোর ভাবে দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে কোন ধরনের হুমকি বা নাশকতার আশংকা নেই। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। কুচক্রী মহলের অপচেষ্টা, সাইবার আপরাধ ও গুজব রোধে সচেষ্ট থাকবে র্যাব।
মন্তব্য করুন
যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভূঁইয়া জানিয়েছেন, যুব প্রশিক্ষণ ও যুব ঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা করছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ৯ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যারা
কোনো শিক্ষা বা কাজে নেই। আগামী দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।
আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে
জাতীয় যুব দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এই সরকার
গড়ে উঠেছে। সংস্কার কার্যক্রমে যুবসমাজের সহযোগিতা ও মতামত প্রত্যাশা করে সরকার। ৫
আগস্টের পর যারা ট্রাফিক কাজে যুক্ত হয়েছিল, তাদের আরও প্রশিক্ষণ শেষে সহ-পুলিশ হিসেবে
নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে সমতা প্রতিষ্ঠার
যে লক্ষ্য সেখানে সহায়ক ভূমিকায় থাকবে যুব সমাজ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে জাতীয় যে
নৈতিক বুস্টিং হয়েছে তারই ফল হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের বেশকিছু অর্জন এসেছে।
মন্তব্য করুন
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের
সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিষয়টি ঝুলে থাকার কারণে এতে কোনো দেশেরই
লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। (খবর এনডিটিভির)
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া
এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ
নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে। কারণ
পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী
সরকার ভারতকে চাপ দেবে কিনা- পিটিআইয়ের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, চাপ শব্দটি অনেক
বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে
হবে।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে
গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর
ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন নতুন কোনো ইস্যু নয়, এটি অনেক পুরাতন ইস্যু।
বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার কথা বলেছি। এমনকি পাকিস্তান পিরিয়ডেও কথা হয়েছে। আমরা সবাই
চেয়েছি এটির সমাধান করতে, এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের
সরকার এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমরা চাই এর সমাধান করতে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের
পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী
মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। হিন্দু
ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশী অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন এবং অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীগণ সহযোগিতা ও
সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন সার্থক ও সুন্দর করে তুলবেন- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেছেন।
একই সঙ্গে ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডও অবমুক্ত করেন তিনি।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস.এম. শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি স্মারক ডাক বাক্স ও ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’শীর্ষক একট বই উপহার দেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াল দুই হাজার ১৯ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে।
দুই সপ্তাহ ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার এ রিজার্ভ আবারো ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে, গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াল দুই হাজার ৫৩২ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রধানত আমদানি ব্যয় মেটানো তথা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ব্যবহার হয়। এ রিজার্ভ আর্থিক খাতের সক্ষমতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক ঋণ, প্রবাসী আয়, বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা রিজার্ভের উৎস। আবার আমদানি ব্যয় মেটানো, বৈদেশিক ঋণ-সুদ পরিশোধ, বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষাসহ হাজারো খাত রয়েছে ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারির শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে তা নেমে আসে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬)। আগের সপ্তাহেও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৩ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ডলার। মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এসে ১৬ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার যোগ হয়ে আবারো তা ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
করোনা মহামারির মধ্যে আমদানি কমে গিয়েছিল। তবে প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় সঞ্চিত অর্থ নিয়ে আসেন। অনেকে বিদেশে থেকেও বাড়িতে স্বজনদের কাছে অর্থ পাঠিয়ে দেন। এতে বাড়ে রিজার্ভ। ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন অতিক্রম করে। করোনার পর যখন দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার শুরু হয়, তখন উল্টো অবস্থা তৈরি হয়। আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে। মূল্যস্ফীতি বাড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ বিক্রি করে আমদানি ব্যয় সামাল দিতে হয়।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকের একাধিক সূত্র বলছে, ওই সময়ে রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল হুন্ডি বন্ধ হয়ে যাওয়া। তখন অধিকাংশ দেশ করোনা মহামারির বিস্তার রোধে অন্য দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে যেমন ডলার বাড়তে থাকে। আবার আমদানি কমে যাওয়ার কারণে খরচের খাতও ছোট হয়ে আসে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করে বলেছেন, যে লক্ষ্য নিয়ে তরুণ ছাত্র, জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিকরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন-সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে আমরা গত বছরের প্রতিটি দিনকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করব। এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আবার নতুন করে শপথ নেব এবং এটা আমরা প্রতি বছর করব, যাতে স্বৈরাচার আর যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ ইতিহাসের এক গৌরবময় ক্ষণ। এক বছর আগে, এই জুলাই মাসে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছিল তা এক অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান রচনা করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল। জুলাই ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, জনতার এক জাগরণ। সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল- “ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থাণের স্বপ্ন ছিল নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করার যে অনুষ্ঠানমালা নিয়েছি, এটা শুধু ভাবাবেগের বিষয় নয়, ক্ষোভ প্রকাশের বিষয় নয়। আমরা ১৬ বছর পরে বিরাট বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং যে কারণে অভ্যুত্থান হয়েছিল, তাৎক্ষণিক তাঁর যে লক্ষ্য ছিল সেটা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। কিন্তু তাঁর পেছনে ছিল একটা বিরাট স্বপ্ন- নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
স্বৈরাচার যেন আর কখনও ফিরে আসতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা প্রতি বছর এই সময়টা উদযাপন করব যাতে পরবর্তীতে আবার এই অভ্যুত্থান করার জন্য ১৬ বছর আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়। আমরা প্রতি বছর এটা করব, যাতে স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন দেখা গেলেই তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা তার বিনাশ করতে পারি।
সেটার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচি পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন আমরা তাকে ধরে ফেলতে পারি। ১৬ বছর যেন আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে জুলাই গণঅভ্যুত্থাণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে গভীর গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, সেই সব তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, রিকশাচালকদের—যারা রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছিলেন; সাহস, ত্যাগ আর দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন’।
জুলাইকে ঐক্যের মাসে পরিনত করার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, আমরা আজ মাসব্যাপী যে কর্মসূচির সূচনা করছি, তা শুধুই স্মরণ নয় বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, আমরা চাই, এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আবার সুসংহত হোক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য— জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি জানানো এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংস্কারের এই সুযোগকে হারিয়ে না ফেলা। আমাদের সামনের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু মস্ত বড় সম্ভাবনাও আছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তিই তাদের রুখে দিতে পারে না। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের আহ্বান জানাই—আসুন, এই জুলাই মাসকে পরিণত করি গণজাগরণের মাসে; ঐক্যের মাসে’।
জুলাই-আগস্টের পুনরুত্থান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন আবার নতুন করে জেগে উঠুক। আমাদের ঐক্য সর্বমুখী হোক, অটুট হোক আমাদের এই অনুষ্ঠানমালার লক্ষ্য।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগসহ ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্ণিত শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। আর এ ১০ নির্দেশনা হলো :
১. বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে হবে। একইসঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে, কিন্তু শুধু ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে, তারা লাইসেন্স পাওয়া ছাড়া কোনাভাবেই নামে উল্লিখিত সেবা প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটারগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, শুধু সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্তাবলি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ ইন্টারভেনশনাল প্রসেডিউর করা যাবে না।
৯. সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই ‘Operation Theatre Etiquette’ মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করার বিষয়ে
অগ্রগতি অর্জিত হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগ প্রস্তাবকে
স্বাগত জানান।
আজ বুধবার (৭ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন
যমুনায় ইউএই’র টলারেন্স এ্যান্ড এক্সিসটেন্স বিষয়ক কেবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহায়ান
বিন মুবারক আল নাহায়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় অধ্যাপক ইউনূস ইউএই’কে ধন্যবাদ জানান।
শেখ নাহায়ানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি আজ
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় স্বল্প সময়ের সফরে পৌঁছান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ, বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের
আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহমান আল হাওয়ি।
আল নাহায়ান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, বাংলাদেশের
প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনর্ব্যক্ত করতে ‘আমি আমাদের প্রেসিডেন্টের
নির্দেশে এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সরকারের মধ্যে
সাম্প্রতিক সময়ের বাড়তি সংলাপকে আমরা প্রশংসা করি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা
পর্যন্ত সব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি এবং আমরা একসাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
এই সৌহার্দ্যমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, আমরা এ ধরনের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিভিন্ন খাতে
বিনিয়োগ প্রস্তাবকেও স্বাগত জানাই।
ভিসা নীতিতে শিথিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। এখনও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি আছে,
আশা করি আমরা সম্পৃক্ত থাকবো এবং সমস্যাগুলো সমাধান করবো।
সম্প্রতি ইউএই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট
ভিসা ইস্যু করছে।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য ভিসাগুলোও সাম্প্রতিক
সময়ে দ্রুত অনুমোদিত হচ্ছে। সেইসাথে, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন
ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিপণন ব্যবস্থাপক,
হোটেল কর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভিসাও এই
পদ্ধতিতে দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও, নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য ৫০০ ভিসা
ইতোমধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি
আল হমোদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদও বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মাল ও
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার
লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ (২৯ অক্টোবর) আনুমানিক ৪ টার
সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা
করে ঝিলপাড় বস্তি, হাজী রোড, মিরপুর-২ এলাকা হতে অবৈধ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী ও
চাঁদাবাজ মোঃ মাসুম বিল্লাহ (৩২), মোঃ শাকিল আহমেদ (৩০) এবং মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান
সনেট (২৮) কে আটক করা হয়। এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে দুই রাউন্ড ৯ মিঃ মিঃ
পিস্তলের এ্যামোনিশন এবং বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান
পরিচালনা করে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদেরকে আটক করা হয়।
জানা যায়, এদের বিরুদ্ধে গত ৪-৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর আক্রমনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও, বর্ণিত সন্ত্রাসীরা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। যৌথ অভিযানে এসব চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরবর্তীতে আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য আটককৃত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদেরকে শাহ আলী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনের অদূরে ডুবে যায় ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের জন্য নারায়ণগঞ্জ ও মাওয়া থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও প্রত্যয় রওনা দিয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্ধারকারী ২টি জাহাজ রওনা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা সেক্টরের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে এসে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ডুবে যাওয়া ফেরিকে সোজা করবে হামজা এবং বাকি কাজ প্রত্যয় ও রুস্তম এসে করবে। আমাদের ট্রাক বোর্ড দিয়ে ভেসে যাওয়া পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলো উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসবে।
তিনি আরও জানান, হয়ত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এসে পৌঁছাতে পারে রুস্তম ও প্রত্যয় উদ্ধারকারী এই ২টি জাহাজ।
মন্তব্য করুন