রোববার (১২ জানুয়ারি) গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকার গ্যাসের অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ, ৪৫০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৫০০ মিটার পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শ্রীপুর-কাশিমপুর ৮"x১৪০ পিএসআইজি বিতরণ লাইন থেকে নিম্নমানের পাইপের মাধ্যমে অবৈধ বিতরণ লাইনগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে প্রতিটি বাসাবাড়ি তালাবদ্ধ থাকায় কোনো দণ্ড দেওয়া যায়নি অভিযুক্ত কাউকে।
মন্তব্য করুন
লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছয় জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে শহিদ হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩)। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চকরিয়া এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে শহিদ হন তিনি।
পরে ওই এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় আটকদের কাছ থেকে দুটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন প্রত্যক্ষভাবে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। অবশিষ্ট দুজন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে।
আটকরা হলো- মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) এবং মো. হোসেন (৩৯)।
ডাকাত দলের অন্যান্য জড়িত সদস্যদের আটক করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটকদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনাসদস্য বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ
বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
আগামীকাল
(১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন,মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের
বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে
ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ঈদের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে,
সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এদিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের
আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের
বন্ধন। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির স্থান নেই। মানবিক
মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম
ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী
নানাবিধ সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ মন্দার
প্রভাব দৃশ্যমান। ফলে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনধারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
হচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর
আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে।
মন্তব্য করুন
আগামী এক মাসের মধ্যে গুম প্রতিরোধ বিষয়ক আইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গুম বিষয়ক একটি শক্তিশালী স্থায়ী কমিশন গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আজ
সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে জাতিসংঘের গুম সম্পর্কিত কার্যনির্বাহী দলের (ওয়ার্কিং গ্রুপ) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান
তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে জাতিসংঘের গুম সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপ বারবার বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি, তাদের চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। আমাদের সরকারের একটা কমিটমেন্ট ছিল গুমের তদন্ত ও বিচার করা। জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশে এসেছে, আমরা তাদের সঙ্গে আজ মিটিং করেছি। মিটিংয়ে বসার পর তারা আমাদের কিছু কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন। তারা গুম কমিশনের, তদন্ত কমিশনের প্রশংসা করেছেন, আমরা আইন প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছি, সেটার প্রশংসা করেছেন। তারা গুম বিষয়ক কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলেছেন।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪৭ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সময় সংবাদকে জানান, চল্লিশের বেশি পঞ্চাশের কম সংখ্যক ইউএনওকে আজ বদলি করা হতে পারে।যারা এক বছরের বেশি ইউএনও হিসেবে কর্মস্থলে ছিলেন তাদেরই বদল করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সব ইউএনওকে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।সে নির্দেশনার আলোকেই ৪৭ ইউএনওর বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করে। এরপর নির্বাচন কমিশন বদলির অনুমোদন দেয়।
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্বাচন কমিশন আমাদের যা করতে বলবেন, আমরা তা-ই করব বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০০ জনের মতো ইউএনও বদলি হতে পারেন। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলির বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।
গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যে সব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থল এক বছরের বেশি চাকরিস্থল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বরের) মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।
গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়েছে, বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এবং আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
চীন সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক
ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের
মধ্যে এটি একটি।
আজ
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, আগামী ২৯ মার্চ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য
রাখবেন ড. ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি
দেওয়া হবে। চীনের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। চীনের
সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে। চীন এরইমধ্যে জানিয়েছে,
তারা বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন করবে। প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন, চীনের
চেইন হাসপাতালগুলো বাংলাদেশে এসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুক এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারে
হাসপাতাল পরিচালনা করুক।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে তিনি জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা বর্ণিল ও বিচিত্র গ্রাফিতি ঘুরে দেখেছেন।
এসময় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ
নজরুল, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ
সহকারী মাহফুজ আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই জুলাই-অগাস্ট মাসে ছাত্রদের নেতৃত্বে বৈষম্য
বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহর ও নগরের দেয়ালে তরুণ শিক্ষার্থীদের
আঁকা সেরা গ্রাফিতি নিয়ে একটি আর্টবুক প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী ‘দি আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি আর্টবুক প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে
বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় উপস্থিত হন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের
নেতারা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল
কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর। আর স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে আছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার
জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম
খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমির খসরু মাহমুদ
চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এলডিপির
চেয়ারম্যান অলি আহমদ সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান তিনি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার
জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বেগম খালেদা জিয়া।
তাই তার আগে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। সাক্ষাতের সময়ে দেশের
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী দিনের বিএনপির করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া কয়েকদিন
আগে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধান সাক্ষাৎ করে গেছেন। এই বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে
আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া তিনি কত মাস পর আবার দেশে ফিরবেন সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়, কারণ
তিনি বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন, ফলে তারা যাত্রা দীর্ঘ হবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে সবার
কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয় রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন,
এটা মূলত ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে আমাদের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ। সবকিছু
ঠিক থাকলে আগামী ৭ জানুয়ারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে। ‘এটা তো
স্বাভাবিক বিষয়, ম্যাডামের সাক্ষাতে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবেই।
মন্তব্য করুন
শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহা ওরফে মো. সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় আসামির কাছ থেকে চোরাইকৃত ২টি মোটর সাইকেল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার কি (চাবি) উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৯ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা কিশোরগঞ্জ জেলার হারাধন সরকার প্রকাশ জাকির খানের ছেলে মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামির দেওয়া তথ্য মতে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনাস্থ হোটেল ইছাকী এমোসের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোরের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন থানায় ২০টি চুরির মামলা রয়েছে। তিনি একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঠিকানা রয়েছে। তদন্ত করে তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা বের করা হবে। মিল্টন বর্তমানে চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, মোটরসাইকেল চোর মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমারকে আজ রোববার (৯ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আটককৃত চোর মিল্টনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।
মন্তব্য করুন
মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় ওই নবজাতককে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিষয়টি জানাজানি হয় বিকেলে।
নবজাতক রেখে পালিয়ে যাওয়া দম্পতি হলো আলমগীর হোসেন ও পাপিয়া খাতুন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নবজাতককে মা-বাবা।
নিজেদের সন্তান হাসপাতালে ফেলে পালানোর বিষয়ে জানা যায়, তিন মেয়ের পর এবার ছেলেসন্তানের আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ দম্পতি। ফের কন্যাসন্তান হলে স্ত্রী পাপিয়াকে তালাকের হুমকিও দেন আলমগীর! কিন্তু এবারও কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পাপিয়া। তাই তারা হাসপাতালে সন্তান রেখেই পালিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন পাপিয়া। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর নবজাতককে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান ওই নবজাতকের মা-বাবা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী।
পরে নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই নবজাতকের নাম রাখেন ‘পুষ্প’।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ওই দম্পতি হাসপাতালে যে নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন তা যাচাই করা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ছবি দেখে ওই নারী ও তার স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নবজাতকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
মন্তব্য করুন