বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দিতে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ।
আগামী ৯ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে শনিবার (৪ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এনটিআরসিএ।
এতে আরো বলা হয়, আবেদনের পর প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এ ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর করে কাটা পড়বে। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত নিজ নিজ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে।
নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।
এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে (http://www.ntrca.gov.bd) এ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে।
আবেদনের ওয়েবসাইট (http://ntrca.teletalk.com.bd)।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকা হতে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: বাগেরহাট জেলার কঢ়ুয়া থানার বড় আন্দার মানিক গ্রামের মৃত আঃ হামিদ শেখ এর ছেলে মোঃ আতিয়ার রহমান (৫০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে বাগেরহাট, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ২৯ কেজি গাঁজা’সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গত ০১ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন ধানসিড়ি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপের পিছনে কাঠের গুড়ার বস্তার মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী বশির (২০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বশির (২০) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ এনামুল হক এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বি.বাড়িয়া, কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছে থেকে ৩৬১২৬ পিস ইয়াবা, ১২ কেজি ৫৫ গ্রাম গাঁজা, ১৬৬.১৫ গ্রাম হেরোইন, ৩০ টি ইনজেকশন এবং ৮ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।
রবিবার(২৪ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার(২৫ডিসেম্বর) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪০টি মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের
গত বছরের ঢাকা সফর সদ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের সময়ে বাংলাদেশকে এক বড় ধরনের
মানসিক প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
মালয়েশিয়া সফরকালে গতকাল বুধবার দেশটির
সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। অধ্যাপক
ড. ইউনূস বারনামাকে বলেন, আনোয়ার ইব্রাহিমের এই সফর বাংলাদেশের কঠিন সময়ে জাতির মধ্যে
আশার সঞ্চার করেছিল।
বারনামা আজ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।
বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দুরার রাজের নেতৃত্বে সংস্থাটির একদল সাংবাদিক এই
সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী
সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. ইউনূস সাক্ষাৎকারে ছাত্র জনতার নেতৃত্বে
কীভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন তা
স্মরণ করেন। এ সময়ে বাংলাদেশ যে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছিল, তা তুলে ধরেন তিনি।
এই পরিস্থিতিকে ‘ম্যাগনিচিউড ৯ ভূমিকম্পে
আঘাত হানা’ অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, ভীষণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, কিছুই চলছিল না- শুধু ক্ষোভ
ফুঁসে উঠছিল।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমাদের
এমন এক কঠিন সময়ে দেশ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ। শুধু
বিশৃঙ্খলা দূর করাই নয়, সবকিছু নতুন করে গড়ে তুলতে হয়েছে। আমরা তখন পথ খুঁজছিলাম, কীভাবে
এগোবো— এমন সময়ে সুখবর এল, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
আমাদের দেশে সফরে আসছেন।
বারনামাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নোবেল
বিজয়ী ইউনূস আনোয়ার ইব্রাহিমের সেই সফর নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম ২০২৪ সালের অক্টোবর
মাসে বাংলাদেশ সফর করেন। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব
নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় তিনিই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি নেতা হিসেবে বাংলাদেশ
সফর করেন।
‘তিনি আমাদের আশা দিয়েছিলেন। তাঁর সফর
জনগণের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছিল। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব
পরিচিত একটি দেশ, কারণ এখানে বহু বাংলাদেশি বসবাস করেন এবং তাদের পরিবারও এখানে রয়েছে।
এটি কোনো অজানা-অচেনা দেশ নয়। তাই মালয়েশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী এসে বললেন, ‘হ্যাঁ, আমরা তোমাদের পাশে আছি’— এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেক
অর্থবহ ছিল। তাঁর উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল,’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস।
৮৫ বছর বয়সী ইউনূস একজন অর্থনীতিবিদ
ও সামাজিক উদ্যোক্তা। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র বিশেষত নারীদের জন্য জামানতবিহীন
ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বাইরে প্রথম দেশ
হিসেবে আমানাহ ইখতিয়ার মালয়েশিয়া প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক মডেল গ্রহণ করে।
ইউনূস ১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ায়
তিন দিনের সরকারি সফরে আসেন। এ সময় তিনি মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি বিশেষ
করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, শিক্ষা, পর্যটন ও প্রতিরক্ষা খাত, এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক
পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
জোরদারের লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন খাতের নেতৃবৃন্দ এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমি
বলতে পারি, আমাদের সফরটি দারুণ ও অত্যন্ত সফল হয়েছে। আমরা এই সফর নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট।
সবাই তাঁদের সময় নিয়ে খুব উদার ছিলেন। আমরা যেসব কর্মকর্তা, নেতা ও ব্যক্তির সঙ্গে
দেখা করতে চেয়েছিলাম, সবাই এগিয়ে এসেছেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে
বলেন, এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এবং পারস্পরিক উপকারী
ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করবে, যা ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের
পর থেকে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম
বাণিজ্য অংশীদার ও রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ। এর প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো পেট্রোলিয়ামজাত
দ্রব্য, পাম তেল ও রাসায়নিক দ্রব্য, আর আমদানি পণ্য হলো টেক্সটাইল, জুতা, পেট্রোলিয়ামজাত
দ্রব্য ও প্রস্তুত পণ্য।
মন্তব্য করুন
সংস্কার গভীর না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার
আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, সংস্কার মানে শুধু কয়েকটা
কাগজের সংস্কার নয়, মনের গভীরতর জায়গার সংস্কার করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ
মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে
হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুধু ওপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়,
গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই গভীরতম পরিবর্তন যদি না করি, যেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে
আজ আমরা কথা বলছি, আবার ঘুরেফিরে সে চলে আসবে—যতই আমরা সামাল দিই, যতই সংস্কার করি।
আমাদের আরও গভীরের সংস্কার দরকার। এই সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে
করা হবে যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনো নীরবতা দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস
করা না যায়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায়
আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান
করা যে রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।
রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয়
ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ঐকমত্য এমন একটি
ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন
নিশ্চিত করে।
আমাদের লক্ষ্য একটাই, একটি বাংলাদেশ
গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে
রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সব সময়
বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে বলে
মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক এক্স বার্তায় এমন মন্তব্য করে তিনি
বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের
জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার
ও রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার
লক্ষ্যে জাতিসংঘ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব
ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টায়
রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টালে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই উড়োজাহাজে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন
।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার পৌঁছেছেন
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
কক্সবাজারে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর
ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন ড. ইউনূস। পরিদর্শন শেষে
উখিয়ায় ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব সেখানে রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার,
রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসাথে সন্ধ্যায় ঢাকায়
ফিরবেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সচিবরা।
আজ (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সরকারপ্রধান।
জানা গেছে, সাধারণত সচিব সভায় কয়েকটি নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার বাইরেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবার এ বৈঠকের জন্য বিস্তারিত এজেন্ডা থাকছে না। এছাড়া সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে প্রশাসনিক কাজগুলো কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় আনা যায়, এ-সংক্রান্ত পরামর্শ শুনতে চাইতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তার সরকার এসব বিষয়ে কী ভাবছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি সব সচিবকে দেবেন ড. ইউনূস।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্তে আনন্দ প্রকাশ
করেছে বিএনপি।
আজ রবিবার (১১ মে) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক
বিবৃতিতে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎকালে
তার হাতে দেওয়া পত্রে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল
হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও
তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা পতিত ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত
ছিল, তাদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।
আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে
নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার
বার উত্থাপন করেছি।
উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের
বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে
নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে
হলেও গত রাতে (১০ মে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী
দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায়
গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী ফ্যাসিবাদী দলের বিচার
করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো
না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে
রাখবেন বলে আমরা আশা করি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার
তথা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গুম, খুন, জেল, জুলুম
সহ্য করেও অব্যহত লড়াই করেছে। তাদের সেই দাবি এখনও অর্জিত হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার
সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণঅর দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভোর সৃষ্টি
হচ্ছে, সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজশাহীর কাটাখালী এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং ‘জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করেছে র্যাব। রাজশাহীর ভয়ংকর কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত জনি বাহিনী।
শনিবার (৮ জুন) দিনগত রাতে জনি বাহিনীর ৯ জনকে আটক করা হয় কাটাখালীর শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া থেকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো চাকু ও ৩টি টিপ চাকু উদ্ধার করেছেন র্যাব।
র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের ৯ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো: জনি বাহিনীর প্রধান জনি ইসলাম (২৩), আবদুল মান্নান খাঁ (২০), আবু হানিফ (১৯), কুরমান আরী (২২), মাসুম আলী (২৭), মো. সাগর (২০), টিপু সুলতান (২০), নুরমান ইসলাম (২০) ও সুজন আলী (৩০)।
রোববার দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটককৃতরা চাঁদাবাজি, জমিদখল ও ভাড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। এলাকায় তারা ‘জনি গ্যাং’ বা ‘জনি বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত। অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে বাহিনীর প্রধান জনির বিরুদ্ধে।
র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জনি বাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে জনি বাহিনী’র প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যায় র্যাব।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার দুপুরে তাদের কাটাখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃতদের নামে মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন