ফরিদপুরের সালথায় একরাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মালামালসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার (১৬, ১৭ জানুয়ারি) বিভিন্ন সময়ে সালথার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, নগদ ৬০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি ছুরি ও ১টি শাবল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: সালথার দিয়াপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে ইয়াদ আলী (৪৬), একই গ্রামের সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের ছেলে মো. নাঈম মাতুব্বর (২০) ও মো. সাইফুল মাতুব্বর (২২), একই উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের আ. ওহাব শেখের ছেলে মো. বাবুল শেখ (৩৫), বড় লক্ষণদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রব মাতুব্বরের ছেলে মো. মিজানুর মাতুব্বর (৫০) ও জয়ঝাপ গ্রামের আতিক শেখের ছেলে শাকিবুল শেখ (২০)।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর সালথার দিয়াপাড়া এলাকায় একই রাতে ৩টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল, সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, ট্র্যাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) তুহিন লস্করসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংয়ের নেতৃত্বে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তারা
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত রয়েছে
বলে ঘোষণা দেন।
প্রতিনিধিদলে এলজির কর্মকর্তাসহ কোরিয়ার টেক্সটাইল, ফ্যাশন, স্পিনিং, লজিস্টিকস, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের বৃহৎ বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা ছিলেন।
বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিদলটি গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড পরিদর্শন করেন। ইয়াংওয়ান করপোরেশন পরিচালিত এই শিল্পপার্কে অনেক বিনিয়োগকারী তাৎক্ষণিকভাবে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের জন্য শ্রম, শিল্প, জ্বালানি ও বিনিয়োগ নীতিতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এমন সময়ে আপনারা বাংলাদেশে এসেছেন যখন আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করছি। এই নতুন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ এখন সহজ ও ঝামেলামুক্ত। আপনাদের জন্য বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করা আমাদের দায়িত্ব। আমি জানি গত ১৬ বছরে আপনাদের অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে, আমরা সেই সময়ের ক্ষতিপূরণ দিতে চাই। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে আসা কিহাক সাং প্রধান উপদেষ্টার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং দেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও সরকারের ইতিবাচক নীতির প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দেন যাতে তারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আপনাদের ব্যবসার গন্তব্য এবং অনুপ্রেরণার উৎস বানান। আপনারা কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রাখেন।’
কিহাক সাং ঘোষণা দেন, ইয়াংওয়ান করপোরেশন চট্টগ্রামে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি টেক্সটাইল ও ফ্যাশন কলেজ স্থাপন করবে, যা বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষ টেক্সটাইল হাবে পরিণত করতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করবে।
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেরিত সাম্প্রতিক চিঠিরও প্রশংসা করেন, যা নতুন মার্কিন প্রশাসনের নীতির কারণে উদ্ভূত উদ্বেগ নিরসনে সহায়ক হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চিঠিটি অত্যন্ত সুচিন্তিত ছিল’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের পরামর্শও দেন।
বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন কাঠামো অনন্য উল্লেখ করে কোরিয়ান ফ্যাশন ও রিটেইল খাতের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতও দ্রুত বিকাশমান এবং বিশ্ব বাণিজ্য কাঠামোতে দেশটি শীর্ষ ওষুধ রপ্তানিকারক হতে পারে। একজন বিনিয়োগকারী দেশে একটি এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট) কারখানা স্থাপনের আগ্রহ জানান।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস প্রতিনিধিদলের একজন শীর্ষ কোরীয় সার্জনকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কয়েক শহিদ পরিবার আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন, আহত ও শহিদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আজকের বৈঠকে শহিদ পরিবারের প্রত্যাশার কথা শুনেছেন এবং সরকারের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২২৯ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।
তাদের মধ্যে ১৮৩ জন বিজিপির সদস্য, ৪৬ জন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও ইমিগ্রেশনের সদস্য রয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
বিজিবি বলছে, যারা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিজিবির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ২২৯ জনের মধ্যে তুমব্রু বিওপিতে ৭৬ বিজিপি সদস্য, ঘুমধুমে ৩৭ বিজিপি, বালুখালীতে ৭০ বিজিপিসহ মোট ১৮৩ বিজিপি সদস্য আছেন।
এছাড়া ২ সেনা সদস্য, ৪ জন সিআইডি, ৫ জন পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন সদস্য ২০ জন, অসামরিক ৪ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে মোট ২২৭ জন সদস্য কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনে আছেন। এদিকে, টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপিতে আরও ২জন বিজিপি সদস্য রয়েছেন।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের স্বার্থে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিজিবি।
বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপিসহ ২২৯ সদস্যকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিপির ১০৬ সেনা পালিয়ে আসার তথ্য জানায় বিজিবি।
এদিকে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানে দুইজন নিহত হন।
সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপির চার নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে নিহত হন ওই এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫২)। এছাড়া অপর নিহত রোহিঙ্গা পুরুষের (৫৫) পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিপির ১০৬ সেনা পালিয়ে আসার তথ্য জানায় বিজিবি।
মন্তব্য করুন
অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে আজ থেকে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু।
শিক্ষকদের সাত দিনের এ প্রশিক্ষণ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ।
এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম। এতে প্রশিক্ষণ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
প্রথম ধাপে ৪৭৭টি উপজেলায় ৫০৮টি ব্যাচে শিক্ষক প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। আর এ প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন ইআইআইএন-ধারী (এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ।
নির্ধারিত দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে এ শিক্ষক প্রশিক্ষণ।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতা সম্পন্ন
বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত
সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও রেয়াতি ডিকার্বনাইজেশন
ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে ক্লাইমেট ক্লাবের সাথে কাজ
করতে ইচ্ছুক।
এখানে
প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে
জার্মানি ও চিলি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ক্লাব নেতাদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন আরো বেশি দ্রুত
ও টেকসই উপায়ে হ্রাস এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৩ শতাংশ
কমাতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্যে পৌঁছানোর জন্য উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
সীমাবদ্ধ করতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি
বিশেষ করে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রমাণিত কম নির্গমন প্রযুক্তি
প্রদর্শন ও স্থাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, অনেক ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তির জন্য উলে¬খযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন। অর্থায়নের
সীমিত সুযোগ রয়েছে এমন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে
এ ধরণের অধিক মূলধন বিনিয়োগ করা শিল্পের জন্য একটি বাধা হতে পারে।
প্রধান
উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের শিল্পের জন্য
রেয়াতি অর্থের সুযোগ লাভকে উৎসাহিত করে শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে অর্থায়নের
জন্য আর্থিক ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি
বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬.৮ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি
এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আমদানিতে
সুষম কার্বন খরচ আরোপ করে একটি সুষম ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা সীমা
সমন্বয় করের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর জোর দিয়ে, ২০০৬ সালের নোবেল পিস লরিয়েট বলেন,
স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার প্রেক্ষিতে
অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।
শিল্পের
ডিকার্বনাইজেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমন বিশ্বব্যাপী স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি
ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে, কারণ কিছু খাত টেকসই ব্যবস্থা অনুশীলনের
তুলনায় ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, ‘এসব ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে ডিকার্বনাইজেশন
প্রচেষ্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্বন সীমা সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো নীতিগুলি
অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, এসব নীতি বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতামূলকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অধিক নির্গমন নীতির কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তাদেরকে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি
আরো বলেন, ‘অতএব, স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার
কারণে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, খণ্ডিত উপায়ে উচ্চাভিলাষী প্রশমন নীতিগুলো শিল্প কর্মকা-কে এমন অঞ্চলে
নিয়ে যাচ্ছে যেখানে কার্বন মূল্যের কোনো নীতি নেই বা কম কঠোর, যা কার্বন নির্গমনের
দিকে ধাবিত করে এবং এইভাবে সামগ্রিক বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যকে
বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি
বলেন, ইইউ প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) রপ্তানিকৃত
পণ্যগুলোতে নির্গমনের মান পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে এবং কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ করে সংশ্লিষ্ট
দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু নীতি শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করতে পারে।
তিনি
আরও বলেন, একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনকে সমর্থন করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও উদীয়মান বাজারে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ ১ ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে র্যাব ১১ এর এএসপি (মিডিয়া অফিসার) সনদ বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আড়াইহাজারের ঝাউগরা এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে আটককৃত আলী হোসেন (৪৫)।
র্যাব জানায়, মো. আলী হোসেন অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী। তার বাড়ির ছাদের সিঁড়ি সংলগ্ন ১টি কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আড়াইহাজার থানার পৌরসভার ঝাউগরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাকে।
র্যাব জানায়, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটককৃত আলী হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযানে অবৈধ ২১টি ভিওআইপি সিমবক্স, ২টি ল্যাপটপ, ১টি সিপিও, ২টি আইপিএস, ২টি আইপিএসের ব্যাটারি, ২টি ইউপিএস, ২টি রাউটার, ৪টি রাউটার সুইচ, ৩ হাজার ২৬৮ পিস সিমকার্ড, বিভিন্ন ধরনের ২০টি ক্যাবল, দুটি হার্ডডিক্স, ৩টি র্যাম, ১টি মোবাইল ও ৫টি মডেম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, আটককৃত ব্যক্তি অবৈধভাবে ও সরকারি অনুমোদন ছাড়া ভিওআইপি সিমবক্স ও ভিওআইপি সরঞ্জামাদি নিজ বাসার কক্ষে স্থাপন করে বাংলাদেশ ও বহিবিশ্বে যোগাযোগের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে আসছিলেন।
র্যাব আরও জানায়, আটককৃত আলী হোসেন ভিওআইপির মাধ্যমে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করতেন। তিনি টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব ও চার্জ ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যান্ত্রিক, ভার্চ্যুয়াল ও সফটওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা দিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে বিটিআরসির চোখ ফাঁকি দিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধ টেলিযোগাযোগ সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ভোলায় ৪টি অস্ত্র ও ২ রাউন্ড তাজা গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ বেলায়েত বাহিনীর প্রধান বেলায়েতসহ ৪ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে সদরের বাপ্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটক বাকি ৩ জন হলো বেলায়েত বাহিনীর সদস্য মো. কামাল (৫২), শেখ ফরিদ (৩৭) এবং মো. আল আমিন (২১)।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, বেলায়েত বাহিনী চাঁদাবাজি, জমি দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলা কর্তৃক কোস্টগার্ড ও পুলিশ ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন বাপ্তা ইউনিয়নে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি গুলি ও ৪টি দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
আটককৃত মো. বেলায়েত হোসেনের নামে হত্যা এবং চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জব্দকৃত অস্ত্র ও গুলিসহ আটককৃত ৪ জনকে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সব জেলা ও মহানগরে দলটির নতুন আমিরের নাম ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে নতুন আমিরদের নাম ঘোষণা করা হয়। ঢাকায় মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনিই নতুন আমিরদের নাম ঘোষণা করেছেন।
এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছর ধরে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছে। হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এখনো চিকিৎসা চলা অবস্থায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। তিনি হতাহতদের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা ও মহানগরে আমির হলেন যারা :
পঞ্চগড়ে মো. ইকবাল হোসাইন, ঠাকুরগাঁওয়ে বেলাল উদ্দিন প্রধান, দিনাজপুরে আনিছুর রহমান, নীলফামারীতে আব্দুস সাত্তার, লালমনিরহাটে আবু তাহের, রংপুর মহানগরে মাওলানা এ টি এম আযম খান, রংপুর জেলায় মো. গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রামে মাওলানা মো. আবদুল মতিন ফারুকী, গাইবান্ধায় মো. আব্দুল করিম সরকার, জয়পুরহাটে ডা. ফজলুর রহমান সাইদ।
বগুড়া শহরে মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া জেলায় মাওলানা আবদুল হক সরকার, সিরাজগঞ্জে মাওলানা মো. শাহিনুর আলম, পাবনায় মো. আবু তালেব মন্ডল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাওলানা মো. আবুজর গিফারী, নওগাঁয় মো. আব্দুর রাকিব, রাজশাহী মহানগরে মো. কেরামত আলী, রাজশাহী জেলায় আবদুল খালেক, নাটোরে মীর নুরুল ইসলাম, মেহেরপুরে মো. তাজউদ্দীন খান, কুষ্টিয়ায় মো. আবুল হাশেম, চুয়াডাঙ্গায় মো. রুহুল আমিন।
ঝিনাইদহে আলী আজম মো. আবু বকর, যশোরে মো. গোলাম রছুল, মাগুরায় এম বি বাকের, নড়াইলে মো. আতাউর রহমান, বাগেরহাটে মাওলানা রেজাউল করিম, খুলনা মহানগরে মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলায় মাওলানা মুহা. এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরায় শহীদুল ইসলাম।
বরগুনায় মাওলানা মো. মহিববুল্লাহ, পটুয়াখালীতে নাজমুল আহসান, ভোলায় মুহা. জাকির হোসেন, বরিশাল মহানগরে জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলায় মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, ঝালকাঠিতে হাফিজুর রহমান, পিরোজপুরে তাফাজ্জল হোসাইন।
জামালপুরে মাওলানা আব্দুস সাত্তার, শেরপুরে মাওলানা হাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ মহানগরে মাওলানা কামরুল আহসান, ময়মনসিংহ জেলায় আবদুল করিম, নেত্রকোনায় ছাদেক আহমাদ।
কিশোরগঞ্জে মো. রমজান আলী, ঢাকা মহানগর উত্তরে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নূরুল ইসলাম বুলবুল, টাঙ্গাইলে আহসান হাবিব, মানিকগঞ্জে মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা জেলায় মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, গাজীপুর মহানগরে মুহা. জামাল উদদীন, গাজীপুর জেলায় মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুন্সিগঞ্জে মাওলানা আ জ ম রুহুল কুদ্দুস, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মো. মমিনুল হক সরকার, নরসিংদীতে মাওলানা মো. মোছলেহুদ্দিন, রাজবাড়ীতে মো. নূরুল ইসলাম, ফরিদপুরে মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, গোপালগঞ্জে রেজাউল করিম, মাদারীপুরে মাওলানা মোখলিসুর রহমান, শরীয়তপুরে মাওলানা আবদুর রব হাশেমী।
সুনামগঞ্জে মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, সিলেট মহানগরে মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলায় মাওলানা হাবীবুর রহমান, মৌলভীবাজারে মো. শাহেদ আলী, হবিগঞ্জে মাওলানা মোখলিসুর রহমান।
চট্টগ্রাম মহানগরে শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরে আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজারে মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়িতে সৈয়দ মো. আব্দুল মোমেন, রাঙামাটিতে মোহাম্মদ আবদুল আলীম এবং বান্দরবানে এস এম আবদুছ
ছালাম আজাদ।
কুমিল্লা মহানগরে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা উত্তরে মো. আবদুল মতিন, কুমিল্লা দক্ষিণে মো. শাহজাহান, চাঁদপুরে মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী, ফেনীতে মুফতি আবদুল হান্নান, নোয়াখালীতে মো. ইছহাক খন্দকার, লক্ষ্মীপুরে রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন
পূর্বানুমতি
ছাড়া চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে গ্রেপ্তার না করার সুপারিশ করেছে
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।
সুপারিশে
বলা হয়েছে, বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ প্রোফেশনাল
কাউন্সিল ইত্যাদির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণযোগ্য হবে, তবে তা অভিযোগ দাখিলের নব্বই দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন স্বাস্থ্যখাত
সংস্কার কমিশন কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনের ১১নম্বর সুপারিশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি
তুলে ধরা হয়।
চিকিৎসা
সেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে, সেবা গ্রহীতার অভিযোগ
নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে
হবে।বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ পোফেশনাল কাউন্সিল
ইত্যাদির আইনগত ক্ষমতা ও কাঠামোকে আরও কার্যকর করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট
ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স চালু
করতে হবে, যাতে কর্মজীবনে আইনি ঝুঁকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও সামাজিক
সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
জরুরি
পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের
অধীনে একটি নির্দিষ্ট ইউনিট থাকবে যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সংরক্ষিত কিছু পুলিশ থাকবেন
(যাদের মেডিকেল পুলিশ বলা যেতে পারে) যারা জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা, হুমকি ও সহিংসতা
প্রতিরোধে এই ইউনিট কাজ করবে।
সরকার
২০২৪ সালের নভেম্বরে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান
হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ
খান।
কমিশনের
সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও
হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, শিশু নিউরো
বিজ্ঞান বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নাইলা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার
হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ
সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল
হক, আইসিডিডিআরবি’র
বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ আহসানুর রহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমায়ের আফিফ।
মন্তব্য করুন
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ।
মন্তব্য করুন