

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বিভাগের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার পথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য নোয়াখালীর একটি যাত্রীবাহী বাস আটকে দিয়েছে কুমিল্লার বিক্ষুদ্ধ জনতা। কুমিল্লাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ায় বাসটি আটকে দেওয়া হয়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় লাল সবুজ নামের বাসটি আটকে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরি বলায় বাসটি ছেড়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। কুমিল্লা জেলা পুলিশের দক্ষিণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ঢাকায় বিভাগের আন্দোলন শেষে বাসে করে নোয়াখালীর দিকে ফেরেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া নোয়াখালীর মানুষ। শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী ফেরার পথে কুমিল্লা অংশে এলে কুমিল্লাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকেন বাসের জানালা খুলে। তাতে ক্ষুব্ধ হন কুমিল্লার বিভাগ আন্দোলনের অংশীজনরা।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে নোয়াখালীগামী লাল সবুজ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এলে ফুটওভার ব্রিজের নীচে আটক করেন কুমিল্লার বিক্ষুদ্ধ জনতা।
খবর পেয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম ঘটনাস্থলে যান তার ফোর্স নিয়ে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্যদের মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া নোয়াখালীর মানুষেরা সরি বলায় বাসটিকে ছেড়ে দেন আটককারীরা।
সহকারী পুলিশ সুপার মুস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস বলেন, বাসে থাকা লোকজন জানালা দিয়ে মাথা বের করে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ায় বিক্ষুদ্ধরা বাসটিকে আটক করেন। পরে সরি বলায় বাসটি ছেড়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
মন্তব্য করুন


সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যোগে যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) বিকাল ৪ টায় নগরীর গোল্ডেন স্পুন অডিটরিয়ামে মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড.আবরার আহমেদ।বিশেষ আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন ড.মাসুদুল হক চৌধুরী,আড়াইবাড়ী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতী আমিনুল ইসলাম।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে সেক্রেটারী মু.মাহবুবর রহমান এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,মহানগর জামায়াতে নায়েবে আমীর যথাক্রমে মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন,অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন,মহানগর জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য এড এয়াকুব আলী চৌধুরী,অধ্যাপক মজিবুর রহমান,কাজী নজীর আহম্মেদ,অধ্যাপক জাকির হোসেন,কাজী মোতাহের আলী দিলাল প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে। আল্লাহতাআলার আইন দিয়ে দেশ না চললে কেউ সুখ শান্তি পাবে না। এখানে চুরি, হত্যা রাহাজানিসহ যতধরনের অপকর্ম চলতে থাকবে। ইসলাম মানেই সুবিচার, ইসলাম মানলেই সুবিচার হবে। ইসলাম যতদিন না থাকবে কোথাও সুবিচার কায়েম হবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমেই সমাজের সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সমাজ, রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগ চালাবে না তারা কাফের, ফাসেক ও জালেম।
সেমিনার সম্মিলিত সকলের অংশগ্রহণে ইফতার করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী
রফিকুল আবরার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মোঃ হায়দার আলী। আজ ১৬ মার্চ সকাল ১০.৩০টায় শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার
সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের
পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল
হাসান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ার
কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রধান প্রকল্প সমন্বয়ক এএফডব্লিউসি, পিএসসি কর্ণেল আরিফুল ইসলাম
খান এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পিএসসি
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের
সার্বিক বিষয় ও অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টা উপাচার্যকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ পরামর্শ প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ শামসুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাবাডি খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। কিন্তু এই খেলাটি আমাদের জাতীয় খেলা। অথচ কাবাডি হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির খেলার তালিকা থেকে। এই কাবাডিকে রক্ষা করতে হবে। গ্রাম-বাংলার জনপ্রিয় কাবাডি খেলার ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদেরকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৪মে) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কুমিল্লা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রীড়া নৈপুন্যে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ”ক্রীড়াঙ্গন’ স্লোগানে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড আয়োজিত আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতার ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু সালেহ মোঃ তারিক মাহমুদ,জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমি) ও ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া।সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ নূরুন্নবী আলম।
উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক আবুল হাসনাত বাবুল ও ক্রীড়া সংগঠক দরুল হুদা জেনু।
আন্তঃকলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতায় ৯টি কলেজ অংশগ্রহণ করে। কলেজগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, সোনার বাংলা কলেজ,কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ, শশীদল আলহাজ মুহাম্মাদ আবু তাহের কলেজ,ক্যান্টনমেন্ট কলেজ,মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ, কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। একই দিনে বিকেলের পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব (একাডেমি) ও ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মোহাম্মদ মাসুম বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে আর যেন কোনো ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার আসতে না পারে সেজন্য পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জুলাই সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, খুনি ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার করলেই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত হবে। প্রয়োজনে পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে আসে নাকি বিপক্ষে আসে যাচাই করুন। জনগণ যদি পিআর মানে তাহলে আপনাদেরও মানতে হবে। আর জনগণের রায় যদি পিআরের বিপক্ষে যায় তাহলে আমরা জামায়াতে ইসলামী মেনে নেব।
শুক্রবার বিকালে নগরীর আইটি কনভেনশন হলে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াত আয়োজিত পি আর পদ্ধতি ও জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ ৫দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মু.মাহবুবর রহমানের পরিচালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, বিগত ৫৪ বছরে যারা-ই ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কোনো কাজ করেনি।যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা লুটপাট, অনিয়ম, রাজনীতিহীনতা, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও দেশকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার অপরাজনীতি করেছে। ফলে জনগণ এখন তাদের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত। দেশের জনগণ এমন একটি শাসকগোষ্ঠী চায় যারা জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝবে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখবে।’
সেমিনারে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগরীর জামায়াতে সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কাউন্সিল মোশারফ হোসাইন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, অর্থ সম্পাদক আমির হোসাইন ফরায়েজী, মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য, অধ্যাপক মজিবুর রহমান, মোহাম্মদ হোসাইন, কাজী নজির আহম্মেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
গত রবিবার (২ নভেম্বর) রাতে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক “লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান” বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কুমিল্লার আদর্শ সদর ও ব্রাহ্মণপাড়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
তিনি জানায়, জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৭৯ লাখ ৫২ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ডিসপ্লে ও ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


চলমান অপারেশন অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত গেল ২৪ ঘন্টায় আরো ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গেল চার দিনে মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২৮ কেজি ৫শত গ্রাম গাঁজাসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন
কালাকচুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। রিপন শেখ এবং ২। জিহাদ
মোল্লা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২৮ কেজি
৫ শত গ্রাম গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। রিপন শেখ (৫১)
গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ থানার কুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমানত শেখ এর ছেলে এবং ২।
জিহাদ মোল্লা (২৪) গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ থানার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের সিরাজ মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১২০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
বুধবার (৮ মে) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমড়াতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নাজমুল (২৪) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ নাজমুল (২৪) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রঘুরামপুর গ্রামের মোঃ এসহাক মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অপরাধ প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় আজ মোবাইল
কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানটি পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সরওয়ার লিমা। তাকে সহায়তা করেন চৌদ্দগ্রাম
থানা পুলিশের একটি টিম।
মোবাইল কোর্টের আওতায় মিয়া বাজার এলাকার
চারটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গ্রামীণ রেস্তোরাঁ এন্ড সুইটস,
ঈশিতা সুইটস এন্ড কনফেকশনারি, আফতাব সুইটস এন্ড কনফেকশনারি এবং হীরা সুইটস এন্ড কনফেকশনারি।
অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিএসটিআই লাইসেন্স,
সঠিক ওজন-পরিমাপ, মূল্য তালিকা এবং খাদ্যসামগ্রীর গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ
উল্লেখ রয়েছে কিনা তা যাচাই করা হয়।
এ সময় দেখা যায়, তিনটি প্রতিষ্ঠানে (গ্রামীণ, ঈশিতা ও হীরা সুইটস) বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও মিষ্টি ও দই জাতীয় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও বিক্রি করা হচ্ছে।
আফতাব সুইটসে টোস্ট ও ব্রেডের জন্য
বিএসটিআই অনুমোদন থাকলেও মিষ্টিজাত পণ্যের জন্য কোনো লাইসেন্স নেই।
কোনো প্রতিষ্ঠানেই ওজন-পরিমাপ যন্ত্রের
ক্যালিব্রেশন সার্টিফিকেট নেই। মিষ্টিজাত দ্রব্যসামগ্রীর মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের
তারিখ অনুপস্থিত।
উল্লেখিত অপরাধসমূহের প্রেক্ষিতে মোবাইল
কোর্ট আইন, ২০০৯ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অভিযুক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানকে
মোট ২৮,০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনস্বার্থে
এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন