কুমিল্লায় অস্ত্রসহ একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১১ জানুয়ারী রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চান্দুল এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী শাহ নেওয়াজ নামের একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী শাহ নেওয়াজ (২৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার গাজীপাড়া গ্রামের আব্দুল আমিন এর ছেলে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপ-পরিচালক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, সে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক
মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ বৌয়ারা বাজার বিওপি এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮৫/২-এস
হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সূর্যনগর নামক স্থান হতে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস
ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি
বিশ লক্ষ) টাকা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকা থেকে দলনেতাসহ আট জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
গত ২৭ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের
নিকট হতে ২ টি চাকু, ৪ টি ক্ষুর ও ৭ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ নিলয় ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ রোকন মিয়া, সাং-
অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ২। মোঃ ইমতিয়াজ মিনহাজ আকাশ (১৯), পিতা-
মোঃ গোলাম রাব্বানী মাসুম, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
বাপ্পি (১৯), পিতা-মৃত আবুল খায়ের, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৪। পিয়াল খন্দকার (১৯), পিতা-মোঃ বশির খন্দকার, সাং- গাজীপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৫। মোঃ আব্দুল কাদির (১৯), পিতা-মোঃ সোয়াব আলী, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি সাং-
উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে গ্রেফতার এবং আইনের সাথে
সংঘাতে জড়িত শিশু ৬। শাহাদাত হোসেন মাহি (১৭), পিতা-মোঃ নাদের হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর,
থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৭। রাকিবুল হাসান (১৬), পিতা- মোঃ সোহেল রানা,
সাং- উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং ৮। মোঃ মুনতাছির মাহমুদ@
সামির (১৭), পিতা-মোঃ মীর হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের
ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং
এর সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়
ভীতির মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির
মাধ্যমে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে
আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের
বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার তিতাসে ভারী ভর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যার প্রবল স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে গোমতী নদীর উপর ইস্পাত ও কাঠের সংমিশ্রণে নির্মিত অস্থায়ী সেতু।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার আসমানিয়া বাজার সংলগ্ন ওই সেতুটি ভেসে যাওয়ার দৃশ্যটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সেতুটির উপর দিয়ে পারাপাররত মানুষগুলোকে দিকবিদিক ছুটতে দেখা যায়। সেতুটি প্রথমেই পূর্বদিকে হেলে যায়, তারপর কিছুক্ষণ ভেসে তা নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
সেতুটি ভেসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ২২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এতে করে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাসীর মাঝে। দুর্বল অবকাঠামোয় নির্মাণ ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে সেতুটি এনিয়ে দুই বার ভেঙে যায় বলে জানান তারা।
পথচারীরা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। বিকল্প নৌকায় যাতায়াত করতে গেলে এখন টাকা ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও দেখেছি, এখনো পরিদর্শনে যেতে পারিনি। প্রবল স্রোতে ও কচুরিপানার চাপে সেতুটি ভেসে যায়। তাছাড়া নতুন ব্রিজের কাজ চলমান হওয়ায় নদীর দুপাশ সরু হওয়ায় ওই অংশে স্রোতের চাপ বেড়ে যাওয়ায় অস্থায়ী সেতুটি ভেসে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অস্থায়ী সেতুটি পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ৪৭ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকা থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ ।
জানা গেছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। এসময় সীমান্তবর্তী চাঁনপুর এলাকায় বিজিবির অভিযান টের পেয়ে সড়কের পাশে সিএনজি ভর্তি শাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। পরে একটি সিএনজিকেসহ ৪৫৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ি আটক করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিজিবির উদ্ধার করা ৪৫৫টি ভারতীয় শাড়ির আনুমানিক মূল্য সাতচল্লিশ লাখ নব্বই হাজার টাকা। আটককৃত পণ্য কাস্টমস এ জমা করার প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন
পুলিশের লুট হওয়া একটি পিস্তলসহ একজন
দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন টমছম ব্রীজ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ তুহিন আলম (১৯) নামক
একজন দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে পুলিশের লুট হওয়া একটি বিদেশী
পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও আট রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ তুহিন আলম (১৯)
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার খানগড়া গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে। তবে সে
ঢাকার গুলশান থানাধীন উত্তর বাড্ডা, স্বাধীনতা স্বরণী রোড এলাকায় হোটেলে কাজ করে মর্মে
জানা যায়।
র্যাব জানান, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে
সে সহ দুষ্কৃতিকারীরা ঢাকার বাড্ডা থানায় আক্রমণ করে এবং থানার অভ্যন্তরে থাকা অস্ত্র,
গোলাবারুদ সহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রাদি লুটপাট ও ধ্বংস করে। ঐ সময় আসামী মোঃ তুহিন আলম
(১৯) উক্ত উদ্ধারকৃত পিস্তল, ম্যাগাজিন ও কার্তুজ সমূহ লুট করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজের
কাছে রাখে। একপর্যায়ে তা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসলে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে র্যাব এর বিশেষ অভিযানে তাকে পিস্তল, ম্যাগাজিন ও কার্তুজ সহ আটক করা হয়।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। পুলিশের অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে র্যাবের অভিযান
অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট
আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা
আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান
আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার,
একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে
ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,
আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি
হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও
তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা
করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল
থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা
দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে
নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের
সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লা
নগরীর চকবাজার ডিজেল ও অকটেন কম দিয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগে দুই তেলের পাম্পকে সিলগালা
করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তেল পরিমাপের ৪টি ডিসপেন্সিং ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ
মঙ্গলবার (৬ মে) কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করেন
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বিএসটিআই
কুমিল্লা কার্যালয় প্রধান কে এম হানিফ বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযানে
মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজের দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে
১৯০ মিলি ও ২০০ মিলি তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই পাম্পের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং
ইউনিটেও প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২২০ মিলি তেল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত
হয়। এই গুরুতর অপরাধে পাম্পের চারটি ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে,
একই এলাকার মেসার্স এম এ হাকিম এন্ড ব্রাদার্সের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও তেলের
মাপে কারচুপির চিত্র দেখা যায়। পাম্পটির এই দুটি ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রাহকদের
যথাক্রমে ৩৪০ মিলি ও ৩৯০ মিলি তেল কম দেওয়া হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই দুটি ইউনিটও সিলগালা
করে দিয়েছে বিএসটিআই।
বিএসটিআই
কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: লুৎফর রহমান এবং মো: হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে
এই সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালিত হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ কেজি গাঁজা এবং ৭৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মেহেদী হাসান (২২) এবং ২। মোঃ পারভেজ (২৪) নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা, ৭৩ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ইজি বাইক (অটো) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ মেহেদী হাসান (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতরা গ্রামের মোঃ আলমগীর
এর ছেলে এবং আসামী মোঃ পারভেজ (২৪) একই গ্রামের মোঃ শাহীন এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজি বাইক (অটো)টি ব্যবহার করে
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা’সহ অন্যান্য জেলায়
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১
এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের
মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
পৃথক দুইটি অভিযানে কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ সেপ্টেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন ফৌজদারী মোড় ও বাটপাড়া চৌমুহনী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে
জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার দুইজন যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আল আমিন এবং ২। রতন দত্ত কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আল আমিন (৪১) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়া
এর ছেলে এবং ২। রতন দত্ত (৩৮) একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানার কালিয়াজুরি গ্রামের হরিপদ
দত্ত এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গত ২৭/০১/২০১২ ইং তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাইয়া ভিকটিম মোঃ জাবেদ মিয়া (২৫) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় বর্ণিত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যখন সারাদেশের মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন, ঠিক তখনই মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রতিবছর ঈদে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। এ সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন।
তিনি ফোর্সের সাথে বড়খানা অংশগ্রহণ করেন এবং সকল ফোর্সদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের এমন উদ্যোগ ছুটি বঞ্চিত পুলিশ সদস্যদের ঈদের দিনটিকে আনন্দঘন করেছে।
মন্তব্য করুন